কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
উচ্চতর ডিগ্রি নিতে বাইরের দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে কার না ইচ্ছে করে ! সেটা যদি হয় স্বপ্নের দেশ কানাডা ! এই পোস্টে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তবে বাইরের দেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে হলে কিছু নিয়ম-কানুন আছে যা আপনাকে মানতে হবে এবং কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে। কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
উচ্চ শিক্ষা জন্য পৃথিবীর বহু দেশ ছাত্র-ছাত্রীরা কানাডা যায়। এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্ব মানের, বহুজাতীর সংস্কৃতির মানুষ কানাডা বাস করে, এখানকার জীবনযাত্রার মান বাহিরের দেশের শিক্ষার্থীদের মুগ্ধ করেছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা - কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা
- কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে
- কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৩
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
- কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
- কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৩
- কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ
- কানাডায় পড়াশোনার খরচ
- কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
- কানাডা এম্বাসি ফি কত
- কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত- জরুরি প্রশ্নের উত্তর
- লেখকের মন্তব্য
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে
যদি কাগজ পত্র সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে ৬০ থেকে ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। আর কাগজ পত্রের মধ্যে যদি গলদ থাকে তাহলে সময় বেশি লাগতে পারে। তাছাড়া কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করতে একটু বেশি সময় লাগে।কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে কত টাকা লাগে | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ | কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৩
স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে হলে আপনাকে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। স্কলারশিপ পেয়ে কানাডা গেলে সেখানে খরচ কম। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে হলে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আর স্কলারশিপ নিয়ে কানাডা গেলে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট
ব্যাংক স্টেটমেন্ট যে কারণে দরকারঃ- যেহেতু কানাডা জীবন-যাত্রার খরচ বেশি তাই কোন স্টুডেন্ট চাইলে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাবে না। এক্ষেত্রে থাকে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক সময়ে আপনার ব্যাংকের লেনদেনের তথ্য, ব্যাংকে ব্যালেন্স কত আছে, কানাডা যাওয়ার আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে ইস্যুকৃত ব্যাংক স্টেটমেন্টকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। কানাডা গিয়ে আপনি পড়াশোনা, বাসস্থান, খাবার খরচ, টিউশন ফিস, অন্যান্য খরচ চালাতে পারবেন কিনা এই জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হয়।
আরো পড়ুনঃ- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2024 - কানাডা যাওয়ার যোগ্যতা: আপডেট
কার ব্যাংক স্টেটমেন্ট লাগবেঃ- এক্ষেত্রে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর বাবা-মা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, বাবা না থাকলে মা এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মা না থাকলে বাবার ব্যাংক স্টেটমেন্ট, মা-বাবা কেউ থাকলে ভাই বোনের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা ঐ শিক্ষার্থীকে যে স্পন্সর করছে তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্টে স্পন্সরের ব্যাংকের আয়ের উৎস দেখাতে হয়।
কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আপনারা গুগলে সার্চ করে কানাডা ভিসা পেতে কতদিন লাগে তা জানতে চেয়েছেন। এখন কানাডা ভিসা পেতে একটু সময় লাগছে। তবে আপনি নিজেই কানাডা ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগবে জানতে পারবেন এই নিয়ম অনুসরণ করেঃ-
১) প্রথমে আপনাকে এই লিংকে প্রবেশ করতে হবে।
২) এর পর আপনাকে নিচে স্ক্রল করে এই অপশনে ক্লিক করুন
৩) এর পর আপনি Check processing times দেখতে পাবেন। এর application ঠিক করার পর get processing time এ ক্লিক করলে আপনার ভিসা পেতে কত দিন সময় লাগবে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
৪) এই ভিসা কোনো কোনো সময় দ্রুত পাওয়া যায় আবার কোন কোন সময় দেরি হয়।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতা
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতাঃ- উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বহু শিক্ষার্থী কানাডা যায়। তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম পছন্দের দেশ কানাডা। এর কারণ হলো জীবনযাত্রা, পড়াশোনার মান উন্নত এবং পড়াশোনা শেষে রয়েছে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ। অন্যান্য দেশে যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা রয়েছে কানাডা তেমন কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি আপনি চাইলে এদেশে পার্ট-টাইম জব করতে পারেন। বর্তমানে কানাডা কে মনে করা হয় উচ্চ শিক্ষার স্বর্গরাজ্য। তবে স্বপ্নের দেশ কানাডা যেতে আপনার যোগ্যতা থাকতে হবে এবং কিছু নিয়ম মানতে হবে। কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনি স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে পারবেন সেটি মূল আলোচ্য বিষয়ঃ
- বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে
- সদ্য-তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- জাতীয় পরিচয় পত্র / জন্ম সনদ
- যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন তার অফার লেটার
- IELTS স্কোর সর্বনিম্ন ৬.৫
- আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- আপনি সর্বশেষ যে প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছেন তার প্রশংসাপত্র
- ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
মূলত এই কপি গুলো থাকলেই আপনি কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর বাহিরেও যদি কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় তাহলে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দিবে।
কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং
কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করার পর সব ডকুমেন্ট ঠিক মতো জমা দেওয়ার পর আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। ডকুমেন্টে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ভিসা প্রসেসিং সময় লেগে যেতে পারে। ডকুমেন্ট সব ঠিক থাকার পর আপনার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগবে। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য এজেন্সি কর্তৃপক্ষ বা কানাডিয়ান দুতাবাসে যোগাযোগ করুন। কানাডা এম্বাসি ঠিকানাঃ- হাউজ#১৬ এ,রোড# ৪৮,গুলশান ২,ঢাকায় অবস্থিত।
কানাডা যাওয়ার খরচ কত ২০২৩
কানাডা যাওয়ার খরচ কত এটা নির্ভর করবে আপনি কোন ভিসায় কানাডা যাবেন সেটার উপর। অধিকাংশ মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসায়, স্ট্যাডি ভিসায়, টুরিস্ট ভিসায় কানাডা আসে।
স্ট্যাডি ভিসার খরচঃ- ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
ওয়ার্ক-পারমিট ভিসার খরচঃ- ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
টুরিস্ট ভিসার খরচঃ- ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
ভিজিট ভিসার খরচঃ- ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা অসুবিধা
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার সুবিধা পাশাপাশি কিছু অসুবিধা আছে। যেগুলো সম্পর্কে আমাদের আগে থেকে অবগত হওয়া দরকার। কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার অসুবিধার চেয়ে সুবিধা বেশি। যার কারণে প্রতিবছর বহু শিক্ষার্থী কানাডা যাওয়ার জন্য আবেদন করে এবং তাদের প্রথম পছন্দের উচ্চ-শিক্ষার দেশ কানাডা।
সুবিধাঃ-
