প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা - গাজর খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন
গাজর শীতকালীন সবজি। শীতকালে বাজারে অহরহ গাজর দেখতে পাওয়া যায়। এই গাজর আপনি কাঁচা বা রান্না করে খেতে পারেন। গাজরে বিটা ক্যারোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম রয়েছে যা সু-স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ করে প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা কী ? এবং গাজর খাওয়ার নিয়ম জানতে চেয়েছেন। সুতারাং প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা - গাজর খাওয়ার নিয়ম জানতে পোষ্টটি ধৈর্য্য ধরে পড়তে থাকুন।
নিজেকে সুস্থ রাখতে মৌসুমী শাক-সবজি, ফলমূল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। গাজর তেমনি একটি শীতকালীন সবজি। পুরো শীত জুড়ে বাজারে গাজর দেখতে পাওয়া যায়। গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা - গাজর খাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা
- গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | গাজর খাওয়ার উপকারিতা | গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
- গাজর খাওয়ার নিয়ম
- প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা | প্রতিদিন গাজর খেলে কি হয়
- কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা | কাঁচা গাজর খেলে কি হয়
- গাজরের ক্ষতিকর দিক | কাঁচা গাজর খাওয়ার অপকারিতা
- গাজর খাওয়ার সময়
- গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
- গাজর খেলে কি গ্যাস হয়
- লেখকের মন্তব্য
গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | গাজর খাওয়ার উপকারিতা | গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা
সুস্থ থাকতে পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাবার খেলে দেহের সমস্ত প্রকার রোগ থেকে মুক্তি মেলে। আমরা গাজর খাই কিন্তু গাজর খেলে কি কি উপকার মিলে তা আমরা জানি না। গাজর বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে১, ফাইবার, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস।গাজরের উপকারি দিকগুলো জানলে আপনি অবাক হবেন তবে এটাও সত্যিই যে গাজরের যেমন উপকারি দিক রয়েছে অনুরুপভাবে অতিরিক্ত খেলে তা হীতের বিপরীত হতে পারে। শরীরের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে। এই পর্বে আমরা গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
গাজর খাওয়ার উপকারিতাঃ-
দৃষ্টি-শক্তি ভালো রাখেঃ- ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। গাজরে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখের দৃষ্টিশক্তিকে শক্তিশালী করে। নিয়মিত গাজর খেলে রাতকানা রোগ সহ চোখের যে কোন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ- গাজর ফাইবারের অন্যতম উৎস। যাদের খাবার হজম হয় না, হজম-শক্তি দুর্বল, খাবার খেলে বমি চলে আসে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভূগছেন তারা গাজর খান। এতে করে হজমশক্তি বৃদ্ধি পাবে।
হাড় সুস্থ রাখেঃ- গাজরে ক্যালসিয়াম রয়েছে। হাড়ের বিকাশে, হাড়ের সুস্থতার জন্য খাদ্য-তালিকায় গাজর রাখুন। এতে করে হাড় মজবুত, শক্তিশালী হবে।
আরো পড়ুনঃ- আদা খাওয়ার নিয়ম - ভরা পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা জানুন
হার্ট-সুস্থ রাখেঃ- পটাসিয়ামের একটি বড় অংশ গাজরে রয়েছে। যাদের হার্ট দুর্বল তাদের জন্য গাজর বেশ উপকারি। গাজরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, প্রদাহ-প্রতিরোধ করে হার্ট সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ত্বক সুস্থ রাখেঃ- অল্প-বয়সে যাদের ত্বক ঝুলে গেছে বা ত্বকের দাগ, ছোপ, ব্রণ, বলিরেখা জনিত সমস্যা রয়েছে তারা ত্বকের সুস্থতার জন্য গাজর খান। কেননা, গাজরে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ত্বকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ত্বক রাখে সুস্থ, উজ্জল, প্রাণবন্ত।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ- ক্যান্সার প্রতিরোধে গাজর দারুণভাবে কার্যকরী। গাজরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যে কোন ধরণের ক্যান্সার যেমনঃ- প্রোস্টেট, কোলন বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ- যারা নিজেদের শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত তাদের উচিত রোজ নিয়ম করে গাজর খাওয়া। কেননা, গাজরে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। ফাইবারের অন্যতম উৎস গাজর। গাজর খেলে দীর্ঘক্ষণ ধরে ক্ষুধার চাপ অনুভব হয় না।
কোলেস্টেরল হ্রাসঃ- গাজর কোলেস্টেরল এর ঝুঁকি হ্রাস করে। কোলেস্টেরল এর কারণে হার্ট-অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুতারাং নিয়মিত গাজর খেলে কোলেস্টেরল এর মাত্রা হ্রাস পাবে।
