আমড়া খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

এই পোস্টে আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি খেতে চায় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রতিদিন ১টি করে আমড়া খেলে তা বহু রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করবে। ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ এই ফলটি খেলে বহু রোগ থেকে মুক্তি মেলবে। আমড়া শরীরের জন্য কতটা উপকারি অনেকেই জানি না। আপনি যদি আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা না জানেন তাহলে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আমড়া খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

চলছে আমড়ার মৌসুম। বাজারে গেলে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে আমড়ার দেখা মিলবে। সবুজ রং এর মৌসুমী ফল স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি। আমড়া কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি তরকারি রান্না করে, আচার করে, জেলি করে, চাটনি করে খেতে পারেন। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আমড়ার উপকারিতা | আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | আমড়া খাওয়ার অপকারিতা

আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতাঃ-  যতগুলো দেশীয় ফল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো আমড়া। আমড়া খেতে সুস্বাদু, ইহা পুষ্টিগুণে ভরপুর মৌসুমী একটি ফল, ইহা দামেও সস্তা। আমড়া খেলে কি কি উপকার হয় তা না জানার কারণে অনেকে এর পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পেটের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আমড়ার ব্যবহার প্রচলন আছে। আমড়া ভিটামিন সি,  আঁশ,  থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম সহ আরও অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা যায়, ১টি আপেলের চেয়ে আমড়া তে ক্যালসিয়াম, আয়রন বেশি থাকে।

আমড়ার উপকারিতা

রক্তশূন্যতা দূরঃ- আমড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন আছে যা রক্ত শূন্যতা দূর করে। রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্যে করে। আমড়া রক্তের চাহিদা পূরন করে, রক্ত জমাট বাধতে সাহায্যে করে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণঃ- আমড়া রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

পাকস্থলীর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখেঃ- আমড়ায় পেকটিন জাতীয় ফাইবার পাওয়া যায়। যা পাকস্থলীল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে, পেট ভালো রাখে।

বদহজম দূরঃ-যাদের খাবার সহজে হজম হয় না, একটু বেশি খাবার খেলে বমি হয়ে যায় তারা হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য খাদ্যতালিকায় আমড়া রাখুন এতে উপকার মিলবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ- আমড়া শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি হ্রাস করে। ইহা শরীরের প্রেসার নিয়ন্ত্রেণে সাহায্যে করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ- যাদের টয়লেট  কষা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভূগছেন তারা আমড়া খান। এতে পেট ভালো থাকবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- যখন দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখন শরীরে নানান ধরণের রোগের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। শরীরের ইম্যুনিটি স্ট্রং করার জন্য খাদ্য তালিকায় আমড়া রাখুন।

সর্দি-কাশি নিরাময়ঃ- যাদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি লেগেই থাকে তারা আমড়া খান। এতে করে সর্দি-কাশি জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মেলবে।

মুখের রুচি বৃদ্ধিঃ- যাদের মুখের অরুচি, ক্ষুধামন্দা, খাবার খেতে ভালো লাগে না তারা মুখের রুচি বৃদ্ধির জন্য খাদ্যতালিকায় আমড়া রাখুন।

ত্বক ভালো রাখেঃ- ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো আমড়া। ভিটামিন সি কোলোজেন উৎপাদন করে। যা ত্বকের সুস্থতার জন্য খুবই উপকারি। ত্বক সুস্থ ও উজ্জল রাখতে আমড়া খান। তাছাড়া আমড়া ত্বকের বলিরেখা, দাগ-ছোপ, ব্রণ নিরাময় করে।

হাড় ও দাঁত রক্ষণাবেক্ষণ করেঃ- এর ভিটামিন সি উপাদান হাড় ও দাঁত রক্ষণাবেক্ষণ করে। হাড় ও দাঁতের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে আমড়া খুবই উপকারি। যেমনঃ ইহা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। দাঁতের মাড়ি মজবুত করে, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত ঝরা রোধ করে।

পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত সঞ্চালন করেঃ- আমড়া থায়ামিন উপাদান পেশী সংকোচন এবং স্নায়ু সংকেত সঞ্চালন করতে সাহায্যে করে।

