গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ - গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থা নারীদের জীবনের এক বিশেষ সময়। এই সময় নারীদের প্রতিটি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আপনারা গুগলে সার্চ করে গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা জানতে চেয়েছেন। এই পোস্টে গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সুতারাং পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ - গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কোন শারীরিক জটিলতা না থাকলে ঘরের সাধারণ কাজ গুলো গর্ভাবস্থায় নারীরা করতে পারে। এতে শরীর ভালো থাকে। বাচ্চা প্রসবের সময় কষ্ট কম হয়। যে কাজ গুলো শরীরে চাপ সৃষ্টি করে ঐ কাজ গুলো করা থেকে বিরত থাকতে হবে। গর্ভবর্তী নারীদের খাবারের প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার। গর্ভকালীন সময়ে কিসমিস খাওয়া যাবে কিনা অনেকে সন্দেহ করে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা, গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে

গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবেঃ- তেঁতুল খাওয়া যাবে, তবে অতিরিক্ত নয়। অতিরিক্ত খেলে গর্ভবর্তী মা এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য জটিলতা তৈরি হতে পারে। গর্ভধারণের শুরুর দিকে নারীরা তেঁতুল খেতে পছন্দ করে। তাছাড়া নারীদের প্রিয় একটি খাবার তেঁতুল। তেঁতুল পছন্দ করে না এমন নারীর সংখ্যা খুবই কম।তেঁতুলের কিছু ক্ষতিকর দিক থাকায় বিশেজ্ঞরা অতিরিক্ত তেঁতুল খেতে নিষেধ করেছেন। অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে গর্ভকালীন সময়ে যে সকল সমস্যা হতে পারে তা নিম্নরুপঃ-

প্রোজেস্টেরন হরমোন হ্রাসঃ- তেঁতুলে ভিটামিন সি এর মাত্রা বেশি থাকায় ইহা গর্ভবর্তী মায়েদের শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। প্রোজেস্টেরল হরমোন উৎপাদন হ্রাস পেলে শিশু পরিপক্ক হওয়ার আগে জন্ম নেয়। তাছাড়া ইহা ভ্রণের কোষ নষ্ট করে দিতে পারে, এমনকি গর্ভপাতেরও আশংকা বাড়ায়

সতর্কতাঃ-

  • অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বদহজমের মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • খালি পেটে তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 
  • তেঁতুল খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাবেন।
  • যদি একান্ত তেঁতুল খেতেই হয় তাহলে ১০ গ্রামের বেশি তেঁতুল খাবেন না।
  • গর্ভধারণের ৩ মাসে তেঁতুল খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কেননা, ইহা আইবুপ্রোফেন শোষণের ক্ষমতা বাড়ায়, ইহা বিপদজ্জনক। ইহা ভ্রণের কোষ নষ্ট করে দিতে পারে।
  • ঔষধ এবং তেঁতুল পর পর খাবেন না। ইহা শারীরিক নানান জটিলতা তৈরি করতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় তেঁতুল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু অতিরিক্ত তেঁতুল খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই গর্ভকালীন সময়ে কতটুকু তেঁতুল খাওয়া উচিত তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন।

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধঃ- একজন গর্ভবতী মা কে নিজের, অনাগত শিশুর প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এ সময় খাদ্য অভ্যাস, কাজ-কর্ম সবকিছু পরিবর্তন করতে হয়। একজন গর্ভবতী নারী ঘরোয়া সব ধরনের কাজ করতে পারে না। জোর করে ঐ কাজ করতে গেলে তা তার শরীরের জন্য ক্ষতি বয়ে আনে। গর্ভকালীন এই সময় নারীদের শারীরিক- মানসিক নানান ধরণের পরিবর্তন ঘটে। ইহা তাদের জীবনের এক বিশেষ সময়।হালকা-পাতলা কাজ গুলো তারা করতে পারবে, এতে শরীর ভালো থাকবে। গর্ভবতী  নারীদের যে কাজ গুলো করা উচিত নয়ঃ-

