মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 এবং বেতন কত জানুন

এই পোস্টে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 এবং মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। বহু বাংলাদেশি কাজের জন্য ইউরোপে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। ইউরোপ মহাদেশের অন্যতম দেশ হলো মাল্টা। দেশটি ছোট হলেও এখানকার জীবনযাত্রার মান উন্নত এবং যে কোন ধরণের ছোট কাজ করে ভালো বেতন পাওয়া যায়। এখানে ঘন্টা প্রতি বেতন হিসাব করা হয়। আপনারা যারা মাল্টা যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্টে আমরা মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 এবং মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 এবং বেতন কত জানুন

দেশটি বিভিন্ন সময়ে অনুন্নত বা মধ্য-আয়ের দেশ গুলো থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। দেশটি অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় এখানে গিয়ে ভালো বেতনে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 এবং মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত তা জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024

মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 | মাল্টা ভিসা ২০২৪

ওয়ার্ক পারমিট হলোঃ- ঐ দেশে কাজ করার জন্য অনুমতি পত্র। মাল্টা আপনি ২ ভাবে যেতে পারেন যথাঃ- ১) সরকারিভাবে ২) বেসরকারিভাবে। সরকারিভাবে গেলে খরচ কম, বেসরকারিভাবে গেলে খরচ একটু বেশি। সরকারিভাবে কাজের জন্য বিদেশে যেতে চাইলে এই লিংকে প্রবেশ করুন। কাজের খোঁজে যদি আপনি মাল্টা যেতে চান তাহলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন হবে। মাল্টার বিভিন্ন কোম্পানি যখন কাজের সার্কুুলার ছাড়বে তখনই আপনাকে আবেদন করতে হবে। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টালে নজর রাখতে হবে। আবেদন করার পর আবেদন গৃহীত হলে আপনাকে মাল্টা থেকে জব অফার লেটার পাঠাবে।

এর পর আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে কি কি যোগ্যতা লাগে বা কি কি কাগজ পত্র জমা দেয়া লাগে তা আপনাকে জানতে হবে।

  • জব অফার লেটার লাগবে
  • বয়স ১৮ বছর হওয়া লাগবে।
  • ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম সনদ
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট

এর বাইরে অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করার জন্য আপনাকে VFS Global এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করুন, এই লিংকে চাপ দিয়ে VFS Global এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এর পর Apply for a visa এখানে ক্লিক করুন। এর পর প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করুন। অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন। এর পর প্রযোজনীয় ডাটা বা বৈধ কাগজপত্র গুলো ভিসা কনসুলেটে জমা দিলে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। 

আরো পড়ুনঃ- হাঙ্গেরি বেতন কত - হাঙ্গেরি ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর আপনার ই-মেইল, ফোনে ট্র্যাকিং কোড পাঠানো হবে। এই ট্র‌্যাকিং কোডের মাধ্যমে আপনি আপনার ভিসার সর্বশেষ স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। এজন্য আবেদন কারীর নাম এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্র কর্তৃক সরবরাহকৃত চালান বা রশিদ নাম্বারে উপস্থিত রেফারেন্স এর প্রয়োজন হবে।অনলাইনে আবেদন নিজে না পারলে কোন দক্ষ, অভিজ্ঞ ব্যাক্তির সাহায্যে নিন অথবা অনলাইনে যারা প্রফেশনালি কাজ করে তাদের সাহায্যে নিন। ভিসা এজেন্সির সাহায্যে নিলে সব থেকে ভাল হয়।

মাল্টা কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি

আপনারা যারা কাজের খোঁজে মাল্টা যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই মাল্টা কোন কাজের চাহিদা বেশি তা জানা দরকার। যে কাজের চাহিদা বেশি ঐ কাজ শিখে মাল্টা গেলে ভালো বেতনে ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। মাল্টায় যে সকল কাজের চাহিদা বেশি তা নিম্নরুপঃ-

  • নির্মাণ শ্রমিক ( রাজ মিস্ত্রি, কাঠ মিস্ত্রি, ওয়েল্ডার, প্লাম্বার )
  • হাউস কিপার
  • হোটেল বা রেষ্টুরেন্ট জব ( ক্যাশিয়ার, ওয়েটার )
  • ফুড ডেলিভারী ম্যান
  • ইলেকট্রিশিয়ান
  • ক্লিনার
  • ড্রাইভার
  • মেইনটেনেন্স ওয়ার্কার
  • মাসেজ থেরাপিস্ট
  • শেফ

