রোমানিয়া বেতন কেমন - রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানুন

রোমানিয়া বেতন কেমন - রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা  নিয়ে এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।রোমানিয়া দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। দেশটির অর্থনৈতিক দিন দিন উন্নত হচ্ছে এবং নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। রোমানিয়া দেশটি সেনজেনভুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এখানকার বিচার চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে। এই পোস্টে আমরা রোমানিয়া বেতন কেমন - রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে সম্পর্কে জানব। সুতরাং এর জন্য রোমানিয়া যেতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

রোমানিয়া বেতন কেমন - রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে জানুন

শিল্প, কৃষি, পর্যটন খাত দেশটি অর্থনীতির মূল চালিকা-শক্তি। পৃথিবীর বহু দেশ থেকে বহু মানুষ কাজের খোঁজে রোমানিয়া যায়। এই দেশে ঘন্টা প্রতি বেতন কাঠামো হিসাব করা হয়। রোমানিয়ায় যে সকল কাজের চাহিদা বেশি সেই সকল কাজ শিখে রোমানিয়া গেলে ভালো ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে রোমানিয়া বেতন কেমন - রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে তা জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- রোমানিয়া বেতন কেমন

রোমানিয়া ভিসার ধরন

আপনারা অনেকে রোমানিয়া ভিসার ধরণ সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরির রোমানিয়া ভিসা রয়েছে। আপনি যে ভিসায় রোমানিয়া যেতে ইচ্ছুক সে ভিসার আবেদন করতে হবে। রোমানিয়া ভিসার ধরণ নিম্নরুপঃ-

ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ- যারা কাজের জন্য রোমানিয়া যেতে চান তাদের এই ভিসার প্রয়োজন হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় রোমানিয়া যেতে জব অফার লেটার এর পাশাপাশি আনুষঙ্গিক বৈধ কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হবে।

টুরিস্ট ভিসাঃ- যারা রোমানিয়ায় পর্যটক হিসেবে যেতে চান তাদের টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। টুরিস্ট ভিসায় গেলে আপনি রোমানিয়ায় ৯০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারবেন। এই ভিসায় রোমানিয়া যেতে হলে অতীতে কোন দেশে সফর করেছেন তার ডকুমেন্টস, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, পরিকল্পনা এবং হোটেল বুকিংস এর ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ- হাঙ্গেরি বেতন কত - হাঙ্গেরি ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

স্ট্যাডি ভিসাঃ- যারা উচ্চ শিক্ষার জন্য রোমানিয়া যেতে চান তাদের স্ট্যাডি ভিসা লাগবে। কোর্স কমপ্লিট করতে যতদিন লাগবে ততদিন আপনি স্ট্যাডি ভিসায় রোমানিয়া থাকতে পারবেন। স্ট্যাডি ভিসায় রোমানিয়া যেতে এডমিশন লেটার, ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফি পরিশোধের প্রমাণ-পত্র থাকতে হবে।

বিজনেস ভিসাঃ- কোন ব্যবসায়িক মিটিং, কনফারেন্স বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে অর্জনে রোমানিয়া যেতে হলে বিজনেস ভিসার প্রয়োজন হবে। এই ভিসার অধীনে গেলে ৯০ দিনের মধ্যে কাজ কমপ্লিট করে দেশে ফেরত আসতে হবে। বিজনেস ভিসায় রোমানিয়া যেতে বিজনেস আমন্ত্রণপত্র, কোম্পানি থেকে এনওসি, ট্রেড লাইসেন্স সহ অন্যান্য ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে।

ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসাঃ- ধরুণ, আপনার ভাই রোমানিয়া থাকে আপনিও চাচ্ছেন রোমানিয়া তার সাথে আরও কিছুদিন থাকার জন্য তাদের ক্ষেত্রে ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা প্রয়োজন হবে।

রোমানিয়া ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া | রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম | রোমানিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম | রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ স্ট্যাডি ভিসায়, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়, টুরিস্ট ভিসায় রোমানিয়া যায়। একেক ভিসার ক্ষেত্রে একেক ধরণের ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয়। রোমানিয়া যেতে হলে বিশ্বস্ত এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে। নতুবা দালালের মাধ্যমে গেলে প্রতারিত হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

ভিসা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুনঃ- আপনি কোন ভিসা নিয়ে রোমানিয়া যেতে চাচ্ছেন তা আগে নির্ধারণ করুন। যেমনঃ- স্ট্যাডি ভিসা নাকি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নাকি টুরিস্ট ভিসা তা আগে সিলেক্ট করুন।

