বিশ্বগ্রাম কি - বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি - ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি

প্রযুক্তির কল্যাণে আজ গোটা পৃথিবী একটি ক্ষুদ্র গ্রামে পরিণত হয়েছে। যার কল্যাণে আমরা এক দেশের তথ্য অন্য দেশে আদান-প্রদান করতে পারি। গ্রামে কোন তথ্য প্রকাশিত হলে যেমন বাতাসের গতিতে তা মানুষের কাছে পৌছে যায়। আজ প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা-বিশ্বের খুটিনাটি তথ্য আমাদের হাতের মুঠোয়। এইটা সম্ভব হয়েছে কেবল বিশ্বগ্রামের কারণে। সুতারাং বিশ্বগ্রাম কি, বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি সেই সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। আপনি যদি বিশ্বগ্রাম কি, বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি সেই সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা না থাকে তাহলে এই পোস্টটি আপনার  জন্য।

বিশ্বগ্রাম কি - বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি - ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি

আধুনিক বিশ্বে বিশ্বগ্রামের প্রভাব জীবনের প্রতিটি সেক্টরে পড়েছে। গবেষণা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন, ব্যবসা-বানিজ্য, বিনোদন, সংবাদ প্রতিটি পর্যায়ে বিশ্বগ্রামের প্রভাব লক্ষণীয়। চলুন তাহলে বিশ্বগ্রাম কি, বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- বিশ্বগ্রাম কি | বিশ্বগ্রাম কী

বিশ্বগ্রাম কি | বিশ্বগ্রাম কী

বিশ্বগ্রাম কিঃ- গ্লোবাল ভিলেজ ( Global Village ) এর বাংলা অনুবাদ হলো বিশ্বগ্রাম। বিশ্বগ্রাম দ্বারা প্রযুক্তি নির্ভর একটি পৃথিবীকে বুঝানো হয়েছে। যেখানে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীকে একটি গ্রামের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। নির্দিৃষ্ট এলাকায় সীমিত আয়তনে কত গুলো বাড়ি মিলে একটি গ্রাম হয়। প্রযুক্তি কল্যাণে আজ গোটা পৃথিবী ছোট্ট একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। গ্রামে কোন তথ্য যেমন খুব দ্রুত মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে অনুরুপভাবে ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে গোটা পৃথিবীর তথ্য আপনি পেয়ে যাচ্ছেন।

উদাহারণস্বরুপঃ- গ্রামে কোন মানুষ মারা গেলে তা যেমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ঠিক তেমনই কোন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মৃত্যুবরণ করলে সেই তথ্য আপনি ইন্টারনেটর সাহায্যে, স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাহায্যে পেয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা-পৃথিবী আজ ছোট হয়ে এসেছে যেন মনে হচ্ছে গোটা পৃথিবী একটি গ্রাম, একটি পরিবার। বিশ্বগ্রাম বলতে এমন একটি ধারণাকে বুঝানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোকজন একে অপরের সাথে যাতায়াত, ভ্রমণ, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যুক্ত থাকে যেন মনে হয় একটি কমিউনিটি বা সম্প্রদায়।

ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব এর প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজ হয়ে গেছে। পূর্বে এক দেশের নাগরিকের সাথে অন্য দেশের নাগরিকের বিয়ে কল্পনাই করা যেত না কিন্তু আজকে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়ে যাওয়ার কারণে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ( ফেসবুক, টুইটার, Whatsapp ) ব্যাপক বিস্তরের কারণে আমরা সহজে একে অপরের সাথে যুক্ত থাকতে পারছি, অসম্ভব কাজ গুলো সহজে বাস্তবায়ন করতে পারছি। তাছাড় স্যাটেলাইট চ্যানেল গুলোর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্য গুলো আমরা পেয়ে যাচ্ছি।

গ্রামে যেমন আমরা ফেস টু ফেস যোগাযোগ করি, প্রযুক্তির কল্যাণে ( ভিডিও কলে ) বাংলাদেশে বসে আমেরিকার নাগরিকের সাথে ফেস টু ফেস যোগাযোগ করতে পারছি। এটাই হচ্ছে বিশ্বগ্রামের এক অনন্য নজির। শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, ব্যবসা-বানিজ্য, গবেষণা জীবনে প্রতিটি সেক্টর আজ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। সর্বপ্রথম বিশ্বগ্রামের ধারণাটি সকলের সামনে নিয়ে আসেন কানাডিয়ান দার্শনিক, লেখক হার্বার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান। তার লেখা ২টি বই The Gutenberg Galaxy: The Making of Typographic Man ( প্রকাশিতঃ- ১৯৬২ সাল ), Understanding Media: The Extensions of Man ( প্রকাশিতঃ-১৯৬৪ সাল )। যেখানে তিনি বিশ্বগ্রাম সম্পর্ক বিস্তর ধারণা তুলে ধরেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গোটা-পৃথিবীর মানুষ একে অপরের নিকটবর্তী হতে পেরেছে।

বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি | বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রধান উপাদান কোনটি

এই প্যারায় বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি | বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রধান উপাদান কোনটি সেগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড বা বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রধান উপাদান হলো ৫টি। যথাঃ-

হার্ডওয়্যারঃ- বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যোগাযোগ বা তথ্য আদান-প্রদানের জন্য প্রয়োজন হার্ডওয়্যার। হার্ডওয়্যার বলতে কম্পিউটার, যন্ত্রপাতি, অডিও-ভিডিও, মোবাইল ফোন, রেডিও, স্যাটেলাইট, টেলিভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত ডিভাইসকে বুঝায়।

সফটওয়্যারঃ- হার্ডওয়্যারকে সচল করার জন্য প্রয়োজন সফটওয়্যার। সফটওয়্যার এর মধ্যে রয়েছে অপারেটিং সিস্টেম, ব্রাউজিং সফটওয়্যার, প্রোগ্রামিং ভাষা, কমিউনিকেটিং সফটওয়্যার ইত্যাদি।

কানেকটিভিটিঃ- হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার পর প্রয়োজন কানেকটিভিটি। এর মাধ্যমে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। বিশ্বগ্রামের মূল মেরুদণ্ড হচ্ছে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদান করা। সহজে নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করতে প্রয়োজন ইন্টারনেট। কানেকটিভিটি দ্বারা ইন্টারনেটের সংযুক্ততাকে বুঝায়।

ডেটাঃ- ডেটা বলতে যেগুলো এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে। বিশ্বগ্রামে মানুষ বিভিন্ন তথ্য ডেটা একে অপরের সাথে শেয়ার করে বিনামূল্যে বা অর্থের বিনিময়ে। এক্ষেত্রে তথ্য সত্য হতে হবে এবং তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা থাকতে হবে।

মানুষের জ্ঞানঃ- বিশ্বগ্রাম তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর। এর ভালো দিক রয়েছে মন্দ দিক রয়েছে। মানুষ যেভাবে ব্যবহার করবে এর ফল পাবে।। কেউ যদি ভালো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে এটি তার জীবন-যাত্রার মান সহজ করে দিবে। কেউ যদি খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে যেমনঃ- পর্ণগ্রাফি দেখে তাহলে এর দ্বারা সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা

এখন আলোচনা করা হবে বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম হচ্ছে একটি ইলেকট্রিক যোগাযোগের মাধ্যম। যেখানে পুরো পৃথিবীর মানুষকে একে অপরের নিকটবর্তী করেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো পৃথিবীকে এমন একটি রুপ দেয়া হয়েছে যেন মনে হয় গোটা-পৃথিবীর মানুষ একটি গ্রামে বসবাস করছে। তবে এই বিশ্বগ্রামের কিছু সুবিধা অসুবিধা রয়েছে। এখন আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

বিশ্বগ্রামের সুবিধা সমূহঃ- 

  • বিশ্বের যেকোন প্রান্তে অবস্থানরত ব্যাক্তির সাথে মুহূর্তের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে।
  • ভৌগলিক দূরত্ব কমে এসেছে।
  •  অনলাইনে পাঠদানের সুযোগ বেড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা বই পুস্তক, ম্যাগাজিন, অনলাইনে পড়ার সুযোগ হচ্ছে।
  • কোন বিশেষ কারণে অফিসে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অফিসের কাজগুলো করা যাচ্ছে।
  • অনলাইনের কেনা-কাটার সুযোগ বেড়েছে। ধরুণ, আপনি একটি হেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে চাচ্ছেন যা আপনার নিকস্থ দোকানে নাই, আপনি অনলাইনে অর্ডার করে সেই পন্যটি সহজে কিনতে পারছেন।
  • ধরুণ, আপনি দেশের প্রত্যন্ত-অঞ্চলে বসবাস করেন যেখানে ভালো ডাক্তার পাওয়া যাচ্ছে না বা মেডিকেল অনেক দূরে সেক্ষেত্রে অনলাইনে টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে সহজে চিকিৎসা সেবা আপনি নিতে পারছেন।
  • তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আপনি বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছেন। সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদন উপভোগ করতে পারছেন।
  • তাছাড়া প্রযুক্তি অনেক বেকার যুবকদের উপার্জনের হাতিয়ার হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারছেন।
  • প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে ব্যাংকিং সেবা পাচ্ছেন। নিকটস্থ এজেনদের নিকট থেকে টাকা তুলতে পারছেন।
  • ঘরে বসে বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাসের বিল, অললাইলে ফরম পূরণ, ফ্যাক্সিলোড সহ নিত্যদিনের যাবতীয় কাজ গুলো করতে পারছেন।
  • গুগল ম্যাপসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশের মানচিত্র সম্পর্কে জানতে পারছেন। যে স্থানের নাম আপনি অতীতে শুনেন নি, গুগলে সার্চ করার ফলে সেই স্থান সম্পর্ক আপনি জানতে পারছেন।
  • প্রযুক্তির কল্যাণে আপনি আপনার অফিসিয়াল মেসেজ গুলো টেক্সট, ভিডিও করে কর্মীদের  নিকট পৌছে দিতে পারছেন।
  • ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ফেস টু ফেস যোগাযোগ করতে পারছেন।
  • অনলাইনে বিভিন্ন সেক্টর কাজের সুযোগ বেড়েছে।

