লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি - লেটুস পাতা কিভাবে খায় জানুন
আপনারা লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি, লেটুস পাতা কিভাবে খায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। লেটুস পাতার ইতিহাস সম্পর্কে একটু বলে রাখি। লেটুস পাতা সর্ব প্রথম আবিষ্কার করেন মিশরীয়রা। লেটুস গাছের বীজ থেকে তেল তৈরি হয় যা ঐ সময় জনপ্রিয় হয় ওঠে। পরবর্তীতে গ্রিক, রোমান সভ্যতায় পরিচিতি লাভ করে। ধীরে ধীরে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকার দেশগুলো, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলো বিস্তার লাভ করে। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি - লেটুস পাতা কিভাবে খায় সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সুতারাং মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ুন।
লেটুস পাতার আরও একটি নাম আছে তা হচ্ছে আইসবার্গ লেটুস। এর কারণ হলো লেটুস পাতা ফ্রিজ ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। এতে নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। লেটুস পাতা চাষ করার জন্য যে বিশাল জায়গার প্রয়োজন এমনটা না। আপনি টবে, ড্রামে, গামলায়, বাড়ির ছাদে, বাড়ির আঙিনায় চাষ করতে পারেন। লেটুস পাতা চাষের জন্য যে বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন এমনটা না, সামান্যে পরিচর্যা করলে হয়ে যায়। সুতারাং চলুন তাহলে আর দেরি না করে লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি - লেটুস পাতা কিভাবে খায় জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি
- লেটুস পাতার উপকারিতা
- লেটুস পাতা কিভাবে খায় | লেটুস পাতা কিভাবে খাওয়া যায় | লেটুস পাতা রেসিপি
- লেটুস পাতার দাম
- লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবো
- লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি
- লেটুস পাতার অপকারিতা
- লেখকের মন্তব্য
লেটুস পাতার উপকারিতা
লেটুস পাতার উপকারিতাঃ- লেটুস পাতা স্বাস্থের জন্য কতটা উপকারি তা আমরা অনেকে জানি না। লেটুস পাতা সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর হওয়ার অনেকে পছন্দের তালিকায় এই পাতা রাখি। লেটুস পাতায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ। লেটুস পাতার ভিটামিন এ, সি, কে, বি-৬, পটাসিয়াম, আয়রন যা দেহ গঠনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে। সুতারাং লেটুস পাতার রয়েছে বহু উপকারিতা যা আমরা এখন জানব।
কোলেস্টেরল দূরঃ- লেটুস পাতার ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে, খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যে করে এবং হার্ট ভালো রাখে।
শরীরে পানি জমা রোধঃ- লেটুস পাতায় ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ উপাদান রয়েছে যা শরীরে পানি জমা রোধ করতে সাহায্যে করে।
ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখেঃ- লেটুস পাতার পুষ্টি গুণাগুণ ত্বকের স্বাস্থ্য ধরে রাখে। ত্বকের যেকোন ধরণের সংক্রমণ যেমনঃ- দাগছোপ, বলিরেখা, বার্ধক্য দূর করে। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্যে করে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- যখন দেহে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় তখন সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাঁশি, হাঁপানি সহ আরও নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে লেটুস পাতা খাদ্য তালিকায় রাখুন।
