বেল পাতার ১৪ টি উপকারিতা - বেল পাতার অপকারিতা জেনে নিন
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আপনারা গুগলে সার্চ করে বেল পাতার উপকারিতা, বেল পাতার অপকারিতা জানতে চেয়েছেন। সু-স্বাস্থ্যের জন্য আমরা বেল বা বেলের শরবত খেয়ে থাকলেও বেল পাতার তেমন গুরুত্ব আমরা দিই না। একাধিক গবেষণায়, বেল পাতার উপকারিতা গুলো জানা গেছে। বেল পাতা স্বাস্থ্য সমস্যা, পেটের সমস্যা দূর করে যা অনেকেই জানি না। তবে প্রয়োজনে তুলনায় অতিরিক্ত বেল পাতা বা বেল পাতার রস খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই পোস্ট থেকে আমরা বেল পাতার অপকারিতা গুলো কি কি সেগুলো বিষয়ে জানব।
বিশেজ্ঞরা, বেল পাতা খাদ্য তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। কেননা, বেল পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবারের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের সুস্বাস্থের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়াও বেল পাতার কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেগুলো আমাদের জানা জরুরী। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বেল পাতার উপকারিতা, বেল পাতার অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ- বেল পাতার উপকারিতা
- বেল পাতার উপকারিতা | বেল পাতা খেলে কি হয় | বেল পাতার রস খেলে কি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- বেল পাতার অপকারিতা | বেল পাতার রস খেলে কি ক্ষতি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- লেখকের মন্তব্য
বেল পাতার উপকারিতা | বেল পাতা খেলে কি হয় | বেল পাতার রস খেলে কি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বেলের উপকারিতা আমরা সবাই জানি। এতে আমাশয় দূর হয়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়, হজমশক্তি বাড়ে এইরকম হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা বেল থেকে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন বেলের মত বেলের পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি ? শুনে অবাক হচ্ছেন তো, অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। একাধিক গবেষণা থেকে বেলের স্বাস্থ্য উপকারিতার দিকগুলো জানা গেছে। বেল পাতা সেবন করলে একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বেল পাতার স্বাস্থ্য গুণাগুণ জানলে আপনি অবাক হবেন। সুতারাং বেল পাতাকে অবহেলা না করে খাদ্য তালিকায় রাখুন। দিনের যেকোন সময় বেল পাতা সেবন করতে পারেন।
বেল পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিয়ম ১ঃ- বেল পাতা ব্লেন্ড করে রস বের করে নিয়ে তার সঙ্গে তুলসির রস, আদার রস মিশিয়ে নিন। এরপর ইহা ফুটিয়ে খান।
নিয়ম ২ঃ- বেল পাতা সিদ্ধ করে এর পানি পান করুন। এতে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দূর হবে।
নিয়ম ৩ঃ- সরাসরি বেল পাতা চিবিয়ে খেলে পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম দূর হবে।
নিয়ম ৪ঃ- বেল পাতার রস + মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের জ্বালা-পোড়া উপশম হবে।
নিয়ম ৫ঃ- বেল পাতার রস + মধু + গোল মরিচের গুড়া মিশিয়ে খেলে জন্ডিস নিরাময় হবে।
বেল পাতার উপকারিতা | বেল পাতা খেলে কি হয় | বেল পাতার রস খেলে কি হয়
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণঃ- ডায়াবেটিস এখন জাতীয় রোগে পরিণত হয়েছে। ঘরে ঘরে এখন ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে বেল পাতার উপর ভরসা রাখুন। এটা দেহে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
পাকস্থলী সুস্থ রাখবেঃ- বেল পাতার মধ্যে আর্য়ুবের্দিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যেগুলো পাকস্থলী সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বেল পাতা পাকস্থলীর সুস্থতার জন্য খুবই কার্যকরী। তাই পাকস্থলী সুস্থ রাখতে বেল পাতা খাদ্য তালিকায় রাখুন।
রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ- বেল পাতার মারমেলোসিন, প্যান্টিনস নামক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুতারাং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেল পাতা খান।
ঘামের দূর্গন্ধ দূরঃ- অনেকের শরীর দিয়ে প্রচুর ঘামের দূর্গন্ধ বের হয় যা অস্বস্থিকর। সুতারাং ঘামের দূর্গন্ধ দূর করতে বেলের শরবত খান।
পেটের রোগ দূরঃ- গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, আলসার সহ পেটের নানান ধরণের সমস্যা দূর করতে বেল পাতা খাওয়া দরকার। বেল পাতা খাদ্য তালিকায় রাখলে পেটের নানান ধরণের রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
বার্ধ্যক্য প্রতিরোধঃ- বার্ধ্যক্য প্রতিরোধে বেল পাতার রস কার্যকরী। সুতারাং যারা যৌবন ধরে রাখতে চান তারা বেল পাতার রস উপভোগ করুন।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- ভিটামিন সি অন্যতম উৎস বেল পাতা। এই বেল পাতা খেলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সুতারাং রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেল পাতা খাদ্য তালিকায় রাখুন।
জ্বর, সর্দি দূরঃ- যাদের ঘন ঘন জ্বর, সর্দি, কাশি লেগে থাকে তারা বেল পাতা খান। এতে উপকার মিলবে।
হজম ক্ষমতা বাড়েঃ- বেল পাতায় এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে। এতে খাবার দ্রুত হজম হয়। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাসঃ- ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেল পাতায় এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখে, খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং হার্ট ভালো থাকে।
শরীর শীতল থাকেঃ- প্রচন্ড গরমে শরীর দিয়ে যেন আগুন বের হচ্ছে। এই অবস্থায় শরীরকে শীতল, ঠান্ডা রাখা খুবই জরুরী। তাই রোজ নিয়ম করে সকালে বেল পাতা খেলে শরীর থাকবে শীতল, ঠান্ডা।
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধঃ- যেহেতু বেল পাতা ভিটামিন সি অন্যতম উৎস, বেল পাতা খাদ্য তালিকায় রাখলে স্কার্ভি রোগ থেকে মুক্তি মেলে।
যকৃত সুস্থ রাখেঃ- যকৃত সুস্থ রাখতে বেল পাতার রস খেতে ভুলবেন না।
বুকের দুধ বৃদ্ধিঃ- যে সকল নারীরা নবজাতকদের বুকের দুধ খাওয়ান তাদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য বেল পাতার রস খান।
বেল পাতার অপকারিতা | বেল পাতার রস খেলে কি ক্ষতি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
বেল পাতার অপকারিতা | বেল পাতার রস খেলে কি ক্ষতি হয়ঃ- যে কোন জিনিসের উপকার তখন মিলে যখন আপনি তা সঠিক সময়ে, নিয়ম মতো খাবেন। বেল পাতার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন অপকারিতাও রয়েছে। অনেকের ধারণা এরকম, কোন পুষ্টিকর খাবার এক সঙ্গে বেশি পরিমাণে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। এটি ভুল ধারণা। যেকোন পুষ্টিকর খাবার নিয়ম মাফিক পরিমিত পরিমাণে খেলেই তা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অন্যথায়, শারীরিক নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি অধিক পরিমাণে বেল পাতা সেবন করেন তাহলে যৌন শক্তি হ্রাস পাবে, হজমে গোলযোগ সহ পেটে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতারাং আমাদের উচিত হবে বেল পাতার রস নিয়ম মাফিক পরিমিত পরিমাণে খাওয়া।
লেখকের মন্তব্য
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ এই পোস্টে বেল পাতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা করা হয়েছে বেল পাতার উপকারিতা | বেল পাতা খেলে কি হয় | বেল পাতার রস খেলে কি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা, বেল পাতার অপকারিতা | বেল পাতার রস খেলে কি ক্ষতি হয় | বেল পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে। আশা করি এই পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এইরকম আরও তথ্যবহুল পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। পরবর্তীতে অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আলোচনা করা হবে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url