মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় - মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার
এই পোস্টে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়, মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার কোন গুলো সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। অনেকে এমন রয়েছে যারা সামান্য কথা তে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যায়। মস্তিস্ক যখন গরম হয়ে যায়, ব্রেইন যখন কোন কিছু লোড নিতে পারে না তখনই মানুষ উত্তেজিত হয়ে যায়। সুতারাং আপনি যদি মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় - মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
মেজাজে পরিবর্তন বা মুড সুইং এর বেশি শিকান হন নারীরা। সারা-দিনের কাজের চাপ, টেনশন, পারিবারিক ঝামেলার কারণে মানুষের মেজাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমন অবস্থায় মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে খাদ্যাভাসের কারণেও মেজাজের বিশেষ পরিবর্তন হয়। চলুন তাহলে আর দেরি না করে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় - মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়
- মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার
- মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম
- মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর বদঅভ্যাস
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কৌশল
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ
- মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার
- মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়
- উপসংহার
মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার
মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবারঃ- শরীরের গুরুত্বর্পূ অঙ্গ হলো ব্রেইন। ব্রেইন পুরো শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুস্থ ব্রেইন দ্বারা সুস্থ মানুষকে বোঝায়, অসুস্থ ব্রেইন দ্বারা পাগল বা উন্মাদ মানুষকে বুঝায়। শরীর ও মন সুস্থ রাখতে ব্রেইন বা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেয়া জরুরি। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেমনঃ- ডিম, ফুলকপি, ব্রুকলি, বাদাম, মাছের তেল, ডার্ক চকলেট, গ্রিন টি, অ্যাভোকাডো, কমলা এই খাবার গুলো মস্তিষ্কের জন্য উপকারি। যে খাবার গুলো মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি সেই খাবার গুলো খাদ্য-তালিকায় রাখতে হবে। আর যে খাবার গুলো খেলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় সেই খাবার গুলো পরিহার করতে হবে। আপনারা গুগলে সার্চ করে মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার গুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ-
চিনিঃ- চা, কফি খায় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। চা বা কফির সাথে কম-বেশী আমরা চিনি খেয়ে থাকি। তাছাড়া মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারে চিনির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি খেলে এটা শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। চিনি যে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে তাই নয় চিনির ফ্রুকটোজ মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে দেয়। ফলে মানুষ যে কোন কিছু অল্পতেই ভুলে যায়।
কোল্ড ড্রিংকসঃ- খাবার খাওয়ার পর পরই অথবা গরমে একটু স্বস্থি পেতে আমরা কোল্ড ড্রিংকস পান করি। আপনি কি জানেন এই কোল্ড ড্রিংকস আপনার ব্রেইনের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে ? গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোল্ড ড্রিংকস জাতীয় পানীয় পান করার ফলে ব্রেইন স্ট্রোকের আশংকা বেড়ে যাচ্ছে। তাই কোল্ড ড্রিংকস অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে পান করতে পারেন।
ভাজা বা পোড়া জাতীয় খাবারঃ- বিকালের নাস্তা ভাজা বা পোড়া ছাড়া চলেই না। ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার খেতে চাই না এমন লোক নাই বললেই চলে। কাবাব, চিকেন চাপ, গ্রিল, বার্গার, ফাস্ট ফুড এই জাতীয় খাবার গুলো যতই জনপ্রিয় হোক না কেন এগুলো ব্রেইনের স্বাস্থের জন্য উপযোগী নয়। এই খাবার গুলোতে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে যা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এই খাবার গুলো মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি করে, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস করে দেয়।
জাঙ্ক ফুডঃ- এখন খাবার মানেই জাঙ্ক ফুড। স্বাস্থ্যকর খাবারের চেয়ে মানুষ এখন মুখরোচক খাবারের দিকে বেশী ঝুঁকছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো জাঙ্ক ফুড। চিপস, বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পিজ্জা এগুলো জাঙ্ক ফুডের মধ্যে অন্যতম। এক নাগাড়ে অনেক দিন এই খাবার গুলো খেলে স্মরণ শক্তি হ্রাস পেতে বেশী সময় লাগবে না। তাই এ জাতীয় খাবার গুলো খাওয়া কমিয়ে দেন আজই।
