সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা - জলপাই আর জয়তুন কি এক
চলছে জলপাই এর মোৗসুম। জলপাই এর আচার এর কথা মনে পড়লে জিহবায় জল চলে আসে। টক স্বাদের এই ফল জ্যাম, জেলি, আচার, চাঁটনি, তৈরিতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পোস্টে সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা - জলপাই আর জয়তুন কি এক ? এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। সুতারাং সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা - জলপাই আর জয়তুন কি এক তা জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
বাংলাদেশে যতগুলো পরিচিত মুখরোচক মৌসুমী ফল রয়েছে তার মধ্যে জলপাই অন্যতম। জলপাই খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় ? জলপাই এর পুষ্টিগুণ কি ? তা আমরা জানি না। জলপাই আর জয়তুন কি এক ? এমন প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খায়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা
- জলপাই এর উপকারিতা | অলিভ ফল খাওয়ার উপকারিতা
- সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা
- জলপাইয়ের অপকারিতা
- জলপাই আচার
- জলপাই আচার এর উপকারিতা
- জলপাই গাছের ইংরেজি নাম
- জলপাই গাছ কোন জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়
- জলপাই চাষ পদ্ধতি
- জলপাই গাছের বৈশিষ্ট্য
- জলপাই ইংরেজি কি | জলপাই in english
- জলপাই এর আরবি নাম কি
- জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায়
- জলপাই আর জয়তুন কি এক
- জলপাই ফল কি রকম দেখতে
- লেখকের মন্তব্য
জলপাই এর উপকারিতা | অলিভ ফল খাওয়ার উপকারিতা
যত গুলো পরিচিত ফল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো জলপাই। ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস হলো জলপাই। সাধারণত জলপাই তরকারীর চাইতে জ্যাম, জেলি, আচার, চাঁটনি তৈরিতে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। অনেকে সারা বছর ধরে জলপাই এর আচার সংরক্ষণ করে থাকে। এই সুস্বাদু ফলে রয়েছে নানান রকমের পুষ্টিগুণ যা আপনাকে অবাক করবে।
জলপাই এর উপকারিতা
হজমে সহায়তাঃ- জলপাই খেলে গ্যাস্ট্রিক-আলসার এর প্রবণতা কমে যায়। বিপাকক্রিয়া ঠিক-মতো কাজ করতে পারে। জলপাই খোসায় প্রচুর পরিমাণে আঁশ রয়েছে যা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে, হজম-শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ- ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস জলপাই। ইহা ফ্রি-র্যাডিক্যালস ধ্বংস করে, কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। জলপাই ক্যান্সার প্রতিরোধ দারুণ কার্যকরী।
হাড়ের ক্ষয় রোধঃ- বয়সের ভারে হাড় ক্ষয় হয়ে যায়। তাই হাড়ের সুরক্ষার জন্য জলপাই তেল খান, শরীরে মালিশ করুন। জলপাই তেলে প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে যা হাড়ের ক্ষয় রোধে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ- আদা খাওয়ার নিয়ম - ভরা পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
লৌহের ঘাটতি পূরণঃ- লৌহিত রক্তকণিকা পুরো দেহে অক্সিজেন সরবরাহ করে। লোহিত রক্তকণিকার অভাব হলে পুরো দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি পড়ে। এতে শরীর দূর্বল হয়ে যায়। তাই লৌহের ঘাটতি পূরণে জলপাই ডায়েটে যুক্ত করুণ।
চোখের যত্নঃ- চোখের যত্নে জলপাই অন্যতম। চোখ ওঠা, রাতকানা রোগ, চোখ দিয়ে পানি ঝরা এই জাতীয় সমস্যা দূর করতে জলপাই ওষুধের মতো কাজ করে।
রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ- রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে জলপাই। সুতারাং ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য জলপাই সেরা।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ- বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রমাণ মিলেছে, জলপাইয়ে থাকা লিনোলিক অ্যাসিড শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেয়। সুতারাং যারা শরীরের মেদ নিয়ে চিন্তিত তারা ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ডায়েটে জলপাই যুক্ত করুন।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জলপাই খাদ্য-তালিকায় রাখুন। কেননা, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস জলপাই।
ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণঃ- হাড়, পেশি, স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য জলপাই খাদ্য-তালিকায় রাখুন। কেননা জলপাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে।
সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা
হেমন্তকালে বাজারে অহরহ জলপাই দেখতে পাওয়া যায়। এই জলপাই যেমন রান্না করে খাওয়া হয় তেমনি জলপাই সিদ্ধ জ্যাম, জেলি, আচার তৈরি করে খাওয়া হয়। জলপাই পাঁকলে আপনি নুন, মরিচ, কাসুন্দি, চিনি একত্রে মাখিয়ে খেতে পারেন। এই জলপাইয়ের আচার সারা বছর সংরক্ষণ করে খাওয়া যায়। ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশি নিরাময়ে জলপাই খাদ্য-তালিকায় রাখুন। জলপাই কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায় না, কারণ প্রচুর টক। জলপাই সিদ্ধ করে আচার তৈরি করে বা নুন, মরিচ, কাসুন্দি মাখিয়ে খাওয়া হয়। সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতাঃ-
অ্যালার্জি প্রতিরোধঃ- ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস জলপাই যা ত্বকের ক্ষতি সরাতে, ইনফেকশন দূর করত অ্যালার্জি নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যঃ- ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাই তেল দারুণ উপকারী। জলপাই তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর। জলপাই তেল চুলে গোড়া মজবুত করে, চুল পড়া রোধ করে, মাথা ঠান্ডা রাখে। যে কোন প্রকার ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
পিত্তথলিত পাথরঃ- ডায়েটে জলপাই যোগ করলে পিত্তথলিতে পিত্তরস ঠিক মতো কাজ করে। এতে করে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ- পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা - পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয় জেনে নিন
হ্রদরোগের ঝুঁকি হ্রাসঃ- জলপাই খারাপ কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। রক্তে যখন কোলেস্টেরল এর মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্টের অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুতারাং স্ট্রোক থেকে বাঁচতে ডায়েটে জলপাই যোগ করুন।
প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াইঃ- জলপাই তে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
জলপাইয়ের অপকারিতা
জলপাইয়ের অপকারিতাঃ- জলপাই একাধিক স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে। জলপাই এর একাধিক উপকারিতা থাকা স্বত্তেও এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। শুধু জলপাই খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা জানলে হবে না, অতিরিক্ত জলপাই খেলে কি কি ক্ষতি হয় তা আমাদে জানা দরকার। কেননা, জলপাইয়ে উপকারি, অপকারি উভয় দিক রয়েছে। এ জন্য পরিমিত পরিমাণে খাওয়া দরকার।
অতিরিক্ত জলপাই খেলে হতে পারেঃ-
- ডায়রিয়া
- কলেরা
- গ্যাস্ট্রিক
- বমি বমি ভাব
- লো ব্লাড প্রেসার
- কিডনির প্রবলেম
- রক্তক্ষরণের ঝুঁকি ( রক্ত পাতলা করে এমন ওষুধ + জলপাই খেলে এমনটা হতে পারে )।
জলপাই আচার
জলপাই আচারঃ- আপনারা যারা জলপাই এর আচার তৈরির কথা ভাবছেন তাদের জন্য এই পর্বটি গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই পর্বে আমরা কিভাবে জলপাই আচার তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
জলপাই উপকরণঃ-
- জলপাই - ১ কেজি
- গুড়া - ১/২ কেজি
- শুকনো মরিচ ১.৫ টেবিল চামচ
- সরষে বাটা ১ টেবিল চামচ
- পাঁচফোড়ন ১/২ চামচ
- ধনে গুড়া ১ টেবিল চামচ
- রসুন কুচি আধা কাপ
- দারুচিনি ৪/৫ টুকরো
- তেজপাতা ২/৩ টি
- এলাচ ২/৩ টি
- ভিনগার আধা কাপ
- লবণ প্রয়োজন মতো
জলপাই আচার রন্ধন প্রণালীঃ- প্রথমে জলপাই সুন্দর করে ধুয়ে ফালা ফালা করে কাটুন। এরপর সিদ্ধ করুন। সিদ্ধ করা হয়ে গেলে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কড়াই গরম করে পাঁচ ফোড়ন, রসুন কুচি, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়ুন। এরপর মসলা, গুড়া দিন। এরপর সিদ্ধ জলপাই দিয়ে ভালো করে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নিন। হালকা তাপে ১৫-২০ মিনিট চুলায় রাখার পর ভিনেগার দিয়ে নেড়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। ৫-১০ মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুন।
জলপাই আচার এর উপকারিতা
জলপাই আচার এর উপকারিতাঃ- আমরা অনেকে জলপাই রান্না করে খায় আবার অনেকে তরকারীতে টক স্বাদের জন্য জলপাইয়ে ফালা কেটে দেয়, অনেকে সারা বছর ধরে জলপাই এর স্বাদ উপভোগ করার জন্য জ্যাম, জেলি, আচার, চাঁটনি করে থাকে। সুতারাং আপনি জলপাই যেভাবে খান না কেন এর উপকারি, অপকারি উভয় দিক রয়েছে। এই পোস্টে আমরা জলপাই এর উপকারিতা, অপকারিতা উভয় দিকই আলোচনা করেছি।
জলপাই গাছের ইংরেজি নাম
জলপাই গাছের ইংরেজি নামঃ- জলপাই ( Olive ) গাছ ( tree ). জলপাই গাছের ইংরেজি নাম Olive tree.
