সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি - কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো

বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের টুথব্রাশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোন টুথব্রাশটি সব থেকে ভালো হবে তা আমাদের জানা নেই। এই পোস্টে  আমরা আপনাদের জানিয়ে দিবো সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি, কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। সুতারাং  আপনি যদি সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি, কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো তা না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।

সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি - কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো

আমাদের দাঁতে একেকজনের একেক ধরণের সমস্যা। সুতারাং, দাঁতের ধরণ বুঝে টুথপেস্ট ব্যবহার করাটাই ভালো। এতে উপকার পাওয়া যাবে। চলুন তাহলে কথা আর দীর্ঘায়িত না করে সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি, কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো  তা জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ  সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি

সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি  

দন্ত চিকিৎসকরা খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করলে মুখ ও দাঁতের ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়। এর ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ, মুখের দূর্গন্ধ দূর হয়। এজন্য দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজন একটি ভালো মানের টুথব্রাশ। নিম্ন মানের টুথব্রাশ দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ, এতে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া দূর হয় না। ফলে মাড়ির প্রদাহ, দাঁতের ক্ষয় সহ নানান ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আপনারা গুগলে সার্চ করে সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি তা জানতে চেয়েছেন। ভালো মানের টুথব্রাশের কেনার সময় যেসকল বিষয় খেয়াল রাখা জরুরীঃ-

ব্রাশের হাইজেনিক ক্যাপঃ- বাজার থেকে ব্রাশ কেনার সময় লক্ষ রাখবেন ব্রাশের সঙ্গে হাইজেনিক ক্যাপ আছে কি না। হাইজেনিক ক্যাপ হলো এক ধরণের প্লাস্টিকের আবরণ যার দ্বারা ব্রাশের ফিলামেন্ট গুলো ঢেকে রাখা হয়।

ব্রাশের ফিলামেন্টঃ- বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের ব্রাশ পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে যেসকল ব্রান্ডের ব্রাশের ফিলামেন্ট গুলো নরম ঐ ব্রাশ গুলো কিনবেন। ব্রাশের ফিলামেন্ট গুলো যদি শক্ত হয় তখন দাঁতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয় যেমনঃ- মাড়ির প্রদাহ, দাঁতের ক্ষয়, দাঁত শির শির করা, দাঁতের মাড়ি নিচে নেমে যাওয়া সহ হাজারো সমস্যা দেখা দেয়।

ব্রাশের নেক বা ঘাড়ঃ- ব্রাশের নেক বা ঘাড় সোজা দেখে কিনবেন। ব্রাশের ঘাড় যদি বাঁকা হয় তাহলে দাঁত ব্রাশ করতে অসুবিধা হবে।

ব্রাশের মাথাঃ- ব্রাশের মাথা যেন সরু হয়। তাহলে ব্রাশে ভিতরে গিয়ে মুখের দাঁত পরিষ্কার করতে পারে।

ব্রাশের গ্রিপঃ- যেসব ব্রাশে গ্রিপ আছে সেই ব্রাশ গুলো কিনুন। কেননা, এগুলো দাঁতকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

ব্রাশের ধরণঃ- বড়দের ব্রাশ ছোট বাচ্চাদের ব্রাশ একরকম নয়। শিশুদের ব্রাশ গুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তাদের ব্রাশ করতে কোন অসুবিধা না হয়। সুতারাং বয়সের ধরণ বুঝে ব্রাশ কিনুন।

ব্রাশের হ্যান্ডেলঃ- ব্রাশের হ্যান্ডেল যেন ধরতে সহজ হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে ব্রাশ কিনুন।

ব্রাশ পরিবর্তনঃ- যখন ব্রাশের ফিলামেন্টগুলো নষ্ট হয়ে যায় তখন ব্রাশ পরিবর্তন করা দরকার। সাধারণত ৩ মাস ব্যবহার করার পর ব্রাশের ফিলামেন্টগুলো নষ্ট হয়ে যায়, তখন ব্রাশ পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়ে।

দন্ত চিকিৎসকরা সাধারণত নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কেননা, শক্ত টুথব্রাশ দাঁতের মাড়ি প্রদাহ, দাঁতের ক্ষয় করে। দাঁতের সুন্দর ও মজবুত করতে, দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে চিকিৎসতরা দিনে ২ বার অর্থ্যাৎ সকালে, রাতে ব্রাশ করার পরামর্শ দেয়।

কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো 

সকালে ঘুম থেকে উঠা মাত্রই আমরা দাঁত ব্রাশ করি। বিভিন্ন ব্রান্ডের টুথপেষ্ট বাজারে পাওয়া যায়। একেক টুথপেষ্টের একেক ধরণের বিশেষায়িত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। টুথপেষ্ট কেনার পূর্বে কোন ধরণের টুথপেষ্ট আপনার দাঁতের জন্য ভালো হবে তা বোঝা জরুরী। দাঁতের ধরণ বুঝে টুথপেষ্ট কিনলে দাঁত ও মাড়ি ভালো থাকে। দাঁতের ধরণ বুঝে টুথপেষ্ট না কিনলে উপকার পাবেন না। এজন্য কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো তা জানা জরুরীঃ-

হলুদ দাঁতের জন্যঃ- আমাদের অনেকেরই দাঁত হলুদ। সাধারণত সিগারেট, পানমশলা, গুল এগুলো খেলে দাঁত হলুদ হয়ে যায়। হলুদ দাঁতের জন্য বেকিং সোডা যুক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন।

