পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত জেনে নিন

ইউরোপ মহাদেশের অধীনে একটি দেশ পোল্যান্ড। অনেক বাংলাদেশি ইউরোপে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের অন্যতম পছন্দের একটি দেশ হলো পোল্যান্ড। দেশটি প্রতিবছর কর্মসংস্থানের জন্য বহু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ গুলো থেকে বহু মানুষ পোল্যান্ডে যায় জীবিকার জন্য। এই পোস্ট থেকে আমরা পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত তা জানব। সুতারাং আপনি যদি পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত তা না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত জেনে নিন

অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ পোল্যান্ড। দেশটি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের ভিসা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড যায়। আপনি যেই দেশে কাজের জন্য যেতে চান সেই দেশের বেতন কাঠামো সম্পর্কে জানা দরকার। চলুন তাহলে আর দেরি না করে পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত তা জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- পোল্যান্ড কাজের বেতন কত

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত | পোল্যান্ড কাজের বেতন কত ২০২৩ | পোল্যান্ড বেতন কত

পোল্যান্ড কাজের বেতন কত তা নির্ভর করবে আপনি কি কাজ করছেন ? আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা কেমন ? আপনি যে প্রতিষ্ঠানে জব করছেন সেই প্রতিষ্ঠান সরকারী না বেসরকারী এই সকল বিষয়ের উপর নির্ভর করবে। কোন কাজে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকলে আপনার বেতন ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

বিভিন্ন খাতে বেতন কেমন সংক্ষেপে তুলে ধরা হলোঃ-

হাই-প্রফেশনাল সেক্টরে বেতনঃ-

  • তথ্যপ্রযুক্তি: 10,000 – 20,000 Złoty 
  • অর্থায়ন ও ব্যাংকিং: 7,000 – 12,000 Złoty 
  •  স্বাস্থ্যসেবা: 10,000 – 20,000 Złoty 
  • ইঞ্জিনিয়ারিং: 8,000 – 15,000 Złoty

লেবার বা নির্মাণ শ্রমিকের বেতনঃ-

  • ওয়েল্ডার: 7,000 PLN 
  • মেকানিক: 6,500 PLN
  • কারখানার শ্রমিক: 4,500 PLN 
  • যন্ত্রপাতি মেরামতকারী: 8,000 PLN 
  • নির্মাণ শ্রমিক: 5,000 PLN 
  • ইলেকট্রিশিয়ানের সহকারী: 6,000 PLN 
  • ইলেকট্রিশিয়ান: 9,000 PLN 
  • পরিষ্কারক: 4,000 PLN
  • প্লাম্বার: 8,500 PLN 

পোল্যান্ডে কোন কাজের চাহিদা বেশি

পোল্যান্ডে দক্ষ, অভিজ্ঞ শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি কোন একটি কাজে দক্ষ, অভিজ্ঞ হয়ে উঠতে পারেন তাহলে আশা করা যায় অল্প দিনের মধ্যেই আপনি আপনার ভিসা খরচ, বিমান ভাড়া, অ্যান্য বিবিধ খরচ পুষিয়ে নিতে পারবেন। এজন্য যে কোন একটি কাজে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে যে সকল কাজের ভিসায় পোল্যান্ডে লোক নিয়োগ দেয় পোল্যান্ডে সেসকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

পোল্যান্ডে যে সকল কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তা নিম্নরুপঃ-

  • ডাটা এনালাইসিস
  • গ্রাফিক্স ডিজাইনার 
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  • মেশিন লার্নিং ইঞ্জিনিয়ার
  • সাইবার সিকিউরিটি
  • ইঞ্জিনিয়ারিংঃ- অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
  • ডেলিভারী বয়
  • ক্লিনার
  • সেলসম্যান
  • প্লাম্বার
  • কন্সট্রাকশন
  • কৃষি কাজ
  • ওয়েল্ডার
  • ইলেকট্রিশিয়ান/ ইলেকট্রনিক্স জব
  • ফ্যাক্টরি ওয়ার্কার
  • ড্রাইভিং
  • হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্ট জব

