প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় - পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা

আদা হচ্ছে একটি মসলা জাতীয় পন্য। বিশ্বের প্রায় সব দেশে আদা পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক ঔষধ হিসেবে আদার সুনাম রয়েছে। তাছাড়া খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে আমরা আদা খেয়ে থাকি। প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়, পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা আমরা অনেকেই জানি না। সুতারাং আপনি যদি প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়, পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় - পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা

শরীরের মারাত্নক রোগ থেকে মুক্তি মেলে নিয়মিত আদা খেলে। আদার পুষ্টিকর উপাদান ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, খনিজ, ক্যালসিয়াম, জিংক যা শরীরকে সুস্থ রাখে। শারীরিক রোগ-বালাই নিরাময় করে। তাহলে চলুন প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়, পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ- প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়

সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা 

আদা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারি জানলে আপনি অবাক হবেন। নিয়মিত আদা খেলে অনেক জটিল রোগ থেকে মুক্তি মেলে। আদাতে রয়েছে অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমনঃ- ভিটামিন সি, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। আমরা তরকারী রান্নায় আদা ব্যবহার করি, তাছাড়া আমরা অনেকে আদা চা খেতে পছন্দ করি। আদা শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করে না, এর বহু স্বাস্থ্য  গুণাগুণ রয়েছে। আপনি আদা ২ ভাবে খেতে পারেন যথাঃ- আদার রস তৈরি করে, আদার পানি তৈরি করে।তাহলে চলুন সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাকঃ-

বমি বমি ভাব দূরঃ- আমাদের অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর অথবা এমনি সময়েও বমি বমি ভাব লেগেই থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে পারে আদা পানি। সকালে খালে পেটে আদা পানি খেলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

প্রদাহজনিত সমস্যা দূরঃ- আমাদের দেহে বিপাকক্রিয়ার ফলে কিছু ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি হয়। এই ক্ষতিকর পদার্থ গুলো দেহের মধ্যে প্রদাহ তৈরি করে। যার ফলে ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই ধরণের সমস্যা থেকে বাঁচতে সকালে নিয়মিত আদা পানি পান করুন।

কোলেস্টেরল দূরঃ- কোলেস্টেরল এক ধরণের চর্বি জাতীয় পদার্থ। যা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে  নিয়মিত আদা পানি খান।

গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূরঃ- আমরা অনেকে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করার জন্য ট্যাবলেট খেয়ে থাকি। দীর্ঘদিন যাবত এই গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট সেবন করলে লিভার, কিডনি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ট্যাবলেটের বিকল্প হিসেবে আপনি আদা পানি বেছে নিতে পারেন। নিয়মিত আদা পানি খেলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।

পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখেঃ- আদা পানি পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সক্ষম। যেমনঃ-কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, পেটের ফোলাভাব, ডায়রিয়া সহ নানান সমস্যার সমাধান রয়েছে এই আদা পানির মধ্যে। পেটের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আদা পানি খুবই কার্যকরী।

হজমশক্তি বৃদ্ধিঃ- যাদের হজমশক্তি দূর্বল, খাবার খেলে হজম হয় না, বমি হয়ে যায় তাদের জন্য আদা খুবই উপকারি। যাদের হজমশক্তি দূর্বল, তারা নিয়মিত আদা পানি খান।

ওজন কমায়ঃ- যারা শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত, শরীরে মেদ বা চর্বি জমে যাচ্ছে তাদের জন্য সর্বোত্তম সমাধান হলো আদা পানি। ইহা শরীরের অতিরিক্ত মেদ, চর্বি ঝরিয়ে ফেলে।

ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করেঃ- ত্বকে জমে থাকা ময়লা, টক্সিন দূর করতে সক্ষম আদা পানি। আদা পানির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, স্কিন ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে। তাছাড়া ত্বকের অন্যান্য সমস্যা যেমনঃ ত্বকের ফুসকুড়ি, ব্রণ, বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর  করে।

ডায়াবেটিস কমায়ঃ- রক্তে যখন শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় তখনই ডায়াবেটিসের সংক্রমণ বেড়ে যায়। আদা পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদা পানি ভীষণ উপকারি। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ- আদা থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও  অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায়। যা দেহে রোগ - প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর জীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

