স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা - স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম

স্ট্রবেরি বিদেশী ফল হলেও দেশের বাজারে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। স্ট্রবেরি খেতে সুস্বাদু, লাল বর্ণের, দেখতে আকর্ষণীয়। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। আজকাল দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্ট্রবেরি চাষ করতে দেখা যায়। এমনকি টবে, বাড়ির ছাদে, বাগানে অনেকে শখের বশে চাষ করে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনারা গুগলে সার্চ করে  স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চেয়েছেন। এই পোস্টে স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

স্ট্রবেরি খাওয়ার ১৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা - স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম

স্ট্রবেরি ফল বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে যেমনঃ- সালাদের সাথে যোগ করে, স্ট্রবেরির জুস, জেলি, জ্যাম তৈরি করে খাওয়া যায়। স্ট্রবেরির আদি নিবাস হলো ইতালির রোমে। ইদানীং দেশে এর ব্যাপক চাষ হচ্ছে। চলুন তাহলে খেতে সুস্বাদু, দেখতে দারুণ এই স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা | স্ট্রবেরি উপকারিতা | স্ট্রবেরি ফল | স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

উজ্জল টক টকে লাল বর্ণের প্রথম দেখাতে যে কেউ এই ফলের প্রেমে পড়ে যাবে। দেশের মধ্যে ক্রমেই জনপ্রিয় হতে উঠেছে  এই ফল। এই আলোচনা থেকে স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা জানার পর আশা করা যায় এই ফল খেতে আপনি মিস করবেন না। স্ট্রবেরির খোসা থেকে বীজ সবই পুষ্টিগুণে ভরপুর। স্ট্রবেরি ফলে রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা যা জানলে আপনি অবাক হবেন। এই ফল খাদ্যতালিকায় রাখতে পারলে শারীরিক বহু জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। স্ট্রবেরি থেকে এক ঝাঁক উপকারিতা পাওয়া যায়।

স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ- স্ট্রবেরি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল রোধ করে। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।

রক্তের জমাট বাধা রোধঃ- স্ট্রবেরির অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান দেহে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। রক্তের জমাট বাধা রোধ করে। এতে স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

টিউমার প্রতিরোধঃ- দেহে বিভিন্ন কারণে টিউমার হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্নক। দেহে টিউমার প্রতিরোধে স্ট্রবেরি খেতে পারেন। কেননা, স্ট্রবেরির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি,ফলিক এসিড টিউমার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

নার্ভ সক্রিয় রাখাঃ- স্ট্রবেরির পটাসিয়াম উপাদান মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ করে। এবং এর আয়োডিন, ভিটামিন সি উপাদান নার্ভ সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখেঃ- সুস্বাদু এই ফলটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ- ব্রণ, ত্বকের দাগ-ছোপ, বলি রেখা, ত্বকের বার্ধক্য সহ আরও অন্যান্য। ত্বকের স্বাস্থ্য, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে স্ট্রবেরি খাদ্য তালিকায় রাখুন। কেননা, স্ট্রবেরির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি উপাদান ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি।

চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ- চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমনঃ- চোখ শুকিয়ে যাওয়া, চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, রাতকানা এই ধরণের সমস্যা নিরাময়ে স্ট্রবেরি ফল খাদ্য তালিকায় রাখুন। কেননা, স্ট্রবেরির যে পুষ্টিগুণাগুণ রয়েছে তা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাসঃ- রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সুতারাং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে স্ট্রবেরি খান এতে উপকার মিলবে।

উচ্চ রক্তচাপ হ্রাসঃ-  উচ্চ রক্তচাপের কারণে মাথা-ব্যথা, বমি বমি, ঘাড় ব্যথা, মাথা ঘোরা এই ধরণের সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। স্ট্রবেরির পটাসিয়াম উপাদান দেহে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। যাদের হঠাৎ করে রক্তচাপ বেড়ে যায় তাদের জন্য স্ট্রবেরি মহাঔষধ।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ-  রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে দেহে নানান ধরণের জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। স্ট্রবেরির ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।

হাড় মজবুত করেঃ- স্ট্রবেরির ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ  এর মতো পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরে হাড়ের মজবুত ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকেঃ- চুলে নানান সমস্যা যেমনঃ- অকালে চুল ঝরে যাওয়া, চুলে গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি চুলে নানান সমস্যা নিরাময়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল স্ট্রবেরি খান। এতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

