মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি সেরা উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে চান ? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। বর্তমান সময়ে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারলে একটি পরিবার সুখে চলতে পারে। আমরা টাকা ইনকামের জন্য বিভিন্ন পথ বেছে নিই। বর্তমানে টাকা ইনকাম করার অগণিত উৎস রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে থেকে আমরা কিছু সেক্টর বাছাই করেছি। যে সেক্টর গুলো থেকে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পোস্টটি শেষ অবদি পড়ুন।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ৩০টি সেরা উপায়

এই আর্টিকেলে আমরা অনলাইন, অফলাইনে মাধ্যমে কি করে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি সে বিষয়ে ইউনিক কিছু আইডিয়া দিব। যে আইডিয়া গুলো কাজে লাগিয়ে আপনারা অনলাইন, অফলাইন  থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে কোন কাজ করে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন তা নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে এমন অবস্থায় ভালো অর্থ ইনকাম করতে না পারলে সংসার চালানো খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা সবাই অর্থ-সম্পদে স্বচ্ছলতা, স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে চায়। আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কতই না পরিশ্রম করি। মূল কথা আমরা সকলে চাই এমনভাবে ইনকাম করতে যে টাকা সংসার বাবদ খরচ করার পর কিছু টাকা যেন ব্যাংকে জমাতে পারি। এই দুনিয়ার জীবনে সুন্দর করে চলতে হলে প্রথমে আপনাকে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এজন্য আপনাকে একাধিক পেশাকে জীবিকার বাহন বানাতে হবে। শুধুমাত্র একটি পেশার উপর নির্ভরশীল হয়ে চললে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব নাও হতে পারে। বর্তমানে শিক্ষিত প্রজন্ম অনলাইন, অফলাইন দুইভাবে অর্থ উপার্জনের কথা চিন্তা করে। চাকরির পাশাপাশি আপনি আরও একাধিক পেশার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারলে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে অনলাইন, অফলাইন দুই দিকে ফোকাস রাখতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম

ডিজিটাল মার্কেটিং এর দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। যে কেউ এই পেশার সাথে নিজেকে যুক্ত করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এই পেশাটি চাহিদা সম্পন্ন এবং উন্মুক্ত। লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এই পেশার সাথে নিজেকে যুক্ত করে পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে যাচ্ছে এবং ভালো অর্থ ইনকাম করছে।

ফাইবার, আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এতটাই বড় যে এখানে কাজের কোন অভাব নেই। ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনাকে কোন একটি কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যখনই আপনি দক্ষতা অর্জন করবেন তখন আপনার টাকার অভাব হবে না। তবে দক্ষতা অর্জন না করে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করা যায় না।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সব থেকে বড় সুবিধা হলোঃ

  • আপনি ঘরে বসে ডলার উপার্জন করতে পারছেন।
  • আপনি কারও অনুগত না হয়ে নিজ স্বাধীন মোতাবেক কাজ করতে পারছেন।
  • দিনের যেকোন সময় আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগ থাকছে।
  • আপনি যে বিশেষ কাজের উপর দক্ষ ঐ বিশেষ কাজের মাধ্যমে বায়ার হান্ট করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারছেন।
  • সব থেকে বড় সুবিধা হলো আনলিমিটেড ইনকাম। চাকরি করলে দৈনিক ৮ ঘন্টা সময়ে বিনিময়ে আপনি মাসে যে টাকা উপার্জন করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং তার থেকে বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

তবে ভুলে গেলে চলবে না ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেভাবে চাপ বাড়ছে অনলাইন জগতে নিজের অবস্থান শক্ত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোন বিশেষ সেক্টরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন বায়ার পাওয়া যাবে না এবং অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।

ব্লগিং করে ইনকাম

অনলাইন থেকে আয় করার সব থেকে সহজ, জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ব্লগিং। আপনি যদি লেখালেখির কাজ করতে পছন্দ করেন তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য সেরা হতে পারে। অনেক ব্লগার ব্লগিং করে অনলাইন থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম। ব্লগিং করে সফল হতে হলে ধৈর্য, একাগ্রতা, লেগে থাকার মানসিকতা থাকতে হবে।

