ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম - ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে

খাবারের  গুণগত মান ঠিক রাখতে ফ্রিজের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে ফ্রিজের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। অনেকের চিন্তা এরকম যে আমরা যেমন আলমারিতে কাপড় রাখি অনুরুপভাবে ফ্রিজে খাবার রাখি। কিন্তু ফ্রিজ ও আলমারি তো এক জিনিস নয়। সব খাবার তো একই নিয়মে ফ্রিজে রাখা যায় না। আবার ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে সে বিষয়েও আমরা অবগত নই। আমরা বেশিরভাগই ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম জানি না। প্রিয় পাঠক এই পোস্টে ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম, ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে, সাথে আরও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম - ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে

আপনি যদি ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম না জানেন তাহলে ফ্রিজের সর্বোচ্চ সুবিধা থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। আপনি যদি ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম, ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে তা না জানেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। তাই মনোযোগসহকারে পোস্টটি পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম

ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে

আমরা ফ্রিজে খাবার রাখি এজন্য খাবারটা যেন ভালো থাকে এবং কিছুদিন পর যেন খাবারটা খাওয়া যায়। আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততা কারণে সবসময় রান্না করা সম্ভব হয় না। যে কারণে ফ্রিজে খাবার না রাখলে চলেই না। প্রশ্ন হলো ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে ? অনেকদিন ফ্রিজে খাবার রাখার কারণে খাবারের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়, ফলে খাবার খাওয়ার অযোগ্য হয়ে উঠে। তাই আমাদের অবশ্যই জানতে হবে ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে সেই বিষয়ে।

ভাতঃ ফ্রিজের ভাত ২ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়। ২ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলাটা উত্তম। ফ্রিজ থেকে বের করে ভাত সরাসরি খাবেন না। ফ্রিজের ভাত ঘরের তাপমাত্রায় কিছুক্ষণ রেখে ১-২ মিনিট ফুটন্ত পানিতে ফুটিয়ে নিন।  এরপর ভাত খান। মনে হবে যেন নতুন রান্না করা ভাতের মতো।

ডালঃ রান্না করা যেকোন কিছু ফ্রিজে রাখলে সেটার স্বাদ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডাল যদি ফ্রিজে রাখতেই হয় তাহলে ২ দিনের মধ্যে খেয়ে ফেলাটা ভালো।

কাটা ফলঃ কাটা ফল ফ্রিজে রাখলে ফলের রং কালচে হয়ে যায়। যদি ফ্রিজে কাটা ফল রাখতেই হয় তাহলে ০১ দিনের বেশি রাখবেন না। অবশ্যই ঢাকনাযুক্ত বাটিতে কাটা ফল রাখবেন।

তরকারিঃ রান্না করা তরকারি ফ্রিজে রাখলে সেটার স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য রান্না করা তরকারি ০২ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।

রুটিঃ সিদ্ধ আঠার রুটি ৪/৫ দিন ফ্রিজে রাখতে পারেন।

মাছ-মাংসঃ রান্না করা মাছ-মাংস ০৪ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়। ০৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখলে খাবারের পুষ্টিগুণ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে কাঁচা মাছ-মাংস হলে মাছ-২ সপ্তাহ, মুরগি- ১ মাস, মাংস -৩মাস পর্যন্ত রাখা যাবে। এই অনুপাতে আপনি যদি খাবার গুলো ফ্রিজে রাখেন তাহলে খাবারের স্বাদ ও পুষ্টিগুণ উভয় ঠিক থাকবে।

কাঁচা-সবজিঃ ২-৩ দিনের বেশি ফ্রিজে না রাখাই ভালো।

ডিমঃ ২ সপ্তাহের মতো ফ্রিজে রাখতে পারেন।

দুধঃ প্যাকেটজাত দুধ ক্রয় করলে প্রথমে মেয়াদ দেখে নিবেন। এরপর নিদিৃষ্ট সময়ের মধ্যে খেয়ে নিবেন। জাল দেওয়া দুধ ফ্রিজে রাখবেন না। দুধ যদি ফ্রিজে রাখতে চান তাহলে ডিপ ফ্রিজে রাখবেন।

আদা, পিয়াজ, রসুন বাটাঃ পিয়াজ বাটা ফ্রিজে রাখলে তা দ্রুত পচন ধরে। এজন্য পিয়াজ বাটা ফ্রিজে না রাখাই ভালো। আদা, রসুন বাটা এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখা যায়।

ফলের জুসঃ কাটা ফল ফ্রিজে রাখলে সেটার রং কালচে হয়ে যায়। এজন্য ফলের জুস ফ্রিজে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়াটাই ভালো।

