বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া ২০২৫ ( নতুন তথ্য )
এই পোস্টে বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া ২০২৫ নিয়ে আলোচনা করা হবে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সৌন্দর্যে ভরপুর একটি রাষ্ট্র কম্বোডিয়া। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ কম্বোডিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশটি সফর করে। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে চান তাহলে বিমান ভাড়া কত আপনাকে জানতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই পোস্টে বাংলাদেশ টু বিমান ভাড়া ২০২৫ নিয়ে আলোচনা করছি।
থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশটির নাম কম্বোডিয়া। এই রহস্যে ঘেরা দেশটির প্রতি মানুষের আলাদা আকর্ষণ রয়েছে। অনেক বাংলাদেশী কম্বোডিয়ার বিমান ভাড়া কত তা জানে না। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া ২০২৫ জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ- বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া
- বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া কোন কোন বিমান যাতায়াত করে
- বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়ার বিমান ভাড়া | বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া কত
- বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত | বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া দূরত্ব
- বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে
- কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
- কম্বোডিয়া কাজের বেতন
- কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে | কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
- কম্বোডিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
- কম্বোডিয়া যেতে কত বয়স লাগে
- কম্বোডিয়া ভিসা চেক | কম্বোডিয়া ই ভিসা
- কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং
- কম্বোডিয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্রের উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া কোন কোন বিমান যাতায়াত করে
আপনি যদি কম্বোডিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে কোন কোন বিমান কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাতায়াত করে। কেননা, বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাতায়াত করে থাকে। এয়ারলাইন্স কোম্পানি গুলোর উপর ভিত্তি করে বিমানের টিকিটের মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে যে সকল কম্বোডিয়া যাতায়াত করে তার তালিকা আপনার জানা থাকলে ভোগান্তি কমে যাবে, সময় বাঁচবে। বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার যে সকল বিমান যাতায়াত করে তার তালিকাঃ-
আরো পড়ুনঃ- বাংলাদেশ থেকে কানাডার বিমান ভাড়া কত ২০২৫ ( নতুন তথ্য )
- এয়ার এশিয়া
- থাই এয়ারওয়েজ
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
- ইউ এস বাংলা এয়ারলাইন্স
- ব্যাংকক এয়ারওয়েজ
- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স
- মালিন্দ এয়ারলাইন্স
বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়ার বিমান ভাড়া |বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া কত
একেক বিমান কোম্পানির ভাড়া একেক রকম। সব এয়ার লাইন্সের টিকেটের মূল্য একই রকম হয় না। বিমান ভাড়া নির্ভর করে বিমান কোম্পানির উপর। এয়ারলাইন্স কোম্পানি গুলোর ভাড়া আপনার জানা থাকলে সুলভ মূল্যে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। ভাড়া জানা না থাকলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কোন কোন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাতায়াত করে তার তালিকা আপনার জানা থাকলে বিমানের ভাড়া তুলনা করতে পারবেন। বিমান কর্তৃপক্ষ চাইলে এয়ারলাইন্সের ভাড়া পরিবর্তন করতে পারে। বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়ার বিমান ভাড়াঃ-
আরো পড়ুনঃ- বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান বিমান ভাড়া কত টাকা ২০২৫ ( নতুন তথ্য )
- এয়ার এশিয়া বিমান ভাড়াঃ- ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- থাই এয়ারওয়েজ বিমান ভাড়াঃ- ৫০ হাজার থেকে ৫৭ হাজার টাকা।
- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়াঃ- ৪৪ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টাকা।
- ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়াঃ- ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
- ব্যাংকক এয়ারওয়েজ বিমান ভাড়াঃ- ৪৮ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকা।
- সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়াঃ- ৫০ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকা।
- মালিন্দ এয়ারলাইন্স বিমান ভাড়াঃ- ৪০ হাজার থেকে ৪৮ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত |বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া দূরত্ব
আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা অনেকে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব কত ? তা জানে না। এ ধরণের প্রশ্ন আমাদের মনে প্রায় ঘুরপাক খায়। বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ার দূরত্ব প্রায় ২,৯৭৬ কিঃমি।
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া সরাসরি বিমান নেই। এজন্য কোন একটি দেশে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে হয়। এজন্য সময় একটু বেশি লেগে যায়। অনেকে অনলাইনে সার্চ করে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত সময় লাগে ? তা জানতে চায়। বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে আনুমানিক ১২-১৩ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত
পর্যটকদের জন্য কম্বোডিয়া আকর্ষণীয় গন্তব্য। কম্বোডিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। প্রতি বছর দেশের নানান প্রান্ত পর্যটকরা কম্বোডিয়া ভিড় জমায়। তাই আপনারা যারা বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যাওয়ার কথা ভাবছেন তারা প্রায় গুগলে কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম কত জানতে চেয়ে সার্চ করে থাকেন। কম্বোডিয়া টুরিস্ট ভিসার দাম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
কম্বোডিয়া কাজের বেতন
আপনারা যারা কাজের জন্য কম্বোডিয়া যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা প্রায় গুগলে সার্চ করে কম্বোডিয়া কাজের বেতন কত জানার আগ্রহ প্রকাশ করে। এ ধরণের তথ্য জেনে রাখাটা দরকার। কাজের উপর ভিত্তি করে বেতন কাঠামো ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ- ঢাকা টু মালয়েশিয়া বিমান ভাড়া কত ২০২৫ ( নতুন তথ্য )
- কৃষি কাজের বেতনঃ- ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা।
- প্লাম্বিং কাজের বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
- গার্মেন্টস কাজের বেতনঃ ৪৫ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
- হোটেল কাজের বেতনঃ ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
- কনস্ট্রাকশন কাজের বেতনঃ- ৫০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকা।
- ফুড প্যাকেজিং কাজের বেতনঃ- ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা।
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে | কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে সেটা নির্ভর করবে ভিসার উপর। একেক ভিসার মূল্য একেক রকম। কম্বোডিয়া বিভিন্ন ধরণের ভিসা পাওয়া যায়। এই ভিসার উপর ভিত্তি করে খরচ নির্ধারিত হয়ে থাকে।
- টুরিস্ট, স্টুডেন্ট ভিসা কম্বোডিয়া যেতে খরচ হবেঃ- ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কম্বোডিয়া যেতে খরচ হবেঃ ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বা তার থেকে কিছুটা বেশি।
কম্বোডিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
আপনারা প্রায় কম্বোডিয়া কাজের ভিসা সম্পর্কে জানতে চান। কাজের উপর নির্ভর করে কম্বোডিয়া কাজের ভিসার দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
- কৃষি ভিসার দামঃ- ৪-৬ লক্ষ টাকা
- প্লাম্বিং ভিসার দামঃ- ৫-৬ লক্ষ টাকা
- গার্মেন্টস ভিসার দামঃ- ৫-৭ লক্ষ টাকা
- হোটেল ভিসার দামঃ- ৪-৬ লক্ষ টাকা।
- বিজনেস ভিসার দামঃ- ৭-৮ লক্ষ টাকা।
- কনস্ট্রাকশন ভিসার দামঃ- ৪-৬ লক্ষ টাকা
- ফুড প্যাকেজিং ভিসার দামঃ- ৪-৬ লক্ষ টাকা
কম্বোডিয়া যেতে কত বয়স লাগে
কাজের জন্য হলে আপনার বয়স ২১ বছর থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। পড়াশোনার জন্য হলে আপনার বয়স ১৮ বছর হতে হবে। টুরিস্ট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়া গেলে বয়স প্রয়োজন্য নয়।
কম্বোডিয়া ভিসা চেক | কম্বোডিয়া ই ভিসা
কম্বোডিয়া ভিসা চেক করা খুবই সহজ। আপনি ১ মিনেটের মধ্যে আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে এই ভিসা চেক করতে পারেন।
১) প্রথমে গুগলে https://www.evisa.gov.kh/ লিখে সার্চ করুন।
২) Check & Change এই অপশনে ক্লিক করুন।
৩) ভিসা আবেদনের সময় যে রেফারেন্স কোড আসবে ঐ Reference No বসাবেন এবং যে ইমেইল দিয়ে ভিসার আবেদন করেছেন ঐ ই-মেইল ঠিকানা Email Primary ফাঁকা ঘরে বসাবেন। এরপর সাবমিট করবেন।
কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং
আপনি কম্বোডিয়া ভিসার জন্য ২ ভাবে আবেদন করতে পারেন। যথাঃ- ১) এম্বাসিতে গিয়ে ২) অনলাইনে গিয়ে।
কম্বোডিয়া যেতে যা যা লাগে
১) ভিসা কাগজ পত্র
২) বৈধ পাসপোর্ট
৩) জাতীয় পরিচয় পত্র
৪) সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৫) ইমেইল ঠিকানা
৬) ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৭) এয়ার টিকেট
৮) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
৯) মেডিকেল সনদ
১০) কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
এগুলোর বাহিরে আরও কোন তথ্য প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।
ভিসা প্রসেসিং এর নিয়ম
১) এই লিংকে প্রবেশ করুন। ভিসার জন্য আবেদন করুন।
২) ভিসা আবেদন ফিস পরিশোধ করুন।
৩) ৩ দিনের মধ্যে ভিসা কর্তৃপক্ষ যাবতীয় তথ্য যাচাই-বাছাই করে আপনাকে ই-মেইলে জানিয়ে দিবে। ভিসা এপ্রোভ হয়েছে নাকি হয় নি।
৪) এপ্রোভ হলে ইমেইলের মাধ্যমে ই-ভিসা সার্টিফিকেট দিবে। সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিতে হবে।
৫) ইমিগ্রেশনে ই-ভিসা সার্টিফিকেট এর কপি দেখাতে হবে।
কম্বোডিয়া সম্পর্কিত কিছু প্রশ্রের উত্তর
১) কম্বোডিয়া জনসংখ্যা কত
উত্তরঃ- ১৬.৯৪ মিলিয়িন।
২) কম্বোডিয়া কোন ধর্মের মানুষ সব থেকে বেশি
উত্তরঃ- বৌদ্ধ
৩) কম্বোডিয়ার রাজা নাম কি ?
উত্তরঃ- নরোদম শিয়ামনি ( উইকিপিডিয়া )
৪) কম্বোডিয়া মুদ্রার নাম কি ?
উত্তরঃ- কম্বোডিয়ান রিয়াল
৫) কম্বোডিয়ার আয়তন কত ?
উত্তরঃ- ১,৮১,০৩৫ বর্গ কিঃমি।
৬) কম্বোডিয়া হিন্দু জনসংখ্যা কত
উত্তরঃ- এখানে হিন্দু ধর্মের মানুষ কম। সংখ্যায় ১ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষ এই ধর্ম অনুসরণ করে। ( উইকিপিডিয়া মতে )।
৭) কম্বোডিয়া রাজধানীর নাম কি
উত্তরঃ- নম পেন
৮) কম্বোডিয়া ভাষা কি
উত্তরঃ- খমের ( উইকিপিডিয়া )
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা বাংলাদেশ টু কম্বোডিয়া বিমান ভাড়া সহ আরও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন।
এইরকম তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরণের তথ্যবহুল পোস্ট পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url