এজন্য আপনার একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। ডোমেইন, হোস্টিং নিয়ে আপনি গুগল ব্লগার, ওয়ার্ড প্রেস সাইটে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। ৫০/৬০ টি পোস্ট পাবলিশ করার পর যখন দেখবেন ভালো ট্রাফিক আসছে তখন গুগলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন করুন।

ব্লগিং থেকে আপনি কয়েকভাবে ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ- গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে, অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আপনি আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রমোট করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন, আপনার ব্লগ আর্টিকেল বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন,  আপনার ওয়েবসাইট বিক্রি করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখে ইনকাম

বর্তমান সময়ে অপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম এই সাইটগুলোতে ইংলিশ কনটেন্ট লিখে আপনি অর্থ-উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে যেসকল প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করে অর্থ উপার্জন করে তারা প্রায় তারা প্রায় তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে লেখালেখি করার জন্য আর্টিকেল রাইটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি তাদের আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি ভালো আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো বেতনে ইনকাম করার সুযোগ থাকছে। তাছাড়া বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে আর্টিকেল লিখতে পারেন যেমনঃ- ঢাকা পোস্ট, ঢাকা মেইল, জাগো নিউজ, সময় নিউজ, কালবেলা ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

অনলাইন থেকে আয় করার যতগুলো জনপ্রিয় মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। বাংলাদেশ বিভিন্ন কোম্পানি যেমনঃ- দারাজ তারা অনলাইনে প্রোডাক্ট সেল করে। এখন আপনি দারাজের ঐ প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুকে প্রচারণা চালালেন এবং ঐ প্রোডাক্ট এর লিংক আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুকে দিয়ে রাখলেন। আপনার ঐ লিংকে ক্লিক করে যারা দারাজ থেকে ঐ প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তার বিনিময়ে দারাজ থেকে আপনি কমিশন পাবেন এটা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

দারাজের মতো অসংখ্য অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা দারাজের মতো অনলাইনে পন্য বা সার্ভিস সেল করে থাকে। আপনিও চাইলে ঐ সকল প্রতিষ্ঠানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আশা করি আলোচনা থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।

ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম

অনলাইন জগতে ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং কাজের পরিধি অনেক বড়। এই কাজ গুলো আপনি শিখতে পারলে অনলাইন জগত থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই সমস্ত কাজে আপনাকে ভালো দক্ষ হতে হবে। ভালো দক্ষ হলে এই সব কাজে ক্লায়েন্ট হান্ট করে আপনি কাজের অর্ডার নিতে পারবেন। এই ধরণের কাজের সব থেকে ভালো মার্কেট প্লেস হলোঃ- ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম। তাছাড়া মার্কেট প্লেসের বাইরে গিয়ে আপনি এই সমস্ত কাজের অর্ডার নিতে পারবেন। এই সব কাজ করেও আপনি অনলাইন থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার উপর ইনকাম করতে পারবেন। শুধু এই সব কাজে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকাম

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সেক্টর অনেক বড়। এর চাহিদা অনেক বেশি। ইন্টারনেটের এই যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা ভবিষ্যৎতে বাড়বে। তাই আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আপনি ভালো অর্থ  উপার্জন করতে পারবেন। বড় বড় কোম্পানি ব্র্যান্ড, লোগো ডিজাইনের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনার নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারলে মার্কেট প্লেস, মার্কেট প্লেসের বাহির থেকে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অতএব আপনি নিজেকে একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করুন। আশা করা যায়  এই কাজ থেকে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম

অনলাইন জগতে বিজনেসের রোল মডেল হলো ড্রপশিপিং ব্যবসা। এই ব্যবসার সব থেকে বড় সুবিধা হলো প্রোডাক্ট নিজের কাছে না রেখে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ক্রেতার নিকট পন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট, Shopify এই ধরণের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে আপনি ড্রপশিপিং ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে ইনকাম

যতগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ইউটিউব অন্যতম। আপনি কি জানেন এই ইউটিউব থেকে হাজার হাজার নয় লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক ইউটিউবার ইউটিউব থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করছে। এজন্য প্রথমে আপনাকে ইউটিউবে ভিডিও বানাতে হবে। এই ভিডিও গুলো গঠনমূলক, তথ্যবহুল হতে হবে। অনেকে তাদের ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ, ওয়াজ-মাহফিল প্রচার করে, ফানি ভিডিও তৈরি করে ভালো টাকা ইনকাম করছে।

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনাকে ভিডিও এডিটিং এর কাজ জানতে হবে। ভিডিও ভালো না হলে মানুষ ভিডিও দেখতে আগ্রহ দেখাবে না। ইউটিউব চ্যানেলে গুগলে এডসেন্স এপ্রোভ করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১ হাজার subscribers হবে তখনই আপনি আপনার চ্যানেল monetize করিয়ে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

ফেসবুক থেকে ইনকাম

ফেসবুক ব্যবহার করে না এমন মানুষ বর্তমানে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ইন্টারনেটের এ যুগে ইন্টারনেট যতদিন থাকবে ফেসবুক ততদিন চলবে। মানুষ যত বাড়বে ফেসবুক ব্যবহার কারীর সংখ্যা তত বাড়বে। ইউটিউব চ্যানেলের মতো অনেকে ফেসবুকে সংবাদ, ওয়াজ-মাহফিল প্রচার করে, ফানি ভিডিও    বানিয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। ফেসবুক থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ইউটিউবের মতো এখানে মনিটাইজ করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে, অ্যাফিলিয়েট মার্কের্টি করে ভালো অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। যত ভিউজ হবে তত ভালো ইনকাম হবে। এজন্য আপনাকে সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে হবে। আপনার ভিডিও দেখে মানুষ যেন উপকৃত হয় সেইভাবে ভিডিও আপলোড করতে হবে। 

ধরুণ, আপনি ব্যাংকে চাকরি করেন। ব্যাংক সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ নিয়ম-কানুনের বিষয়ে মানুষ অবগত নয়। আপনি ফেসবুকে ঐ সকল বিষয় নিয়ে ভিডিও আপলোড করলেন। মানুষ আপনার ভিডিও দেখল এবং অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারল। 

ধরুণ, আপনি ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। আপনি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়ে ভিডিও তৈরি করলেন, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থানে ( ষাটগম্বুজ মসজিদ, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, চিড়িয়াখানা, সুন্দর বন ) এই সকল স্থানে গিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। যেগুলো মানুষের বিনোদনের খোরাক জোগাবে। এই সব ভিডিওতে যত ভিউজ হবে তত ইনকাম হবে।

অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম

বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং সেন্টারে ক্লাস নিয়ে একই সময়ে একই সাথে লক্ষাধিক স্টুডেন্ট পড়াশোনা সম্ভব নয়, লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করাও সম্ভব নয়। আপনি যদি ইন্টারনেটের এই যুগে একটু ক্রিয়েটিভ লেভেলের হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে পাঠদানের মাধ্যমে ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।

ধরুণ, আপনি ম্যাথ, একাউন্টিং, রসায়ন, বায়োলজি, পদার্থবিজ্ঞান, ইংলিশ, কোরআন শিক্ষা ভালো জানেন। এখন আপনি চিন্তা করলেন অনলাইনে পাঠদান করাবেন। এখন আপনি ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব, ফেসবুক আপলোড করুন। বাংলাদেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী আপনার এই ভিডিও দেখে উপকৃত হবে। তাছাড়া যারা সমস্যার কারণে ফিজিক্যালি ক্লাস করতে পারেন না তাদের জন্য এই ভিডিও খুবই উপকারে আসবে। এইসব ভিডিও চাহিদা অনেক। এই ধরণের ভিডিও তৈরি করে আপনি অনলাইন থেকে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে ইনকাম

ইউটিউব, ফেসবুক এর মতো ইনস্টাগ্রাম আইডি খুলে সেখানে শর্ট-ভিডিও আপলোড করে অনায়াসের মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনাকে শর্ট-ভিডিও আপলোড করে ভালো ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে। ভালো ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারলে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট মনিটাইজ করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য ‍সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং দক্ষতা নেক্সট লেভেলে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাতে হবে।

