ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় - সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় জেনে নিন
লিকলিকে শরীর আমাদের ব্যাক্তিত্বের শান নষ্ট করে দেয়। তাই আমরা স্বাস্থ্যবার হতে বিভিন্ন ধরণের পন্থা অবলম্বন করে থাকি। মোটা হওয়ার ইসলামিক নিয়ম কি, ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় বা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় জানতে আমরা গুগলের সহায়তা নিই। সুতারাং আপনি যদি ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় বা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
আমরা সমাজে যোগ্যতা সম্পন্ন স্বাস্থ্যবান বা আকর্ষণীয় মানুষের কদর বেশি। যোগ্যতা সম্পন্ন রোগা মানুষের কদর কম যেটা বর্তমানে চাকরির বাজারে গেলেই বোঝা যায়। সুতারাং আপনি যদি শারীরিকভাবে রোগা হয়ে থাকেন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। আমরা এই পোস্টে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় এবং সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বিস্তর আলোচনা করেছি।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়
- মোটা হওয়ার উপায়
- সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়
- ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়
- রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়
- শেষ কথা
মোটা হওয়ার উপায়
আপনি কি লিকলিকে শরীর মোটা করতে চান ? আপনি কি লিকলিকে শরীর নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ? লিকলিকে শরীরের কারণে কোথাও লজ্জিত হয়েছেন ? রোগা পাতলা শরীর স্বাস্থ্যবান করার বিভিন্ন টিপস নিয়ে আমরা আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মোটা হওয়ার জন্য খাদ্যের পাশাপাশি মানতে হবে কিছু অভ্যাস। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মোটা হওয়ার উপায় গুলো ধারাবাহিকভাবে জেনে নেওয়া যাকঃ-
খাবারের প্রতি অনীহা দূর করাঃ- মোটা না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো খাবারে অরুচি, খাবারের প্রতি অনীহা। খাবারের প্রতি অনীহা অবশ্যই দূর করতে হবে।
রুটিন মেনে খাবার খাওয়াঃ- শরীর মোটা তাজা করতে হলে সময় মতো খাবার খেতে হবে। যখন মনে চায় খাবার খেলাম যখন মনে চাইলো না খাবার খেলাম না এরকম অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। আমরা সকাল, বিকাল, রাত এই তিন বেলা খাবার খায়। এই তিন বেলা ছাড়া অন্যান্য সময়ও আমাদের হালকা পাতলা পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। যেমনঃ বিভিন্ন মৌসুমী ফল।
রাত না জাগাঃ রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস অনেকের রয়েছে। যা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এই অভ্যাস অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকাঃ টেনশনের কারণে আমরা অনেকে খাবার খায় না। খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরের ওজন ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। তাই ওজন বাড়াতে দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা দরকার।
নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ত্যাগ করাঃ- শরীরের ওজন বাড়াতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ধুমপান, অ্যালকোহল, মদ্যপান ইত্যাদি। তাই আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ত্যাগ করা।
ব্যায়াম করাঃ পেশি শক্তিশালী করতে, বুকের সাইজ বাড়াতে, শরীরের হাড় মজবুত করতে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলোঃ- হাঁটা। খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট ব্যায়াম যেমনঃ- ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, ব্যাডমিন্টন, সুইমিং, সাইকেলিং সহ আরও অন্যান্য। তাছাড়া এগুলো ছাড়া আরও অন্যান্য ব্যায়াম রয়েছে যেমনঃ- পুশ আপ, পুল আপ ব্যায়াম, ডেডলিফট ব্যায়াম, শোল্ডার প্রেস ইত্যাদি।
ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবারঃ- ওজন বাড়াতে ফ্যাট খুবই উপকারি। তাই যে সকল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার রয়েছে সেগুলো আপনাকে খেতে হবে যেমনঃ ওয়ালনাট, আমন্ড, বাদাম, টুনা মাছ, স্যালমন, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি।
উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারঃ- শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান। পেশি মজবুত, কর্মদক্ষতা বাড়াতে প্রোটিন খুবই কার্যকরী। ডাল, সয়াবিন, ডিমের সাদা অংশ, লো ফ্যাট মিল্ক, চিকেন পর্যাপ্ত প্রোটিন।
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারঃ- শরীরে শক্তি জোগাতে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খুবই দরকারি। আটার রুটি, ভাত, ডাল, ভাতের মাড় ইত্যাদি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার।
প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারঃ- রোগা পাতলা শরীর মোটা করতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। মাছ, মাংস, ডিম, কলিজা, ডাল, কুমড়োর বীজ, শীমের বীজ, তিসির বীজ, তিলের বীজ, টক দই, দুধ, পনির, আলু, বাদাম ইত্যাদি খাবার গুলো বেশি করে খান। ইহা রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই উপকারি।
আমিষসমৃদ্ধ খাবারঃ- শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে আমিষ ভীষণ উপকারি। ডিম, হাঁস-মুরগির মাংস, দুগ্ধজাত খাবার, মাছ, বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার থেকে প্রচুর আমিষ পাওয়া যায়। তাছাড়া বিভিন্ন মৌসুমী শাকসবজি, ফল থেকে পর্যাপ্ত আমিষ পাওয়া যায়।
উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবারঃ- পরিশ্রমের কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক ক্যালরি ঝরে যাচ্ছে এই ক্যালরির চাহিদা পূরণের জন্য খেজুর, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, চিনাবাদাম, ক্রিম, মুরগির মাংস, ফুলক্রিম দই, ডিম, মাছ, আ্যভোকাডো, পিনাট বাটার, বাদাম, কাজুবাদাম, আলুবখরা, পনির এই গুলো খাদ্য তালিকায় রাখুন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারঃ- ছোট মাছ, দুধ, মাখন, ঘি, গাজর, পালংশাক, পাতাকপি, ব্রুকলি, লাল মরিচ, টমেটো, কুমড়া, লেটুস, পাঁকা পেপে, মাশরুম, মটরশুটি, গুড়, মধু, দুগ্ধজাত খাবার, বিভিন্ন ধরণের মাছ, আমলকি, পেয়ারা, জাম্বুরা, মাল্টা, কমলা, আপেল, আঙ্গুর, পুদিনা পাতা, বড়ই তেতুল, বার্লি, চিনা বাদাম, আখরোট ইত্যাদি খাবার ভিটামিনের ভালো উৎস।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারঃ- সিদ্ধ আলু, পালংশাক, ছোলা, ডার্ক চকলেট, কলিজা, কুমড়ার বীচি, ডিমের কুসুম, মসুর ডাল, কাজু বাদাম ইত্যাদি আয়রনের ভালো উৎস।
জিংক সমৃদ্ধ খাবারঃ- দুগ্ধজাত খাবার, কাজু বাদাম, ছোলা, মসুর ডাল, ডিম, কুমড়া পালংশাক, লাল মাংস ইত্যাদি জিংকের ভালো উৎস।
পটাসিয়াম যুক্ত খাবারঃ- বিটরুট, ডালিম,পালংশাক, মটর শুটি, মিষ্টি আলু, ডাবের পানি, টমেটো, কলা, অ্যাভোকাডো পটাসিয়ামের ভালো উৎস।
ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবারঃ- ব্রকলি, ওটমিল, দই, কলা, ডার্ক চকলেট, ফোরটিফাইড সয়া মিল্ক, চিনাবাদাম , পালং শাক, আমন্ড, কুমড়ার বীজ, পিনাট বাটার ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারঃ- নাশপতি, স্টবেরি, কলা, আপেল, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, ডালিম, গাজর, ব্রকলি, বিট, মুগ ডাল, মসুর ডাল, ছোলা, ওটস, সয়াবিন ইত্যাদি ফাইবারের ভালো উৎস।
সম্মানিত পাঠক মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে এই ওয়েবসাইটে বিস্তৃত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি প্যারাটি আপনাদের মুগ্ধ করেছে। সুতারাং এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য আরোও পেতে এই লিংকে চাপ দিন।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বা ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় অনেকে জানতে চায়। এই নিয়ম গুলো মেনে চললে আপনি ৭/১৫ দিনের মধ্যে মোটা হয়ে যাবেন এই ভাবে বলা যায় না। আর এটা কখনোও সম্ভব না। ওজন কমানো যত সোজা ওজন বাড়ানো অত সোজা নয়। তবে আপনি স্বাস্থ্য বাড়াতে চাইলে মানতে হবে কিছু অভ্যাস। যে অভ্যাস গুলো মেনে চললে কয়েক মাস এটার রেজাল্ট আপনি পেয়ে যাবেন। ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি যেসব অভ্যাস মানতে পারেনঃ-
