দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল - বিয়ে হওয়ার লক্ষণ জেনে নিন
বিয়ের মাধ্যমে জীবন পরিপূর্ণতা পায়। এজন্য যুবক-যুবতীদের সঠিক সময়ে বিয়ে দেওয়া দরকার। সঠিক সময়ে বিয়ের ব্যবস্থা করে না দিলে তারা বিভিন্ন পাপকর্মে জড়িয়ে যাবে। সেই পাপের ভাগিদার হতে হবে অভিভাবককে। এই পোস্ট থেকে আমরা জানবো দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল ও বিয়ে হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে। আপনি যদি দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল ও বিয়ে হওয়ার লক্ষণ গুলো না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য।
বিয়ে হচ্ছে পবিত্র বন্ধন। এই বন্ধন এসেছে জান্নাত থেকে। আমাদের সমাজে অসংখ্য ছেলে-মেয়ে আছে যাদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনো বিয়ে হচ্ছে না। এ নিয়ে অভিভাবকরা পেরেশানির মধ্যে রয়েছে। বিয়ে হওয়ার লক্ষণ গুলো জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল গুলো জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল
- দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল
- বিয়ে হওয়ার লক্ষণ
- কার সাথে বিয়ে হবে জানার উপায়
- ৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল
- মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
- উপসংহার
দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল
যে সমাজে বিয়ে করতে লাখ লাখ টাকা লাগে অন্যদিকে যিনা-ব্যাভিচার-পরকীয়া-পতিতালয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতে শত টাকা লাগে সেখানে বিয়ে করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এটাই আজকের সমাজের বাস্তবতা। যা আমাদের চোখের সামনে স্পষ্ট। নবী (সাঃ) বিয়েকে সহজ করার উপদেশ দিয়েছেন। আর আমরা বিয়েকে কঠিন বানিয়ে ফেলেছি। যার কারণে সহজে বিয়ে হয় না।
অনেক যুবক-যুবতীদের সঠিক সময়ে বিয়ে না হওয়ার কারণে বিয়ে হতে বিলম্ব হয়। এতে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। বিয়ে হচ্ছে বরকতময় ও কল্যাণকর। আমরা সকলেই চাই এই বরকত ও কল্যাণের অংশীদার হতে। অনেকের বিয়ে হতে বিলম্ব হচ্ছে। কেন বিলম্ব হচ্ছে আমরা তা জানি না। দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল কি অনেকে জানতে চাই। চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
গুনাহ ছাড়াঃ গুনাহ আমাদের জীবনে প্রতিবন্ধকা তৈরি করে। তাই কোন একটি আমল থেকে ফায়দা নিতে হলে আগে গুনাহ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে হবে। যে ব্যাক্তি চরিত্র হেফাজতের জন্য বিয়ে করতে চাই তাকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া আল্লাহর জন্য ওয়াজিব।
কুরআন মাজীদে বর্ণিত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করাঃ দোয়াটি হলো-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
যে সময়ে দো’আ কবুল হয় সে সময়ে দোয়া করুনঃ ভাগ্য পরিবর্তনে দোয়ার কোন বিকল্প নেই। আপনাকে ঐ সময় দোয়া করতে হবে যে সময় দোয়া করলে দোয়া কবুল হবে। এজন্য দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় গুলো বাচাই করে করে দোয়া করা দরকার। দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়ঃ
- তাহাজ্জুতের সময় দোয়া করুন।
- ইফতার সামনে রেখে দোয়া করুন।
- আজান ও ইকামতের মাঝে দোয়া করুন।
- বৃষ্টির নিচে দাড়িয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করুন।
- জুম’আর দিনে দোয়া করুন। আসরের আযান থেকে শুরু করে মাগরিবের আযানের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত দোয়া করুন। এই সময় দোয়া কবুল হয়।
- শবে-কদরের রাতে দোয়া করুন।
- মাতা-পিতার কাছ থেকে দোয়া নিন।
- মাজলুম/অসুস্থ ব্যাক্তির নিকট থেকে দোয়া নিন।
বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুনঃ অসংখ্য সমস্যার সমাধান এই ইস্তেগফারের মধ্যে রয়েছে। তাই বিয়ে-শাদী নিয়ে যদি পেরেশানির মধ্যে থাকেন তাহলে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন।
ইয়া ফাত্তাহুঃ বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে আল্লাহর গুনবাচক নাম “ইয়া ফাত্তাহু” বেশি বেশি পাঠ করুন।
দরুদ শরীফ পড়ুনঃ জীবনে যেকোন সমস্যার সমাধান এই দরুদ শরীফের মধ্যে রয়েছে তাই বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়ুন।
ইয়া হাইয়ু ও ইয়া কাইয়্যুম বলে আল্লাহকে ডাকুনঃ আল্লাহর এই গুণবাচক নাম দিয়ে আল্লাহকে ডাকুন এবং আপনার অভাবগুলো আল্লাহকে বলুন।