রেষ্টুরেন্ট ব্যবসা করে ইনকাম

ভোজন প্রিয় মানুষেরা তাদের পছন্দের খাবার খেতে বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে যায়। বর্তমান সময়ে রেষ্টুরেন্টের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। বর্তমানে জাঙ্ক ফুড বা ফাস্টফুডের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেশি। তাই আপনার রেষ্টুরেন্টে এই জাতীয় খাবার গুলো রাখতে পারেন। তাছাড়া আপনি আপনার রেষ্টুরেন্টে কাচ্চি  তেহরি,  মাটান, বিফ, পিজা,  গ্রিল, নান রুটি, তান্দুর রুটি, বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, বার্গার, চিকেন চপ, সিঙ্গারা, পুরি, সমুচা আয়োজন করুন।

এই খাবার গুলো মুখরোচক খাবার। সহজে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারে। খাবারের মান যত ভালো হবে আপনার রেষ্টুরেন্টে তত মানুষের সমাগম হবে। বেচা-বিক্রি ভালো হবে। রেষ্টুরেন্টে যত কাস্টমার তত বেশি ইনকাম। এই রেষ্টুরেন্টের ব্যবসা করে আপনি প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকারও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। রেষ্টুরেন্ট চললে ধরা যায় এই ব্যবসা সফল, লাভজনক।

মুদি দোকানের ব্যবসা করে ইনকাম

বর্তমানে অনেক শিক্ষিত তরুণ চাকরি না পেয়ে ব্যবসার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ব্যবসা দিনে দিনে বৃদ্ধি পায়। তবে আপনাকে ব্যবসা করা জানতে হবে। ব্যবসার প্রাণ গ্রাহক। তাই গ্রাহকের সন্তুষ্টি সব কিছুর উর্ধ্বে প্রাধান্য দিতে হবে। মুদি দোকানে কী কী পন্য থাকে আমরা সবাই জানি।

আমরা যারা মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন তারা বিভিন্ন ধরণের পন্য দোকানে রাখবেন। যাতে করে কাষ্টমার সবধরণের পন্য পায়। ফিরে যেন না যায়। যে পন্য থেকে তেমন কোন লাভ হয় না সেই পন্যটিও দোকানে রাখবেন যাতে করে কাষ্টমার ফিরে না যায়। কারণ, কাষ্টমার ব্যবসার প্রাণ। এই মুদি ব্যবসা থেকে আপনি অনায়াসে ৩০ হাজার টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন।

নার্সারি থেকে ইনকাম

গাছ-গাছালি পছন্দ করি না এমন লোক পাওয়া যাবে না। আমরা সকলে প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকতে চাই। বর্তমানে নার্সারিতে বিভিন্ন ধরণের ফলের গাছ, ওষধি গাছ, ফুলের গাছ পাওয়া যায়। এই ধরণের গাছ কিনতে বৃক্ষ প্রেমীরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে। 

একেকটি কলম চারার দাম ২০০ টাকার উপরে। এই নার্সারি ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি ব্যবসা করে সফল হতে চান তাহলে নার্সারী ব্যবসা আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এই ব্যবসা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকার উপর ইনকাম করা সম্ভব।

খামারের ব্যবসা থেকে আয়

আমরা মাছের খামার, গৃহপালিত পশু ( ছাগল, গরু, ভেড়া ), পাখির খামার ( হাস, মুরগি, কবুতর, কোয়েল ) এগুলোর খামার করে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। বর্তমানে শিক্ষিত তরুণ সমাজের মাঝে কোয়েল পালনের চাহিদা বেড়েছে।

অনেকে দেশী-মুরগির ডিমের খোঁজ করে। আপনি হাস, মুরগি, কবুতর, কোয়েল বিক্রি করে বা এগুলোর ডিম বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া মাছের খামার তৈরি করে মাছ, মাছের পোনা বিক্রি করে অর্থ ইনকামের সুযোগ থাকছে। আপনি যদি উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে এই ব্যবসা আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এই খামারের ব্যবসা করে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