ফ্রি-র‌্যাডিকেলস দূরঃ- আমড়ার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি-র‌্যাডিকেলস দূর করে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

চোখ ভালো রাখেঃ- আমড়ার ক্যারোটিনয়েডস উপাদান চোখের স্বাস্থের জন্য উপকারি। চোখের যেকোন প্রকার রোগ যেমনঃ- রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

হাড় মজুবতঃ- আমড়ার ক্যালসিয়াম উপাদান হাড় মজবুত করে। দেহ গঠনে বিশেষভাবে সহায়তা করে।

পেটের সমস্যা দূরঃ- আমড়ার ট্যানিন নামক যৌগ পেটের যেকোন ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

মানসিক চাপ কমায়ঃ- আমড়ার বিভিন্ন উপকারি উপাদান রয়েছে মানসিক চাপ কমাতে বিশেষভাবে সাহায্যে করে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসঃ-আমড়া রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করেঃ- আমড়া শরীরের ক্ষতিকর উপাদান গুলো প্রস্রাবের সাহায্যে শরীর থেকে তরল বের করে দেয়।

আমড়া খাওয়ার অপকারিতা

আমড়া খাওয়ার অপকারিতাঃ- যেকোন মৌসুমী ফলের যেমন উপকারিতা রয়েছে অনুরুপভাবে এর কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে যা আমাদের জানা প্রয়োজন। আমড়া এর ব্যাতিক্রম নয়। অপকারিতা হলোঃ-

  • যেহেতু আমড়া টক জাতীয় ফল অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, বদহজম, পেট-ব্যথা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত খান, এতে উপকার মিলবে।
  • অনেকের মতে, গর্ভবর্তী নারীদের আমড়া খাওয়ার আগে সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ, এতে গর্ভনিরোধক উপাদান রয়েছে। যেহেতু আমড়া টক জাতীয় ফল, তাই গর্ভকালীন সময়ে আমড়া খাওয়া যাবে কিনা তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিবেন। যদি খাওয়া যায় তাহলে কতটুকু খাওয়া উচিত তা জেনে নিবেন।

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতাঃ- সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে নারীরা টক খাবারের প্রতি  একটু বেশি আসক্ত হয়। এ সময় নারীদের খাবারের একটু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। গর্ভকালীন সময়ে নারীদের খাবারের প্রতি একটু সতর্ক হওয়া দরকার।

সতর্কঃ- অনেকের মতে, গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়া উচিত নয়। যেহেতু এতে ভিটামিন সি এর মাত্রা বেশি এর কারণে ভ্রণ কোষ ক্ষতি গ্রস্থ হতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে আমড়া খাওয়া যাবে কিনা তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিবেন। যদি খাওয়া যায় তাহলে কতটুকু খাওয়া উচিত তা জেনে নিবেন।

উপকারিতাঃ-

  • রক্তশূন্যতা দূর করে, দেহে রক্তের চাহিদা পূরণ করে।
  • গর্ভবর্তী নারীদের অনেক সময় মুখের রুচি থাকে না, মুখের রুচি শক্তি বৃদ্ধির জন্য আমড়া খাওয়া যেতে পারে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
  • দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে।
  • আমড়ার ক্যালসিয়াম উপাদান গর্ভবর্তী মা, শিশুর হাড় মজবুত করে।
  • ইহা নবজাতকের চোখে, ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

আমড়ার পুষ্টিগুণ

আমড়ার পুষ্টিগুণঃ- আমড়ার শরীর গঠনে কতটা জরুরি তা আমরা আমড়ার উপকারিতা ঐ প্যারা থেকে বিস্তারিত জেনেছি। ভিটামিন, মিনারেলের অন্যতম উৎস আমড়া। দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমড়া খুবই দরকার। তাছাড়া আমড়া ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হওয়ায় দেহ গঠনে ইহা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

