লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত জানুন
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত তা নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং সেজনভুক্ত একটি দেশ লিথুনিয়া। অনেকে ইউরোপীয় দেশ গুলোতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। তাদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বাধীন রাষ্ট্র লিথুনিয়া সেরা হতে পারে। এসব ইউরোপীয় দেশ গুলোতে কাজের চাহিদা এবং বেতন তুলনামূলক বেশি। লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত তা জানতে পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
লিথুনিয়ায় কাজের ভিসা পাওয়া খুবই সহজ। লিথুনিয়ায় বিভিন্ন কাজের জন্য প্রতিবছর বহু শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনিও চাইলে শ্রমিক হিসেবে লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত তা জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪
- লিথুনিয়া দেশ কেমন
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি
- লিথুনিয়া যেতে খরচ কত
- লিথুনিয়া কি কি কাজের ভিসা আছে
- লিথুনিয়া ভিসা চেক
- লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে | বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
- লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৪ | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম ২০২৪ | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম | লিথুনিয়া কাজের ভিসা আবেদন | লিথুনিয়া ভিসা আবেদন ফরম
- লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে | লিথুনিয়া যেতে কত বয়স লাগে
- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক
- লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
- লিথুনিয়া ভিসা রেশিও কেমন
- লিথুনিয়া বেতন কত | লিথুনিয়া বেতন কত ২০২৩
- লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
- লিথুনিয়ার সর্বোচ্চ বেতন কত
- লিথুনিয়া এম্বাসি বাংলাদেশ
- লিথুনিয়া দেশ সম্পর্কিত জরুরি প্রশ্নের উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
লিথুনিয়া দেশ কেমন
লিথুনিয়া কে বাল্টিক দেশ বলেও সম্বোন্ধন করা হয়। কারণ, বাল্টিক সমুদ্রের তীরে এই দেশটি অবস্থিত। লিথুনিয়া এই দেশটি ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত। ইহা সেনজনভুক্ত একটি দেশ। লিথুনিয়ার রাজধানীর নাম হলো ভিলনিয়াস। এই দেশটির চারদিকে নদী, হ্রদ, অরণ্য রয়েছে। প্রতি বছর বহু মানুষ টুরিস্ট ভিসায় লিথুনিয়া সফর করে। এদেশের অধিকাংশ মানুষ জাতিগতভাবে লিথুনিয়ান। এরা রোমান ক্যাথলিক গির্জার অনুসারী। একসময় লিথুনিয়া অনেক বড় রাষ্ট্র ছিলো।
বর্তমানে এটা বেলারুশ, ইউক্রেনের অধীনে চলে গেছে। ১৯১৮ সালে লিথুনিয়া স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নিলেও ১৯৪০ সালে এটা সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে চলে যায়। ১৯৯১ সালে লিথুনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের কবল থেকে মুক্ত পায়। পরে ১৯৯২ সালে দেশটিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। বর্তমানে লিথুনিয়া উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ কাজের জন্য লিথুনিয়া সফর করে।
আরো পড়ুনঃ- কানাডায় কোন কাজের চাহিদা বেশি - কানাডার সর্বনিম্ন বেতন কত
তাছাড়া দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মুগ্ধ করেছে। বহু বছর বহু পর্যটক বিভিন্ন দেশ থেকে লিথুনিয়া সফর করে। ২০০৪ সালে লিথুনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দান করে। পরবর্তীতে ২০০৭ সাল থেকে দেশটি ইউরো মুদ্রা ব্যবহার শুরু করে। দেশটির প্রায় ৮০০ কিলামিটার জুড়ে উপকুল রয়েছে। এই উপকুলের চারদিকে ছোট-বড় বহু লেক রয়েছে। যা পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কি