দাঁতের মাড়ির জন্যঃ- আমাদের কারও কারও দাঁতের মাড়িতে ব্যাথা হয়ে থাকে। এর জন্য অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল টুথপেষ্ট ব্যবহার করুন। যেসব টুথপেষ্টের গায়ে অ্যান্টি-জিনজিভাইটিস লেখা আছে ঐ টুথপেষ্ট কিনুন।

মুখের দুর্গন্ধ জন্যঃ- অনেকের মুখ দিয়ে বিশ্রী দুর্গন্ধ দূর বের হয়। মুখের বিশ্রী দুর্গন্ধ দূর করার জন্য সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত টুথপেষ্ট ব্যবহার করলে ভালো হয়। তাছাড়া মিন্ট দেওয়া মাজন ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

দাঁতে শিরশির করলেঃ- কিছু খেলে দাঁত কনকন করলে অথবা দাঁতে শিরশিরানির ব্যাথা অনুভব হলে স্ট্রোনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট অথবা পটাশিয়াম নাইট্রেট যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।

মাড়ির সমস্যার জন্যঃ- দাঁতের মাড়িতে সংক্রমণ দেখা দিলে ফাইরোফসফেট, জিঙ্ক সাইট্রেট, ট্রাইক্লোসান  যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। এই ধরণের টুথপেস্ট দাঁতের মাড়িতে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

ফেনার জন্যঃ- টুথপেস্টে যেন ফেনা হয় সেজন্য আপনি সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন। কেননা, এতে প্রচুর ফেনা হয়।

হারবাল টুথপেস্টঃ- এটি হলো প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ টুথপেস্ট। এই টুথপেস্টে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

মুখের সুগন্ধির জন্যঃ- মুখের সুগন্ধির জন্য আপনি মিন্টযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

দাঁত সাদা করার উপায় 

দাঁত চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই দাঁতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা কত কিছুই না করি। আমরা যখন হাসি তখন আমাদের দাঁত দেখা যায়। দাঁত যত সুন্দর হবে মুখের হাসিও তত সুন্দর হবে। আমাদের অনেকের দাঁত হলুদ। যা ব্যাক্তির ইমেজ নষ্ট করে দেয়। আমরা যেমন ত্বকের যত্ন নিই অনুরুপভাবে আমাদের দাঁতের যত্ন নেওয়া আবশ্যক। আমরা অনেকেই দাঁত সাদা করার উপায় জানতে চাই। দাঁত সাদা করার উপায় গুলো নিম্নরুপঃ-

লেবুর রসের ব্যবহারঃ- দাঁত সাদা করার জন্য লেবুর রসের ব্যবহার খুবই কার্যকরী। বাজার বা বাগানের গাছ থেকে সহজে লেবু পাওয়া যায়। কয়েক ফোটা লেবুর রস, সাদা এক চিমটি লবণ দিয়ে দাঁত মাজন করলে দাঁত সাদা হয়। তাছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনি দাঁতে লেবুর স্ক্রাবিং করতে পারেন।

কমলালেবুর খোসাঃ- রোজ নিয়ম করে কমলা লেবুর খোসা দিয়ে দাঁত মাজন করলে দাঁত সুন্দর ঝকঝকে হয় ও দাঁতের গোড়া মজবুত হয়।

মাশরুমঃ- মাশরুমের পলিস্যাকারাইড উপাদান, দাঁতের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে, দাঁতে ডেন্টাল প্ল্যাক রোধ করে। তাই দাঁত ঝকঝকে করার জন্য মাশরুম খেতে পারেন।

গ্রিন টিঃ- এতে ফ্লুরাইড  উপাদান পাওয়া যায়। যা দাঁতে হলুদ রং পড়তে বাধা দেয়। তাই দাঁত সাদা করতে আপনি গ্রিন টি খেতে পারেন।

বেকিং পাউডারঃ- ইহা দাঁত সাদা করতে খুবই কার্যকর। টুথপেস্টের সঙ্গে বেকিং পাউডার যোগ করে দাঁত মাজলে দাঁত সাদা ও ঝকঝকে হয়।

নারকেল তেলঃ- মাউওয়াশের মতো নারকেল তেল মুখে দিয়ে ২/৩ মিনিট কুলকুচি করুন। এতে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো হবে, দাঁত হবে সুন্দর ও ঝকঝকে।

যেসকল কারণে দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ঃ- চিনি ও মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য খেলে, কফি বা সোডা এগুলো খেলে দাঁতে রং ধরে যায়, রেড ওয়াইন দাঁতের সৌন্দর্য নষ্ট করে, তামাক বা জর্দা বা পান এগুলো দাঁতের সৌন্দর্য এগুলো নষ্ট করে দেয় তাই এই জাতীয় খাবার গুলো এড়িয়ে যাওয়াটা উচিত।

উপসংহার

সম্মানিত পাঠক, আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই পোস্টে আপনাদের সুবিধার জন্য সবচেয়ে ভালো টুথব্রাশ কোনটি,  কোন টুথপেস্ট দাঁতের জন্য ভালো, দাঁত সাদা করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেছি। আশা করি পোস্টটি থেকে আপনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এইরকম লাইফস্টাইল সম্পর্কিত টপিকস আরো পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট  করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url