অতিরিক্ত লবণঃ- লবণ বেশীও খাওয়া যায় না আবার কমও খাওয়া যায় না। লবণ ছাড়া তরকারীও স্বাদ হয় না। লবণে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সোডিয়াম। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য দৈনিক ২.৫ গ্রামের বেশী লবণ খাওয়া উচিত নয়।
সাদা আটা, সাদা রুটি, সাদা পাস্তাঃ- এই খাবার গুলোতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স এর মাত্রা বেশি। ইহা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই খাবার গুলো মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। মাসিক চলছে এমন নারীদের জন্য এই খাবার গুলো বিষন্নতা বাড়িয়ে দেয়। এই খাবার গুলোর পরিবর্তে লাল চাল, লাল আটা খান। এটা কাজে দিবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারঃ- বাজারে এখন প্রক্রিয়া জাত খাবারে চাহিদা বেশি। প্রক্রিয়া জাত মাছ, মাংস, চিকেন, সমুচা, নাগেটস এগুলো বাজারে পাওয়া যায়। মেহমান এলে আমরা এই গুলো রান্না করে পরিবেশন করি। এই খাবার গুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় বরং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
টুনা মাছঃ- অতিরিক্ত টুনা মাছ খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। স্মরণ শক্তি হ্রাস পায় এমনকি ডিমেনশিয়া হয়ে যেতে পারে।
সয়া বড়িঃ- এখানে উচ্চ মাত্রায় লবণ থাকে এবং সোডিয়ামের মাত্রা বেশি যা থেকে হাইপার-টেনশন হতে পারে। এতে মস্তিষ্কের রক্তচাপ কমে গিয়ে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
ধূমপান, অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্যঃ- এই গুলো সেবন করলে মস্তিষ্কের কোষ গুলো ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে করে ব্রেইনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য ব্রেইনের সুস্থতার জন্য এই নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন পরিহার করতে হবে।
কমলার জুসঃ- অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে করে আপনার সঠিক সিধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ- এই প্রক্রিয়াজাত তেল যা তুলা বীজ, সূর্যমুখী, সয়াবিন এবং সাফলোয়ার বীজ থেকে নিষ্কাশিত হয় যা খেলে মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে।
ডায়েট সোডাঃ- গরমে শরীর কে ঠান্ডা রাখতে আমরা ডায়েট সোডা খেয়ে থাকি। এই ডায়েট সোডা খেলে ব্রেইন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
লাল মাংসঃ- এগুলো শরীর গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তবে এটা মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত মাত্রায় একটানা লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত হয়। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে সক্ষম।
মাখনঃ- খেতে সুস্বাদু হলেও প্রতিদিন মাখন খাওয়া একেবারে উচিত নয়। প্রতিদিন মাখন খেলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম
মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়ামঃ- শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ও মনের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত শরীর চর্চা করলে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়ে, মস্তিষ্কের কোষগুলো বিকশিত হয়, সৃজনশীল বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, চিন্তাভাবনার জায়গুলো সহজ হয়, সহজে যেকোন বিষয়ের উপর সিধান্ত নেয়া যায়। আপনারা গুগলে সার্চ করে মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। যে ব্যায়াম গুলো করলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকবেঃ-
- জোরে হাঁটা
- দৌড়ানো
- দড়ি লাফানো
- সাইকেল চালানো
- নাচের কার্ডিও ক্লাস
- অ্যারোবিকস
- নৃত্য
- যোগ ব্যায়াম
- ধ্যান
- তাই চি
- খেলাধুলা যেমনঃ- ক্রিকেট, ফুটবল, হকি সহ অন্যান্য যে খেলাধুলা করলে শরীর থেকে ঘাম ঝরে।
মস্তিষ্কের জন্য স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাসঃ-
- বই পড়া
- লেখালেখি
- ছবি আঁকা
- ছবি তোলা
- দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরতে যাওয়া
- বাগান করা
- নিজের পছন্দের কাজ বেশি করে করা
- বাড়িতে কোন প্রাণী পোষা যেমনঃ- পাখি, বিড়াল, মাছ চাষ, ছাদ বাগান
- সময়ের কাজ সময়ে করা, এতে করে ব্রেইনের উপর চাপ কম পড়ে
- পড়া পড়ার পর পুনরায় স্মরণ করার চেষ্টা করা
- মনে মনে অঙ্ক করা
- ডায়েরি লেখা
- ছন্দ মেলানো
- রুবিকস কিউব
- সুডোকু
- জিগস পাজল,
- ক্রসওয়ার্ড পাজল
- দাবা খেলা
- অপরিচিত বই পড়া, অপরিচিত জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বাড়ানো
- নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করা যেমনঃ- রান্না শেখা, অদৃশ্য কোন কিছু আয়ত্ত করার চেষ্টা করা, আঞ্চলিক বা ভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, কারিগরি কোন কাজ শেখা যেখানে মাথা খাটাতে হয়।
মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর বদঅভ্যাস
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কৌশল
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধঃ- আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে চান তাহলে আপনাকে খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু বাজে স্বভাব পরিবর্তন করতে হবে। স্মৃতি-শক্তি লোপ পাওয়ার নানান কারণ রয়েছে যেমনঃ- ঘুমের অসুবিধা, মানসিক চাপ, অপুষ্টি, শারীরিক রোগ ইত্যাদি। কিছু টিপস দেওয়া হলো এগুলো মেনে চলুন আশা করি অবশ্যই উপকৃত হবেন।