টিউশনি করে ইনকাম

আপনি শিক্ষিত তরুণ-তরুণী হয়ে থাকেন তাহলে টিউশনি আপনার জন্য সেরা হতে পারে। বাসার গিয়ে টিউশনি করালে আপনি প্রতি মাসে ১৫০০/২০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া নিজে কোচিং সেন্টার দিয়ে টিউশনি করালে প্রতিমাসে জনপ্রতি ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

টিউশনি করে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার পড়ানোর মান উন্নত করতে হবে, আপনাকে দক্ষ হতে হবে। স্টুডেন্ট সংখ্যা যত বাড়বে টিউশনি থেকে আপনি তত ইনকাম করতে পারবেন। এটা নির্ভর করবে আপনার নিজের উপর।

গার্মেন্টসের ব্যবসা করে ইনকাম

বাংলাদেশের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি গুলো প্রতি বছর বিদেশে পোশাক রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে গামেন্টস এর ব্যাপক চাহিদা। আপনার এলাকার শহরের দিকে যদি একটু লক্ষ করেন দেখবেন বহু কাপড়ের শো-রুম দেখা যাচ্ছে। এই কাপড়ের শো-রুমে ছোট-বড়, নারী,পুরুষ, যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী সকলের পোশাক রাখবেন।

বছরের অন্যান্য সময় কাপড়ের চাহিদা তো রয়েছে। পাশাপাশি ঈদের মৌসুমে, পূজার মৌসুমে, বড়দিন উৎসবে, পহেলা বৈশাখ সহ আরও অন্যান্য উৎসবে কাপড়ের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সেই সময় ভালো দামে কাপড় বিক্রি করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। গার্মেন্টস এর ব্যবসা করে মাসে ৩০ হাজার টাকার উপর ইনকাম করা কোন ব্যাপার না। কাষ্টমার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচার-প্রচারণা চালাবেন।

জুতার ব্যবসা থকে ইনকাম

গার্মেন্টস এর মতো জুতার ব্যবসা করে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়। জুতা ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। তাই আপনি যদি ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে জুতা ব্যবসা আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

কেননা, জুতা মানুষের নিত্য-প্রয়োজনীয় ব্যবহারের জিনিস। পুরো বছর জুড়ে এই ব্যবসার ভালোই চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া ঈদের মৌসুমে, পূজার মৌসুমে, বড়দিন উৎসবে, পহেলা বৈশাখ সহ আরও অন্যান্য উৎসবে জুতার চাহিদা বেড়ে যায়। তখন ভালো দামে জুতা বিক্রির সুযোগ থাকে।

গ্রাম থেকে শহর প্রায় সবখানে আপনি জুতার ব্যবসা দেখতে পারবেন। এই জুতার ব্যবসা করে লাভবান হওয়া সম্ভব। আপনি আপনার দোকানে ছোট-বড়, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ এক কথায় সব বয়সের মানুষের জুতা সেল করবেন। এতে আপনার দোকানের কোন কাষ্টমার ফিরে যাবে না। আপনি এই ব্যবসা করে লাভবান হবেন।

ডেলিভারী ম্যান এর কাজ করে ইনকাম

বর্তমানে অনলাইনে কেনা-কাটার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অনলাইনকে কেন্দ্র করে দেশের ভিতর বহু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অনলাইনে খাবার থেকে শুরু করে সব জিনিস পাওয়া যায়। অনলাইনে অর্ডারকৃত পন্য মানুষের বাড়িতে পৌছে দেয়ার জন্য ডেলিভারী ম্যান এর প্রয়োজন হয়। এই কাজে আপনার আর্থিক ইনভেস্ট নাই। কিন্তু আপনাকে প্রচুর খাটতে হবে। সেই মন-মানসিকতা নিয়ে আপনাকে এই কাজ করতে হবে। ডেলিভারী ম্যান এর কাজ করে আপনি মাসে ২০ হাজার টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বিদেশের মাটিতে বহু বাংলাদেশি এই কাজ করে ভালো অর্থ উপার্জন করছে।