পাস্তা চিজঃ রান্না করা পাস্তা ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজে যদি রাখতে হয় তাহলে পাস্তা সিদ্ধ করে নেন।

ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরিঃ এই ফলগুলো ০৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন।

লেবু ফলঃ ০১ থেকে ০৩ সপ্তাহ পর্যন্ত রাখতে পারেন।

আঙ্গুর ফল ও চেরিঃ ০৭ দিন পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন।

গোটা তরমুজঃ ২ সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রাখতে পারেন। কাটা তরমুজ ২-৪ দিনের বেশি রাখা উচিত নয়।

ডাক্তারের পরামর্শ, ফ্রিজের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া দরকার। ফ্রিজের খাবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। আশা করি আলোচনা থেকে ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে তা জানতে পারছেন।

ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম

প্রতিদিন রান্না করার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়েছে ফ্রিজ। একটি পরিবারে ফ্রিজের ভুমিকা অনেক। তাই আমরা যারা ফ্রিজ ব্যবহার করি তাদের অবশ্যই ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম গুলো জানতে হবে। নইলে ফ্রিজে খাবার রাখার অপকারিতা গুলো ভোগ করতে হবে। সব খাবার একইভাবে ফ্রিজে রাখা যায় না। রান্না করা খাবার একভাবে ফ্রিজে রাখতে হয়, যেগুলো কাঁচা সবজি সেগুলো আরেকভাবে ফ্রিজে রাখতে হয়। আসুন জেনে নিই ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম গুলোঃ

  • ফ্রিজে খাবার রাখলে তাপমাত্রার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। ফ্রিজের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। তাপমাত্রা যদি কম-বেশি হয় তাহলে তা খাবারকে নষ্ট করে দেয়।
  • ফ্রিজের খাবার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে।
  • রান্না করা গরম খাবার সরাসরি ফ্রিজে রাখবেন না। খাবার ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখবেন।
  • রান্না করা খাবার ২ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
  • ফ্রিজে অতিরিক্ত খাবার রাখলে ফ্রিজের কুলিং সিস্টেম নষ্ট হয়ে খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত খাবার ফ্রিজে রাখবেন না।
  • গরম করা দুধ সরাসরি ফ্রিজে রাখবেন না। দুধ ঠান্ডা করে ফ্রিজে রাখুন।
  • কাঁচা সবজি ও রান্না করা সবজি পাশাপাশি রাখবেন না। কাঁচা সবজি ফ্রিজের নিচের থাকে/শেলফ রাখবেন।
  • মাখন, চিজ ইত্যাদি বায়ুনিরোধক বাক্সে সংরক্ষণ করুন।
  • অনেকে ট্রে করে ডিম রাখে ফ্রিজে। তাই ডিম ট্রে করে না রাখে বাক্সে ডিম রাখুন অনেক দিন ভালো থাকবে।
  • অনেক সময় মাছ-মাংস ফ্রিজে রাখলে সেগুলোর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখার আগে ভালো করে ধুয়ে গোলমরিচের গুড়ো ও লেবুর রস ছিটিয়ে বায়ুনিরোধক বাক্সে রেখে দিন। এতে স্বাদ বদলাবে না।
  • বাক্সের কিছু অংশ ফাঁকা রেখে খাবার রাখুন। এতে বাতাস চলাচল করতে পারবে, খাবার ভালো থাকবে।
  • খাবার একই বাক্সে একসাথে রাখবেন না। খাবার গুলো ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে রাখুন তাহলে খাবার বের করতে সুবিধা হবে।
  • মৌসুমী ফল দীর্ঘদিন ধরে খাওয়ার জন্য অনেকে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে। এক্ষেত্রে সঠিক নিয়ম মানতে হবে। নইলে ফলের পুষ্টি গুণ ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
  • যদি ভর্তা সংরক্ষণ করতে হয় তাহলে কাঁচা মরিচ, পিয়াজ, রসুন পরিহার করুন।
  • ফ্রিজের খাবারের বাক্সগুলো সুসজ্জিত করে রাখুন যাতে আলো-বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়।
  • কোন খাবারের মেয়াদ কত দিন ফ্রিজে রাখার আগে তা দেখে নিন।

উপরোক্ত টিপস এন্ড ট্রিকস গুলো মেনে চললে ফ্রিজের খাবার গুলো ভালো থাকবে। আশা করি পুরো প্যারাটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম গুলো বিস্তারিত জানতে পারছেন।

ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখা যায়

আমরা ফ্রিজে জিনিস রাখি এজন্য যাতে ঐ জিনিসটা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করতে না পারে। ঐ জিনিসটা যেন ভালো থাকে। এখন প্রশ্ন হলো ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখা যায় ?  ভিনেগার ফ্রিজে না রাখলেও চলে। ভিনেগারে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কারণ ইহা অ্যাসিড জাতীয় তরল। ভিনেগার ঘরের তাপমাত্রায় রাখা যায়। বরং ফ্রিজে রাখলে এর গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।