এসব কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞা যাদের বেশি তাদের ভালো ইনকামের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, সাথে থাকছে বিভিন্ন ধরণের বোনাস, সুযোগ-সুবিধা।

বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে | মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে

সরকারিভাবে মাল্টা গেলে খরচ, এজেন্সির মাধ্যমে মাল্টা যেতে তার থেকে একটু খরচ বেশি। বেশির ভাগ বাংলাদেশি বিদেশে যেতে প্রতারণার শিকার হয়। এর অন্যতম কারণ দালালের খপ্পড়ে পড়া। এজন্য দালাল শ্রেণী থেকে সাবধানে থাকবেন।

সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মাল্টা যেতে খরচঃ- ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।

এজেন্সির সাহায্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মাল্টা যেতে খরচঃ- ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

আত্নীয়ের রেফারেন্সে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় মাল্টা যেতে খরচঃ- ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।

স্ট্যাডি ভিসায় খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

ভিজিট ভিসায় খরচঃ- ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা

বাংলাদেশ থেকে মাল্টা যাওয়ার উপায়

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের জন্য, টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, স্ট্যাডি ভিসায় উচ্চ শিক্ষার জন্য মাল্টা যায়। কাজের জন্য যেতে হলে জব অফার লেটার প্রয়োজন, স্ট্যাডির জন্য গেলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত স্ট্যাডি অফার লেটার এবং IELTS স্কোর ৬.৫ থাকতে হবে। আপনাকে বৈধভাব মাল্টা যেতে হবে, অবৈধভাবে মাল্টা যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচঃ- ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা

স্ট্যাডি ভিসায় খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

ভিজিট ভিসায় খরচঃ- ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।

মনে রাখবেনঃ- ভিসার দাম, বিমান ভাড়া, টিকেট বুকিং অর্থ্যাৎ বিদেশে যেতে এ ধরণের আনুষঙ্গিক খরচ গুলো যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে। এই খরচ গুলো স্থায়ী নয়।

সরকারি ভাবে মাল্টা যাওয়ার উপায়

আপনারা অনেকে সরকারিভাবে মাল্টা যেতে চান। এর অন্যতম কারণ এটা সব থেকে নিরাপদ পদ্ধতি এবং খরচ তুলনামূলক কম। সরকারিভাবে মাল্টা যেতে আপনি এই ওয়েবসাইটে নজর রাখুন, এই লিংকে প্রবেশ করুন। যখন সার্কুলার ছাড়বে তখনই নিদিৃষ্ট প্রক্রিয়া মেনে সঙ্গে সঙ্গে আবেদন করুন। এতে করে ভিসা পাওয়া সহজ হবে। আমরা এই পোস্টের ১ নং পর্বে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

মাল্টার ১ টাকায় বাংলাদেশের কত

যেকোন দেশের টাকার মান প্রতিনিয়ত উঠা-নামা করে। যে কোন টাকার রেট জানার পূর্বে ঐ দেশের লোকাল মুদ্রার নাম কি তা জানা দরকার। বাংলাদেশের লোকাল মুদ্রার নাম টাকা, মাল্টা যেহেতু ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত দেশ তাই মাল্টার লোকাল মুদ্রা হলো Euro (€). মাল্টার ১ টাকায় বাংলাদেশের কত তা জানতে আপনকে 1 euro to taka লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। আজকে মাল্টার ১ টাকায় বাংলাদেশের ১২৬ টাকা ৪০ পয়সা। এই টাকার মান যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ- পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত জেনে নিন

আপনারা যারা প্রবাসী শ্রমিক বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বা স্টুডেন্ট ভিসায় বা টুরিস্ট ভিসায় মাল্টা যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যেই মাল্টার টাকার রেট সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশে ইউরো মুদ্রা চলে না তাই ইউরো মুদ্রাকে বাংলা টাকায় রুপান্তর করতে হয়। টাকা রুপান্তরের কাজটি করা হয় ব্যাংকের মাধ্যমে বা মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে। ব্যাংক বা মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের সঠিক মূল্যায়ন করছে কিনা নাকি তারা কম অর্থ দিচ্ছে তা জানার জন্য মুদ্রার রেট/মান বা মাল্টার ১ টাকায় বাংলাদেশের কত তা জানা দরকার।