  • গর্ভকালীন প্রথম কয়েক মাস নারীরা সব ধরণের কাজ করতে পারে। পেটে চাপ পড়ে এমন কোন কাজ করা উচিত নয়। গর্ভবতী নারীদের সব সময় মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখতে হবে, তাদের টেনশন ফ্রি রাখতে হবে, তারা যেন হাসি-খুশি থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
  • উঁচুতে ওঠে কোন কাজ করা যাবে না। যেমনঃ- ফ্যান পরিষ্কার করা, পর্দা পাল্টানো ইত্যাদি এই ধরণের কোন কাজ করা যাবে না।
  • বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা ঝুঁকে করতে হয় এমন কাজ করা যাবে না। 
  • বাথরুম পরিষ্কার করার সময় আমরা অনেকে এসিড বা রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করি। গর্ভাবস্থায় এই কাজ গুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ভারী কাজ যেমনঃ- ধান ভানা, ভারি জিনিস তোলা, টিউবওয়েল চাপা, আসবাবপত্র সরানো, মোটা/ভারী কাপড় ধোয়া যাবে না। 
  • শরীরের ঝাঁকি লাগে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। 
  • দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটা-চলা করা থেকে বিরত থাকুন।
  • বাড়িতে পোষ্য প্রাণী যেমনঃ- বিড়াল, এই গুলোর টয়লেট গর্ভবর্তী মহিলারা পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ বিড়ালের বর্জ্যে টক্সোপ্লাজমা গোনডি নামক এক ধরণের ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা গর্ভবর্তী নারী বা নবজাতকের ক্ষতি সাধন করতে পারে। যদি একান্তই বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কার করতে হয় তাহলে হাতে গ্লাবস ব্যবহার করুন, নাক-মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • গর্ভবর্তী নারীরা ক্যাফেইন জাতীয় যে কোন কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। যেমনঃ- কফি, সোডা ওয়াটার, সফট ড্রিংক, গ্রিন টি ইত্যাদি।
  • কাঁচা বা আধা সেদ্ধ জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • যেকোন ওষুধ ইচ্ছে মতো খাবেন না। ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন।
  • অনেকে ঘরের দেয়ালে পেইন্টিং করে। পেইন্টের রাসায়নিক পদার্থ গর্ভের শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যে বাড়িতে গর্ভবর্তী নারী আছে ঐ বাড়িতে পেইন্টের কাজ করবেন না।
  • গর্ভবর্তী নারীরা জুতা নির্বাচনে সজাগ হন। হিলস জাতীয় জুতা পরিধান করবেন না। এতে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসময় নিরাপদ, আরামদায়ক এমন জুতা নির্বাচন করুন।
  • ধূমপান, মদ্যপান, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন এগুলো থেকে বিরত থাকুন।
  • কোন প্রকার কুসংস্কারে মাথা দিবেন না। ডাক্তার যা বলবে তা মেনে চলবেন।

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কিঃ- করলা খাওয়া যাবে, তবে অতিরিক্ত নয়। তাছাড়া করলা গর্ভবর্তী নারীদের জন্য ভীষণ উপকারি। ইহা স্বাদে তিতো হলেও করলায় রয়েছে দারুণ সব পুষ্টিগুণ, যা গর্ভবর্তী নারীদের জন্য প্রয়োজন।

উপকারিতা

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ- করলায় কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা কম, ফাইবারের মাত্রা বেশি। গর্ভবর্তী ডায়াবেটিসের নারীদের জন্য অসাধারণ একটি খাবার। ইহা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্যে করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ- মাঝে-মধ্যে গর্ভবর্তী নারীদের হজমে জটিলতা দেখা দেয়। এই হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য গর্ভবর্তী নারীরা করলা খান। ইহা পেট ফোলা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। ইহা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- করলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি উপাদান থাকায় ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী  করে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রোগের লক্ষণ দেখা যায়। করলা  ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী  করে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ত্বক ভালো রাখেঃ- গর্ভকালীন সময়ে ত্বকে নানান জটিলতা দেখা যায়। ত্বকের দাগ-ছোপ, ব্রণ, ফুসকুড়ি সহ অন্যান্য। গর্ভকালীন সময়ে ত্বক ভালো রাখতে করলা খান। কেননা, ইহা ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ- করলা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভাবে উপকারি।