অনলাইনে আবেদন করুনঃ- এই লিংকে প্রবেশ করে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করুন। রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম ৩ ধরণের হয়ে থাকে, যথাঃ- ১) ডিপ্লোমেটিক আবেদন ফরম  ২) শর্ট স্টে ভিসা আবেদন ফরম  ৩) লং স্টে ভিসা আবেদন ফরম। এর পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাবমিট করে ফরমটি ডাউনলোড করুন। আবেদনটি সাবমিট করার পর আপনার ফোন নাম্বার বা ইমেইলে একটি ট্র‌্যাকিং কোড আসবে এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। নিজে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে না পারলে দক্ষ, অভিজ্ঞ, বিশ্বস্ত এজেন্সির সাহায্যে নিন।

আরো পড়ুনঃ- পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত জেনে নিন

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসঃ- অনলাইন থেকে ডাউনলোডকৃত আবেদন ফরম, বৈধ পাসপোর্ট ( ৬ মাস মেয়াদী ), জাতীয় পরিচয় পত্র, সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মেডিকেল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন। 

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যঃ- জব অফার লেটার, বয়স ১৮+ হতে হবে। আপনি জব অফার লেটার তখনই পাবেন যখন রোমানিয়া কোম্পানিতে জবের আবেদন করবেন। যদি আপনার আবেদন প্রক্রিয়া সফল হয় তখন কোম্পানি আপনার অনলাইনে ইন্টারভিউ নিবে। কোম্পানি আপনাকে উপযুক্ত মনে করলে আপনাকে ওয়ার্ক পারমিট দিবে।
  • স্ট্যাডি ভিসার জন্যঃ- এডমিশন লেটার লাগবে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করবেন ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোর্স ফি পরিশোধের প্রমাণ পত্র থাকা লাগবে।
  • টুরিস্ট ভিসার জন্যঃ- অতীতে কোন দেশে সফর করেছেন তার প্রমাণ পত্র, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পনা, হোটেল বুকিংস এর ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।

এর বাইরেও যদি অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

সাক্ষাৎকারঃ- আপনার কাগজপত্র সবকিছু যাচাই-বাছাই করার পর রোমানিয়া দূতাবাসে আপনাকে ডেকে নিবে সাক্ষাৎকারের জন্য। এই সাক্ষাৎকার অনলাইন, অফলাইন দুইভাবে হতে পারে। সেখানে আপনার সম্পর্কে ব্যাক্তিগত তথ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে নিয়ে আলোচনা করবে।

ভিসা ফিঃ- রোমানিয়া ভিসা ফি আবেদনকারীর ভিসার মেয়াদ, ভিসার ধরণের উপর নির্ভর করে। সাধারণত টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য ৬০ থেকে ১০০ ইউরো লাগতে পারে। লং স্টে ভিসা ফি ১২০ ইউরো পর্যন্ত।

ভিসা প্রসেসিং টাইমঃ- কাগজপত্র সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকলে ভিসা প্রসেসিং হতে সর্বনিম্ন ৩ মাস, সর্বোচ্চ ৬ মাস সময় লাগতে পারে।

রোমানিয়া বেতন কেমন | রোমানিয়া বেতন কেমন ২০২৪

রোমানিয়া বেতন কত ? রোমানিয়া বেতন কাঠামো কেমন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করে কাজের ধরণ, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কোম্পানির উপর। ইউরোপের এই দেশগুলোতে নির্মাণ-শ্রমিকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি কোন একটি বিশেষ কাজে দক্ষ হতে পারেন তাহলে অবশ্যই ভালো বেতনে ইনকাম করতে পারেন যা দিয়ে আপনি বাংলাদেশে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতে পারবেন।  

সাধারণ শ্রমিকদের বেতনঃ- ৬৫ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত

ক্লিনারের বেতনঃ- ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত

মেকানিক্যাল কাজের বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত

ইলেকট্রিশিয়ানের বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত

ড্রাইভারের বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

নির্মাণ শ্রমিকের বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত

হোটেল ও রেষ্টুরেন্ট জবের বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত

টাইলস শ্রমিকের বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত

ডিজাইনারের বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বেতনঃ- ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী বেতনঃ- ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

শিক্ষকের বেতনঃ- ১ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত | রোমানিয়া ন্যূনতম বেতন