- প্রচুর পানি পান করুন। কমপক্ষে দৈনিক ৩/৫ লিটার পানি পান করুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি মনোনিবেশ করুন। যেসকল খাবারে উচ্চ ক্যালরি রয়েছে, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, ভিটামিন, মিনারেল, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, খনিজ, জিংক, আয়রন, ফাইবার, প্রোটিন রয়েছে সেই সকল খাবার গুলো বেশি বেশি খান। উপরে বর্ণিত মোটা হওয়ার উপায় এই প্যারাটি পড়ুন।
- অস্বাস্থ্যকর খাবার, মুখরোচক খাবার, তেলেভাজা খাবার, ফাস্ড ফুড, জাঙ্ক ফুড, মিষ্টি, কোল্ড ড্রিংকস এই খাবার গুলো ত্যাগ করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলোঃ- হাঁটা। তাছাড়া আপনি খেলাধুলা (ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, সুইমিং, সাইকেলিং, হকি) সংশ্লিষ্ট এই ব্যায়াম গুলো করতে পারেন। আরও অন্যান্য ব্যায়াম যেমনঃ পুল আপ ব্যায়াম, ডেডলিফট ব্যায়াম, পুশ আপ, স্কোয়াট ব্যায়াম, বার্বেল বেঞ্চ প্রেস, শোল্ডার প্রেস এই ব্যায়াম গুলো করুন।
- নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন ত্যাগ করুন। যেমনঃ ধূমপান, মদ্যপান, অ্যালকোহল। এগুলো শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।
- শরীরে যতক্ষণ ঘুমের প্রয়োজন ততক্ষণ ঘুমাতে হবে। ঘুমের স্ট্যান্ডার্ড মাপকাঠি হলোঃ ৬-৮ ঘন্টা। অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
- মানসিকভাবে চিন্তামুক্ত বা চাপ মুক্ত থাকতে হবে। সব সময় ফ্রেশ মাইন্ড বা হাসি খুশি থাকতে হবে।
- খাবার না খেলে কখনোও মোটা হওয়া যাবে না। তাই বেশি বেশি বা ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। খাবারের প্রতি আগ্রহ না থাকলে মুখের রুচি বাড়ায় এরকম ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খেতে হবে। কেননা প্রতিটি ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
- সর্বোপরি উপরোক্ত এই নিয়ম গুলো মেনে চলার পরেও যদি শারীরিক কোন পরিবর্তন না আসে তাহলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াটা দরকার।
আশা করি এই প্যারা থেকে আপনি সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারছেন। এইরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য আরও পেতে আমাদের এই লিংকে চাপ দিয়ে আমাদের সাইটের সাথে যুক্ত থাকুন।
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়
আমরা দেখেছি অনেকে শরীরের ওজন নিয়ে চিন্তিত। কেউ চিন্তিত ওজন বৃদ্ধির কারণে, কেউ চিন্তিত বয়সের অনুযায়ী শরীরের ওজন কম হওয়ার কারণে। শরীরের কম ওজনের কারণে শারীরিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়, ব্যাক্তিত্বের শান নষ্ট হয়ে যায়। পোশাক পড়লে মনে হয় পোশাক যেন হ্যাঙ্গারে ঝুলছে। ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় কী ? মোটা হওয়ার আমল কী ? ইসলামে মোটা হওয়ার ব্যাপারে কী বলেছে এরকম তথ্য জানতে মানুষ গুগলের সন্ধান করে। ইসলামে মোটা হওয়ার ব্যাপারে কি বলেছে সেই ব্যাপারে হাদিস থেকে বর্ণনা করা হবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে কি বলেছে জেনে নেওয়া যাক।
হাদিস-১ঃ আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর কাছে পাঠাবেন। এজন্য তিনি অনেক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, কিন্তু কোনো ফল হয়নি। শেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে— আমি তাতে উত্তমভাবে স্বাস্থ্যের অধিকারী হই। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৩৯০৩)।
হাদিস-২ঃ আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমার মা আমাকে আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন, তাই আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন। কিন্তু তা কোনো উপকারে এলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরুপে দৈহিক পরিপুষ্টি লাভ করলাম।’ (আবু দাউদ,হাদিস : ৩৩২৪)।