জন্মগত ত্রুটি হ্রাসঃ- করলা ফলিক এসিডের  অন্যতম উৎস। ইহা শিশুর বৃদ্ধি, বিকাশে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখে। ইহা জন্মগত  ত্রুটি হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণঃ- করলায় ক্যালরি কম থাকায় ইহা ওজন হ্রাস করতে সাহায্যে করে।

পুষ্টির চাহিদা পূরণঃ- করলা থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ , বিটা ক্যারোটিন, রিভোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, থায়ামিন পাওয়া যায়। যা গর্ভবর্তী নারীর পুষ্টির চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সতর্কতা

যে কোন জিনিসের উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক রয়েছে। উপকারিতা পেতে হলে সঠিক সময়ে নিয়ম মাফিক খেতে হবে। কারো কারো ক্ষেত্রে করলা খেলে শারীরিক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তারা অতিরিক্ত না খেয়ে অল্প পরিমাণে খাবেন। করলা খেলে যে সকল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারেঃ-

  • কারো কারো ক্ষেত্রে করলা খেলে পেটে নানান ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে যেমনঃ- বদহজম, পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি।
  • করলা বীজ কখনো কখনো শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত করলা খেলে পিরিয়ডের প্রভাব বাড়তে পারে। এতে করে গর্ভপাতের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
  • নিয়মিত কোন ওষুধের সঙ্গে করলা খেলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • করলার মেমোরকেরিন উপাদান ভ্রণ কোষের ক্ষতি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে লিভারে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
  • পুষ্টি সমৃদ্ধ কোন খাবার খাওয়ার পরেও যদি গর্ভাবস্থায় কোন জটিলতা তৈরি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো হবে।

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতাঃ-  কিসমিস পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার, যা সব বয়সের মানুষ খেতে পছন্দ করে। কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভেজানো পানি, ভেজানো কিসমিস উভয় খাওয়া যায়। রান্নায় কিসমিস দিলে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। কিসমিসে রয়েছে অনেক উপকারিতা যা বলে শেষ করা যাবে না। কিসমিসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, খনিজ,   ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনলস সহ অন্যান্য উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এমনিতে কিসমিস খেলে যে ফায়দা পাওয়া যায় অনুরূপভাবে গর্ভাবস্থায় কিসমিস খেলে একই ফায়দা পাওয়া যায়। 

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- গর্ভবতী নারীদের অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। এর অন্যতম কারণ হজম শক্তির দুর্বলতা। কিসমিস ফাইবারের অন্যতম উৎস। যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। 

রক্ত স্বল্পতা দূরঃ- গর্ভবতী নারীদের অনেক সময় রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে। এই রক্তস্বল্পতা দূর করতে কিসমিস দারুন কার্যকর। কেননা, কিসমিস আয়রনের  সেরা উৎস।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ- কিসমিস পটাশিয়াম এর ভালো উৎস। ইহা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হার্ট ভালো রাখে। 

হাড় মজবুত করেঃ- নবজাতকের হাড়ের গঠন, বিকাশে কিসমিস দারুন ভূমিকা রাখে। কিসমিস ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। কিসমিস খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- কিসমিস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর ভরপুর উৎস। যা দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফ্রি রেডিক্যালস থেকে শরীরকে রক্ষা করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ- অনেক সময় গর্ভবতী মায়েদের হুট করে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। শরীরে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিসমিস ভূমিকা রাখে। কিসমিস খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। বার বার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে যায়।  

ত্বক ও দৃষ্টি শক্তির উন্নতিঃ- কিসমিস নবজাতকের ত্বক ও চোখের দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। কেননা, ইহা ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এর সেরা উৎস।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূরঃ- গর্ভবতী মায়েদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা যায়। এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কিসমিস খান, এতে উপকার মিলবে। কিসমিস অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ- কিসমিসের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে টিউমার, কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। 

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যা গর্ভবর্তী নারীদের জানা প্রয়োজন। এই পোস্টে  গর্ভাবস্থায় কি তেঁতুল খাওয়া যাবে, গর্ভাবস্থায় কি কি কাজ করা নিষেধ, গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া যাবে কি, গর্ভাবস্থায় কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই রকম জীবন ঘনিষ্ট পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে এই ধরণের পোস্ট প্রতিনিয়ত পাবলিশ করা হয়। আজ এ পর্যন্ত, পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url