- কানাডা শিক্ষা-ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের। আপনি কানাডা থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পৃথিবীর যেকোন দেশে গিয়ে জব করতে পারবেন।
- শিক্ষা-জীবনে আর্থিক চাপ সব থেকে বড় সমস্যা। বহু শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। কানাডা স্কলারশিপ, বৃত্তির সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। আপনি সেই সুযোগ লুপে নিতে পারেন।
- বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেশন জট হয়, কানাডা রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই বললেই চলে।
- বহু - আন্তর্জাতিক ভাষা ভাষীর দেশ কানাডা। বহু সংস্কৃতির মানুষের দেখা মিলবে এখানে। সকলের সাথে সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে এখানে।
- আপনি সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট-টাইম জব করতে পারবেন। পড়া-শোনা শেষ হলে স্থায়ীভাবে কাজের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
- পড়াশোনা শেষ করে আপনি চাইলে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
- কানাডার নিরাপদ পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে।
অসুবিধাঃ-
এখানকার জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলকভাবে বেশি। যেমনঃ- বাসস্থান, খাবার খরচ, অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় একটু বেশি। এই ব্যয়গুলো মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা গেলে নিদিৃষ্ট ক্ষেত্রে পার্ট টাইম জব পাবেন যার সপ্তাহে ২০ কর্ম-ঘন্টা। স্টুডেন্ট ভিসায় ভিন্ন সেক্টরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ কম। সঠিক ভাবে কাগজ পত্র জমা দেয়ার পরও কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। এখানকার আবহাওয়া দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ঠান্ডা থাকে। গরম আবহাওয়ার মানুষদের জন্য মেনে নেওয়া একটু কঠিন।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি
বাহিরের দেশে সফর করতে গেলে সব থেকে বড় সমস্যা হয়ে দালালদের ফাঁদ। যারা বাহিরের দেশে যেতে চাচ্ছেন তাদের অবশ্যই এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে কানাডিয়ান হাইকমিশন দূতাবাসে যোগাযোগ করুন এটাই সব থেকে ভালো।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ
স্ট্যাডি গ্যাপ হলো আপনার লেখা-পড়ার বিরতি। ধরুণ, আপনি HSC পাশ করার পর ৩ বছর পড়া গ্যাপ দিয়েছেন। এখন আপনি উচ্চতর ডিগ্রি জন্য কানাডা পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন কানাডা ভিসা অফিসার অবশ্যই আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কেন ৩ বছর পড়া গ্যাপ দিয়েছেন। সেজন্য আপনাকে একটি যুক্তিসঙ্গত ব্যাখা দাঁড় করাতে হবে। যদি আপনার ব্যাখা সন্তুষজনক হয় তাহলে আপনি সহজে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেয়ে যাবেন। অন্যথায় এটা হতে পারে ভিসা না পাওয়ার কারণ।
কানাডায় পড়াশোনার খরচ
৯ জুন ২০২৩ সালের ডাটা অনুযায়ী, অনেকে কানাডা গিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা পোষণ করে। যদি কেউ বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করতে চাই তাদের বলব ভিসা খরচ বাদে আরও যে কয়েক বছর কানাডায় থাকবেন তার আনুষঙ্গিক খরচ কত হবে সে বিষয়টি ক্যালকুলেশন করবেন। অনেক সময় মাঝ-পথে পড়ালেখা আটকে যায়। সব কিছু মাথায় রেখে আপনার যদি আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে তবেই বাইরে গিয়ে পড়াশোনার চিন্তা করুন। কানাডায় পড়াশোনার খরচ ১ বছরে কত হবে তার ধারণা নেওয়া যাকঃ-
পাসপোর্ট তৈরির খরচ
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী
- সাধারণ =(২১ কর্মদিবস)= ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা।
- জরুরি=(১০ কর্মদিবস)= ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা।
- অতিব জরুরি=(২ কর্মদিবস)= ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
যদি পাসপোর্ট ৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী
- সাধারণ ফিস ৫,৭৫০টাকা
- জরুরি ফি ৮,০৫০ টাকা
- অতিব জরুরি ফি ১০,৩৫০ টাকা
পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদী
- সাধারণ ফি ৬,৩২৫ টাকা
