ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় - ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম
অন্যান্য রোগের মতো ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম নয়। মূলত লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমে লিভারের ক্ষতিসহ নানান ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির যে আংশকা থাকে তাকে ফ্যাটি লিভার বলে।সম্মানিত পাঠক এই পোস্টে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম নিয়ে আলোচনা করা হবে। নিয়মমাফিক জীবন যাপনের দ্বারা এই ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনি যদি ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
ফ্যাটি লিভার এমন একটি অসুখ যা লিভারকে অকেজো করে ফেলে। নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনই পারে এ ধরণের সমস্যা থেকে বাঁচাতে। যখনই ফ্যাটি লিভার ধরা পড়বে তখনই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় ও ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
- ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম
- ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত
- ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় | ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায়
- লিভারের চর্বি কমানোর ওষুধ
- শেষ কথা
ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম
অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন ও শরীরে বাড়তি ওজনের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে। ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি শরীর চর্চা করা খুবই জরুরী। শরীরচর্চার মাধ্যমে শরীরের বাড়তি চর্বি গলে যায়। তাই ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে নিচের এই ব্যায়াম গুলো করতে পারেন। সব ব্যায়াম সবাই করতে পারবে না। যেগুলো ভারী ব্যায়াম সেগুলো করার পূর্বে অবশ্যই একজন ব্যায়াম বিশেষজ্ঞ নিকট থেকে উপদেশ নিবেন।
ব্যায়াম করার সময় অবশ্যই লক্ষ রাখবেন যতটুকু ভর আপনার শরীরে সাপোর্ট করে অথবা যতটুকু আপনার জন্য সহজ মনে হবে ততটুকু করবেন। ধরুন, আপনি ১৫ মিনিট হাঁটতে পারেন, এখন যদি আপনি জোর করে ৩০ মিনিট হাঁটেন তাহলে একটু অস্বস্তিতে ভোগবেন। অর্থ্যাৎ এতটুকু বোঝাতে চাচ্ছি শরীরে চাপ প্রয়োগ করে ব্যায়াম করবেন না। শরীরে যতটুকু কোলায় ততটুকু ব্যায়াম করুন। ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম গুলো হলোঃ
- হাঁটা
- খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট ব্যায়াম ( ক্রিকেট, ফুটবল, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, হকি, ব্যাডমিন্টন ইত্যাদি)
- রেজিস্টেন্স ট্রেনিং ও ওয়েট লিফটিং
- অ্যাবডোমিনাল ক্রাঞ্চেস
- প্ল্যাঙ্ক ব্যায়াম
- পশ্চিমোত্তানাসন
- হলাসন
- ধনুরাসন
- ভুজঙ্গাসন
- কপালভাতি
এই ব্যায়াম গুলো কিভাবে করতে হয় তা যদি আপনি না জানেন তাহলে ব্যায়াম গুলোর নাম লিখে ইউটিউবে সার্চ দিন। তাহলে ব্যায়াম গুলো কিভাবে করতে হবে তা আপনি জেনে যাবেন। উপরোক্ত এই ব্যায়াম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলো হাঁটা। আপনি যদি নিয়মিত হাঁটতে পারেন তাহলে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত
আপনি কি ফ্যাটি লিভার সমস্যায় আক্রান্ত ? এখন ভাবছেন ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত ? যেকোন রোগের মতো ফ্যাটি লিভার রোগ হলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন আনা খুবই জরুরী। ফ্যাটি লিভার হলে শরীরের টক্সিন ঠিক মতো বের হতে পারে না। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা গুলো দেখা দেয়। ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা খুবই জরুরী। তাহলে আসুন জেনে নিই ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্বন্ধে।
- লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার লিভারে চর্বি জমতে বাধা দেয়। যে সকল খাবারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় সেগুলো হলোঃ সূর্যমুখী বীজ, ব্ল্যাক কফি, সবুজ চা, বাদাম, বিভিন্ন মৌসুমী ফল, শাকসবজি, ভিটামিন ই জাতীয় খাবারে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
- ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের জন্য ভিটামিন ডি খুবই জরুরী। যে সকল খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সেই সকল খাবার গুলো খেতে হবে। যেমনঃ স্যামন মাছ, ডিম, কমলা, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার গুলোতে প্রচুর ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাছাড়া যখন সকালের রোদ গায়ে লাগে সেই রোদে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