প্রদাহ দূরঃ- শরীরে বাতের ব্যথা, হাটুর ব্যথা, ঘাড় ব্যথা এক কথায় শরীরের যাবতীয় ব্যথা নিরাময়ে স্ট্রবেরি কার্যকর। কেননা স্ট্রবেরির পলিফেনল উপাদান শরীরের প্রদাহ দূর করতে সহায়তা করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ- খাদ্য হজম না হলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। স্ট্রবেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজম  শক্তি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিঃ- স্ট্রবেরিতে অ্যাফ্রোডিসিয়াক নামক উপাদান রয়েছে যা যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সুতারাং যাদের যৌনশক্তি দূর্বল তারা স্ট্রবেরি খাদ্য তালিকায় রাখুন এতে উপকার মিলবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ- স্ট্রবেরিতে ক্যালরির পরিমাণ কম। সুতারাং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি রাখুন।

ক্যান্সার প্রতিরোধঃ- স্ট্রবেরিতে কেমোপ্রিভনটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্যে করে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থের জন্য ভালোঃ- স্ট্রবেরির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত খাদ্য তালিকায় স্ট্রবেরি রাখলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। স্মৃতিশক্তি ভাল থাকে।

স্ট্রবেরি খাওয়ার অপকারিতা

স্ট্রবেরি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি তা আমরা জেনেছি। পুষ্টির চাহিদা পূরণে অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতের বিপরীত হতে পারে। স্ট্রবেরিও তার ব্যাতিক্রম নয়। অতিরিক্ত স্ট্রবেরি খেলে পেটের সমস্যা যেমনঃ- ডায়রিয়া, গ্যাস, অম্বল হতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনি জনিত সমস্যা হতে পারে। সুতারাং সঠিক সময়ে প্রয়োজন মতো খান এতে উপকার মিলবে।

গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতাঃ- গর্ভাবস্থায় একজন নারীকে ডায়েটে খাবারের প্রতি একটু বেশি মনোযোগী হওয়া দরকার। এসময় গর্ভবর্তী নারীদের মৌসুমী শাক-সবজি, ফলমূল, দুধ, ডিম, ডাল, দুগ্ধজাত খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন। ফলের মধ্যে সেরা হতে স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি থেকে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় তা গর্ভবর্তী নারীর জন্য প্রয়োজন। গর্ভকালীন সময়ে স্ট্রবেরি কতটা প্রয়োজন তা জানা দরকার। এ সময় স্ট্রবেরি খেলেঃ-
  • স্ট্রবেরির পুষ্টি গুণ দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • ইহা শিশুর হাড়, ত্বকের বিকাশে ভূমিকা রাখে।
  • শরীরে নানান ধরণে সংক্রমণ, জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্তি মেলে।
  • হজম শক্তি ‍বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। পেটের গন্ডগোল দূর করে।
  • শরীরে ব্যথা নিরাময় করে।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • কোলেস্টেরল দূর করে।

স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয় | স্ট্রবেরি খাওয়ার নিয়ম

স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয়ঃ- স্ট্রবেরি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। আপনি চাইলে খোসা ছাড়িয়ে সরাসরি স্ট্রবেরি খেতে পারেন। তাছাড়া সুস্বাদু খাবার তৈরিতে বা খাবারে নতুন মাত্রা যোগ করতে বা খাবারের গুণগত মান আরও একটু বাড়াতে বা খাবারের সুগন্ধি বাড়াতে এই স্ট্রবেরি ব্যবহার করা হয়। সালাদের সাথে যোগ করে স্ট্রবেরি খেতে পারেন, স্ট্রবেরি ‍জুস, স্ট্রবেরি জ্যাম, জেলি, আইসক্রিম, মিল্কশেক, পুডিং, স্ট্রবেরির কেক, স্ট্রবেরির চাটনি, স্ট্রবেরির পায়েশ, ক্ষীর, সন্দেশ, ফিরনি, মিষ্টি করে, আচার করে, স্যুপ তৈরি করে খাওয়া যায়।

স্ট্রবেরি ফলের দাম বাংলাদেশ

স্ট্রবেরি ফলের দাম বাংলাদেশঃ- বাজারের বিভিন্ন সাইজের স্ট্রবেরি পাওয়া যায়। আকারভেদে এই স্টবেরির সাইজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে স্থানভেদে এই স্ট্রবেরি ফলের দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

ছোট সাইজের স্ট্রবেরির দামঃ- ১ কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

মাঝারি সাইজের স্ট্রবেরির দামঃ- ১ কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।

বড় সাইজের স্ট্রবেরির দামঃ- ১ কেজি ৮০০ এর উপরে।

স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ

স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণঃ- স্ট্রবেরি স্বাস্থ্যকর একটি ফল।  এই ফলের গুণাগুণ অনেকেই জানি না। স্ট্রবেরি ফল ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, কুয়েরসিটিন, ফাইটোস্টেরল, কুমারিক এসিড, জ্যান্থোমাইসিন, ফেরালিক এসিড, ফসফরাস,ম্যাঙ্গানিজ,  এলাজিক এসিড, ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, পলিফেনল, সেলেনিয়াম, ক্যালরি, প্রোটিন, শর্করা, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন এর অন্যতম উৎস।