আপনারা রোমানিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত তা জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রোমানিয়া বেতন বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। ইউরোপের দেশ গুলোতে ঘন্টা প্রতি বেতন কাঠামো হিসাব করা হয়। এখানে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। তার বেশি হলে ওভারটাইম হিসেবে বিবেচিত হয়। এখানে যে কোন কাজের সর্বনিম্ন বেতন ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশ থেকে যারা শ্রমিক হিসেবে রোমানিয়া যেতে চাচ্ছেন তারা অনেকে জানতে চেয়েছেন রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি। রোমানিয়া সব ধরণের কাজের চাহিদা রয়েছে। তবে নিদিৃষ্ট কোন কাজের উপর বিশেষ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো বেতনে ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। বাইরের দেশে যাওয়ার আগে আপনাকে নিদিৃষ্ট কোন কাজের উপর বিশেষ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাইরের দেশে দক্ষকর্মীদের বেতন তুলনামূলক বেশি। এখন আমরা জানব রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশিঃ-

  • নির্মাণ শ্রমিক ( মেকানিক্স, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডার, কনস্ট্রাকশন, টাইলস মিস্ত্রি )
  • পরিবহন শ্রমিক ( টেক্সি ড্রাইভার, বাস ড্রাইভার, ট্রাক ড্রাইভার )
  • অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
  • মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
  • ডাক্তার
  • নার্স
  • ফার্মাসিস্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপার
  • ওয়েব ডেভেলপার
  • শিক্ষক
  • হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট জব
  • বিক্রয় প্রতিনিধি
  • ক্লিনার

রোমানিয়া ফুড ডেলিভারি বেতন কত

প্রতিবছর বহু মানুষ কাজের জন্য রোমানিয়া দেশটিতে পাড়ি জমায়। এই দেশে ফুড ডেলিভারি এই কাজের চাহিদা রয়েছে। এখানে অধিকাংশ মানুষ অনলাইনে কেনা-কাটা করে থাকে। যারা ফলে ডেলিভারি বয়দের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রোমানিয়া রোমানিয়া ফুড ডেলিভারি বেতন মাসে ৬০ হাজার টাকার উপর।

রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি | রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি ২০২৪

আপনারা যারা অনলাইনে ফরম পূরণ করেন নি তাদের জন্য সব থেকে ভালো এজেন্সির সহায়তা নেয়া। এতে করে ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে সঠিক গাইডলাইন পাওয়া যায়। এজেন্সির মাধ্যমে সহজে আপনি ভিসা আবেদন ফর্ম পূরণ করা, ডকুমেন্ট যাচাই করা, অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং, ভিসা ফি পরিশোধ, ভিসা স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং করতে পারছেন। এখানে এমন কিছু ভিসা এজেন্সির নাম দেয়া হলো যারা বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সাথে কাজ করেঃ-

BLS International

IVS Global

Visahq.com

Tourist Visa Online

VFS Global.

রোমানিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ঃ- সম্পর্কে জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।

রোমানিয়া জাতীয় ভিসা পোর্টালঃ- সম্পর্কে জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।

আপনার পরিচিত কোন ভিসা এজেন্সির সহায়তা নেওয়ার পূর্বে ঐ এজেন্সি সম্পর্কে জেনে রাখুন। ভিসা সংক্রান্ত যে কোন ধরণের তথ্য জানতে বৈধ লাইসেন্সধারী, বিশ্বস্ত এজেন্সির সহায়তা নিন। এতে করে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।

সরকারি ভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় ২০২৪

সরকারিভাবে রোমানিয়া যেতে খরচ কম লাগে। বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য ইউরোপের দেশ রোমানিয়া প্রতি-বছর মানুষ যায়। সরকারিভাবে গেলে সমস্ত খরচ কোম্পানি বহন করে। কাজের জন্য রোমানিয়া যেতে হলে আপনার ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন হবে। ঐ দেশের কোম্পানি আপনাকে উপযুক্ত মনে করলে আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট দিবে।

আরো পড়ুনঃ- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত জানুন

সরকারির ভাবে রোমানিয়া যেতে বোয়েসেলে নজর রাখুন, এই লিংকে চাপ দিন। বোয়েসেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক বিদেশে পাঠানো হয়ে থাকে। বাইরের দেশে শ্রমিক নিয়োগের সার্কুলার বোয়েসেলে প্রকাশ করা হয়। যখনই রোমানিয়ায় শ্রমিক নিয়োগের জন্য সার্কুলার ছাড়বে তখনই আবেদন করতে হবে। এতে করে সহজে ভিসা পাওয়া যাবে। যারা কাজের জন্য বাইরের দেশে যাবেন তাদের অবশ্যই কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর পর রোমানিয়া যেতে আপনার বৈধ কাগজ-পত্রের প্রয়োজন হবে। বৈধ কাগজ-পত্র সবকিছু সাবমিট করার পর আপনাকে ভিসা দেয়া হবে।