পোল্যান্ড কোন কাজের বেতন বেশি

যদি আপনি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদস্থ কর্মচারী হন তাহলে আপনার বেতন ৩ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।  উপরের পর্বে বর্ণিত পোল্যান্ড যে সকল কাজের চাহিদা রয়েছে সেই সকল কাজ যদি আপনি করেন তাহলে আপনার বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। দক্ষ, অভিজ্ঞ শ্রমিক হলে লক্ষ টাকার উপর ইনকাম করতে পারবেন। কনস্ট্রাকশন, মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিশিয়ানদের বেতন অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় একটু বেশি। যারা আইটি সেক্টরে (গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) কাজ করে, শিক্ষক, চিকিৎসক, হাই-প্রোফেশনাল সেক্টরে বেতন সব থেকে বেশি।

পোল্যান্ডে প্রতি ঘন্টার সর্বনিম্ন বেতন কত

ঘন্টা প্রতি বেতন এটা নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, আপনি কোন কোম্পানিতে কোন পদে কাজ করছেন এই সকল বিষয়ের উপর। এখানে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয় এবং ঘন্টা প্রতি বেতন ২৮.১০ PLN দেওয়া হয়।

পোল্যান্ডে কাজ করার সুবিধা ও অসুবিধা

সুবিধাঃ-  পোল্যান্ডে কাজ করার যত গুলো সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ছোট কাজ করলেও উচ্চ মূল্যের বেতন পাওয়া যায় যা দিয়ে একজন বাংলাদেশি আরাম-আয়েশে দিন পার করে দিতে পারে বাংলাদেশে। পোল্যান্ডের উন্নত জীবনব্যবস্থা আপনাকে মুগ্ধ করবে।

আরো পড়ুনঃ- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি - কানাডার সর্বনিম্ন বেতন কত

অসুবিধাঃ- এখানকার জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি। আপনি যদি কাজের জন্য পোল্যান্ডে আসেন তাহলে প্রথমে আপনাকে ভাষাগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। এখানে ইংরেজি ভাষা কম চলে, এখানকার মাতৃভাষা পোলিশ। তাই আপনাকে ভাষায় পারদর্শী হতে হবে।  এখানে সারা বছর শীত থাকে, আপনি যদি একজন বাংলাদেশী হন তাহলে এই শীতে নিজেকে মানিয়ে নেয়া আপনার জন্য প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে।

পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা | পোল্যান্ড টাকার রেট | পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা ২০২৪ | পোল্যান্ড 1 ইউরো বাংলাদেশ টাকা

ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ পোল্যান্ড। অন্যান্য দেশের মত পোল্যান্ড মুদ্রার মান উঠা-নামা করে। পোল্যান্ডের মুদ্রার নাম হলো পোলীয় জলেটি। তাছাড়া যারা পোল্যান্ড যেতে চান বা প্রবাসী বাঙালী যারা পোল্যান্ডে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন তাদের পোল্যান্ডের বর্তমানে টাকার মান কত তা জানা দরকার। কেননা, প্রবাসী শ্রমিকরা তাদের ইনকামের একটি অংশ বাংলাদেশে পাঠায়। পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সেই অনুপাত হিসেব করে। পোল্যান্ডের বর্তমানে টাকা রেট জানতে গুগলে সার্চ করুন 1 polish zloty to bdt.

০৫/১১/২০২৪ ইং তারিখে, পোল্যান্ড ১ টাকা বাংলাদেশের ২৯.৮৯ পয়সা। তাহলে

  • পোল্যান্ডের ১০০ টাকা হলে বাংলাদেশের হবে ২৯.৮৯*১০০=২,৯৮৯ টাকা।
  • পোল্যান্ডের ৫০০ টাকা হলে বাংলাদেশের হবে ২৯.৮৯*৫০০=১৪,৯৪৫ টাকা।
  • পোল্যান্ডের ১০০০ টাকা হলে বাংলাদেশের হবে ২৯.৮৯*১০০০=২৯,৮৯০ টাকা।

পোল্যান্ড যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ডে যেতে কত টাকা লাগে জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ করেছেন। ভিসা খরচ, বিমান খরচ সহ বিবিধ খরচ যুক্ত পোল্যান্ড যেতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা, সর্বোচ্চ লাগতে পারে ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

আরো পড়ুনঃ- কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়

  • স্টুডেন্ট ভিসায় পোল্যান্ড গেলে খরচ হবেঃ- ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় পোল্যান্ড গেলে খরচঃ- ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা।
  • ভিজিট ভিসায় পোল্যান্ড গেলে খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