- যারা অ্যালকোহল পান করেন না অথচ ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত তাদের জন্য পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী। তাই আপনাকে পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গুলো বাচাই করে করে খেতে হবে। দুগ্ধজাত খাবার গুলোতে পটাসিয়াম পাওয়া যায়। তাছাড়া মিষ্টি আলু, কলা, মটর, ব্রুকলি, মসুর ডাল, পালংশাক, নারকেলের পানি, তেলযুক্ত সামুদ্রিক মাছে পর্যাপ্ত পটাসিয়াম পাওয়া যায়।
- আরও অন্যান্য খাবার যেমনঃ ( হলুদ, অ্যালোভেরা, রসুন, পুদিনা, লেমনগ্রাস, আদা, লেবু, আমলকি, গ্রিন টি, সামুদ্রিক মাছ, বিভিন্ন মৌসুমী ফল, শাকসবজি) খেলে ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
- সতর্কতাঃ ফ্যাট লিভার হলে যে সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে সেগুলো হলোঃ চিনিযুক্ত যেকোন খাবার বা পানীয়/ড্রিকংস থেকে বিরত থাকতে হবে, তেলেভাজা খাবার, অ্যালকোহল, গরুর মাংস, খাসির মাংস, পরোটা, নান, নুডুলস পাস্তা, সাদা ভাত, ময়দা তৈরি রুটি এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সাদা ভাত, ময়দা তৈরি রুটি পরিবর্তে লাল আটার রুটি, লাল চাল এগুলো পরিমিত পরিমাণে খেতে পারেন।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় | ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায়
লিভারে চর্বি জমে যাওয়া একটি মারাত্নক বিষয়। সময় মতো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এটা গুরুতর পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে খাদ্য তালিকা ও জীবনযাপনে পরিবর্তন আনা খুবই জরুরী। ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে আপনার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, চর্বিমুক্ত খাবারের গ্রহণের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এখন আমি আপনাদেরকে জানাবো ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়, ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিত্যাগঃ নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে ফ্যাটি লিভার আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। এজন্য ফ্যাটি লিভার শনাক্ত হওয়ার পরপরই অ্যালকোহল,মদ্যপান ছাড়তে হবে।
মিষ্টি জাতীয় খাবার ত্যাগঃ মিষ্টি জাতীয় খাবার লিভারে চর্বি জমতে সহায়তা করে। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য মিষ্টি জাতীয় খাবার এক ধরণের বিষ বললেও ভুল হবে না। মিষ্টি জাতীয় খাবার, চায়ের সাথে চিনি খাওয়া এগুলো বাদ দিতে হবে।
তেলে ভাজা খাবার ত্যাগঃ তেলে ভাজা খাবার আমরা সকলেই কম-বেশি পছন্দ করি। কিন্তু যারা ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত তাদের অবশ্যই তেলে ভাজা খাবার ছাড়তে হবে। কেননা, তা লিভারে চর্বি জমতে দেয়। এতে লিভার আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিদিন ব্যায়াম করাঃ সব ধরণের ব্যায়াম সবাই করতে পারবে না। ব্যায়ামের মধ্যে সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম হলো হাঁটা হাঁটি করা। তাই প্রতিদিন সকালে অথবা বিকেলে ১৫-২০ মিনিট হাটুন। যদি দুই বেলা হাঁটতে না পারেন তাহলে অন্তত এক বেলা হাঁটুন। হাটার পাশাপাশি সাতার কাটা, সাইকেলিং, যারা খেলাধুলা ( ক্রিকেট, ফুটবল, হকি) করতে পছন্দ করেন তারা খেলাধুলা করতে পারেন। এটাও একধরণের শরীর চর্চা বা ব্যায়াম।
কোন খাবার ভালোঃ বিভিন্ন মৌসুমী ফল, শাকসবজি, শস্যদানা, চর্বিহীন প্রোটিন এই খাবার গুলো খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরী। এগুলো লিভারের কার্যকারিতা বাড়ানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়তা করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেগুলো লিভার প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম।
ব্ল্যাক কফি পান করুনঃ এই কফিতে এমন উপাদান রয়েছে যা লিভারের প্রদাহকে কমাতে সাহায্যে করে। ব্ল্যাক কফি শরীরের ফ্যাটের মাত্রা কমাতে সাহায্যে করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাঃ আমরা শরীরে ওজনের ব্যাপারে অনেকেই সচেতন না। এজন্য মাঝে-মধ্যে গিয়ে নিজের শরীরের ওজন পরীক্ষা করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে হবে।
হলুদঃ হলুদে রয়েছে কারকিউমিন উপাদান এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট যা লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। হলুদ ফ্যাটি লিভার কমিয়ে থাকে। এজন্য রান্নার তরকারিতে নিয়মিত হলুদ খান। রাতে ঘুমানোর আগেও দুধের সাথে হলুদ মিশিয়ে পান করুন।