যে সকল খাবার খেলে স্মৃতি-শক্তি বাড়েঃ-
- কাঠবাদাম
- মধু
- দারুচিনি
- ডার্ক চকলেট
- তৈলাক্ত মাছ
- ব্লুবেরি
- ওটস
- আখরোট
- কাজু বাদাম
- পেস্তা বাদাম
- কুমড়োর বীজ
- সূর্যমুখীর বীজ
- তিল বীজ
- গ্রিন টি
- ওমেগা–থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
- বিভিন্ন মৌসুমী ফল, শাকসবজি
যে সকল অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবেঃ-
- রাতা জাগা বন্ধ করুন
- দীর্ঘক্ষণ ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- চিনি জাতীয় খাবার, ধূমপান, ভাজা পোড়া, কোল্ড ডি্রংকস, অতিরিক্ত লবণ, সাদা আটা, সাদা রুটি, প্রক্রিয়াজাত খাবার, টুনা মাছ, সয়া বড়ি পরিহার করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সহজ ব্যায়াম হাঁটা-চলা করা।
- নামাজ পড়ুুন, বই পড়ুন, ছবি আঁকুন
- উপরের প্যারায় বর্ণিত মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম গুলো করতে থাকুন।
- সকালের নাস্তা দ্রুত করুন।
- বেশি করে পানি পান করুন।
- অতিরিক্ত চাপ নিবেন না।
- অলস ভাবে বসে না থেকে নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন।
- নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন।
- একা একা চলাফেরা করা, একা থাকা বন্ধ করুন। সামাজিক হওয়ার চেষ্টা করুন।
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবারঃ- এমন মানুষ আছে যারা অল্পতেই রেগে যায় আবার এমনও আছে যারা সহজে রাগান্বিত হয় না। কিছু খাবার যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর খেলে মেজাজ খিট-খিটে হয়ে যায়। এজন্য আমাদের খাবার গ্রহণের পূর্বে স্বাস্থ্যকর খাবার বাছাই করা দরকার। যা খেলে ব্রেইন সতেজ থাকবে। নিচে কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো যেগুলো খেলে আপনার ব্রেইন ঠান্ডা থাকবেঃ-
- জিংক সমৃদ্ধ খাবার
- ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
- ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
- মটরশুঁটি
- ওমগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার
- ডালিম বা আনার
- চা, কফি
- ডিম
- দুধ
- কমলা লেবু
- পালংশাক
- কলা
- ব্রকলি
- হলুদ
- ওটসমিল
- পাউরুটি
- অ্যাভোকাডো
- ডার্ক-চকলেট
- হলুদ,সবুজ জাতীয় শাক-সবজি ফলমূল
- বেরি জাতীয় ফল যেমনঃ- ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি
- বাদাম যেমনঃ- কাঠবাদাম, পেস্তা বাদাম, আখরোট, কাজু বাদাম, চিনাবাদাম ইত্যাদি
- বীজ যেমনঃ- কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিল বীজ ইত্যাদি।
- চর্বিযুক্ত মাছ যেমনঃ- স্যামন, সার্ডিনস, তেলাপিয়া ইত্যাদি
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়
মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়ঃ- প্রতিকূল পরিবেশে ব্রেইনকে ঠান্ডা রাখতে আমাদের বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চলতে হবে। যদি আমরা আমাদের মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে না পারি তাহলে অনেক সহজ কাজ আমাদের কাছে কঠিন লাগবে। উদাহারণঃ- যদি আপনার ম্যাথ পরীক্ষা হয় তাহলে আপনার শিক্ষক আপনাকে প্রথমে সহজ ম্যাথ করার পরামর্শ দিবে। যদি পরীক্ষা জটিল ম্যাথ দিয়ে শুরু করেন আর যদি ভূল হয় তাহলে ঐ পরীক্ষাটা কঠিন হয়ে যাবে। এজন্য মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে আমাদের যেমন কিছু ট্রিকস মেনে চলতে হয় অনুরুপভাবে দৈনন্দিন জীবনের কিছু অভ্যাস মেনে চলতে হয় তাহলে আশানুরুপ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
- অতিরিক্ত কথা না বলা
- নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করা
- ইন্টারনেটে আসক্ত না হওয়া, ইউটিউব-ফেসবুক কম ব্যবহার করা।
- কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেজে শান্ত রাখার চেষ্টা করা
- বেশি বেশি পানি পান করা
- রোজ শরীর চর্চা করা
- উপরে বর্ণিত পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গুলো বেশি করে খাওয়া
- কাজে ফাঁকে বিরতি নিন
- নতুন চ্যালেঞ্জ কে স্বাগত জানান
- বেশি বেশি বই পড়ুন
- টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখুন
- উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করুন
- কিছুক্ষণ চোখ বুজে থাকুন
- পক্ষে-বিপক্ষে সব কিছু হাসি-মুখে গ্রহণ করুন
- নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন
- যে ভালো কাজ আপনি পছন্দ করেন ঐ কাজ বেশি করে করুন
- মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর ঐ সকল খাবার পরিহার করুন, যা প্রথম প্যারায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে
উপসংহার
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এই পোস্টে মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার, মস্তিষ্ক ভালো রাখার ব্যায়াম, মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর বদঅভ্যাস, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির কৌশল, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া ঔষধ, মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার খাবার ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url