পোল্যান্ড ভিসা খরচ ( শুধু ভিসা খরচ )

বাংলাদেশ থেকে ৩ ধরণের ভিসায় অধিকাংশ মানুষ পোল্যান্ড যায় যথাঃ- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম তুলনামূলক বেশি। সরকারিভাবে গেল খরচ কম, এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ একটু বেশি হবে। 

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসাঃ- ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।
  • স্টুডেন্ট ভিসাঃ-  ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
  • টুরিস্ট ভিসাঃ- ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।

এই ভিসা খরচ নির্ধারিত নয়। যেকোন সময় এই ভিসা খরচ বাড়তে পারে আবার স্থিতিশীল থাকতে পারে। ভিসা খরচ জানতে আপনার এলাকার ভিসা অফিসে যোগযোগ করুন অথবা এজেন্সিতে যোগাযোগ করুন।

পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে

বাংলাদেশে পোল্যান্ডের দূতাবাস নাই। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড যেতে চান তাহলে আপনাকে ভারতে অবস্থিত পোল্যান্ড দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে, এই লিংকে প্রবেশ ভারতে অবস্থিত পোল্যান্ড দূতাবাসে যোগাযোগ করুন। যে সকল দেশের এম্বাসি বাংলাদেশে রয়েছে সেই সকল দেশের ভিসা পেতে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। যেই সকল দেশের এম্বাসি বাংলাদেশে নাই যেমনঃ পোল্যান্ডের এম্বাসি এই সকল দেশের ভিসা পেতে ৯০ দিন সময় লাগতে পারে।

পোল্যান্ড কৃষি কাজের বেতন কত

পোল্যান্ডে কৃষি কাজের জন্য বাংলাদেশ থেকে বহু শ্রমিক সেখানে যায়। পোল্যান্ডে কৃষি কাজেরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখানে কৃষি কাজে মাসে 4,356 PLN to 9,323 PLN পাওয়া যায়। 

পোল্যান্ড সর্বনিম্ন বেতন কত

পোল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ হলেও পোল্যান্ড নিজস্ব মুদ্রায় বেতন দিয়ে থাকে। এই বেতন কাঠামো ইউরোপের অন্যান্য দেশের বেতন কাঠামো সাথে মিল রেখে দেয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যত গুলো দেশ রয়েছে সকল দেশের বেতন কাঠামো কাছাকাছি বা কিছুক্ষেত্রে একই। আপনি যদি একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে পোল্যান্ডে কাজ করেন তাহলে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ১ লক্ষ টাকার উপর হবে। সেখানে ঘন্টা প্রতি কাজের বেতন হিসাব করা হয়।

পোল্যান্ড ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত

পোল্যান্ডে নির্মাণ শ্রমিক দের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি ওয়েল্ডিং এর কাজে দক্ষ, অভিজ্ঞ হন তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পোল্যান্ডে ওয়েল্ডিং কাজের বেতন  7,000 PLN.

পোল্যান্ড সম্পর্কিত জরুরি প্রশ্নের উত্তর ( FAQ )

১) পোল্যান্ডের সর্বনিম্ন বেতন কত ইউরো?

উত্তরঃ- পোল্যান্ডে ৬১৪ ইউরো.

২) পোল্যান্ডের টাকার নাম কি?

উত্তরঃ- polish zloty. বাংলাদেশের মুদ্রার সংকেত BDT. পোল্যান্ডের মুদ্রার সংকেত PLN.

৩)পোল্যান্ড শ্রমিকদের বেতন কত | পোল্যান্ড শ্রমিকের বেতন কত

উত্তরঃ- একজন ক্লিনারের বেতন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাছাকাছি। তাহলে দক্ষ, অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান, মেকানিক্স এর বেতন ২ লক্ষ টাকার উপর।

লেখকের মন্তব্য

কর্মের জন্য যেকোন দেশে যাওয়ার পূর্বে সেই দেশের বেতন কাঠামো জেনে নেওয়া দরকার। এতে করে আপনার আয় বুঝে ব্যয় করা সহজ হবে।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা পোল্যান্ড কাজের বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত বিদেশ ভ্রমণ, ভিসা সংক্রান্ত, বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এ ধরণের তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url