১০০ গ্রাম আমড়া থেকে কোন উপাদান কতটুকু পাওয়া যায় তা আমরা জানব।

  • ক্যারোটিন  - ৮০০ মাইক্রোগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম - ৫৫ মিলিগ্রাম
  • শর্করা - ১৫ গ্রাম
  • চর্বি - ০.১ গ্রাম
  • প্রোটিন - ১.১ গ্রাম
  • ভিটামিন সি - ৯২ মিলিগ্রাম
  • আয়রন - ৩.৯ মিলিগ্রাম
  • খাদ্য শক্তি - ৬৬ কিলোক্যালরি
  • ভিটামিন বি - ১০.২৮ মিলিগ্রাম
  • অন্যান্য খনিজ পদার্থ -  ০.৬ মিলিগ্রাম

আমড়া খাওয়ার নিয়ম

আমড়া খাওয়ার নিয়মঃ- আমড়া খাওয়ার তেমন বিশেষ কোন নিয়ম নেই। আমড়ার খোসা ছিলে খাওয়া শুরু করা যায়। তাছাড়া অনেকে যার যার রুচিসম্মত ভাবে আমড়া খেয়ে থাকে। যেমনঃ- আমড়া ফালা ফালা ভাবে কেটে কাসুন্দি মাখিয়ে খায়, আমড়া সাথে লবণ, গুড়া মরিচ মাখিয়ে খায়, তরকারির মতো করে রান্না করেও খাওয়া যায়, আমড়া আচার করে, চাটনির মতো করে, জেলির মতো করেও খাওয়া যায়। তাছাড়া যার যার ইচ্ছে মতো আরও অনেক ভাবেও খাওয়া যায়।

আমড়া ফল ইংরেজি কি

আমড়া ফল ইংরেজি কিঃ- এর ইংরেজি নাম হলো Hog Plum.  এর বৈজ্ঞানিক নাম হলো Spondias mombin. আমড়া সাধারণত টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। কাঁচা অবস্থায় আমড়া সবুজ রঙের হয় এবং এর স্বাদ টক -মিষ্টি। পাঁকলে আমড়া হলুদ রঙের হয় এবং টক কমে মিষ্টি হয়। সাধারণত আগষ্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই ফলটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশ, ভারত, আফ্রিকা, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্থান সহ আরও অন্যান্য দেশে এই ফল প্রচুর পরিমাণে জন্মে।

আমড়া পাতার উপকারিতা

আমড়া পাতার উপকারিতাঃ- আমড়া, আমড়ার পাতা, ছাল, আমড়ার শেকড়, আমড়ার বীজে ঔষধি গুণ রয়েছে। আমড়ার আয়ুর্বেদিক গুণ রয়েছে। আমড়ার পাতা কিভাবে ব্যবহার করা যায় এবং এর উপকারিতা কি তা আমরা জানব।

ব্যবহারঃ-

চা করেঃ-আমড়ার পাতা ধুয়ে রোদে শুকিয়ে গুড়া করে চা তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন।

রুপচর্চায় ব্যবহারঃ- আমড়ার পাতা সিদ্ধ করে এর তরল অংশ লোশন, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

উপকারঃ-

  • আমড়া পাতার চা জ্বর ও ব্যথা নিরাময় করে।
  • আমড়া পাতা কৃমিনাশক হিসেবে কাজ  করে।
  • আমড়ার পাতা দাঁতের ক্ষয় রোধ, মাড়ির প্রদাহ নিরাময়ে সাহায্যে করে।
  • আমড়ার পাতা ক্ষত সারাতে সাহায্যে করে।
  • আমড়ার পাতা কোলেস্টেরল কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে।
  • আমড়ার পাতা থেকে তৈরিকৃত লোশন, প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার ত্বকের যেকোন প্রকার সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়।
  • গবেষনা থেকে জানা গেছে, আমড়ার পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারি।
  • আমড়া গাছের ছাল ফাঙ্গাসজনিত, চর্মরোগ সংক্রমণ প্রতিহত করে।
  • আমড়ার বীজ উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে স্বাস্থ্যবিষয়ক টিপস নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে আমড়ার উপকারিতা | আমড়া খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা | আমড়া খাওয়ার অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা, আমড়ার পুষ্টিগুণ, আমড়া খাওয়ার নিয়ম, আমড়া ফল ইংরেজি কি, আমড়া পাতার উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের সাইটে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যবিষয়ক পোস্ট পাবলিশ করা হয়। এই রকম স্বাস্থ্যবিষয়ক পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url