রক্ত পরিষ্কার করেঃ- লেটুস পাতা রক্ত পরিষ্কার করতে বিশেষ ভাবে সাহায্যে করে।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখেঃ- লেটুস পাতা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। লেটুস পাতায় ক্যালরির পরিমাণ কম। তাই ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন আশংকা থাকে না।
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ- ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য লেটুস পাতা খুবই উপকারি একটি সবজি। ইহা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ- লেটুস আঁশযুক্ত সবজি। ইহা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। সুতারাং যাদের হজম শক্তি দূর্বল তারা লেটুস পাতা খান এতে উপকার মিলবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ- যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভূগছেন তারা লেটুস পাতা খান। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দ্রুত নিরাময় হবে।
আয়রনের পরিমাণ বৃদ্ধিঃ- গর্ভবর্তী মা ও শিশুর আয়রনের প্রয়োজন সুতারাং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধিতে লেটুস পাতা খাদ্য তালিকায় রাখুন। তাছাড়া পিরিয়ড়ের সমস নারীদের আয়রনের ঘাটতি পড়ে সুতারাং আয়রনের ঘাটতি নিরাময়ে লেটুস পাতা খান।
পেটের সমস্যা দূরঃ- পেটে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেটে ক্ষুধা না লাগা সহ পেটের যাবতীয় সমস্যা নিরাময়ে লেটুস পাতা খুবই উপকারি।
পেশি গঠনঃ- লেটুসে প্রোটিনের মাত্রা কম থাকলেও নিয়মিত লেটুস পাতা খাদ্য তালিকায় রাখলে এটা যেমন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে তেমনি পেশি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ব্যথা উপশমঃ- ক্ষত, কাটা স্থানে লেটুস পাতা থেতলে লাগিয়ে দিলে দ্রুত ব্যথা উপশম হয়।
রক্তশূন্যতা দূরঃ- লেটুসে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে। এতে রক্তশূন্যতা দ্রুত নিরাময় হয়।
হাড়ের ক্ষয় রোধঃ- লেটুসের ভিটামিন কে উপাদান হাড়ের মেটাবলিজম বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে। ইহা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাসঃ- লেটুসে যথেষ্ট পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।
হাড় ও দাঁত গঠনঃ- লেটুসের ক্যালসিয়াম উপাদান হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্যে করে।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূরঃ- লেটুস পাতা খাদ্য তালিকায় রাখলে এটা প্রদাহজনিত যেকোন ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
অনিদ্রা সমস্যা দূরঃ- যা অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা লেটুস পাতা খান। লেটুস পাতা খেলে অনিদ্রাজনিত সমস্যা দূর হবে।
শরীরে পানি ধরে রাখেঃ- গ্রীষ্মকালে শরীরে পানির সংকট দেখা দেয়। শরীরে যাতে পানি ধরে রাখে, শরীর যাতে আর্দ্র থাকে সেজন্য খাদ্য তালিকায় লেটুস রাখতে পারেন।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষাঃ- মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্থ হলে নিউরোনাল কোষগুলি ধ্বংস হয়। এতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ দেখা দিতে পারে। সুতারাং নিউরোনাল কোষগুলি বাঁচিয়ে রাখতে লেটুস পাতা খান।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইঃ- লেটুসের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন উপাদান ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
চোখের সমস্যা দূরঃ- চোখের যেকোন ধরণের সমস্যা যেমনঃ- চোখ ওঠা। এই সমস্যা নিরাময়ে ১ লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম লেটুস পাতা ফুঁটিয়ে সেই পানি দিয়ে চোখ ধৌত করলে চোখ ওঠা নিরাময় হবে।