অ্যালোভেরাঃ অ্যালোভেরাতে অনেক ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। অ্যালোভেরার জেলে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বৈশিষ্ট্য থাকায় ইহা লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এজন্য যেকোন জুসের সাথে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
রসুনঃ রসুনে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। যা শরীরের টক্সিন দূর করে, লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এজন্য রান্নার তরকারিতে রসুন ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।
পুদিনাঃ পুদিনা লিভারের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্যে করে। কেননা, পুদিনায় রয়েছে মেনথল। যা লিভারকে সুস্থ রাখে ও হজমশক্তি ঠিক রাখে।
লেমনগ্রাসঃ এটি লিভারের ক্ষতি ও লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্যে করে। কেননা, এতে রয়েছে সিট্রালের মতো যৌগ। এটি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের জন্য খুবই জরুরী।
আদাঃ আদা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি। আদাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার কারণে যে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে তা থেকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে আদা। এটি হজমে সহায়তা করে। আদা রক্তের লিভারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। লিভারকে সুস্থ রাখে।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারঃ এটি লিভারের চর্বি কমাতে সহায়তা করে। এটি লিভারের প্রদাহ কমিয়ে দেয়। লিভার সুস্থ রাখে। ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং সামান্য মধু মিশিয়ে নিন। এভাবে টানা দুই মাস পান করুন।
লেবুঃ লেবুর গুণাগুণের কথা এক/দুই লাইনে বলে শেষ করা যাবে না। লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা লিভারে গ্লটাথিয়ন তৈরি করে এবং লিভার থেকে টক্সিন দূর করে, এজন্য ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত লেবুর রস খাওয়া দরকার।
আমলকীঃ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি। যা লিভার থেকে টক্সিন দূর করে। লিভারকে সুস্থ রাখে। কাঁচা আমলকি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
গ্রিন টিঃ নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করেন না অথচ ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত এমন ব্যাক্তিদের জন্য গ্রিন টি ভীষণ উপকারি। এটি লিভারের চর্বি পোড়াতে সাহায্যে করে। উচ্চ-ঘনত্বের ক্যাটেচিন পাওয়া যায় গ্রিন টি তে। ফ্যাটি লিভার থেকে বাঁচতে প্রতিদিন ৩/৪ কাপ গ্রিন টি খাওয়া দরকার।
লিভারের চর্বি কমানোর ওষুধ
লিভারের চর্বি কমানোর ওষুধ কোনটি তা জানতে অনেকে গুগলে অনুসন্ধান করে। শুরুতেই জানিয়ে রাখা ভালো যেকোন ওষুধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। কেননা, ডাক্তার আপনার শরীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে, আপনার শারীরিক সমস্যার কারণ উদঘাটন করার পর কোন ওষুধটি আপনার জন্য উপযুক্ত হবে তা বলে দিবে। “সব ওষুধ সবার জন্য উপযুক্ত নয়” বিষয়টি মাথায় রাখবেন। লিভারের চর্বি কমানোর ওষুধ পাওয়া গেলেও লিভারের ক্ষতিটা পূরণের কোন ওষুধ নেই। চলুন তাহলে জেনে নিই লিভারে চর্বি কমানোর ওষুধ গুলো সম্বন্ধে।
- ওবিটাকলিক এসিড
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড
- ফিস ওয়েল
যদিও আমরা অনেক ক্ষেত্রে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, ফিস ওয়েল এগুলোকে ওষুধ মনে করি না। এগুলোকে আমরা মনে করি ফুড সাপ্লিমেন্ট। ওবিটাকলিক এসিড লিভারের চর্বি কমানো জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
ফ্যাটি লিভারের সাধারণ হোমিও ওষুধঃ এখন আমরা জানব ফ্যাটি লিভারের সাধারণ হোমিও ওষুধ গুলোঃ-
- চেলিডোনিয়াম
- লাইকোপডিয়াম
- ফসফরাস
- ক্যালকেরিয়া কার্ব
- নাক্সভোমিকা
শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক যারা ফ্যাটি লিভার নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তাদের জন্য মূলত এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। এই পোস্টে ফ্যাটি লিভারের ব্যায়াম, ফ্যাটি লিভার হলে কি খাওয়া উচিত, ফ্যাটি লিভার দূর করার ঘরোয়া উপায় | ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়, লিভারের চর্বি কমানোর ওষুধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার উপকারে এসেছে। এরকম স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য জানতে এই লিংকে চাপ দিয়ে আমাদের সাইটটি ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url