ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন [ ২০২৪ ]

শরীর সুস্থ রাখতে বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী ওজন থাকা দরকার। অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর অনুরুপভাবে বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী প্রয়োজনের চেয়ে কম ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে ওজন বাড়াতে গিয়ে শরীরের যেন ক্ষতি না হয়। এখন প্রশ্ন হলো ডায়াবেটিস রোগীরা ওজন কিভাবে বাড়াবে ? ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় কি ? এসব বিস্তারিত বিষয় জানতে এই পোস্টটি আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। কেননা, এই পোস্টে আমরা ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায়

ডায়াবেটিস বর্তমানে এমন একটি সমস্যা যা যেকোন বয়সের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। ওজন বেড়ে গেলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাই বিশেজ্ঞরা ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকে। ডায়াবেটিসের কারণে যদি ওজন কমে যায় তাহলে ডায়াবেটিসের রোগীরা কিভাবে ওজন বাড়াবে ? ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় কি ? এই সকল বিষয়ে বিস্তারিত এই পোস্টে বর্ণনা করা হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায়

ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায়

দীর্ঘদিন ধরে শরীরে ডায়াবেটিস থাকলে ওজন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে ওজন কমে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে ওজন কমে গেলে শরীর দুর্বল হয়ে যায়. শরীর লিকলিকে হয়ে যায়। চিন্তার কোন কারণ নেই ডায়াবেটিস রোগীরা নিম্নোক্ত এই খাদ্যগুলো গ্রহণ করলে আশা করা যায় শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে। ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার ‍উপায় গুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • হাই প্রোটিন ডায়েটঃ হাই প্রোটিন ডায়েট গ্রহণ করলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে, এটা নিশ্চিত। ডায়াবেটিস রোগী কতটুকু প্রোটিন গ্রহণ করবেন তা একজন চিকিৎসক নির্ধারণ করে দিবেন। শরীরের পুষ্টির ঘাটতি প্রোটিন দূর করবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ ডাল, সয়াবিন, ডিমের সাদা অংশ, লো ফ্যাট মিল্ক, চিকেন খান। প্রোটিন পেশি মজবুত করে, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • পাতে মিডিয়াম কার্ব রাখুনঃ সুগারের ভয়ে অনেকে কার্বহাইড্রেট খাওয়া একদমই ছেড়ে দেন। এটি মোটেও ঠিক নয়। কেননা, কার্বহাইড্রেট শরীরের শক্তি জোগায়। তাই একজন ব্যক্তি দৈনিক কতটুকু কার্বহাইড্রেট সমৃ্দ্ধ খাবার খাবেন তা একজন বিশেষজ্ঞ নির্ধারণ করে থাকেন। কেননা, ব্যাক্তিভেদে কার্বের চাহিদা ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে কার্বহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃ আটা রুটি, ভাত, ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন।
  • ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার খানঃ অনেকে ফ্যাট কে খারাপ মনে করেন বিষয়টি সঠিক নয়। এজন্য ওজন বাড়াতে খাদ্য তালিকায় ফ্যাট রাখার চেষ্টা করুন। সামুদ্রিক মাছ, স্যালমন, টুনা, সার্ডিনের মাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট পাওয়া যায়। তাছাড়া বাদাম, ওয়ালনাট, আমন্ড রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট।
  • বিভিন্ন মৌসুমী শাক-সবজিঃ এসব শাক সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ক্যালরি ইত্যাদি। যা সুগার কমাতে সাহায্যে করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • বিভিন্ন মৌসুমী ফলঃ এই ফলগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে লো থেকে মিডিয়াম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। তবে যেসকল ফল কম খাবেন সেগুলো হলোঃ আম, কলা, কাঠাল ইত্যাদি। তাছাড়া অন্যান্য ফল যেমনঃ পেয়ারা, আপেল, নাশপতি, পেঁপে এই খাবার গুলো নিয়মিত ডায়েটে রাখুন। আশা করা যায় ওজন বৃদ্ধি পাবে।
  • ওজন বাড়াতে দুধ খানঃ দুধের রয়েছে প্রচুর শক্তি। যা ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী।  এজন্য দৈনিক এক কাপ করে দুধ খান। যদি দুধ খেতে সমস্যা হয় তার পরিবর্তে দই খেতে পারেন।
  • অল্প অল্প করে খাবার খাওয়াঃ একসাথে অনেক খাবার খাওয়া মোটেও উচিত না। কেননা, এতে হজমে গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই একসাথে খাওয়ার পরিবর্তে অল্প অল্প করে খাবার খান। এতে হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হবে।
  • উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার খানঃ সারাদিন পরিশ্রমে যে পরিমাণ ক্যালরি ঝরে যাচ্ছে তার চেয়ে ৩০০-৫০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করা দরকার। এজন্য ডায়েটে খেজুর, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, চিনাবাদাম, ক্রিম, মুরগির মাংস, ফুলক্রিম দই,, ডিম, মাছ, আ্যভোকাডো, পিনাট বাটার, বাদাম, কাজুবাদাম, আলুবখরা,  পনির এই খাবার গুলো বেশি করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • ডায়াবেটিস ঠেকাতে যেসকল ব্যবস্থা নিবেনঃ ধুম পান, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে পরিত্যাগ করুন। দৈনিক সকালে বিকালে হাঁটার অভ্যাস করুন। রক্তের চিনির মাত্রার উপর নজর রাখুন। খাবারের মধ্যে মিষ্টি জাতীয় খাবার, ফাস্টফুড, কোমল পানীয়,পোলাও, বিরিয়ানি, রেড মিটের মতো ভারী খাবার, হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংক, চিনি জাতীয় পানীয় ইত্যাদি পরিহার করুন।