জলপাই গাছ কোন জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়
জলপাই গাছ কোন জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়ঃ- জলপাইকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের টক জাতীয় ফল হিসেবে ধরা হয়। এটা ইন্দোচীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশে, দক্ষিণ আফ্রিকা, উত্তর-দক্ষিণ আমেররিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া চাষ হয়।
জলপাই চাষ পদ্ধতি
এ পর্বে আমরা জলপাই চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। জলপাই চাষ করার পূর্বে আপনাকে কিছু নিয়ম মানতে হবে। কিভাবে জলপাই চাষ করবেন নিম্নে ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলোঃ
চারা তৈরিঃ- যদি জলপাই এর বীজ থেকে চারা তৈরি করতে চান তাহলে বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙ্গাতে হবে। বীজ বপনের পূর্বে ২৪ ঘন্টার মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে করে সহজে বীজ ফেটে চারা তৈরি হবে। তবে বীজ থেকে চারা তৈরি করে ফল পেতে ৫/৭ বছর লাগতে পারে। যদি কলম চারা যেমনঃ- চোখ কলম, গুঁটি কলম, শাখা কলম রোপন করা হয় তাহলে ফল পেতে ১/১.৫ বছর সময় লাগতে পারে।
চারা রোপনের আদর্শ সময়ঃ- মে-অক্টোবর এই সময় চারা রোপন করার আদর্শ সময়। তবে জমিতে সেচের ব্যবস্থা থাকলে বছরের যেকোন সময় চারা রোপন করা যায়।
আরো পড়ুনঃ- আনারস খেলে কি এলার্জি হয় - গর্ভাবস্থায় আনারস খেলে কি হয় জেনে নিন
জমি নির্বাচনঃ- জমি নির্বাচনের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে নাকি ? জলপাই গাছ পানি একদম সহ্য করতে পারে না। বর্ণার পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে চারা রোপন করতে হবে। জমির আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
চারার দূরত্ব এবং গর্ত করাঃ- চারার দূরত্ব ৮-১০ মিটার পর পর হতে পারে। গর্ত হতে হবে ৯০ সেঃমি মতো। গর্ত করার পর ১০-১৫ দিন ভালোভাবে রোদ খাইয়ে নিতে হবে যাতে করে জীবাণু না থাকে।
মাটিতে যে সারা গুলো দিবেনঃ- গোবর সার, পটাশ, এএসপি, জিপসাম, দস্তা সার। এবং জৈব সার বেশি প্রয়োগ করতে হবে। কতটুকু সার প্রয়োগ করতে হবে তা একজন কৃষিবিদের কাছ থেকে জেনে নিন।
চারা রোপন, পরিচর্যা, জলসেচঃ- চারা গোড়া যেন কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গাছ রোপনের পর চারদিকে বেড়া দিতে হবে। মাটিতে রস আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজনে জলসেচ দিতে হবে ২/৩ সপ্তাহ পর পর সেচ দিতে হবে। শীতকালে সেচের প্রয়োজন কম পড়ে। কারণ ঐ সময় মাটিতে রস থাকে।
পরিচর্যাঃ- গাছে কোন ডাল, পোকা, পাতা রোগে আক্রান্ত হলে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত বাগান পরিদর্শন করতে হবে। গাছে যেন কোন প্রকার আগাছা না জমে, আলো-বাতাস যেন পর্যাপ্ত থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
রোগের জন্য পরিচর্যাঃ
পাতা পোড়া রোগঃ- ডাইথেন এম ৪৫২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
দাদ রোগ হলেঃ- ম্যানকোজেব ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
