গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি - গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি ? গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। গর্ভাবস্থায় অনেক সাধারণ খাবার নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। সে সংশয় দূর হওয়া জরুরি সেটা মনে করে আমরা এই পোস্টটি তৈরি করেছি। গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি তা জানতে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
গর্ভাবস্থায় খাবারে প্রতি একটু সতর্ক হওয়া দরকার। অনেক খাবার রয়েছে যা গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় যেমনঃ- কাঁচা পেঁপে, বার্লি। চলুন তাহলে আর দেরি না করে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি - গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না তা জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি
- গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
- গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
- গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
- লেখকের মন্তব্য
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি
গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিঃ- জ্বি, লেবু খাওয়া যাবে। লেবু ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস বলে বিবেচনা করা হয়। এই ফলকে সুপার ফুড বলা হয়। গর্ভবর্তী নারী ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য লেবু খুব উপকারি। টক স্বাদের এই ফল সরাসরি খাওয়া যায় না। লেবুর শরবত বানিয়ে বা খাবারে লেবুর রস যোগ করে খাওয়া হয়। তবে লেবুর শরবত বেশি জনপ্রিয়। গর্ভবর্তী নারীরা লেবু খেলে যেসকল উপকার পাবেনঃ-
- গর্ভকালীন সময়ে অনেকের মুখের রুচি হারিয়ে যায়। সুতারাং মুখের রুচি ফেরাতে লেবুর শরবত খান।
- কাঁটা স্থানের ক্ষত দ্রুত সারাতে লেবুর কোন বিকল্প নেই।
- যাদের বমি বমি ভাব লেগেই থাকে, খাবার হজম হয় না তারা ১ চিমটি লবণের সাথে লেবুর খান এতে করে হজম শক্তি বাড়বে, বমি বমি ভাব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
- লেবুর মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান রয়েছে যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমাতে সাহায্যে করে। সুতারাং লেবুর রস দেহে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে, হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- লেবুর ফাইবার উপাদান অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- যাদের দেহে চর্বির পরিমাণ বেশি তাদের চর্বি কাটাতে লেবুর রস খান। এতে উপকার মিলবে।
- ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে যে তরল উপাদান গুলো বের হয়ে যায় তা পূরণ করতে হাইড্রেটিং ফল লেবুর রস খান।
- লেবুর পটাসিয়াম উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য লেবুর রস খুবই উপকারী। কেননা, ইহা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর অন্যতম উৎস। সুতারাং গর্ভবর্তী মা ও নবজাতকের ত্বকের সুস্থতার জন্য লেবুর রস খান। এতে উপকার মিলবে।
- লেবুর ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, উচ্চ মাত্রায় কপার, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,পটাসিয়াম, ভিটামিন সি উপাদান ভ্রণের বিকাশে ভূমিকা রাখে।
- ইহা অ্যালার্জি, হাঁপানি, পেটের যেকোন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
- ইহা গর্ভবর্তী নারীর ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
- গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ থেকে বেঁচে থাকতে সাইট্রাস ফল লেবুর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য গুণাগুণ। দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে জ্বর, সর্দি, কাশি হতেই থাকে। সুতারাং দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি, লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খান। এতে করে বিভিন্ন রোগ-সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে আপনাকে রাখবে সুস্থ।
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে নাঃ- একজন গর্ভবর্তী মা কে নিজের এবং তার অনাগত শিশুর স্বাস্থ্যের বিকাশে বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এজন্য সঠিক গাইডলাইন মোতাবেক খাদ্যাভাস তৈরির কোন বিকল্প নেই। যে সকল খাবার গুলো ভ্রণের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই সকল খাবার গুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। অন্যদিকে যে খাবার গুলো ভ্রণের বিকাশে বাধাগ্রস্থ করে এবং গর্ভ পাতের ঝুঁকি বাড়ায় সেই খাবার বা পানীয় পরিহার করুন। যেহেতু গর্ভকালীন এই সময় টা নারীদের জন্য বিশেষ মুহুর্ত তাই এই সময় খাদ্যাভাসে একটু সতর্ক থাকা দরকার।
আরো পড়ুনঃ- গর্ভাবস্থায় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয় জেনে নিন