বাইরের দেশে কাজ করার জন্য যে অনুমতির প্রয়োজন হয় তাকে ওয়ার্ক পারমিট বলে। যে দেশে কাজ করতে চান ঐ দেশের লেবার ডিপার্টমেন্ট থেকে সংগ্রহ করতে হয়। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ঐ দেশের সরকার অথবা অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জারি করে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আপনি কোন দেশে গেলে ঐ দেশে আপনি নিদিৃষ্ট সময় পর্যন্ত থাকতে পারবেন এবং সেখানে জব করতে পারবেন। সময় পার হয়ে গেলে আপনাকে পুনরায় আপনার দেশে ফিরে আসতে হবে।
লিথুনিয়া যেতে খরচ কত
সরকারিভাবে লিথুনিয়া গেলে ভিসা খরচ, বিমান ভাড়া সহ ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বেসরকারিভাবে লিথুনিয়া গেলে ভিসা খরচ, বিমান ভাড়া সহ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
লিথুনিয়া কি কি কাজের ভিসা আছে
লিথুনিয়ায় ৪ ক্যাটাগরির ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়। সেগুলো হলোঃ-
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা = সাধারণ কর্মীদের জন্য।
- EU Blue Card = অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য।
- কাজের ভিসা = সিজনাল
- কোম্পানির ভিসা = ইন্ট্রা
লিথুনিয়া ভিসা চেক
লিথুনিয়ার ভিসা চেক করতে এই লিংকে প্রবেশ করে আপনি জেনে নিতে পারবেন। নতুবা এজেন্সি কর্তৃপক্ষের নিকট যোগাযোগ করুন। নতুবা এই ঠিকানায় যোগাযোগ করুনঃ-
LITHUANIAN HONORARY CONSULATE IN DHAKA
822/3 Begum Rokeya Sharani Mirpur, Dhaka 1216.
Phone: +8801871001399, 88029023757
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা | লিথুনিয়া কাজের ভিসা ২০২৪
লিথুনিয়া সরকার প্রতি-বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় শ্রমিক নিয়ে থাকে। আপনি যদি লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জব করতে চান তাহলে যে কোম্পানিতে জব করবেন ঐ কোম্পানির জব লেটার লাগবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে লিথুনিয়ার যে কোম্পানিতে জবের জন্য আবেদন করতে হবে। এখন আবেদন করবেন কিভাবে ? বিভিন্ন অনলাইন জব পোর্টালে গিয়ে যখন লিথুনিয়া কোন কোম্পানি সার্কুলার ছাড়বে তখনই আবেদন করে রাখতে হবে। লিথুনিয়ায় অনলাইনে জব খুঁজতে এই লিংকে প্রবেশ করুন।
আবেদন গৃহীত হলে তখনই ঐ কোম্পানি আপনার জন্য ওয়ার্ক পারমিট নিবে এবং আপনার নিকট জব লেটার আসবে। এর পর বৈধ কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে। এসব কাগজ পত্র নিয়ে নিদিৃষ্ট ফি এর বিনিময়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর আপনার কাগজ-পত্র ঠিক থাকলে দ্রুত ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন নিজে নিজেও করা যায়। যদি আপনার অনলাইনে আবেদন করার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে যারা প্রফেশনালি অনলাইনে আবেদনের কাজ করে থাকে তাদের সহযোগিতা নিন।
আরো পড়ুনঃ- কানাডা ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম - কানাডা ভিসা পাওয়ার উপায়
লিথুনিয়ায় কাজের জন্য আপনি সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে যেতে পারেন। সরকারিভাবে গেলে খরচ কম। বেসরকারিভাবে গেলে খরচ একটু বেশি। শুধু লিথুনিয়ায় নয়, যেকোন দেশে সরকারীভাবে যেতে চাইলে এই লিংকে চাপ দিয়ে আপডেট তথ্য জেনে রাখুন। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোন দেশে শ্রমিক নিচ্ছে সেই বিষয়ে।
সাধারণত ৪ ক্যাটাগরির লিথুনিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া যায়ঃ-
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা = সাধারণ কর্মীদের জন্য।
- EU Blue Card = অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য।
- কাজের ভিসা = সিজনাল
- কোম্পানির ভিসা = ইন্ট্রা