সম্মানিত পাঠক উপরোক্ত এই অভ্যাসগুলো যদি নিয়মিত পালন করতে পারেন আশা করা যায় ডায়াবেটিস রোগীরাও শরীরের ওজন বাড়াতে পারবে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত উপরোক্ত এই অভ্যাস গুলো নিয়মিত চর্চা করা এবং খাদ্য তালিকায় উপরোক্ত এই সকল খাবার রাখা। আশা করি পুরো আলোচনা থেকে ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় গুলো জানতে পারছেন।

মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম

ওজন বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরী অনুরুপভাবে একটি সুন্দর আকর্ষণীয় বডি বা শরীরের ওজন বাড়াতে, রোগা পাতলা শরীর মোটা করতে ব্যায়াম করাও খুবই জরুরী। মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই প্যারাটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

  • পুশ আপঃ যদি আপনি শরীরের ওজন বাড়াতে চান, একটি সুন্দর বডি তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুশ আপ করতে হবে। তাই এজন্য পুশ আপ করার সঠিক নিয়ম আপনাকে জানতে হবে। আপনি যদি পুশ আপ করার সঠিক নিয়ম না জানেন তাহলে ইউটিউবে লিখে সার্চ করুন অথবা একজন বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিন। এতে আপনি উপকৃত হবেন আশা করা যায়। ইহা আপনি ৩-৪ সেট লাগাতে পারেন। প্রত্যেক সেটে ৪-১০ বার রিপিটেশন করতে পারেন।

পুশ আপ

  • বার্বেল বেঞ্চ প্রেসঃ এটি একটি কম্পাউন্ড ব্যায়াম। এই ব্যায়ামটি করলে বুকের ছাতি/ সাইজ বৃদ্ধি পায়। এবং আপনার ওজনও দ্রুত বাড়তে থাকে। এই ব্যায়াম করলে বডিতে এনার্জি বৃদ্ধি পায়। যাদের বুক একে বারে ভিতরে ঢুকে গেছে তারা এই ব্যায়াম করতে পারেন। ইহা আপনি ৩-৪ সেট লাগাতে পারেন। প্রত্যেক সেটে ৪-১০ বার রিপিটেশন করতে পারেন।

বার্বেল বেঞ্চ প্রেস

  • স্কোয়াট ব্যায়ামঃ এটিও একটি কম্পাউন্ড ব্যায়াম। এই ব্যায়ামের ফলে বডিতে টেস্টোস্টেরন লেভেল বেড়ে যায়। এতে বডির মার্সেল সাইজ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। বডির এনার্জি দ্রুত বেড়ে যায়। ইহা আপনি ৩-৪ সেট লাগাতে পারেন। প্রত্যেক সেটে ৪-১০ বার রিপিটেশন করতে পারেন।