- কাঁচা দুধ বা কাঁচা দুধ দিয়ে তৈরি যে কোন ধরণের খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ এই খাবার গুলোতে লিসটেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। যা নানান ধরণের রোগ তৈরি করে।
- যেকোন প্যাকেট-জাতীয় খাবার ক্রয়ের পূর্বে মেয়াদ দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিহার করুন। কারণ এই খাবার গুলোতে ব্যাকটেরিয়া থাকে যা গর্ভবর্তী মা ও নবজাতক শিশুর স্বাস্থ্য জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- কাঁচা বা পুরোপুরি রান্না হয় নি এরকম যে কোন ধরণের মাংস, মাছ বা পোড়া মাছ, কম সিদ্ধ ডিম, ডিমের পোচ, হাফ বয়েলড ডিম, অঙ্কুরিত বীজ, শিম, খাদ্যশস্য, কাঁচা মূলা, যেকোন ধরণের সবজি এই গুলো পরিহার করতে হবে।
- গবাদি পশু যকৃত বা অন্যান্য (বিশেষ) অঙ্গের মাংস পরিহার করুন। কেননা, এই মাংসে বিষক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে।
- চা, কফি এক কথায় ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে। কারণ এই গুলো গর্ভ-পাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
- সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। কারণ এই মাছ গুলো ভ্রণের বিকাশে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। এর কারণ হলো সামুদ্রিক মাছে পারদের পরিমাণ বেশি।
- পনির বা চিজ দিয়ে তৈরি খাবার যেমনঃ-বার্গার পরিহার করুন। কারণ, এই পনির বা চিজ পাস্তুরিত থাকে না। অপাস্তুরিত চিজ বা পনির এই গুলো কাঁচা দুধ থেকে তৈরি হয়। এখন আপনি যদি বার্গারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য পনির বা চিজ গর্ভকালীন সময়ে খান তাহলে এটা মা এবং নবজাতক শিশুর জন্য বিপদজনক।
- কলিজা তে ভিটামিন এ এর পরিমাণ প্রচুর মাত্রায় থাকে। আমাদের একটি ভূল ধারণা রয়েছে যত বেশি ভিটামিন গ্রহণ করবে ততই তা নবজাতকের জন্য ভালো হবে। বিষয়টি মোটেও ভালো না। গর্ভাবস্থায় প্রথম দিকে ভিটামিন এ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণের কারণে গর্ভপাতের আশংকা তৈরি হতে পারে। তাই কোন ভিটামিন জাতীয় খাবার কতটুকু খাওয়া দরকার তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।
- অ্যালকোহল, মদ্যপান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন পরিহার করতে হবে। এই গুলোর কারণে নবজাতক শিশুর একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিতঃ- গর্ভাবস্থায় কোন ফল খাওয়া উচিত, কোন ফল খাওয়া উচিত নয় এমন নানান প্রশ্ন নিয়ে আমরা গুগলে সার্চ করি। গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে নিজের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। কেননা, তার প্রতিটি বিষয়ের উপর তার অনাগত সন্তানের কল্যাণ নির্ভর করে। এমন অনেক ফল আছে যা গর্ভকালীন সময়ে স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারি।
কলাঃ- কলা উচ্চ কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ একটি ফল। এটা দেহে প্রচুর শক্তি যোগায়। যা গর্ভাবস্থায় নারীদের জন্য খুবই উপকারি। গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের চাহিদা পূরণে কলা প্রয়োজনীয় একটি ফল। ইহা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা হ্রাস করে।
আপেলঃ- লৌহ, পটাসিয়াম, আঁশ এর অন্যতম উৎস আপেল। ইহা দেহে এনার্জি তৈরি করে, শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করে।
কমলাঃ- কমলা অতি পরিচিত সুস্বাদু একটি ফল। ইহা ভ্রণের মস্তিষ্কের বিকাশে ভূমিকা রাখে। সুতারাং গর্ভবর্তী নারীদের উচিত খাদ্যতালিকায় কমলা রাখা।
তরমুজঃ- এই ফলে পানির পরিমাণ বেশি। যা ঘাম আকারে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে। তবে অতিরিক্ত তরমুজ খাওয়া উচিত নয়। এতে করে পেট ফোলা সহ পেটের নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ- আমড়া খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
পেয়ারাঃ- ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস পেয়ারা। ভিটামিন সি দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এজন্য গর্ভবর্তী মায়েদের খাদ্যতালিকায় ফল হিসেবে পেয়ারা রাখা দরকার।
কিউইঃ- কিউই ফলে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড,অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ফাইবার, ভিটামিন সি ও ই যা রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা কমায়। এটা হার্টের স্বাস্থের জন্য খুবই ভালো। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
বেরি জাতীয় ফলঃ- বেরি জাতীয় ফল ফাইবার, ফোলেট, ভিটামিন সি, কার্ব এর চাহিদা পূরণ করে। এই ফল গুলো খেতে পারলে ছোট-বড় বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবেন।
