হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইনঃ- ১ মিনিটেই সম্ভব

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনারা গুগলে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন লিখে সার্চ করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা এই পোস্টটি তৈরি করেছি। এখন অনলাইনে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক করা খুবই সহজ। আপনার হাতে থাকা মোবাইল, ল্যাপটপ দিয়ে সহজে ওয়ার্ক পারমিট চেক করতে পারবেন। তাই হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন সম্পর্কে জানতে আপনাকে পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

আপনার ওয়ার্ক পারমিট আসল নাকি নকল এই সমস্ত বিষয়ে জানতে পারবেন যদি আপনি পোস্টে বর্ণনাকৃত নিয়মগুলো অনুসরণ করেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ | হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ২০২৪ | হাঙ্গেরি কাজের ভিসা ২০২৪ | হাঙ্গেরি জব ভিসা

দেশের বাইরে কাজ করতে হলে আপনার ওয়ার্ক পারমিট এর প্রয়োজন হবে। ওয়ার্ক পারমিট হলো বাইরের দেশে কাজ করার অনুমতি পত্র। বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট পাওয়া একটু কঠিন। কারণ হলো অনেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় হাঙ্গেরি যাওয়ার পর ইউরোপে চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনার কিছু ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ-

  • জব অফার লেটার
  • আপনার বয়স ১৮+ হতে হবে
  • বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে।
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট 
  • অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের ডকুমেন্টস।

বর্তমানে বাইরের দেশে যেতে অনেকে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। হাঙ্গেরির ওয়ার্ক পারমিট পাওয়ার পর ঐ ব্যাক্তিকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। সব কাগজ পত্র ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে সে ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যাওয়ার সুযোগ পায়। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নবায়ন করতে হয়। ঐ দেশের আইন, ভিসার শর্তাবলী মেনে চলতে হয়।

আরো পড়ুনঃ- পোল্যান্ড কাজের বেতন কত - পোল্যান্ড টাকার রেট কত জেনে নিন

আপনি হাঙ্গেরিতে ২ ভাবে যেতে পারেন যথাঃ- সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে। সরকারিভাবে গেলে খরচ কম, এজেন্সির সাহায্যে গেলে খরচ বেশি। কোন ব্যাক্তির সহায়তা বাইরের দেশে গেলে প্রতারণার ঝুঁকি বেশি। অবশ্যই এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন | হাঙ্গেরি কাজের ভিসা আবেদন | হাঙ্গেরি ভিসা আবেদন |  হাঙ্গেরি ভিসা প্রসেসিং

বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, টুরিস্ট ভিসা, স্ট্যাডি ভিসায় হাঙ্গেরি সফর করে। আপনি যে ধরণের ভিসা নিয়ে হাঙ্গেরি যান না কেন হাঙ্গেরি ভিসা আবেদনের সময় আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ-

১) ভিসার ধরণ ( ওয়ার্ক পারমিট, স্ট্যাডি, টুরিস্ট ভিসা ) নির্ধারণ করুন।

২) এর পর আপনাকে ফরম পূরণ করতে হবে। ফরমটি আপনি হাঙ্গেরির দূতাবাস অথবা কনস্যুলেটের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করুন। এই লিংকে লিংকে  লিংকে প্রবেশ করে সাহায্যে নিন।

৩) প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রস্তুত করতে হবে।

বাধ্যতামূলক কাগজপত্রঃ

  • সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয় পত্র
  • বৈধ পাসপোর্ট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • হাঙ্গেরিতে থাকার জায়গার বুকিং কনফার্মেশন
  • বিমানের টিকিট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্যঃ-

  • জব অফার লেটার
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট

স্ট্যাডি ভিসার জন্যঃ-

  • স্ট্যাডি অফার লেটার
  • টিউশন ফি পরিশোধের ডকুমেন্টস

টুরিস্ট ভিসার জন্যঃ-

হাঙ্গেরিতে যেখানে থাকবেন তার বুকিং কনফার্মেশন

ভ্রমণের পরিকল্পনা 

অতীতে কোথাও সফর করেছেন তার ডকুমেন্ট

এর বাইরেও যদি আর কোন ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।

৪) আবেদন ফি অনলাইনে অথবা দূতাবাসে গিয়ে জমা দিতে হবে। আপনি যেখানে ফরম পূরণ করবেন সেখানে জমা দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ- লিথুনিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৪ - লিথুনিয়া বেতন কত জানুন

৫) নিদিৃষ্ট সময়ে ( আপনাকে জানিয়ে দিবে ) হাঙ্গেরি দূতাবাসে উপস্থিত হওয়া লাগবে। সেখানে তারা মৌখিক কিছু প্রশ্ন করবে এবং আপনার ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করবে।

৬) ভিসা প্রসেসিং এ কিছুদিন সময় নিবে আনুমানিক ৬০ থেকে ৯০ কর্ম-দিবস। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার আগেও ভিসা পেয়ে যেতে পারেন।

হাঙ্গেরি ভিসা রেশিও | বর্তমানে হাঙ্গেরি ভিসা রেশিও কেমন

হাঙ্গেরি ভিসা রেশিও সম্পর্কে অনলাইন প্লাটফর্মে অনেক ভূয়া তথ্য থাকে। অনেক বলে হাঙ্গেরি ভিসা রেশিও শূন্য (০) শতাংশ, কেউ বলে ১০ শতাংশ এরকম নানান জনের নানান মত রয়েছে। এজন্য আমাদের পরামর্শ হাঙ্গেরি দূতাবাসে অথবা ভিসা এজেন্সিতে এই বিষয়ে খোঁজ নিন। এখান থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবেন।