মাল্টা কাজের ভিসা একমাসের বেতন কত

মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় বেতন কত বা মাল্টায় কত টাকা বেতনে চাকরি করা যায় এমন নানান ধরণের তথ্য জানতে চেয়ে আপনারা গুগলে সার্চ করেন। বেতন কাঠামো নির্ভর করে আপনি কি কাজ করছেন, কোন পদে রয়েছেন, ঐ কাজে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা কেমন, কোন কোম্পানিতে জব করছেন, কোম্পানি সরকারি না বেসরকারি এমন নানান বিষয়ের উপর কর্মীর বেতন কাঠামো নির্ভর করে। মাল্টায় নির্মাণ শ্রমিকদের চাহিদা অনেক এখানে তাদের বেতন বেশি। মাল্টা ঘন্টা প্রতি বেতন হিসাব করা হয়। মাল্টা বেতন কাঠামো তুলে ধরা হলোঃ-

আরো পড়ুনঃ- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত জানুন

  • রেষ্টুরেন্ট ওয়েটার এর বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
  • হিসাবরক্ষক এর বেতনঃ- ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
  • ডেলিভারি ম্যান এর বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • ড্রাইভার এর বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। দক্ষ, অভিজ্ঞ হলে বেতন আরও বেশি হবে।
  • কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার এর বেতনঃ- ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
  • গার্মেন্টস শ্রমিক এর বেতনঃ- ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
  • ইলেকট্রিশিয়ান এর বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার। দক্ষ, অভিজ্ঞ হলে ২ লক্ষ টাকার বেশি বেতন হবে।
  • রিসেপশনিস্ট এর বেতনঃ- ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
  • শেফ এর বেতনঃ- ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত
  • ক্লিনার এর বেতনঃ- ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  • সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর বেতনঃ- ১ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

ভিসা প্রসেসিং ফি

মাল্টা ভিসা প্রসেসিং ফি কত টাকা জানতে চেয়ে আপনারা গুগলে সার্চ করেছেন। মাল্টা ভিসা প্রসেসিং ফি বর্তমানে ২৮,২০৬ টাকা। এই প্রসেসিং ফি যেকোন সময় বাড়তে অথবা কমতে পারে। ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে আপনি এই টাকা জমা দিতে পারেন অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃক রশিদ দিবে। এই রশিদ ভিসা কনসুলেট অফিসে জমা দিতে হবে।

মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে

মাল্টা ই-ভিসা ইস্যু করে না। মাল্টা ভিসা সংগ্রহ করতে ভিসা কনসুলেট অফিসে আবেদনকারীকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে এই ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। সব ডকুমেন্টস বা কাগজ পত্র ঠিক থাকলে আপনি ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। কাগজ পত্র কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে ভিসা পেতে সময় আরও লাগতে পারে।

মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ

মাল্টার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ ২ বছর পর্যন্ত। এই ভিসার মেয়াদ পরে চাইলে বাড়ানো যায়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে নিয়োগকারীর সাথে কর্মচারীর চুক্তির উপর। যারা স্টুডেন্ট ভিসায় যাবেন তাদের কোর্স যতদিন চলবে ততদিন আপনি মাল্টা থাকতে পারবেন। পরে আপনি চাইলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করতে পারেন সেখানে জবের জন্য।

মাল্টা এম্বাসি কোথায়

বাংলাদেশে মাল্টা এম্বাসি কোথায় ? অনেকে জানে না। যে কোন প্রয়োজনে আপনি মাল্টা এম্বাসিতে যোগাযোগ করতে পারেন। মাল্টা এম্বাসির ঠিকানাঃ-

মাল্টা এম্বাসি ঢাকায় অবস্থিত। ঠিকানা: রোড নং – ১৭, ব্লক – সি, বনানী, ঢাকা – ১২১১, বাংলাদেশ। 

ফোন নাম্বার; +88-02-8820388

মেইল: maltaconsul.dhaka@gov.mt

মাল্টা কাজের ভিসা অনলাইনে আবেদন করুন | মাল্টা ভিসা আবেদন | মাল্টা ভিসা প্রসেসিং

মাল্টা ভিসা প্রসেসিং হতে ৩ থেকে ৪ সময় লাগবে। আপনি মাল্টা ৩ ভাবে যেতে পারেন যথাঃ- ১) সরকারিভাবে ২) বেসরকারিভাবে ৩) আত্নীয় রেফারেন্স এর মাধ্যমে। সরকারিভাবে মাল্টা যেতে এই লিংকে ক্লিক করুন। মাল্টা যেতে যা যা ডকুমেন্টস দরকার তা নিম্নরুপঃ-