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখেঃ- শীতকালে খুব দ্রুত ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। গাজরে থাকা পটাসিয়াম উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে, ত্বকের পটাসিয়ামের অভাব দূর করে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে নানান ধরণের সংক্রমণ, ভাইরাস দেহে প্রবেশ করে। এতে দেহে নানান ধরণের রোগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। গাজরে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যে কোন ধরণের সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখাঃ- অনেকের চুল পড়ে যায়, চুল আগা ফেটে যায়, চুলের গোড়া দূর্বল হয়ে যায় এরকম নানান ধরণের সমস্যা চুলের হয়ে থাকে। গাজরের ভিটামিন, মিনারেল উপাদান চুলের স্বাস্থ্য ধরে রাখে। চুল রাখে উজ্জল, প্রাণবন্ত।
দাঁতের ভালো রাখেঃ- দাঁতের গোড়া দুর্বল, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত ঝরে এমন নানান সমস্যা হয়ে থাকে আমাদের দাঁতে। গাজরের পুষ্টি উপাদান দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি। গাজর খেলে দাঁত পরিষ্কার হয়, দাঁত গোড়ায় খাবার জমতে বাঁধা দেয়।
আরো পড়ুনঃ- প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা - পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে
জন্ডিস দূরঃ- যেকোন বয়সের মানুষের এখন জন্ডিস হচ্ছে। গাজর খেলে জন্ডিস হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। সুতারাং জন্ডিস প্রতিরোধে রোজ খাদ্য-তালিকায় গাজর রাখুন।
লিভার ভালো রাখেঃ- গাজরে থাকা ভিটামিন এ লিভারে কার্যকারিতা উন্নত করে। লিভার থেকে টক্সিন দূর করে। লিভার সুস্থ রাখে।
অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করেঃ- ত্বকের কোন স্থান কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে সেখানে গাজরের রস লাগিয়ে দেন এতে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাসঃ- গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে। সুতারাং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে খাদ্য তালিকায় গাজর রাখুন।
কৃমি রোগ প্রতিরোধঃ- শিশুদের পেটে সব থেকে কৃমি সমস্যা হয়। গাজরের রস পান করলে এই কৃমির রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিঃ- গাজরের বিটা ক্যারোটিন মস্তিষ্কের ক্ষয় রোধ করে। স্মৃতি-শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
গাজর খাওয়ার অপকারিতাঃ-
- অতিরিক্ত গাজর খেলে ভিটামিন এ এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এতে হতে পারে আপনার ত্বকের স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হওয়ার আশংকা রয়েছে। কেননা, গাজরে বিটা ক্যারোটিন আছে।
- গাজর খেয়ে সূর্যের আলোতে দাঁড়ালে ত্বকে হলদে ভাব দেখা দিতে পারে। যদি এটি সাময়িক সমস্যা বলে ধরা হয়।
- যাদের এলার্জি প্রবলেম রয়েছে তারা স্বল্প পরিমাণে গাজর খান। অতিরিক্ত গাজর খেলে এলার্জি প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
- ডায়াবেটিসের রোগীরা অল্প মাত্রায় গাজর খেতে পারেন। কেননা, গাজরের মিষ্টির পরিমাণ বেশি। যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মারাত্নক।
- গাজর খেলে হজম-শক্তির উন্নতি হয়। তবে অতিরিক্ত গাজর খেলে গ্যাস, ডায়রিয়া, পেট ফোলা এই ধরণের সমস্যা উপস্থিত হতে পারে।
- অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার কারণে মহিলাদের বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়।
গাজর খাওয়ার নিয়ম
গাজর খাওয়ার তেমন বিশেষ কোন নিয়ম নেই। গাজর কাঁচা অবস্থায় যা খেতে পারেন, সবজির মতো রান্না করে খেতে পারেন। রান্না করা গাজর বেশিক্ষণ চুলায় রাখা উচিত নয়। রান্না করা গাজর ঠান্ডা হলে তার পর খাওয়া উচিত। আলু যে ভাবে ভর্তা করা হয় আপনি চাইলে ভর্তার মতো করে খেতে পারেন। বয়স্ক বা শিশুরা ব্লেন্ডারের সাহায্যে গাজরের জুস করে খেতে পারেন। গাজর হালুয়া বানিয়ে খেতে পারেন। তবে কাঁচা অবস্থায় গাজর খাওয়াটা স্বাস্থের জন্য ভীষণ উপকারি।
প্রতিদিন গাজর খাওয়ার উপকারিতা | প্রতিদিন গাজর খেলে কি হয়
প্রতিদিন গাজর খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় আপনারা অনেকে জানেন না। গাজর শরীরের জন্য পুষ্টিকর মৌসুমী সবজি। এর উপকার অনেক। প্রতিদিন গাজর খেলেঃ-
- দৃষ্টি-শক্তি ভালো থাকবে।
- দেহের হাড় মজবুত হবে। ত্বক, দাঁড়ের মাড়ি, চুলের স্বাস্থ্য উজ্জল প্রাণবন্ত হবে।
- কোলেস্টেরল দূর হবে। স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। স্মৃতি-শক্তি বাড়বে।
- জন্ডিস দূর হবে। লিভার ভালো থাকবে।
- গাজর ক্যান্সার রোধ করে।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেবে। ইহা অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করবে।
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা | কাঁচা গাজর খেলে কি হয়