কসমেটিক, প্রসাধনী দ্রব্যের দোকান

কসমেটিক, প্রসাধনী দ্রব্যের প্রতি নারীদের আর্কষণ বেশি। তাছাড়া পুরুষদেরও সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক পাওয়া যায়। এই জিনিস গুলো মানুষকে আকর্ষণ করে। আপনার যদি মাঝারি সাইজের পুঁজি থাকে তাহলে এই ধরণের দোকান আপনি নিজে দিতে পারেন। এই ধরণের দোকান ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

স্টেশনারি বা মনিহারী দোকান থেকে ইনকাম

স্কুল, কলেজ, বিশ্ব-বিদ্যালয়ের পাশে এই ধরণের স্টেশনারি বা মনিহারী দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এই ধরণের দোকানে খাতা, রুল, কলম, রাবার থেকে শুরু করে যেকোন ধরণের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এই ধরণের ব্যবসা গুলোর চাহিদা রয়েছে। এ ধরণের ব্যবসা থেকে ভালো ইনকাম করা সম্ভব। তাই আপনি যদি ব্যবসায়ী হতে চান তাহলে স্টেশনারি বা মনিহারী ব্যবসা আপনার জন্য সেরা হতে পারে। এই ধরণের ব্যবসা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করা যায়।

ফার্মেসী দোকান থেকে ইনকাম

আপনারা যারা ব্যবসার কথা ভাবছেন ফার্মেসী ব্যবসা আপনার জন্য সেরা হতে পারে। আপনার এলাকায় যদি একটি ফার্মেসী দোকান থাকে দেখবেন ঐ এলাকার সব মানুষ আপনার কাছে ওষধ কিনতে আসছে। আর ওষুধ মানুষ চলতে পারে না। তাহলে বুঝায় যায় এই ব্যবসা চাহিদা সম্পন্ন। কাষ্টমার সন্তুষ্ঠি অর্জন করতে পারলেই এই ব্যবসা থেকে আপনি মাসে অনায়াসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বইয়ের দোকান থেকে ইনকাম

বই পুস্তকের ব্যবসা একটি জম-জমাট ব্যবসা। এই ব্যবসা সারা বছরই চলে। আপনার নিকটবর্তী স্কুল, কলেজ, ভার্সিটির পাশে আপনি বইয়ের দোকান দেখতে পারবেন। আপনি আপনার লাইব্রেরীতে ক্লাস ১ থেকে শুরু করে মাস্টার্স পর্যন্ত সব ক্লাসের বই পুস্তক রাখবেন। এতে আপনার দোকানে ক্রেতা সংখ্যা বাড়বে। ক্রেতা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারলেই ভালো বই সেল করতে পারবেন। বইয়ের দোকান থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা কোন ব্যাপার না।

বিউটি পার্লার ব্যবসা থেকে ইনকাম

নারীরা সৌন্দর্যের ব্যাপারে সচেতন। তারা তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য বিউটি পার্লারে যায়। তাছাড়া বিয়ে-শাদী, জন্মদিনের পার্টি, বাঙালী উৎসব এই সময়ে বিউটি পার্লারে প্রচুর ভিড় থাকে। নারীরা চাইলে নিজেরা এই ব্যবসা শুরু করতে পারে। এই ব্যবসা করে নারীরা মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারে। আপনি যত ভালো কাজ জানবেন, ক্রেতার সন্তুষ্টি যত বাড়বে, প্রচার-প্রচারণা যত বাড়বে ততই এই ব্যবসা থেকে ভালো ইনকাম হওয়া শুরু করবে।

সেলুন ব্যবসা থেকে ইনকাম

সেলুন এর ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা। আপনি নিজে যদি কাজ জানেন তাহলে নিজে আরম্ব করতে পারবেন। আর যদি কাজ না জানেন তাহলে সেলুনের দোকানে লোক নিয়োগ দিতে হবে। যারা চুল কাটতে এক্সপার্ট। আপনার যদি এই ব্যবসা ভালো লাগে তাহলে আপনার পছন্দের তালিকায় এই ব্যবসা রাখতে পারেন।