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৪ | লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম ২০২৪ |লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম | লিথুনিয়া কাজের ভিসা আবেদন | লিথুনিয়া ভিসা আবেদন ফরম
আপনারা গুগলে সার্চ করে লিথুনিয়া লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৪/ লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম ২০২৪/ লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ফরম লিখে গুগলে সার্চ করেছেন। তাদের জন্য খুব যত্নসহকারে আমি এই পর্বটি তৈরি করেছি।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে যা যা ডকুমেন্টস লাগেঃ-
- সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- পাসপোর্ট
- জব অফার লেটার
- শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফেকেশন সার্টিফিকেট
- ইউরোপিয়ান সিভি
- ভিসা এপ্লিকেশন ফরম
এই কাগজ পত্র গুলো থাকলে আপনি লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এগুলো ছাড়াও যদি আরও কোন কাগজ-পত্রের দরকার হয় তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।
আবেদন প্রক্রিয়া কেমনঃ আপনারা অনেকে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এখন আমি আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করব।
- প্রথমত, আপনার জব অফার লেটার লাগবে।
- দ্বিতীয়ত, লিথুনিয়ার ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করুন। এই লিংকে প্রবেশ করে লিথুনিয়ার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।
- তৃতীয়ত, আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম সনদ, পুলিশ ভেরিফেকেশন ইত্যাদি এম্বাসি তে জমা দেয়া লাগবে। লিথুনিয়া যেতে কি কি কাগজ-পত্র দরকার নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
- চতুর্থ, আবেদন-কারীর সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকার। আপনার বায়োমেট্রিকসের প্রয়োজন হতে পারে যেমনঃ- আঙ্গুলের ছাপ, চোখের রেটিনার ছাপ পরীক্ষা। মূলত এই অংশ গুলো ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে নিরাপত্তার জন্য লাগে।
- পঞ্চম, নির্ধারিত ফি প্রদান করতে হবে।
- ষষ্ঠ, কাগজ-পত্র সব কিছু ঠিক থাকলে ভিসা প্রসেসিং করতে ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে।
কোন প্রকার অসুবিধা হলে এজেন্সির সাহায্যে নিন।
লিথুনিয়া যেতে কত বছর বয়স লাগে | লিথুনিয়া যেতে কত বয়স লাগে
সাধারণত টুরিস্ট বা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে বয়স বাধ্যতামূলক নয়। স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে আপনাকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করতে হবে। ইন্টারমিডিয়েট পাস করতে করতে আপনার ১৮+ বয়স হবে। টুরিষ্ট ভিসায় যে কোন বয়সে যেতে পারেন। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে হলে আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২০ বছর হতে হবে। আপনার বয়স ২১ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে হলে লিথুনিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক
যারা লিথুনিয়ায় বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় জব করছেন তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট চেক করাটা জরুরি। ওয়ার্ক পারমিট চেক করার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনার ডকুমেন্ট বৈধ কিনা। অনলাইনে ওয়ার্ক পারমিট চেক করতে হলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট নাম্বার, পাসপোর্ট নাম্বারের প্রয়োজন হবে। এই ওয়েবসাইটের লিংকে প্রবেশ করার মাধ্যমে আবেদনকারীরা সহজে লিথুনিয়ায় ওয়ার্ক পারমিট চেক করে নিতে পারেন।
লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি
আপনারা গুগলে সার্চ করে লিথুনিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি জানতে চেয়েছেন। প্রায় প্রতিবছর লোক কাজের খোঁজে লিথুনিয়া যায়। তবে যেই দেশে আপনি যান না কেন কাজে শিখে যেতে হবে। তাহলে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কোন কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকলে বেতন এমনি বেড়ে যায়। লিথুনিয়া যে সকল কাজের চাহিদা বেশিঃ-
- ইলেকট্রিক্যাল মিস্ত্রি
- ড্রাইভার
- ওয়েলন্ডিং
- ওয়েটার
- কাঠের কারিগর
- ক্লিনার
- ফ্যাক্টরির জব
- লজিস্টিকস অফিসার
- বিক্রয় কর্মী
- রেস্টুরেন্ট জব
- মেশিন অপারেটর
- ইলেকট্রিশিয়ান
- প্লাম্বার
- স্টোরকিপার
- বারটেন্ডার
- কাঠ মিস্ত্রি
- হাউজকিপিং
- ফার্মওয়ার্কার
- রাঁধুনি
- প্রোডাকশন লাইন সুপারভাইজার
- টেকনিশিয়ান
- পেইন্টার
- ওয়ারহাউস কর্মী
- ফুড ডেলিভারী ম্যান
- কনস্ট্রাকশন শ্রমিক
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে | বাংলাদেশ থেকে লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে
লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরির উপর, সরকারিভাবে নাকি বেসরকারিভাবে যাবেন সেটার উপর। সরকারিভাবে লিথুনিয়া গেলে খরচ কম, বেসরকারিভাবে গেলে খরচ বেশি। আমাদের বাংলাদেশ থেকে সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসায়, টুরিস্ট ভিসায়, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় লিথুনিয়া যায়। সরকারিভাবে লিথুনিয়ায় যেতে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হবে। এজেন্সির মাধ্যমে লিথুনিয়ায় যেতে ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
লিথুনিয়া ভিসার দাম কত
লিথুনিয়ার ভিসার দাম কত এটা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসায় লিথুনিয়া যাবেন সেটার উপর। ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে লিথুনিয়া ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়।
- কোম্পানি ভিসায় খরচঃ- ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসায় খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা
- টুরিস্ট ভিসায় খরচঃ- ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
- ফ্যামিলি ভিসায় খরচঃ- ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকা।
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খরচঃ- ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
লিথুনিয়া ভিসা রেশিও কেমন
লিথুনিয়ার ভিসা রেশিও মোটামোটি ভাল। ভিসার বিষয়টি নির্ভর করে আবেদনকারীর বৈধ কাগজ-পত্র, ভ্রমণের উদ্দেশ্যে, প্রয়োজনীয় শর্তের উপর। যদি আপনি স্ট্যাডির জন্য, ভ্রমণের জন্য, কাজের উদ্দেশ্যে সফর করতে যান তাহলে ভিসা পাওয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায়। লিথুনিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ হওয়ায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় লিথুনিয়ায় ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এখানে মূলত ভিসা আবেদন করার সময় নির্ভুল তথ্য, সঠিক কাগজ-পত্র জমা দিলে দ্রুত ভিসা পাওয়া সম্ভব।
লিথুনিয়া বেতন কত | লিথুনিয়া বেতন কত ২০২৩
লিথুনিয়া বেতন কত এটা নির্ভর করবে কাজের দক্ষতার উপর, কোন কাজ করছেন তার উপর, কাজের ধরণ, আপনি কোন পদে জব করছেন সেটার উপর। আপনার যদি কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।
- নতুন কর্মীদের বেতনঃ- ঘন্টা প্রতি ৩ থেকে ৪ ইউরো। মাসে বেতন পাবেন ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো।
- অভিজ্ঞ কর্মীদের বেতনঃ- ঘন্টা প্রতি ৫ থেকে ৬ ইউরো। মাসে বেতন পাবেন ৮০০ থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত।
- নির্মাণ শ্রমিকের বেতন ( মেসন, প্লাম্বার, কাঠমিস্ত্রি, পেইন্টার ) = ৫০০ থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত।
- ইলেকট্রিক্যাল কাজের বেতনঃ- ৬০০ থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত
- ড্রাইভিং কাজের বেতনঃ- ৫৫০ থেকে ১০০০ ইউরো পর্যন্ত