উত্তম জীবনসঙ্গী খোজ করাঃ ইসলামী নিয়ম মেনে জীবন যাপন করে এমন কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাচাই করুন। এখানে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ।
ইস্তেখারা করুনঃ দুনিয়া ও আখিরাতের ফায়দা হাসিল ও যেকোন সিদ্ধান্তহীনতা দূর করতে ইস্তেখারা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ উত্তম ফায়সালাকারী।
সম্মানিত পাঠক, এই আমল গুলো যদি আপনি নিয়মিত করেন আশা করা যায় আপনি কখনো নিরাশ হবেন না। আল্লাহ অবশ্যই আপনার চাওয়া-পাওয়া গুলো কবুল করে নিবেন। তাই আপনার উচিত হবে যতক্ষণ না আপনার বিয়ে হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই আমলগুলো করতে থাকা।
বিয়ে হওয়ার লক্ষণ
যারা নতুন বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই বিয়ে হওয়ার লক্ষণ গুলো জানতে হবে। বিয়ে সবাই করতে পারবে না। বিয়ে কারও জন্য ফরজ, কারও জন্য সুন্নাহ, কারও জন্য হারাম। যেহেতু বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত/বিষয়, তাই বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত আমাদের বুঝে-শুনে নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নিতে যদি ভূল হয় তাহলে সারা জীবন এটার মাশুল দিতে হবে।
বিয়ে কখন ফরজঃ ব্যাক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে, শারীরিকভাবে সুস্থ, বিয়ে করলে স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে কিন্তু বিয়ে না দিলে চরিত্র নষ্ট হয়ে যাবে এমন অবস্থায় বিয়ে ফরজ।
বিয়ে কখন সুন্নাহঃ ব্যাক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা আছে, শারীরিকভাবে সুস্থ, বিয়ে করলে স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে কিন্তু বিয়ে না দিলে তার চরিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার কোন আশংকা থাকে না তার জন্য বিয়ে সুন্নাহ।
বিয়ে কখন হারামঃ যে ব্যাক্তির আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই, শারীরিকভাবে অক্ষম, বিয়ে করলে স্ত্রী হক আদায় করতে পারবে না তার জন্য বিয়ে হারাম।
বিয়ে হওয়ার লক্ষণঃ বিয়ের হওয়ার লক্ষণ গুলো আমাদের জানতে হবে। লক্ষণ গুলো হলোঃ-
১. ঐ ব্যাক্তিকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।
২. শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে।
৩. বিয়ে করলে স্ত্রী হক আদায় করতে পারবে।
৪. বিয়ের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে-মেয়ে একে অপরের সাথে কথা বলে নিবে। যদি তাদের মধ্যে মনের মিল থাকে, তাদের জীবনের লক্ষ্য যদি এক হয় এমনঅবস্থায় বিয়ে সেরে নেওয়া টা উত্তম।
৫. পরিবারে অভিভাবকদের এই বিয়েতে সম্মতি থাকতে হবে।
৬. ছেলে-মেয়ে উভয়ই সংসার করতে আগ্রহী।
৭. যাকে দেখলে বা যার প্রতি আপনার ভালো লাগা কাজ করবে তার সাথে বিয়ে করাটা ভাল।
৮. একে অপরকে বিশ্বস্ত ও নিরাপদ মনে করবে।
৯. একে অপরের জন্য তারা জীবনের সর্বোচ্চ টুকু বিলিয়ে দিবে।
সম্মানিত পাঠক এই পোস্টে বিয়ে হওয়ার লক্ষণ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার খুবই উপকারে এসেছে। জীবনে প্রথম যখন বিয়ে করতে যাবেন তখন এই লক্ষণ গুলো অবশ্যই মিলিয়ে নিবেন।
কার সাথে বিয়ে হবে জানার উপায়
আমরা মানুষ গায়েব সম্পর্কে আমরা অবগত নই। কার সাথে আপনার বিয়ে হবে ? কে হবে আপনার জীবনসঙ্গী এটাই একমাত্র আল্লাহ বলতে পারে। কেননা, মানুষের ভাগ্য লিখা হয়েছে পৃথিবী সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর আগে। ভাগ্য আবার লিখা হয়েছে যখন শিশু মায়ের গর্ভে ৪ মাস বয়স তখন। ভাগ্য যদি একান্ত পরিবর্তন করতে হয় তাহলে আপনাকে দোয়ার আশ্রয় নিতে হবে। দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। তবে উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য আপনি প্রতিনিয়ত দোয়া করতে পারেন। যদি আপনার কাছে বিয়ের একাধিক প্রস্তাব থাকে, কাকে বিয়ে করলে আপনি সুখী হবেন তা যদি জানতে চান তাহলে ইস্তেখারার নামাজ আদায় করুন। ইস্তেখারা নামাজে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ। ইস্তেখারার নামাজ সম্পর্কে যদি না জানেন তাহলে ইস্তেখারার নামাজ লিখে ইউটিউবে সার্চ করুন। অনেক বিজ্ঞ আলেম ইস্তেখারার নামাজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।
৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল
৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল কী, এই আমল করুন ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হয়ে যাবে এই কথা বলা যায় না। যখন আপনার আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাবে তখন আল্লাহ আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে। বিয়ে না হলে বিয়ের জন্য কিছু আমল বলে দেওয়া যায়, যে আমলগুলো নিয়মিত করলে ফল পাওয়া যাবে। এখন আমরা জানব সেই আমল গুলো সম্পর্কে।
- ইস্তেগফার ও দরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়তে থাকুন।
- নিজের পাপের জন্য তওবা করুন।
- সমস্ত পাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য ভালো কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।
- দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময় গুলো বাচাই করে ঐ সময়ে বেশি বেশি দোয়া করুন।
- ভোর রাতে তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ুন ও দোয়া করুন।
- ইস্তেখারার সালাতে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ। ইস্তেখারার সালাত আদায় করুন।
- ইয়া হাইয়ু, ইয়া কাইয়ুম,ইয়া ফাত্তাহু, বলে আল্লাহকে স্মরণ করুন। আল্লাহ অবশ্যই আপনার ডাকে সাড়া দিবে।
- পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়া পড়ুনঃ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
বিশ্বাসের সহিত উপরোক্ত এই আমলের হক নিয়মিত আদায় করলে আপনি অবশ্যই ফলাফল পাবেন। দেখবেন আপনার মনের হাজত গুলো ধীরে ধীরে পূরণ হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জীবনসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দিবে।
মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
আমাদের বাঙালি সমাজে ছেলেরা যেকোন বয়সে বিয়ে করতে পারে। কিন্তু মেয়েদের বয়স একটু বাড়লেই সেই মেয়েকে বিবাহ দেওয়া অভিভাবকদের জন্য কঠিন হয়ে দাড়ায়। যখন কোন মেয়ের বিবাহ হয় না তখন অভিভাবকদের চিন্তার/পেরেশানির শেষ থাকে না। এখন আমরা জানবো মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে। যে আমলগুলো করলে একজন নারীর বিয়ের বন্দোবস্ত আল্লাহ করে দিবেন। আমলগুলো হলোঃ
দরুদ শরীফ পড়ুনঃ জীবনের যেকোন সংকটকালীন মুহুর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়া জরুরী। এতে রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতের সবকিছু। দ্রুত বিয়ের জন্য এটা হতে পারে কার্যকরী একটি আমল।
ইস্তেগফার পড়ুনঃ দরুদ শরীফ পড়ার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইস্তেগফার। আমাদের অনেক কিছু আটকে থাকে পাপের কারণে। তাই পাপ যখন দূর হয়ে যাবে কল্যাণ তখন নিকটবর্তী হতে থাকবে। এজন্য বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত যেকোন সমস্যা দূর করতে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন।
তাহাজ্জুত সালাত আদায় করুনঃ দোয়া কবুলের সবথেকে উপযুক্ত সময় হচ্ছে তাহাজ্জুতের সময়। এসময় আল্লাহ জমিনে অবতরন করে। যারা তাহাজ্জুতের নামাজ আদায় করে অভাবের কথা গুলো আল্লাহকে বলে আল্লাহ তাদের অভাবগুলো পূরণ করে দেয়। যেসকল মা-বোনদের বিয়ে হচ্ছে না তারা তাহাজ্জুতের সময় বেশি বেশি দোয়া করুন।
কুরআন মাজীদে বর্ণিত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করুনঃ ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর মুনাজাতে হাত উত্তোলন করে এই দোয়া পড়ুন- رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
এই আমলগুলো বিশ্বাসের সহিত করতে থাকুন। দেখবেন আল্লাহ আপনার মনের চাওয়া গুলো দ্রুত কবুল করে নিবেন। আপনাকে সুন্দর ও সুখী জীবন দান করবেন।
উপসংহার
এজন্য বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত সমস্যা এড়াতে সন্তাদের সঠিক সময়ে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিত। অনেক সময় বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে সন্তানদের বিয়ে-শাদী হতে বিলম্ব হয়। সঠিক সময়ে বিয়ে না হলে যুবক-যুবতীরা পাপকর্মে জড়িয়ে যাবে। দিনশেষে সেই পাপের ভাগীদার অভিভাবককেও হতে হবে।
সম্মানিত পাঠক এই পোস্টে বিয়ের মতো একটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পোস্টে দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল, বিয়ে হওয়ার লক্ষণ, কার সাথে বিয়ে হবে জানার উপায়, ৭ দিনে বিয়ে হওয়ার আমল, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে। এই রকম জীবনঘনিষ্ঠ তথ্য পেতে এই লিংকে চাপ দিন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url