  • জব অফার লেটার লাগবে
  • বয়স ১৮ বছর হওয়া লাগবে।
  • ৬ মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
  • জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম সনদ
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট

এর বাইরে অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে

যেভাবে আবেদন সম্পন্ন করবেনঃ-

  • VFS Global এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, এই লিংকে প্রবেশ করুন।
  • এর পর Apply for a visa এখানে ক্লিক করতে হবে।
  • সেখানে প্রয়োজনীয় ডাটা সাবমিট করতে হবে।
  • অনলাইনে আবেদন করার পর আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে হবে। এর পর বৈধ কাগজ পত্র, ভিসা ফি পরিশোধের রসিদ সহ ভিসা কনসুলেটে জমা দিতে হবে।
  • সেখান থেকে আপনার ফোনে বা ইমেইলে ট্র‌্যাকিং কোড পাঠানো হবে। এই কোডের মাধ্যমে আপনি ভিসা সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।

ভিসা প্রসেসিং ফি যেভাবে জমা দিবেনঃ- অনলাইনে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। অথবা ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকের মাধ্যমে জমা দিলে ব্যাংক কর্তৃক রশিদ দিবে। সেই টাকা পরিশোধের রসিদ আবেদন ফরমের সাথে ভিসা কনসুলেট অফিসে জমা দিতে হবে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচঃ-

  • সরকারিভাবেঃ- ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা
  • এজেন্সির মাধ্যমেঃ- ৬ থেকে ৮ লক্ষ টাকা
  • আত্নীয় রেফারেন্সেঃ- ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

স্ট্যাডি ভিসায় খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা

ভিজিট ভিসায় খরচঃ- ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা

মাল্টা ভিসা আপডেট

আগে মাল্টা ভিসা সংগ্রহ করার জন্য বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে বা ভারতে গিয়ে ভিসা সংগ্রহ করতে হতো। ২০২২ সালে আগষ্ট মাসে, VFS Global বাংলাদেশে মাল্টা ভিসা কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে আপনি বাংলাদেশ থেকে মাল্টা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মাল্টা ভিসা বন্ধ

মাল্টা ভিসা সংক্রান্ত আপডেট যেকোন ধরণের তথ্য জানতে এজেন্সির নিকট যোগাযোগ করুন অথবা বাংলাদেশে অবস্থিত মাল্টা এম্বাসিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

মাল্টা সম্পর্কে জরুরি প্রশ্নের উত্তর

১) মাল্টা সর্বনিম্ন বেতন কত ২০২৪

উত্তরঃ- মাল্টা ঘন্টা প্রতি বেতন হিসাব করা হয়। এখানে সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। অতিরিক্ত করলে সেটা ওভার টাইম বলে বিবেচিত হয়। এখানে সর্বনিম্ন বেতন ৭০ হাজার টাকার উপর।

২) মাল্টা যেতে বয়স কত লাগে

উত্তরঃ- বয়স ১৮ বছরের উপর হতে হবে। যাদের বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে তাদের ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

৩) মাল্টা দেশ কেমন

উত্তরঃ- ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র ধরা হয় মাল্টাকে। হাজার হাজার পর্যটক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে মাল্টা সফল করে। দেশটি ছোট হলেও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

৪) মাল্টা কি সেনজেনভুক্ত দেশ ?

উত্তরঃ- জ্বি, মাল্টা সেনজেনভুক্ত দেশ। সেনজেনভুক্ত দেশের তালিকা ২৭টি। তার মধ্যে মাল্টা একটি।

৫) স্টুডেন্ট ভিসায় মাল্টা যেতে কত টাকা লাগে

উত্তরঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা লাগবে।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমরা এই পোস্টে মাল্টা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এবং মাল্টা বেতন কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমরা আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো, বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান নিয়ে আলোচনা করে থাকি।

এই ধরণের তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমরা প্রতিনিয়ত এই ধরণের তথ্য পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তী আলোচনা করব ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url