টেইলার্স এর ব্যবসা থেকে ইনকাম

আমরা অনেকে জামা-কাপড় বানানো, জামা-কাপড় কাটিং করতে টেইলার্সে যায়। এই টেইলার্স ব্যবসা থেকে ভালো ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অনেক নারীরা এই কাজ শিখে নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। আপনার নিকটবর্তী এলাকায় বহু টেইলার্স এর দোকান দেখতে পারবেন। আপনি যদি কাজ না জানেন তাহলে কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে বা আপনার এলকার নিকটবর্তী টেইলার্সের দোকান থেকে এই কাজ শিখতে পারেন। এই কাজে শিখে নিজে দোকান দিতে পারলে মাসে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।

কমার্শিয়াল স্পেস ভাড়া দিয়ে ইনকাম

আপনার যদি রোডের ধারে কোন বিল্ডিং থাকে তাহলে ঐ বিল্ডিংয়ে আপনি প্রাইভেট, অফিস, ব্যাংক, শো-রুম ভাড়া দিয়ে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া আপনার যদি বাড়ি থাকে তাহলে ঐ বাড়ি ভাড়া দিয়ে বা মেস ভাড়া দিয়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ থাকছে।

রাস্তার ধারে খাবারের দোকান দিয়ে ইনকাম

আপনি যদি শহরের দিকে যান দেখবেন রাস্তার ধারে অনেক খাবারের দোকান। যে খাবার গুলো দেখলে মুখে জল চলে আসে। অল্প পুঁজিতে এটি হলো লাভজনক ব্যবসা। দেখবেন বিকালের সময় এই খাবারের দোকান গুলো প্রচুর ভিড় থাকে। স্ট্রিট ফুডের মধ্যে চিকেন ফ্রাই,পাস্তা, নুডুলস, চিকেন মাটন বার্গার, সিঙ্গারা, পুরি, সমুচা, পিয়াজু এই খাবার ‍গুলো রাস্তার ধারে বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই ব্যবসা করে আপনি মাসে অনায়াসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সার্ভিসিং ব্যবসা করে ইনকাম

আপনি যদি মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, ঘড়ি সার্ভিসিং করা জানেন তাহলে এই সার্ভিসিং এর ব্যবসা আপনার জন্য। আপনি এই সার্ভিসিং এর কাজ গুলো মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম  করতে পারবেন। তবে এই ইনকামের পুরো বিষয়টি নির্ভর করবে আপনার উপর। আপনি যদি ভালো সার্ভিসিং জানেন এবং কাষ্টমার যদি আপনার উপর খুশি থাকে তাহলে এই সার্ভিসিং সেন্টারে আপনার কাষ্টমার সংখ্যা বাড়বে। আপনার দোকানে যত কাষ্টমার বাড়বে তত ভালো ইনকাম হবে। এই ধরণের ব্যবসা গুলো খুবই লাভজনক। আপনি চাইলে  এই ধরণের ব্যবসা থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকার উপর অনায়াসে ইনকাম করতে পারেন।

চা, স্ট্রিট ফুডের দোকান দিয়ে ইনকাম

ফুটপাতে চা, মুড়ি ভাজা, পেয়ারা-আমড়া মাখা এই ব্যবসা গুলো প্রায় দেখা যায়। এই দোকান গুলোতে ভোজন রসিক মানুষেরা প্রায় ভিড় জমায়। এই ব্যবসা গুলো ছোট হলেও ভালোই লাভজনক। মোটা-মুটি  এই ব্যবসা গুলো ভালোই চলে। অল্প-পুজি দিয়ে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। আপনার দোকানের খাবার খেতে সুস্বাদু হলে দোকানে কাষ্টমার ভিড় জমাবে। এই দোকান গুলোতে আপনার শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।  এই ব্যবসা থেকে আপনি মাসে অনায়াসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমরা এই পোস্টে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে ইনকাম সংক্রান্ত  তথ্যবহুল পোস্ট পাবলিশ করে থাকি।

ভবিষ্যৎতে আপনাদের জন্য আমরা এই ধরণের পোস্ট আরও পাবলিশ করব। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url