হাদিস-৩ঃ আবদুল্লাহ ইবনু জাফর (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) খেজুরের সঙ্গে একত্রে শসা খেতেন। (সহিহ ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৩২৫)।
সম্মানিত পাঠক উপরে বর্ণিত ৩ টি হাদিস থেকে আমরা এতটুকু স্পষ্ট হলাম যে, খেজুরের সাথে শসা একত্রে খেলে শরীর সুস্থ থাকে, রোগা পাতলা শরীর স্বাস্থ্যবান হয়, শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। হাদিস থেকে আমরা এটাও জানতে পারলাম খেজুরের সাথে শসা একত্রে খাওয়া এটা নবী (সাঃ) সুন্নাহ। আশা করি আলোচনা থেকে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
হাদিস সংগৃহিত হয়েছেঃ www.dhakapost.com
রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায়
অনেক নারী কিংবা পুরুষ যারা শারীরিকভাবে রোগা পাতলা। রোগা পাতলা শরীর আমাদের দৈহিক গঠনের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। এজন্য রোগা পাতলা শরীর স্বাস্থ্যবান করতে আমরা কতই না আয়োজন করি। দেখতে আকর্ষনীয় লাগে সেইভাবে নিজেকে তৈরি করতে হলে আপনাকে কিছু নিয়ম বা অভ্যাস অনুসরণ করতে হবে। যেগুলোর মাধ্যমে রোগা শরীরকে আকর্ষনীয় করে তোলা সম্ভব। রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় গুলো জেনে নিনঃ-
- রুটিন মেনে খাবার খেতে হবে। মনে চাইলে খাবার খাব, মনে না চাইলে খাবার খাব না এরকম করলে চলবে না। খাবারের প্রতি আগ্রহী হতে হবে। ঘন ঘন খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- ভাত ও ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর শক্তি। তাই ভাতের পাশাপাশি ভাতের মাড় খাওয়ার অভ্যাস করুন। ইহা ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
- ডিম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। সকালে খালি পেটে ১/২টি করে ডিম খান। ইহা শরীর স্বাস্থ্য বাড়াতে সহায়তা করবে।
- রাতের ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস বা ১ কাপ করে দুধ খান।
- দুপুরের খাবার বা রাতের খাবারে শাকসবজি সাথে মাছ, মাংস, ডিম রাখুন। কেননা, ইহা শরীরের ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
- নিয়মিত বিভিন্ন মৌসুমী ফল বা ফলের রস খান। কেননা, এসব ফলে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি।
- তাছাড়া উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ শুকনো ফল যেমনঃ খেজুর, কাঠ বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কিসমিস এগুলো খাদ্য তালিকায় রাখুন।
- ফ্যাটিসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। কেননা, ইহা শরীরের ফ্যাট বৃদ্ধি করে ওজন বাড়াতে সহায়তা করে।
- যদি আপনি শরীর স্বাস্থ্য বাড়ানোর জন্য ঔষধ খেতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করবেন। কারণ এগুলো ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। মোটা হওয়ার জন্য এই ওষুধ গুলো পাওয়া যায়ঃ- পিউটন সিরাপ, সিনকারা সিরাপ, রুচিবেট ইত্যাদি। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি মানতে হবে কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যেমনঃ রাত না জাগা সময়মতো ঘুমিয়ে পড়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, নেশাজাতীয় দ্রব্য পরিহার করা, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা। এই অভ্যাস গুলো যদি মানতে পারেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে রোগা পাতলা শরীর মোটা হয়ে যাবে।
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক পুরো পোস্ট জুড়ে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে। তাছাড়া এই পোস্টে সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় | ১৫ দিনে মোটা হওয়ার উপায়, ইসলামে মোটা হওয়ার উপায়, রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। এই রকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আরো তথ্য পেতে এই লিংকে চাপ দিন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url