আদার ক্ষতিকর দিক 

যেকোন জিনিসের ভালো দিক রয়েছে, মন্দ দিকও রয়েছ। ভালো দিক নির্ভর করে সেটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার উপর, অতিরিক্ত খেলেই দেখা দিতে পারে নানাম ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ঔষধি গুণাগুনের জন্য আদা সুপরিচিত, আদাকে ভেষজ উদ্ভিদ ও বলা হয়। তবে অতিরিক্ত আদা খেলে দেখা দিতে পারে নানান ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আপনারা অনেকে গুগলে সার্চ করে আদার ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আদার ক্ষতিকর দিকঃ-

  • প্রেগন্যান্ট মহিলাদের আদা না খাওয়াই ভালো। কারণ, আদার ক্ষতিকর প্রভাবে প্রিম্যাচিউর বা অপরিপক্ক  বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই, প্রেগন্যান্ট মহিলাদের উচিত গর্ভাবস্থায় আদা এড়িয়ে চলা।
  • অতিরিক্ত আদা চা পান করার ফলে ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া অতিরিক্ত আদা চা সেবন মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত আদা খাবেন না। অতিরিক্ত আদা খাওয়ার ফলে শরীর মুখ, ফুলে যেতে পারে, দেহে চুলকানি হতে পারে।
  • তাছাড়া অতিরিক্ত আদা খেলে ডায়রিয়া, পেট ব্যাথা সহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।
  • যারা ডায়াবেটিস অথবা রক্তচাপের জন্য ঔষধ সেবন করছেন তারা আদা খাবেন না।
  • আদা খালি পেটে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা, আদা তে রয়েছে শক্তিশালী উপাদান, যা খালি পেটে খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিক, বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আদা রক্তক্ষরণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। কারণ, আদাতে রয়েছে অ্যান্টিপ্লেটলেট বৈশিষ্ট্য। রসুন, লবঙ্গের সাথে আদা খেলে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি দ্বিগুন হয়ে যায়।
  • আদা শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এটা ঠিক। তবে যাদের বয়সের তুলনায় দেহের ওজন একবারে কম তাদের আদা খাওয়া ঠিক নয়। আদাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা দেহে পিএইচ লেভেল বৃদ্ধি করে, এর ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। আবার অতিরিক্ত পিএইচ লেভেল বেড়ে গেলে ওজন কমে যায়। এজন্য যাদের ওজন একবারেই কম, তারা এড়িয়ে চলুন।
  • অতিরিক্ত আদা গ্রহণ বুক ব্যাথার কারণও হতে পারে।

সুতারাং, আদা মশলা জাতীয় পন্য। আদা বহু গুণাগুণ থাকলেও এর ক্ষতিকর দিকও কম নয়। দৈনিক ১.৫ মিলিগ্রাম আদা যথেষ্ট। অতিরিক্ত আদা খেলে উপরোক্ত বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আদা পানি তৈরির নিয়ম 

আদার পানিতে রয়েছে বহু স্বাস্থ্য উপকারিতা। আয়ুর্বেদ ঔষধি গুণাগুণের জন্য আদা সুপরিচিত। আদার মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান। আদা থেকে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। সকালে খালি পেটে আদা পানি খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। অনেকে আদা পানি তৈরির নিয়ম জানতে চায়। আদা পানি তৈরি করা খুবই সহজ। মূলত আপনি ২ ভাবে আদা পানি তৈরি করতে পারেনঃ-

১) এক টুকরো আদা ছুলে পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। ঐ আদা টুকরো টুকরো করে কেটে সারা রাত ১ গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঐ পানি ছেঁকে নিলে আদা পানি তৈরি হয়ে গেল।

২) এক টুকরো আদা কুচি করে পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এর পর ঐ পানি ছেঁকে নিন। ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল আদা পানি। পরে ঐ ফুটন্ত আদার পানি ঠান্ডা করে পান করুন।

প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় | কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা 

আদা ঔষধ হিসেবে যেমন ব্যবহার হয়ে আসছে অনুরুপভাবে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে অনন্য। প্রতিদিন আদা খেলে কি হয়  ? অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। বহু শারীরিক সমস্যার সমাধান রয়েছে  এই আদার মধ্যে। কেননা, আদা হচ্ছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, ফাইবার, অ্যান্টি - অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই, কে, সি এর অন্যতম উৎস। সুতারাং আদা আমাদের শরীরের জন্য কতটা উপকারি তা নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন। প্রতিদিন আদা খেলে যেসকল ফায়দা পাওয়া যায়ঃ-