হাঙ্গেরি এম্বাসি কবে খুলবে

বর্তমানে হাঙ্গেরির এম্বাসি খোলা আছে। হাঙ্গেরি সম্পর্কে যেকোন ধরণের তথ্য জানতে এই ঠিকানায় যোগাযোগ করুন।

Address

SW (G) 8, Gulshan Avenue

Gulshan

1212

Dhaka

Bangladesh

Phone

+88-02-9884-3127

Fax

+88-02-9883-783

+88-02-9883-784

+88-02-9883-785

Email

eastcoast@ecg.com.bd

ishnad.chowdhury@ecg.com.bd

হাঙ্গেরি স্টুডেন্ট ভিসা | হাঙ্গেরি স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪

আপনি যদি উচ্চ শিক্ষার জন্য হাঙ্গেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনাকে স্ট্যাডি ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই পোস্টের ২ নং পর্বে আমরা ভিসা আবেদন নিয়ে আলোচনা করেছি সেইভাবে আবেদন করতে হবে এবং যে যে ডকুমেন্টস গুলোর কথা বলা আছে সেই সকল ডকুমেন্টস গুলোর প্রয়োজন হবে। হাঙ্গেরিতে স্টুডেন্টরা তাদের পছন্দের সাবজেক্ট পড়াশোনা করতে পারে। ভিসার মেয়াদ নির্ভর করবে কোর্সের মেয়াদের উপর। 

আরো পড়ুনঃ- কুয়েত কোন কাজের চাহিদা বেশি - কুয়েত বেতন কত [ ২০২৫ ]

প্রয়োজনে ভিসা নবায়ন করার সুযোগ রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম জব করতে পারে। এখানে ঘন্টা অনুযায়ী বেতন হিসাব করা হয়। পড়াশোনার পাশাপাশি আয়ের সুবর্ণ সুযোগ এখানে রয়েছে। ভিসার শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ক্লাস, কোর্সের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার খরচ কত

আপনি হাঙ্গেরিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ২ ভাবে যেতে পারবেন যথাঃ-সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে। সরকারিভাবে গেলে ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা খরচ হবে। বেসরকারিভাবে গেলে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কত দিন লাগে

যদি সব কাগজ পত্র ঠিক ঠাক থাকে তাহলে  ৯০ কর্ম দিবসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট পেয়ে যাবেন। আর যদি কাগজ পত্রে গড়মিল থাকে তাহলে সময় বেশি লাগবে।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন | হাঙ্গেরি ভিসা চেক

১) প্রথমে গুগলে nemzeticegtar.hu লিখে সার্চ করুন। এরপর ইংরেজি ভাষা সিলেক্ট করুন।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

২) Company date অপশনে ক্লিক করুন।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

৩) Company name, Company registration number, Tax number পূরণ করে Search অপশনে ক্লিক করুন।

হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন

হাঙ্গেরি ভিসা ফর বাংলাদেশী

বাংলাদেশে যে কাজ করে আপনি ৮ হাজার অথবা ১০ হাজার টাকা ইনকাম করবেন ঐ কাজ ইউরোপের দেশ গুলোতে গিয়ে করলে ৭০ হাজার উপর ইনকাম করা যায়। ইউরোপের দেশ গুলোতে নির্মাণ শ্রমিকের ব্যাপক চাহিদা। এখানে ঘন্টা প্রতি বেতন হিসাব করা হয়। হাঙ্গেরির কোন কাজের চাহিদা বেশি, বেতন কাঠামো কেমন জানতে এই লিংকে প্রবেশ করুন। যেহেতু এখানে কর্ম-ঘন্টা অনুযায়ী বেতন হিসাব করা হয় এজন্য বেশিরভাগ বাংলাদেশী ইউরোপের দেশ গুলোতে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সেখানকার উন্নত জীবনযাপন বাংলাদেশীদের মুগ্ধ করে। সরকারীভাবে হাঙ্গেরি যেতে চাইলে এই ওয়েবসাইটে নজর রাখুন। যখনই সার্কুলার ছাড়বে তখনই আবেদন করলে হাঙ্গেরি যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। যারা দক্ষ শ্রমিক তাদের হাঙ্গেরিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য প্রথমে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

হাঙ্গেরি টুরিস্ট ভিসা

যারা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হাঙ্গেরি যেতে চাচ্ছেন তাদের টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন। এর আগের ২নং পর্বে আমরা হাঙ্গেরি ভিসা আবেদন নিয়ে আলোচনা করেছি। সেই ভাবে ভিসা আবেদন সম্পন্ন করতে হবে। টুরিস্টরা ৯০ দিন পর্যন্ত হাঙ্গেরি থাকতে পারবে। দেশটির ঐতিহ্য, সাংস্কৃতি, সৌন্দর্য, ইতিহাস উপভোগ করতে পারবে। টুরিস্টরা সহজে হাঙ্গেরির ভিসা পেতে পারেন। টুরিস্ট ভিসায় শুধুমাত্র ভ্রমণের উদ্দেশ্যে হাঙ্গেরি সফর করতে পারবেন। অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই আপনাকে দেশ ত্যাগ করতে হবে। পরবর্তীতে চাইলেই আপনি নতুন করে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা হাঙ্গেরি ওয়ার্ক পারমিট চেক অনলাইন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আমরা আপনাদের জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের বেতন কাঠামো, বিভিন্ন দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে প্রতিনিয়ত পোস্ট পাবলিশ করার চেষ্টা করি।

এই রকম তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। পরবর্তীতে আলোচনা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url