জাব পোকাঃ- অল্প আক্রান্ত হলে ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। বেশি আক্রান্ত হলে এডমেয়ার ০.৫ মিলি প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফল ছিদ্রকারী পোকাঃ- টাফগার ২ মি.লি.প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফল সংগ্রহঃ- জলপাই কাঁচা, পাঁকা দেখতে একই রকম। জলপাই গাছ থেকে নামানোর সময় জাল বিছিয়ে নামাতে হবে যাতে মাটিতে পড়ে ফেটে না যায়। হেমন্তকাল এই সময় বাজারে ফল দেখতে পাওয়া যায়। তাই এসময় ফল উত্তোলনের আদর্শ সময়। অক্টোবরের মাঝামাঝি হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই সময় ফল উত্তোলনের আদর্শ সময় বলে বিবেচিত হয়।
জলপাই গাছের বৈশিষ্ট্য
জলপাই ইংরেজি কি | জলপাই in english
জলপাই এর আরবি নাম কি
জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায়
জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায়ঃ- বাংলাদেশে জলপাই ইংরেজি মাস সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। বাংলা মাস শরৎকাল - হেমন্তকাল এ দুই মাসে বাজারে জলপাই ফল দেখতে পাওয়া যায়। শীতকালে গাছের পাতা পুরোপুরি ঝরে পড়ে। মার্চ-এপ্রিলে গাছে নতুন পাতা আসে। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে জলপাই রঙের ফুল ফোটে। জলপাই ফুলের রঙ সাদা যা দেখতে আকর্ষণীয়।
জলপাই আর জয়তুন কি এক
জলপাই আর জয়তুন কি একঃ- না, আমাদের দেশের জলপাই এবং পবিত্র কোরআনে বর্ণিত জয়তুন এক নয়। জয়তুন জলপাইয়ের থেকে ছোট হয় এবং এগুলো দেখতে কালো রঙের হয়। পরিবেশগত কারণে জলপাই এবং জয়তুন এর মাঝে অমিল থাকলেও ঔষধি গুণে খানিকটা মিল পাওয়া যায়। বস্তুত, জয়তুন ফলকে বরকতময় ফল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাদিসঃ- ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা (জয়তুনের) তেল খাও এবং তা শরীরে মালিশ করো। কেননা এটি বরকত ও প্রাচুর্যময় গাছের তেল। (তিরমিজি: ১৮৫১)। নবী (সাঃ) পছন্দের একটি ফল জয়তুন।
জলপাই ফল কি রকম দেখতে
জলপাই ফল কি রকম দেখতেঃ- জলপাই এর গড়ন অনেকটা আমড়ার মতো। আমড়া চামড়া মোটা হয় আর জলপাই এর চামড়া পাতলা হয়। জলপাই এর শাঁস খেতে টক, ইহা ভিটামিন সি - অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস। জলপাই এর ভিতর শক্ত আঁটি বা বীজ থাকে। জলপাই এর জ্যাম, জেলি, আঁচার, চাঁটনি বেশি খাওয়া হয়। কেউ যদি খাবারে টক পছন্দ করে তাহলে জলপাই এর ফালা তরকারীতে দিয়ে দিলে হয়ে টক স্বাদের তরকারি।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা সিদ্ধ জলপাই এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আরও আলোচনা করা হয়েছে জলপাই আর জয়তুন কি এক, জলপাই এর উপকারিতা, অলিভ ফল খাওয়ার উপকারিতা, জলপাইয়ের অপকারিতা, জলপাই আচার, জলপাই আচার এর উপকারিতা, জলপাই গাছের ইংরেজি নাম, জলপাই গাছ কোন জলবায়ু অঞ্চলে দেখা যায়, জলপাই চাষ পদ্ধতি, জলপাই গাছের বৈশিষ্ট্য, জলপাই ইংরেজি কি | জলপাই in english, জলপাই এর আরবি নাম কি, জলপাই কোন মাসে পাওয়া যায়, জলপাই ফল কি রকম দেখতে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি পোস্টটি পড়ার পর জলপাই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা জানতে পেরেছেন। এই রকম স্বাস্থ্যবিষয়ক টিপস আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে হাজির হব ভিন্ন কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url