  • আদা শরীরের জ্বালা, যন্ত্রণা, প্রদাহ, ব্যাথা, পেশীর আঘাত কমাতে সাহায্যে করে।
  • আদা ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে। কেননা, আদাতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।
  • ঘন ঘন জ্বর, মাথা ব্যাথা, গলা ব্যাথা, মাইগ্রেনের সমস্যা, ডায়াবেটিস নিরাময় করতে সহায়তা করে আদা।
  • যাদের গলা সবসময় খুশ খুশ করে, যাদের ঠান্ডার প্রকোপ লেগেই থাকে তারা আদা নিয়মিত খান।
  • পুরুষদের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আদা খুবই উপকারী। পুরুষদের শুক্রাণুর উৎপাদন বৃদ্ধি করে, শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করে।
  • আদা টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা ‍বৃদ্ধি করে। কম টেস্টোস্টেরন যৌন স্বাস্থ্য নষ্ট করে দেয়। আদার ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ু উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। আদা ও মধুর মিশ্রণের ফলে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
  • আদা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। আদার রসে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায়। ইহা ধমনীতে চর্বি জমা রোধ করে ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • শরীরে বিভিন্ন ধরণের ব্যাথা থেকে আদার রস মুক্তি দেয়। আদার রস পান করলে অথবা যেখানে ব্যাথা লেগেছে সেখানে আদার রস লাগিয়ে দিলে ব্যাথা সেরে যায়।
  • পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দূর করে আদা। ইহা অকাল বীর্যপাতের সমস্যা হ্রাস করে।
  • অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা কারণে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আদা ও মধুর মিশ্রণ এক সঙ্গে সেবন করলে এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • মানসিক দুশ্চিন্তা দূর করতে এক কাপ আদা চা যথেষ্ট। আদা চা অত্যন্ত পুষ্টিকর পানীয়। যা পান করলে স্ট্রেস, মাথা ব্যাথা, দুশ্চিন্তা সহজে দূর হয়।
  • তাছাড়া আদা কোলেস্টেরল, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করে। ইহা হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, পেটের স্বাস্থ্য ( বদহজম, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের ফোলাভাব ) দূর করে, ইহা ওজন কমায়, ডায়াবেটিস কমায়, রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

সতর্কবার্তাঃ- আদার যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি ক্ষতিকর দিক রয়েছে। অতিরিক্ত আদা খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর আগের প্যারায় আদার ক্ষতিকর দিক গুলো তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো এক নজরে দেখে নিন। আদার উপকারিতা পেতে  প্রতিদিন ১.৫ মিলি গ্রাম আদা যথেষ্ট।

পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা 

যারা যৌন মিলনে অক্ষম, সঙ্গীর চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না তাদের জন্য আদা হতে পারে এক বিশেষ নিয়ামত। আদা যে শুধু বমি, কোলেস্টেরল, ত্বকের স্বাস্থ্য, হজম শক্তি, ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি তা নয় বরং যৌন স্বাস্থ্যের জন্য আদা খুবই উপকারি। নারীদের সাথে পাল্লা দিয়ে ‍পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের হার দিনে দিনে বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ হলোঃ- অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। তাছাড়া নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, রাত জাগা অভ্যাসের কারণেও বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা গুলো হলোঃ-

শুক্রানু উৎপাদনঃ- পুরুষের যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আদা এক ধরণের ঔষধ। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন, বদ অভ্যাসের কারণে পুরুষের যৌন সক্ষমতা হ্রাস পায়। এই সময় আদা হতে পারে যৌন সমস্যা সমাধানের মাধ্যম। আদা খেলে শুক্রানু উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, শুক্রানুর গুনগত মান উন্নত হয়। এতে যৌন সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি করেঃ- আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। কম টেস্টোস্টেরন যৌন জীবন নষ্ট করে দেয়। আদা গ্রহণের ফলে যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।

আদা যেভাবে খাবেনঃ- আদা পানি বা আদা রস না খেয়ে আপনি যদি ১ টুকরো আদা ও ২ চামচ মধু সংমিশ্রণ করে খেতে পারেন তাহলে সেটি অনেক ফায়দা দিবে। আদা ও মধু মিশ্রণের ফলে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ইহা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে, রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া আদার ভোলাটাইল অয়েল স্নায়ু উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। দেহে রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখে।

উপসংহার

সম্মানিত পাঠক এই পোস্টে স্বাস্থ্য বিষয়ক টপিকস “ আদা ” নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা, আদার ক্ষতিকর দিক, আদা পানি তৈরির নিয়ম, প্রতিদিন আদা খেলে কি হয় | কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা, পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এই রকম স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য পেতে আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url