রোমানিয়া যেতে কি কি লাগে

রোমানিয়া যেতে কি কি লাগে এটা নির্ভর করবে ভিসা ক্যাটাগরির উপর। আপনি কোন ভিসায় রোমানিয়া যেতে চাচ্ছেন সেই ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে। রোমানিয়া যেতে কিছু ডকুমেন্টস রয়েছে যেগুলো সব ক্ষেত্রে লাগবে। এগুলো ছাড়া ভিসা জন্য আবেদন করা যাবে না। 

রোমানিয়া যেতে লাগবেঃ- (বাধ্যতামূলক)

  • বৈধ পাসপোর্ট ( ৬ মাস মেয়াদী )
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ভিসা আবেদন ফরম
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট

ওয়ার্ক পারমিটঃ- বয়স ১৮+ হওয়া লাগবে, জব অফার লেটার, কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট এগুলো দরকার হবে।

স্ট্যাডি ভিসার জন্যঃ- IELTS 6.5, এডমিশন লেটার, ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত ফিস এর ডকুমেন্টস লাগবে।

টুরিস্ট ভিসার জন্যঃ- অতীতে কোন দেশে সফর করেছেন তার প্রমাণ পত্র, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ও পরিকল্পনা, হোটেল বুকিংস এর ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে।

রোমানিয়া যেতে কত বয়স লাগে

যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের উদ্দেশ্যে রোমানিয়া যেতে চান তাদের বয়স ১৮+ হওয়া লাগবে। স্ট্যাডি ভিসায় যেতে হলে আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে হবে। তাছাড়া চিকিৎসা, ভিজিট এবং অন্যান্য ভিসায় যেতে বয়স প্রযোজ্য নয়। অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্ম সনদপত্রের অনুবাদ এবং নোটারাইজড অনুমতিপত্র প্রয়োজন হবে।

রোমানিয়া যেতে কত দিন সময় লাগে 

এটা নির্ভর করবে আপনি কোন মাধ্যমে রোমানিয়া যাচ্ছেন সেটার উপর। আপনি রোমানিয়া সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে, দালালের মাধ্যমে যেতে পারেন। তবে দালালের সাহায্যে বিদেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা, আপনি নানান ধরণের জটিলতা, হয়রানির শিকার হতে পারেন। এমনকি আপনার মৃত্যু ঘটে যেতে পারে।

  • বিমানে করে রোমানিয়া যেতে আনুমানিক ১০ ঘন্টা।
  • জাহাজে করে রোমানিয়া যেতে আনুমানিক ১০ ঘন্টা।
  • স্থলযান পরিবহনের মাধ্যমে রোমানিয়া যেতে ৭ দিন সময় লাগতে পারে।

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে | রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে ২০২৪

রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরির উপর এবং ভিসার মেয়াদের উপর। কাজের জন্য গেলে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, পড়াশোনার জন্য গেলে স্ট্যাডি ভিসা, চিকিৎসার জন্য গেলে মেডিকেল ভিসার প্রয়োজন, রোমানিয়ার সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে গেলে টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন। একেকে ক্যাটাগরির ভিসার দাম একেক রকম। এখানে ভিসার দামের সাথে অন্যান্য খরচ যেমনঃ- বিমান ভাড়া, মেডিকেল খরচ, পাসপোর্ট খরচ, ভিসা আবেদন ফি যুক্ত করে মোট খরচ হিসাব করা হয়েছে।

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা মোট খরচঃ- ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা (সরকারীভাবে), ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা ( বেসরকারিভাবে)।
  • স্ট্যাডি ভিসার মোট খরচঃ- ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা
  • টুরিস্ট ভিসার মোট খরচঃ-৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা
  • সিজনাল ভিসার মোট খরচঃ- ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা
  • কোম্পানি ভিসার মোট খরচঃ-  ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা
নোটিশঃ- এখানে উল্লেখির মোট খরচ পরিবর্তনশীল। ভিসার দামও পরিবর্তনশীল। আমরা আপনাকে রোমানিয়া যেতে কত টাকা লাগে তার আংশিক ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