আমরা অনেকে গাজর কাঁচা অবস্থায় খায়, আবার অনেকে রান্না করেও খায়। অনেকে জানতে চেয়েছেন কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। গাজর রান্নার চাইতে কাঁচা অবস্থায় খেলে তা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। কাঁচা গাজরের উপকারিতা গুলো হলোঃ-
- গাজরে থাকা পুষ্টিকর উপাদান গুলো শরীরে ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্য বজায়। এতে করে ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায় বা মুড সুইং এর প্রবণতা হ্রাস পায়।
- গাজর খেলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা, দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। যারা ব্রণ, ত্বকের দাগ-ছোপ নিয়ে চিন্তিত তারা কাঁচা গাজর বা গাজরের রস খান। এতে উপকার মিলবে।
- দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গাজর খেলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর হয়। শরীর থাকে রোগ-বালাই মুক্ত, সুস্থ, প্রাণবন্ত।
- গাজরের থাকা ভিটামিন এ অভাবে চোখের দৃষ্টি-শক্তি লোপ পায় এবং জেরোফথালমিয়া রোগ হয়। গাজর খেলে চোখের যাবতীয় রোগ-বালাই দূর হয়।
- গাজর খেলে ফ্রি-র্যাডিকেলস দূর হয়। ফ্রি-র্যাডিকেলস এর কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। সুতারাং ক্যান্সারের ঝুঁকি রোধে গাজর খান। গাজরের থাকা পটাসিয়াম উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- গাজরে থাকা ক্যালসিয়াম উপাদান শরীর হাড় মজবুত করে এবং দেহ গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।ইহা অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ করে।
- গাজরের ভিটামিন এ, বি, সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ফলিক এসিড গর্ভবর্তী নারীদের জন্য ভীষণ উপকারি।
- গাজরে থাকা পুষ্টি উপাদান গুলো ফুসফুসে থাকা সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। শ্বাসনালির প্রদাহ দূর করে।
গাজরের ক্ষতিকর দিক | কাঁচা গাজর খাওয়ার অপকারিতা
গাজর স্বাস্থ্যের জন্য যতটা উপকারি অনুরুপভাবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। যেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। উপকারের কথা ভেবে আমরা অনেক সময় ঘন ঘন খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলি। যার ফলে শরীরে নানান ধরণের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। গাজরের ক্ষতিকর দিক হলোঃ-
- অতিরক্ত গাজর খাওয়ার কারণে চেহারার স্বাভাবিক রং পরিবর্তন হয়ে যায়।
- প্রসূতি মায়ের বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়।
- এলার্জি উপদ্রব লক্ষ করা যায়।
- গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।
- ডায়াবেটিসের রোগীরা গাজর খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- অতিরিক্ত গাজর খেলে দাঁতের ব্যথা অনুভব হতে পারে। যাদের মাড়ি দুর্বল।
- পেটের জ্বালাপোড়া হয়ে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গাজর খাওয়ার সময়
গাজর খাওয়ার বিশেষ কোন সময় নেই। আপনি খাওয়ার আগে বা পরে, খালি পেটে বা ভরা পেটে গাজর খেতে পারেন। সব থেকে ভালো হয় সকালের নাস্তা এবং দুপুরের খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে কাঁচা গাজর বা গাজরের জুস খেলে। তাছাড়া আপনি দুপুরের বা রাতের তরকারি হিসেবে গাজরের সবজি এবং সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে গাজরের হালুয়া খেতে পারেন।
গাজর খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়
জ্বি, গাজর খেলে ত্বক ফর্সা হয়। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। যা ত্বকের ভিতর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে। ত্বকের টিস্যু মেরামত করে। ত্বককে উজ্জল, সতেজ, প্রাণবন্ত। গাজর খেলে ত্বকের উজ্জলতা ফুটে উঠে। সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনী রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে গাজর। গাজর খেলে ত্বকের দাগ-ছোপ, ব্রণের প্রকোপ দূর হয়।
গাজর খেলে কি গ্যাস হয়
জ্বি, গাজর অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা জানি শুধু ভাজা-পোড়া, তেল জাতীয় খাবার খেলেই গ্যাস হয়। কিন্তু অতিরিক্ত গাজর খেলে যে গ্যাস, বমি বমি ভাব, ক্ষুধা হ্রাস, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা এই ধরণের সমস্যা হয়। যা আমরা অনেকে জানি না বা এড়িয়ে চলি। গাজরে থাকা ভিটামিন এ এর পরিমাণ বেড়ে গেলে এই ধরণের সমস্যা হয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আমরা এই পোস্টে স্বাস্থ্যবিষয়ক টিপস গাজর খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। পোস্ট পড়ে আপনি নিশ্চয় জানতে পেরেছেন গাজর খেলে কি কি উপকার হয়, গাজরের ক্ষতিকর দিক কোন গুলো সে সম্পর্কে। আমরা আমাদের সাইটে এই ধরণের স্বাস্থ্যবিষয়ক পোস্ট প্রতিনিয়ত পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url