- জরুরি ফি ৮,৬২৫ টাকা
- অতিব জরুরি ফি ১২,০৭৫ টাকা
পাসপোর্ট ৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদী
- সাধারণ ফি ৮,০৫০ টাকা
- জরুরি ফি ১০,৩৫০ টাকা
- অতিব জরুরী ফি ১৩,৮০০ টাকা
আইইএলটিএস ( IELTS)- ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হবে কোচিং করতে।
IELTS পরীক্ষার ফিঃ ২০ হাজার টাকার মতো।
কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন খরচঃ- আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সঃ- ৫০০ টাকার একটি চালান বাংলাদেশ ব্যাংক বা সোনালী ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
সার্টিফিকেট ট্রান্সক্রিপ্ট ও কুরিয়ার খরচঃ- ৪ হাজার টাকার মতো।
নোটারি ও অ্যাসেট ভ্যালুশন খরচঃ- ১৫ হাজার টাকার মতো।
ট্যাক্স ফাইলঃ- আনুমানিক ৫ হাজার টাকা।
বায়োমেট্রিকঃ- ৬,৬৬৩ টাকা ( আনুমানিক)
ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফিঃ- ১১ হাজার ৭০০ টাকা।
মেডিকেল ফিঃ- ১৩ হাজার ২৬০ টাকা।
বিমান ভাড়াঃ- প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হবে।
কেনাকাটাঃ- আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা ( অপশনাল)
টিউশন ফিঃ- ১ সেমিস্টারে খরচ হবে ৩ লক্ষ টাকা।
অন্যান্য খরচঃ- প্রথম কয়েক মাস চলার খরচ আপনাকে রাখতে হবে প্রায় ৫-১০ লক্ষ টাকা হ্যান্ডক্যাশ রাখতে হবে। আরও অনেক বিষয় রয়েছে যা এখানে উপস্থাপন করা সম্ভব হয় নি। আরও বিস্তারিত জানতে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ বা কানাডিয়ান দুতাবাসে যোগাযোগ করুন।
কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
এটা নির্ভর করবে ভিসার উপর। এই লিংকে চাপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা ফি কত বিস্তারিত জেনে নিন।
টুরিস্ট ভিসা ফিঃ- বায়োমেট্রিক ফিস ৬৯৪২ টাকা, ভিসা ফি ৮,১৬৭ টাকা, নোটারি ফি ২০০০ টাকা, সব মিলিয়ে ১৭,১১০ টাকা লাগবে।
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফিঃ- ২,৪৫,০৩১ থেকে ৩,২৬,৭০৮ টাকা পর্যন্ত।
স্টুডেন্ট ভিসা ফিঃ- - ২০০$ থেকে ৩৫০$ কানাডিয়ান ডলার পর্যন্ত।
কানাডা এম্বাসি ফি কত
সরকারি ভাবে কানাডা গেলে এম্বাসি ফি কম লাগে। এই এম্বাসি ফি নির্ভর করবে ভিসা ক্যাটাগরির উপর। স্টুডেন্টে ভিসায় ফি হবে ৯০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা। টুরিস্ট ভিসায় ফি হবে ৬৫০০ টাকা। ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ফি হবে ১০,১০০ থেকে ১৬,৬০০ টাকা। ভিসা ফি যদি কম-বেশি হয় তাহলে সেটা আপনাকে এজেন্সি কর্তৃপক্ষ বা বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডা এম্বাসিতে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত- জরুরি প্রশ্নের উত্তর
১) কানাডা যেতে ielts কত পয়েন্ট লাগে ২০২৪ ?
উত্তরঃ- ৬.৫ পয়েন্ট লাগবে
২) Ielts ছাড়া কি কানাডা যাওয়া যায় ?
উত্তরঃ- স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে হলে ielts স্কোর ৬.৫ হতে হবে। টুরিস্ট ভিসায় Ielts প্রয়োজন নেই।
৩) কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে ?
উত্তরঃ- সব ডকুমেন্টস ঠিক মতো জমা দেওয়ার পরও ২ থেকে ৩ মাস সময় লাগে
৪) কানাডা যাওয়ার জন্য কত বছর বয়স লাগে ?
উত্তরঃ- পড়াশোনার জন্য কানাডা যেতে হলে বয়স ১৮ প্রযোজ্য। আর ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডা যেতে হলে বয়স ২১ প্রযোজ্য।
৫) বাংলাদেশে কানাডা এম্বাসি কোথায় ?
উত্তরঃ- হাউজ#১৬ এ,রোড# ৪৮,গুলশান ২,ঢাকায় অবস্থিত
যোগাযোগের ঠিকানাঃ-
ফোন নম্বর: +৮৮০-২-৯৮৮৭০৯১
ফ্যাক্স নম্বর: +৮৮০-২-৮৮২৬৫৮৫, +৮৮০-২-৮৮২৩০৪৩
ই-মেইল এড্রেস: dhaka@international.gc.ca
অফিসিয়াল ওয়েবসাইটঃ- dfait-maeci.gc.ca/bangladesh
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়েছেন। এই রকম ভিসা সম্পর্কিত তথ্য আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সাইটে পাবলিশ করে থাকি।
এই রকম তথ্যবহুল পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য ধরে সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে আজ এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আলোচনা হবে অন্য কোন টপিকস নিয়ে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url