- ওয়েল্ডিং কাজের বেতনঃ- ৬০০ থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত
- ফ্যাক্টরি কাজের বেতনঃ- ৫০০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত
- রেস্টুরেন্ট কাজের বেতনঃ- ৬৫০ থেকে ১২০০ ইউরো পর্যন্ত
- ক্লিনারের কাজের বেতনঃ- ৫০০ থেকে ৭০০ ইউরো পর্যন্ত
লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন কত
লিথুনিয়া দেশ গুলোতে কর্ম-ঘন্টা অনুযায়ী বেতন হিসাব করা হয়। সাধারণত কর্ম-ঘন্টা অনুযায়ী বেতন নির্ধারণ করে থাকে লিথুনিয়া সরকার। বর্তমানে লিথুনিয়া সর্বনিম্ন বেতন ঘন্টা প্রতি ৫.৬৫ ইউরো ধার্য করা হয়। লিথুনিয়ার সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করতে হয়। অতিরিক্ত কাজ করলে ওভার-টাইম হিসেবে গণ্য করা হবে। লিথুনিয়া কাজ করলে মাসে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ টাকার উপর ইনকাম করা হয়।
লিথুনিয়ার সর্বোচ্চ বেতন কত
লিথুনিয়ায় কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি আমি উপরের প্যারায় আলোচনা করেছি। আপনি যে কাজই করেন না কেন যদি আপনি ঐ কাজে দক্ষ হন তাহলে ভালো ইনকাম করতে পারবেন। যদি আপনি শ্রমিক হন কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা যদি ভালো থাকে অথবা কোন কোম্পানির উচ্চ পদস্থ কর্মচারীর হন তাহলে আশা করা যায় আপনার বেতন ১.৫ লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন পাবেন।
লিথুনিয়া এম্বাসি বাংলাদেশ
লিথুনিয়া দেশ সম্পর্কিত জরুরি প্রশ্নের উত্তর
১) লিথুনিয়া রাজধানী / লিথুনিয়া রাজধানীর নাম কি
উত্তরঃ- লিথুনিয়ার রাজধানীর নাম ভিলনিয়াস
২) লিথুনিয়ার ১ ইউরো বাংলাদেশের কত টাকা
উত্তরঃ- ১২৯ টাকা ৮৭ পয়সা।
৩) লিথুনিয়া কোন মহাদেশে অবস্থিত
উত্তরঃ- উত্তর-পূর্ব ইউরোপীয় মহাদেশে অবস্থিত।
৪) লিথুনিয়া কি সেনজেন
উত্তরঃ- হ্যাঁ, লিথুনিয়া সেনজেন ভুক্ত দেশ।
৫) লিথুনিয়া আয়তন কত
উত্তরঃ- বর্তমানে ৬৫,৩০০ বর্গ মাইল জুড়ে বিস্তৃত।
৬) লিথুনিয়া মানচিত্র
উত্তরঃ- লিথুনিয়া মানচিত্র লিখে গুগলে সার্চ করার পর ইমেজ আইকনে ক্লিক করুন।
৭) লিথুনিয়া জনসংখ্যা কত
উত্তরঃ- ৩০ লক্ষের কাছাকাছি। এখানে মহিলাদের সংখ্যা বেশি।
৯) লিথুনিয়া ভিসা ওয়েবসাইট
উত্তরঃ- এই লিংকে প্রবেশ করে, ভিসার জন্য আবেদন করুন।
১০) লিথুনিয়া কাজের ভিসা কত টাকা লাগে
উত্তরঃ- শুধু ভিসার দাম ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা, এগুলো ছাড়া বিমান ভাড়া, বিবিধ খরচসহ লাগবে ৮-৯ লক্ষ টাকা।
১১) লিথুনিয়া থেকে ইতালি কত কিলোমিটার
উত্তরঃ- লিথুনিয়া থেকে ইতালির দূরত্ব ২,২০৩ কিলোমিটার।
১২) লিথুলিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব
উত্তরঃ- হ্যাঁ, লিথুনিয়া কাজের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব।
১৩) লিথুলিয়া কাজের জন্য কোন দেশগুলোর ভিসা প্রয়োজন নেই
উত্তরঃ- ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ গুলো ভিসার প্রয়োজন নেই।
১৪) লিথুনিয়া কাজের ভিসা প্রসেসিং হতে কত সময় লাগে
উত্তরঃ- ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগতে পারে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্ভব।
১৫) লিথুনিয়া এম্বাসি ভারত
উত্তরঃ- E-4/3 Vasant Vihar,
New Delhi 110057, India.
Phone: +91 11 4313 2200; +91 11 4313 2202
Fax: +91 11 4313 2222
Email: amb.in@urm.lt, consul.in1@urm.lt
Website: https://in.mfa.lt/in/en/
Opening Hours: Monday-Thursday (9.00-18.00), Friday (9.00-16.45)
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। বিদেশ ভ্রমণ, ভিসা সংক্রান্ত যে কোন ধরণের তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, ঐ দেশের বেতন কত, ঐ দেশে কত টাকা লাগবে, কিভাবে আবেদন করবেন ইত্যাদি বিষয়ে পোস্ট পাবলিশ করে থাকি।
এই ধরণের তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url