অন্যান্যঃ- ইহা ইনফেকশনজনিত সমস্যা নিরাময় করে, লেটুস পাতা পেষ্ট করে ত্বকে দিলে ত্বকের পোড়া ভাব দূর হয়, চুলে ব্যবহার করলে চুলের খুশকি দূর হয়। লেটুস পাতার পুষ্টি গুণ কিডনির কার্যহীনতা, মূত্রথলির ইনফেকশন ও কিডনির ব্যথায়, হাত-পা ফুলে যাওয়া, কিডনির পাথর নিরাময়ে ভুমিকা রাখে।
লেটুস পাতা কিভাবে খায় | লেটুস পাতা কিভাবে খাওয়া যায় | লেটুস পাতা রেসিপি
লেটুস পাতা কিভাবে খায়ঃ- লেটুস পাতা জাতীয় সবজি। দেশে-বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা আছে। যারা লেটুস পাতা কখনোও খান নি তারা অনেকে গুগলে সার্চ করে জানতে চেয়েছেন লেটুস পাতা কিভাবে খেতে হয়, লেটুস পাতার রেসিপি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। লেটুস পাতা অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। লেটুস পাতা কাঁচা, রান্না ২ ভাবে খাওয়া যায়।
ভর্তাঃ- বাজার থেকে লেটুস পাতা এনে সুন্দর করে ধুয়ে নিন। এরপর তা কুঁচি কুঁচি করে কাটুন। পিয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ কুঁচি কুঁচি করে কাটুন - পরিমাণ মতো সরিষার তেল, লবণ দিয়ে কসলিয়ে নিন। এরপর লেটুস পাতার কুচি নিয়ে একসঙ্গে মাখান। আলু ভর্তা, পেঁপে ভর্তা যেভাবে তৈরি করেন সেভাবে লেটুস পাতার ভর্তা তৈরি করুন।
লেটুস পাতার নাস্তাঃ- লেটুস পাতার কুচি, কাঁচা মরিচের কুচি, পিয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, লবণ, হলুদের গুড়া, গরম মশলার গুড়া, শুকনো মরিচের গুড়া নিয়ে সুন্দর করে হাত দিয়ে মেখে নিন। মাখা হয়ে গেলে ১ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার, ১ টেবিল চামচ বেসন দিয়ে আবার সুন্দর করে মাখান। এরপর তা তেলে ভেজে নিন। যেভাবে পিয়াজু, বেগনি তৈরি করেন সেভাবে লেটুস পাতার নাস্তা তৈরি করুন।
সবজি করেঃ- আপনি লেটুস পাতা ভাজি করে অথবা সবজির মতো রান্না করেও খেতে পারেন।
স্যুপ করেঃ- আপনি চাইলে লেটুস পাতা স্যুপ করেও খেতে পারেন।
সালাদ করেঃ- অনেকে লেটুস পাতা সালাদ করে খায় আপনিও সেভাবে খেতে পারেন।
খাবারে পরিবেশন করেঃ- অনেকে বার্গারের সাথে কাঁচা লেটুস পাতা খায়। নুডুলস তৈরিতে লেটুস পাতা ব্যবহার হয়। এক কথায় খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য লেটুস পাতা যেভাবে খুশি সেভাবে খেতে পারেন। আপনি চাইলে চাবিয়ে চাবিয়ে কাঁচা লেটুস পাতা খেতে পারেন।
লেটুস পাতার দাম
লেটুস পাতার দামঃ- প্রতি পিচ লেটুস পাতা ১০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লেটুস পাতার ভালোই চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মত, লেটুস পাতার চাষাবাদে ( সার, কীটনাশক, মজুরি, অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ ) খরচ কম, লাভ বেশি। দেশে-বিদেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পাতার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। লেটুস পাতার বীজও ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। এটা ১-১.৫ মাসের মধ্যে খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। বিভিন্ন রেষ্টুরেন্টে খাবারের স্বাদ বাড়াতে এই লেটুস পাতা পরিবেশন করা হয়। মধ্য প্রাচ্যের দেশ কুয়েত, সৌদি আরব, দুবাই, কাতারে এর চাহিদা ব্যাপক।
লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবো
লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবোঃ- লেটুস পাতার বীজ আপনার বাড়ির পাশের লোকাল নার্সারীতে পাবেন। তাছাড়া যারা লেটুস পাতার চারা চাষ করে তাদের নিকটও পাবেন। অনলাইনে অনেকে বীজ বিক্রি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যেমনঃ-বীজ ঘর ডটকম। যদি সেখানেও না পান তাহলে কৃষি অফিস বা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করুন।
লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি
লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতিঃ- লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি খুবই সহজ। লেটুস পাতা টবে, বাগানে, বাড়ির আঙিনায় লাগানো যায়। এটা যে বৃহৎ পরিসরে চাষ করতে হবে এমনটা না, ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ির আঙিনায়, টবে, ছাদ বাগানে চাষ করা যায়। এখানে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো মাটি তৈরিকরণ অন্যটি হলো গাছ পরিচর্যা করা। লেটুস পাতা শীত প্রধান দেশ গুলোতে বারো মাস পাওয়া গেলেও আমাদের মতো ছয় ঋতুর দেশে লেটুস পাতার বীজ বপন করার উপযুক্ত সময় হলো অক্টোবর থেকে জানুয়ারী মাস পর্যন্ত।
মাটি কেমন হবেঃ- মাটি ঝুরঝুরে, দোঁআশ মাটি হলে ভালো। মাটির শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি জৈব সার মেশাতে পারেন। তাছাড়া শুকনো গোবর, ইউরিয়া খৈল, টিএসপি, পটাশ এগুলো মেশানো যায়। এই সার গুলো আপনি মাটির সাথে কতটুকু মেশাবেন তা নির্ভর করবে আপনার জমির আয়তনের উপর। এই বিষয়ে বিস্তারিত যারা সারের ব্যবসা করে তাদের নিকট থেকে জেনে নিবেন। অথবা ২ ভাগ সার ১ ভাগ মাটি এই অনুপাতে মাটি তৈরি করতে পারেন।
মাটিতে পর্যাপ্ত রস আছে কিনা সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রয়োজনে সেচ দিতে হবে। এক চারা গাছ থেকে আরেক চারা গাছের দূরত্ব ৮ ইঞ্চি হবে। চারা বীজ রোপনের সময় মাটি আলগা করে রাখবেন। ১ ইঞ্চি গর্ত করে সেখানে চারা রোপন করবেন এরপর উপরের মাটি হালকা করে চেপে দিবেন। এরপর পানি দিবেন। রোদ,বৃষ্টি এগুলো থেকে চারা গাছকে রক্ষা করতে ৩-৪ দিন ঢেকে রাখবেন।
গাছের পরিচর্যাঃ- লেটুস পাতার গাছ লাগানোর পর পরিচর্যা করাটা দরকার। নিয়মিত পরিচর্যা করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। লেটুস পাতা পাখি ঠুকরে ঠুকরে খেয়ে ফেলে। তাই পাখির উপদ্রব থেকে বাঁচতে বড় মশারি/জাল ব্যবহার করুন অথবা এমন কিছু ব্যবহার করুন যাতে করে পাখি বসতে না পারে।
গাছ সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে, শুকনো পাতা গুলো তুলে ফেলতে হবে। গাছের গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে গেলে তা নিড়ানি দিয়ে আলতো করে রাখতে হবে। মাটির রস আছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিভিন্ন রোগ যেমনঃ- গাছের গোড়া পঁচা রোগ, পাতা নুয়ে পড়া, পাতার আগা জ্বলে যাওয়া এই ধরণের রোগ দেখা দিলে গাছ তুলে ফেলাটা উত্তম। জাব পোকা থেকে বাঁচতে জৈব উপায়ে কীটনাশক স্প্রে করুন।
লেটুস পাতার অপকারিতা
লেটুস পাতার অপকারিতাঃ- লেটুস পাতার বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত না খেয়ে প্রয়োজন মাফিক সঠিক সময়ে প্রয়োজন মতো খান। এতে উপকার মিলবে। অতিরিক্ত খেলে যেসকল সমস্যা দেখা দিতে পারে তা হলোঃ- বমি বমি ভাব, এলার্জির প্রার্দুভাব, মাথা ঘোরা, শরীর দিয়ে অতিরিক্ত ঘাম নির্গত হতে পারে, বদহজম এমনকি পেট খারাপের মতো সমস্যা গুলোও হতে পারে। সুতারাং অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খান। অবশ্যই নিজের শরীরের আন্দাজ বুঝে খাবেন। এতে ফায়দা হবে।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে আমরা স্বাস্থ্যবিষয়ক টিপস লেটুস পাতা নিয়ে আলোচনা করেছি। এই পোস্টে লেটুস পাতার উপকারিতা, লেটুস পাতা কিভাবে খায় | লেটুস পাতা কিভাবে খাওয়া যায়, লেটুস পাতার দাম, লেটুস পাতা রেসিপি, লেটুস পাতার বীজ কোথায় পাবো, লেটুস পাতা চাষ পদ্ধতি, লেটুস পাতার অপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরণের স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট নিয়মিত পাবলিশ করা হয়। এই রকম তথ্য বহুল পোস্ট আরো পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url