স্কোয়াট ব্যায়াম


  • পুল আপ ব্যায়ামঃ ওজন বাড়ানোর জন্য পুল আপন ব্যায়াম খুবই উপকারি। অনেকে পুল আপ করতে পারে না। আপনি প্রথমে ২/১টি যতটা পারেন ততটা পুল আপ লাগানোর চেষ্টা করেন। ওজন বাড়াতে এই ব্যায়ামের কথা ভুলবেন না।
পুল আপ ব্যায়াম

  • ডেডলিফট ব্যায়ামঃ শরীরে শক্তি বাড়ানোর জন্য এই ব্যায়ামটি খুবই কার্যকরী। যদি আপনি দেহে সুন্দর লুক তৈরি করতে চান তাহলে এই ব্যায়ামটি করুন।

ডেডলিফট ব্যায়াম

  • শোল্ডার প্রেসঃ এই ব্যায়াম করলে শোল্ডারের সাইজ বাড়ে। ওজন বাড়াতে এই ব্যায়ামটি খুবই উপকারি।ইহা আপনি ৩-৪ সেট লাগাতে পারেন। প্রত্যেক সেটে ৮-১২ বার রিপিটেশন করতে পারেন।

শোল্ডার প্রেস

সম্মানিত পাঠক ওজন বাড়াতে যে কয়টি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে সেই ব্যায়াম গুলো ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী। ব্যায়াম করলে সাধারণত ক্ষুধার চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য পুষ্টি কর খাবারের প্রতি মনোনিবেশ করা দরকার। এই ব্যায়াম গুলো যদি আপনি করতে না পারেন তাহলে একজন ব্যায়াম ট্রেইনারের শরণাপন্ন হন তারা আপনাকে বলে দিবে কোন ব্যায়াম কিভাবে করতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।

শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায় | দ্রুত মোটা হওয়ার উপায়