স্ট্রবেরি গাছের দাম

স্ট্রবেরি গাছের দামঃ- স্ট্রবেরি গাছের দাম এটা নির্ভর করে স্ট্রবেরির জাত, স্ট্রবেরি গাছের বয়স, যাদের নিকট থেকে কিনবেন তাদের উপর। উন্নত জাতের স্ট্রবেরি গাছ, বয়স্ক স্ট্রবেরি গাছের দাম একটু বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবে আবাসিক এলাকায় নার্সারী গুলোতে স্ট্রবেরির দাম একটু বেশি হয়। আনুমানিক প্রতি পিচ স্ট্রবেরি গাছের দাম ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্থানভেদে এর দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।

স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়

স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়ঃ- স্ট্রবেরি চারা রোপনের আদর্শ সময় হলো নভেম্বর মাস। মধ্য অক্টোবর থেকেও মধ্য ডিসেম্বর পর্যন্ত চারা রোপন করা যায়। শীতকালে স্ট্রবেরি ফল পাওয়া যায়। স্ট্রবেরি ফল রোপনের আদর্শ সময় শীতের শুরুতে বা ঠান্ডা আবহাওয়ায়। গাছ রোপনের ১.৫ মাস গাছে ফল ধরতে শুরু করে। স্টবেরি রং অর্ধেক লাল হওয়া মাত্রই ফল উত্তোলন করতে হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত এই পুরো সময়ে বাজারে আপনি স্ট্রবেরি ফল দেখতে পাবেন। কখনোও কখনোও এপ্রিল মাসে বাজারে স্ট্রবেরি ফল দেখা যায়।

স্ট্রবেরি চারা কোথায় পাওয়া যায়

স্ট্রবেরি চারা কোথায় পাওয়া যায়ঃ- পেঁপে চারা, মরিচের চারা, আমের চারা মতো স্ট্রবেরির চারা সহজলভ্য না হওয়ায় সব নার্সারীতে স্ট্রবেরির চারা নাও পেতে পারেন। চারা গাছ এমন নার্সারী গুলো থেকে কিনুন যে নার্সারী ‍গুলো বিশ্বস্ত। যদি চারা সমন্ধে আপনার বেসিক জ্ঞানের অভাব থাকে তাহলে চারা সম্বন্ধে জ্ঞান রাখে এমন লোককে সঙ্গে নিন। চারা সংগ্রহের অন্যতম মাধ্যম হলো বিশ্বস্ত লোকাল নার্সারি, অনলাইন স্টোর যদিও এটা ঝুঁকিপূর্ণ, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বা কৃষি কার্যালয়। লোকাল নার্সারী বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বা গবেষণা কেন্দ্র থেকে চারা ক্রয় করলে ঐ চারা গুলো ভালো মানের পাওয়া যায়। অনলাইন স্টোর থেকে ক্রয় করলে অবশ্যই রিভিউ, রেটিং এগুলো দেখে ক্রয় করবেন।

স্ট্রবেরি কোথায় পাওয়া যায়

স্ট্রবেরি কোথায় পাওয়া যায়ঃ- স্ট্রবেরি ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস এই পুরো সময় জুড়ে দোকানে স্ট্রবেরি পেয়ে যাবেন। 

স্ট্রবেরি বীজের দাম

স্ট্রবেরি বীজের দামঃ- জাত ভেদে স্ট্রবেরি বীজের দাম ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। উন্নত জাতের বীজ গুলোর দাম একটু বেশি। বীজ ক্রয়ের পূর্বে বীজের গুণগত মান পরীক্ষা করে নিবেন। বীজ যত ভালো হবে ফলন তত ভালো হবে। স্থানভেদে একেক নার্সারীতে বীজের দাম একেক রকম হতে পারে। আনুমানিক স্টবেরি বীজের দাম ১৫০ থেকে ৪০০ মধ্যে হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট স্ট্রবেরি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা | স্ট্রবেরি উপকারিতা | স্ট্রবেরি ফল | স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় স্ট্রবেরি খাওয়ার উপকারিতা, স্ট্রবেরি কিভাবে খেতে হয়, স্ট্রবেরি ফলের দাম বাংলাদেশ, স্ট্রবেরির পুষ্টিগুণ, স্ট্রবেরি গাছের দাম, স্ট্রবেরি কোন মাসে পাওয়া যায়, স্ট্রবেরি চারা কোথায় পাওয়া যায়, স্ট্রবেরি কোথায় পাওয়া যায়, স্ট্রবেরি বীজের দাম ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এই রকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আরও পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমাদের সাইটে এইরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট নিয়মিত পাবলিশ করা হয়।  এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url