বিশ্বগ্রামের অসুবিধা সমূহঃ- বি্শ্বগ্রামের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু অসুবিধা রয়েছে যেগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো-

  • বিভিন্ন ফ্যাক তথ্য মানুষ যাচাই-বাছাই না করে সত্য বলে গ্রহণ করে।
  • কোন অসত্য তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ফলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা, ব্যাক্তিগত হয়রানি, সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে।
  • একে অপরের নামে ভূয়া তথ্য প্রচার করে হয়রানি প্রবণতা বাড়ছে।
  • সামাজিক অবক্ষয়, নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয় বাড়ছে।
  • গোপন তথ্য হ্যাক বা চুরি হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে।
  •  অনলাইনে জুয়া, ক্যাসিনো, প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের পরিধি বাড়ছে।
  • সাইবার আক্রমণ বাড়ছে।
  • ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য চুরি হচ্ছে। ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি হচ্ছে।
  • পর্নগ্রাফির প্রতি মানুষের আসক্তি বাড়ছে।
  • প্রযুক্তির প্রতি আসক্তির ফলে মানুষ শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী হওযার ঝুঁকি বেড়েছে।
  • প্রযুক্তির প্রতি আসক্তির ফলে মানুষের ব্রেনের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে।
  • অনলাইন গেমস, নোংরা সংস্কৃতির চর্চা, অতিরিক্ত আড্ডা কারণে মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিঃ- ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলতে কৃত্রিম বাস্তবতাকে বুঝানো হয়েছে। প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চিন্তা উদ্রেককারী বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে বুঝায়। কম্পিউটার প্রযুক্তি ও সিমুলেশন তত্তের উপর ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রতিষ্ঠিত। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোর নাম হলোঃ- Vizard, Maya, 3d studio Max, VRToolKit ইত্যাদি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অসম্ভব কাজকে সহজ মনে হয়। যেমনঃ- চাঁদের দেশে ভ্রমণ, ঘরে বসে সমুদ্র সৈকতে হাঁটার অনুভূতি, ডাইনোসরের সাথে ফাইট এরকম কল্পনাতীত ভাবনা গুলোকে কৃত্রিম উপায়ে বাস্তবে রুপ দেয়া যায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে।

সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যা উপস্থাপন করা হলে ব্যবহারকারীর নিকট বাস্তব মনে হয় এটিকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বলে। এখানে ২টি চোখে ২টি ভিন্ন দৃশ্য দেখিয়ে ত্রিমাত্রিক অনুভূতি তৈরি করা হয় এবং একই স্ক্রিনে ভিন্ন ভিন্ন প্রজেক্টরের সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন দৃশ্য প্রদর্শন করিয়ে এই অনুভুতি সৃষ্টি করা হয়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে একজন মানুষ কোন রকম শারীরিক ঝুঁকি ছাড়া ঐ কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে । সম্প্রতি গুগল ভার্চুয়াল চ্যাটিং সার্ভিস চালু করেছে যেটার নাম Lively. যেখানে আপনি বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজনদের সাথে আড্ডা মারা, গল্প-গুজব করতে পারেন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদান সমূহঃ- 

  • হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে, 
  • ডেটা গ্লোব, 
  • বডি স্যুইট, 
  • উচ্চ মানের অডিও ব্যবস্থা, 
  • রিয়েলিটি ইঞ্জিন, 
  • বিভিন্ন ধরণের সেন্সর, বিভিন্ন সিমুলেশন, মডেলিং ও গ্রাফিক্স সফটওয়্যার ইত্যাদি।

উপসংহার

প্রযুক্তির যেমন ভালো দিক আছে তেমন মন্দ দিকও রয়েছে। এই প্রযুক্তি যদি আপনি ভালো কাজে ব্যবহার করেন তাহলে জীবন সহজ হবে, প্রযুক্তি এসেছে মানুষের কল্যাণের জন্য। একই প্রযুক্তি যদি আপনি খারাপ কাজে ব্যবহার করেন তাহলে এর দ্বারা আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

সম্মানিত পাঠক এই পোস্টে টেক ব্লগ বিশ্বগ্রাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে বিশ্বগ্রাম কি | বিশ্বগ্রাম কী, বিশ্বগ্রামের মেরুদণ্ড কোনটি | বিশ্বগ্রাম ধারণার প্রধান উপাদান কোনটি, বিশ্বগ্রামের সুবিধা ও অসুবিধা, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই রকম টেক জাতীয় ব্লগ আরো পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url