আপনি কি রোগা শরীর নিয়ে চিন্তিত ? চিন্তিত হওয়াটা স্বাভাবিক। আজকে আমি আপনাকে এমন কিছু খাবারের কথা বলব যেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখলে আশা করি আপনি হবেন স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর। অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর অনুরুপভাবে কম ওজন স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। এজন্য শরীরে স্বাস্থ্য বাড়াতে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করাও জরুরি। শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায় | দ্রুত মোটা হওয়ার উপায় গুলো চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • দুধঃ দুধে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমনঃ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন বি ১২। ক্যালসিয়াম শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত করে। ভিটামিন বি ১২ রক্ত তৈরি ও রক্ত শূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। এজন্য রাতে ডিনার শেষ করার পর এক গ্লাস দুধ খান।
  • ডিমঃ ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ যা চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে, ভিটামিন বি ২ ত্বক সুস্থ রাখে, জিংক রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ইহা ওজন বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী। তাই সকালে ব্রেকফাস্ট সম্পন্ন করার পর অথবা খালি পেটে, দিনের যেকোন সময় ডিম খাওয়া যায়। ডিম সহজলভ্য হওয়ায় বাজারে যেকোন সময় কিনতে পাওয়া যায়।
  • কলাঃ খুবই অল্প দামে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। কলার ভিটামিন বি ৬ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কলার ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায়, হার্ট সুস্থ রাখে। দিনের যেকোন সময় কলা খাওয়া যায় তবে সকালে খালি পেটে কলা কখনো খাবেন না। তাই দিনে অন্তত ১/২টি কলা খান।
  • খেজুরঃ খেজুরে রয়েছে অসাধারণ পুষ্টি গুণাগুণ। খেজুরের ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। খেজুর শরীরে রক্ত তৈরিতে খুবই কার্যকরী। কেননা, খেজুরে রয়েছে আয়রন ও ফলিক এসিড। তাছাড়া খেজুরের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, হার্ট এটাকের ঝুঁকি কমায়।
  • ডালঃ এটি হলো সহজলভ্য একটি খাবার যা সকলে পছন্দ করে। ডালে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। তাছাড়া আরও অন্যান্য পুষ্টি গুণাগুণ রয়েছে যেমনঃ পটাসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম আরও অন্যান্য। ডালকে বলা হয় প্রি-বায়োটিক খাবার। আমাদের শরীরে অসংখ্য উপকারি জীবাণু রয়েছে। এই উপকারি জীবাণু গুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে ডাল ভীষণ উপকারি।
  • টক দুইঃ দুধ দিয়ে বানানো টক দই শরীরের জন্য খুবই উপকারি। টক দইয়ে রয়েছে অনেক উপকারি জীবাণু। যা ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আপনাকে সুরক্ষা দিবে। টক দই গ্রহণের ফলে অনেক উপকারি জীবাণু দেহে যোগ হবে।
  • মুরগির মাংসঃ খাদ্য তালিকা ১ বা ২ টুকরো মুরগির মাংস রাখুন। ওজন বাড়ানোর জন্য অনেকে গরু বা খাসির মাংস খাওয়ার পরার্শ দিলেও অস্বাস্থ্যকর চর্বি থাকার কারণে তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আপনি খাসি বা গরুর মাংস থেকে যে পরিমাণ প্রোটিন পাবেন ডাল, ডিম, মুরগির মাংস থেকেও আপনি সেই পরিমাণ প্রোটিন পাওয়া যাবে।
  • বাদামঃ বাদামে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল, ফ্যাট, ফাইবার। বাদামকে প্রি-বায়োটিক খাবারও বলা হয়। ইহা উপকারি জীবাণু গুলোকে বাঁচিয়ে রাখে। তাই আপনি খাদ্য তালিকায় পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম খাদ্য তালিকায় রাখুন।
  • কিসমিসঃ শরীরের ওজন বাড়াতে কিসমিস খুবই উপকারি। আঙ্গুর ফল শুকিয়ে কিসমিস তৈরি করা হয়। কিসমিসে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। তাই ওজন বাড়াতে খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখতে পারেন।
  • বিভিন্ন পুষ্টিকর বীজঃ তিলের বীজ, তিসির বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বিচি এগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন। কেননা, ইহা শরীরে পুষ্টি জোগাতে সাহায্যে করে।
  • বেশি বেশি পানি পান করুনঃ শরীর সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। তাই বেশি বেশি পান করা খুবই দরকার।
  • ব্যায়াম করুনঃ খাদ্য সচেতন হওয়ার পাশাপাশি শরীরকে মোটা ব্যায়াম করা আবশ্যক। এখানে কিছু ব্যায়ামের উল্লেখ করা হলো যেমনঃ পুশ আপ, বার্বেল বেঞ্চ প্রেস, স্কোয়াট ব্যায়াম, পুল আপ ব্যায়াম, ডেডলিফট ব্যায়াম, শোল্ডার প্রেস এই ব্যায়াম গুলো করুন।
  • যেগুলো পরিহার করবেনঃ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ঘুম কম হওয়া, ধুমপান ও মদ্যপান, অপুষ্টিকর খাবার ( ফাস্‌ড ফুড, জাঙ্ক ফুড, তেলে ভাজা খাবার, চিনি জাতীয় পানীয়, কোল্ড ড্রিংকস ) এই খাবার গুলো খাওয়ার কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। তাই অবশ্যই এই খাবার গুলো পরিহার করুন। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন, প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ধুমপান ও মদ্যপান, অপুষ্টিকর খাবার গুলো পরিহার করুন।

সম্মানিত পাঠক এই অভ্যাস গুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আশা করা যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে এর ফল হাতে নাতে পেয়ে যাবেন। শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায় | দ্রুত মোটা হওয়ার উপায় আশা করি পুরো থেকে আপনি জানতে পারছেন।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক পুরো পোস্ট জুড়ে ডায়াবেটিস রোগীর মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাছাড়া আরও যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেগুলো হলো মেয়েদের মোটা হওয়ার ব্যায়াম, শরীর স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার উপায়, দ্রুত মোটা হওয়ার উপায় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরও তথ্য পেতে আমাদের সাইটের এই লিংকে চাপ দিন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url