অ্যাভোকাডোঃ- ইহা পটাসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি আঁতুরঘর। এই ফল খেতে পারলে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতাঃ- যত গুলো পুষ্টিকর ফল রয়েছে তার মধ্যে আতা অন্যতম। আতা একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এর বহু স্বাস্থ্য গুণাগুণ রয়েছে। বিশেষ গর্ভবর্তী নারীদের পুষ্টিকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। এসময় তাদের বেছে বেছে পুষ্টিকর খাবারের প্রতি জোর দিতে হবে। আমরা এই ওয়েবসাইটের অন্য এক পোস্টে গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছি এই লিংকে চাপ দিয়ে পড়ে নিন।
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না
গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে নাঃ- কিছু কিছু ফল আছে যা গর্ভপাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সুতারাং সেই সমস্ত ফল গুলো পরিহার করতে হবে। গর্ভাবস্থা একজন নারীর জীবনের বিশেষ মুহুর্ত। এসময় তাকে নিত্য-নতুন নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়। এ সময় নানান ধরণের দুশ্চিন্তা জীবনের উঁকি দেয়। এসময় স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার গুলো পরিহার করতে হবে। পাশাপাশি যে ফল গুলো গর্ভ-পাতের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তা এড়িয়ে চলতে হবে।
পেঁপেঃ- আধা পাঁকা বা কাঁচা পেঁপে কে গর্ভপাতের জন্য দায়ী করা হয়। তাই গর্ভকালীন পুরো সময় জুড়ে পেঁপে না খাওয়াটাই সব থেকে ভালো হবে।
আনারসঃ- লোভনীয়, টক-মিষ্টি স্বাদের একটি ফল। দেখলেই খেতে মনে চায়। কিন্তু গর্ভকালীন সময়ে আনারস না খাওয়াটাই ভালো। আনারসের ব্রোমেলাইন উপাদান জরায়ুর পথ কোমল করে প্রারম্ভিক ব্যথা সৃষ্টি করে। এমনকি ডায়রিয়া হওয়ার ও আশংকা থাকে।
আরো পড়ুনঃ- বরই এর অপকারিতা - গর্ভাবস্থায় বরই খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
আঙ্গুরঃ- বিশেষ করে শেষের ৩ মাসে আঙ্গুর এড়িয়ে চলুন। সব থেকে ভালো আঙ্গুর না খেলে। কারণ, আঙ্গুরের রেসভেরাট্রল উপাদান হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এতে করে মা ও শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
হিমায়িত ফলঃ- ফল যাতে না পঁচে সেজন্য বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক যৌগ ব্যবহার করা হয়। গর্ভাবস্থায় এই হিমায়িত ফল এড়িয়ে চলুন। কেননা, ইহা শিশুর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। গর্ভবর্তী মায়েদের সবসময় তাজা ফল খাওয়ার প্রতি মনোনিবেশ করতে হয়।
তেঁতুলঃ- ইহা টকজাতীয় একটি ফল। যা খেলে শরীরের প্রোজেস্টেরনের উৎপাদন কমে যায়। ভ্রণের কোষের ক্ষতি করে গর্ভপাত ঘটাতে পারে। তাই একজন নারীকে গর্ভ ধারণের পুরো সময় জুড়ে তেঁতুল এড়িয়ে চলতে হবে।
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতাঃ- একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে লিভার পেইন কমে যায়। খেজুর কে পুষ্টির আঁতুরঘর বলা হয়। কেন গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া দরকার ? গর্ভাবস্থায় খেজুর খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় তা আমাদের জানা প্রয়োজন। যেহেতু একটি দেহের মধ্যে দিয়ে আরেকটি জীব বেড়ে উঠে তাই এ সময় একজন গর্ভবর্তী মায়ের পুষ্টিকর খাবারের বাহিরে চিন্তা করার সুযোগ নেই।
আরো পড়ুনঃ- খেজুরের ২০টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
- খেজুর জরায়ুর পেশী শক্তিশালী করে। এতে করে সন্তান প্রসবের কাজটি সহজ করা হয় এবং প্রসব পরবর্তী সময়ে রক্তপাতের সম্ভাবনা কমে যায়।
- খেজুরের ল্যাক্সেটিভ উপাদান রয়েছে যা জরায়ু সংকোচনে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। এতে করে অনেকাংশে প্রসব বেদনা হ্রাস পায়।
- একজন গর্ভবর্তী নারীকে সন্তান প্রসবের জন্য প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। খেজুরের নিউট্রিয়েন্টস উপাদান গুলো শরীরে শক্তি যোগায়।
- গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে খেজুর খেলে সার্ভিক্স মজবুত হয় এতে করে কৃত্রিম বা স্বাভাবিক উপায়ে প্রসব প্রক্রিয়া শুরু হয়।
- গর্ভবর্তী মহিলাদের শরীরে প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। এজন্য দ্রুত শরীরে রক্ত উৎপাদন করতে গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পরে খেজুর খান।
- ফ্যাটি এসিডের অন্যতম উৎস খেজুর এতে করে সারভাইক্যাল মাসল ফেলিক্সিবল হয়। এতে করে প্রসবের কাজ সহজ হয়, ব্যথা বেদনা কম কম অনুভূত হয়।
- খেজুর গর্ভবর্তী নারীর শারীরিক দুর্বলতা দূর করে, শরীরে শক্তি যোগায় খুব দ্রুত।
- ইহা গর্ভবর্তী মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে হজম শক্তি উন্নতি ঘটায়।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ যে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো সেভাবে মেনে চলুন। এতে আপনার এবং নবজাতক শিশুর উপকার হবে।
এই পোস্টে গর্ভকালীন স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কি কি খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া উচিত, গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না, গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করা হয়। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url