রোমানিয়া থেকে কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

রোমানিয়া পাসপোর্ট বর্তমানে বিশ্বের শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে এর অবস্থান দশম। রোমানিয়া পাসপোর্ট থাকলে আপনি বিশ্বের প্রায় ১৪৩ টি দেশে ভ্রমণ, ব্যবসা-বানিজ্য করতে পারবেন। বর্তমানে রোমানিয়া ইউরোপের সেনজেনভুক্ত দেশ। রোমানিয়া থেকে আপনি ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডা, আমেরিকা, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য যেতে পারবেন।

রোমানিয়া থেকে কোন কোন দেশে যেতে পারবেন না

রোমানিয়া ভিসা ধারীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সফর করতে পারলেও কিছু দেশ রয়েছে যেখানে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে রোমানিয়া ভিসা ধারীরা সরাসরি রোমানিয়া ভিসা নিয়ে যেতে পারে না। রোমানিয়া থেকে যে যে দেশে যেতে পারবেন না সেই দেশ গুলো হলোঃ- উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, চীন, উজবেকিস্তান, ভিয়েতনাম, বেলারুশ, তুর্কমেনিস্তান, সৌদি আরব। আর যে সকল দেশে যেতে রোমানিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে সেই দেশ গুলো হলোঃ- সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, আফগানিস্তান

রোমানিয়া ভিসা কি বন্ধ | রোমানিয়া ভিসা কি চালু আছে

বর্তমানে রোমানিয়া ভিসা চালু রয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের নাগরিকরা রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে পারছেন। বাংলাদেশে রোমানিয়ার কোন দূতাবাস নেই। তাই ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনাকে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের নয়াদিল্লীতে যেতে হবে।

রোমানিয়া এম্বাসি কি বাংলাদেশে আছে ২০২৪ | বাংলাদেশে রোমানিয়া দূতাবাস

উত্তরঃ- বাংলাদেশে রোমানিয়া এম্বাসি নাই। এজন্য আপনাকে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে ভারতে নয়াদিল্লি, ভিয়েতনামের হ্যানয়ের রোমানিয়া দূতাবাস, থাইল্যান্ডের ব্যাংককের রোমানিয়া দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে।

ভারতে রোমানিয়া দূতাবাসের ঠিকানাঃ-

ঠিকানা: 3/6 Shanti Niketan, 110021, New Delhi, India

ফোন: +91 11 24111014, +91 11 24111016, +91 11 24111017

ফ্যাক্স: +91 11 24111020

ইমেইল: newdelhi@mae.ro

ওয়েবসাইট: newdelhi.mae.ro/en

রোমানিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত

রোমানিয়া দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত একটি দেশ রোমানিয়া। দেশটির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাংস্কৃতি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। এখানে বিভিন্ন ভাষা, বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন জাতির মানুষ বসবাস করে। দেশটির পাহাড়ী অঞ্চল, গ্রাম-অঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থান গুলো পর্যটকদের মাতিয়ে তোলে। ২০০৭ সালে রোমানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত হয়।

রোমানিয়া ভিসা চেক বই পাসপোর্ট নম্বর | রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

আপনারা রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। জাল ভিসা রোধে রোমানিয়া সরকার অনলাইনে এই সিস্টেম টি চালু করেছে। এতে করে রোমানিয়া ভিসা প্রত্যাশীদের প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমে এসেছে। আপনার হাতে থাকা স্মার্ট-ফোন দিয়ে সহজে আপনার রোমানিয়া ভিসার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। অনেকে রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদন করেছেন কিন্তু ভিসা প্রস্তুত হয়েছে কিনা জানেন না তাদের জন্য এই পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্ট্যাডি ভিসা সহ রোমানিয়ার যে কোন ধরনের ভিসা সম্পর্কে সহজে নিতে পারবেন। নিয়ম গুলো হলোঃ-

প্রথমে গুগলে https://eviza.mae.ro/CheckVisaSticker লিখে সার্চ করুন বা সরাসরি রোমানিয়া ভিসা চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই লিংকে চাপ দিয়ে  প্রবেশ করুন।

এর পর আপনার ভিসার Sticker number এবং Passport number বসিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করুন।

এরপর Check your visa sticker এখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনি আপনার ভিসার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে রোমানিয়া বেতন কাঠামো এবং রোমানিয়া ভিসা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা রোমানিয়া যেতে চাচ্ছেন আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে বিভিন্ন দেশের ভিসা সম্পর্কিত তথ্য, বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করে থাকি।

এ ধরণের তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরণের তথ্য পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url