মধু কি ফ্রিজে রাখা যায়

মধু ফ্রিজে রাখার কোন প্রশ্নই আসে না। কারণ মধু কোন পছনশীল দ্রব্য নয়। মধু যদি সংরক্ষণ করতে চান তাহলে কাঁচের বয়ামে মধু রাখুন। কাঁচের বয়ামের মুখ শক্ত করে আটকে রাখুন। এতেই মধু ভালো থাকবে। মধু আদর্শ রুম টেম্পারেচারে রাখুন। বরং ফ্রিজে রাখলে মধুর স্বাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। যে চামচ দিয়ে মধু নিবেন সেই চামচে যেন পানি না থাকে, মধুতে পানি লাগলে মধু নষ্ট হয়ে যাবে। যদি মধু ঘোলাটে হয়ে যায় তাহলে এক বাটি গরম পানির মধ্যে মধু বয়ামটি রেখে দিন তাহলে মধু আগের মতো স্বচ্ছ হয়ে যাবে। মধু ফ্রিজে রাখলে দানা বেধে যেতে পারে। আশা করি আলোচনা থেকে মধু কি ফ্রিজে রাখা যায় সেই বিষয়ে একটি সূক্ষ ধারণা পেয়েছেন।

ফ্রিজের খাবারের অপকারিতা

যেকোন জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে অনুরুপভাবে তার অপকারিতাও রয়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এত ব্যস্ততা যে ফ্রিজে খাবার না রাখলে যেন চলেই না। ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম না জানলে এই অপকারিতা গুলো ভোগ করতে হয়। ফ্রিজের খাবারের অপকারিতা গুলো আপনি জানেন কী ? বাজারের টাটকা সবজি বা নিজের বাগানের টাটকা সবজি ও ফ্রিজে রাখা সবজির মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়েছে। আমরা একমাসের বাজার একদিনে করে ফ্রিজে তা সংরক্ষণ করে রাখি। একদিকে যেমন সবজির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় অন্যদিকে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। চলুন তাহলে ফ্রিজের খাবারের অপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক।

  • যেসকল খাবার ফ্রিজে রাখা হয় সেসকল খাবারের ভিটামিন সি ও ডি এর ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়।
  • ফ্রোজেন ফুডে সোডিয়াম এর মাত্রা বেশি হওয়ার কারণে খেতে নোনতা লাগে। কার্ডিয়াক ও কিডনী রোগীদের জন্য ফ্রোজেন ফুড উপযুক্ত নয়।
  • দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারে ব্যাকটেরিয়া জমতে থাকে যা শরীরের এনজাইমগুলোকে ক্ষতিগ্রস্থ করে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
  • ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারের স্বাদগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বমি, পেট খারাপের মতো সমস্যা গুলো দেখা যায়।
  • দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবারে ফাঙ্গাস পড়ে যায়। সেই খাবার খেলে গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া মতো সমস্যা গুলো দেখা যায়।
  • বারবার ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খেলে খাবারের যেমন পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায় অন্যদিকে স্বাস্থ্য ঝুকি দেখা দিতে পারে।
  • আদা, পিয়াজ, রসুন বাটা ২ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখলে এগুলো থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায় যা ফ্রিজে রাখা অন্য খাবার গুলোকে নষ্ট করে দেয়। সেই খাবার গুলো যখন আমরা তখন ফুড পয়জনিং হতে পারে।

তাই বলা যায় উপরোক্ত এই ক্ষতি গুলো থেকে বাচঁতে উপরে বর্ণিত ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে ও ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম গুলো আমাদের জানতে হবে। তাহলে আমরা ফ্রিজে খাবার রাখার উপকারিতা গুলো ভোগ করতে পারবো।

মিষ্টি ফ্রিজে কতদিন ভালো থাকে

বিয়ে-শাদী, জন্মদিন, নানান আয়োজনে বা উৎসবে ঘরে মিষ্টিতে ভরে যায়। সব মিষ্টি তো একদিনে খাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে মিষ্টি ফ্রিজে রাখতে হয়। এখন প্রশ্ন হলো মিষ্টি ফ্রিজে কতদিন ভালো থাকে ? মিষ্টি বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই মিষ্টি খেয়ে ফুড় পয়জনিং, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি দুধের তৈরি টাটকা মিষ্টি হয় তাহলে ৩-৪ দিন ফ্রিজে রাখতে পারেন। লাড্ডু একটু বেশি সময় রাখতে পারেন। মিষ্টি ডিপ ফ্রিজে রাখবেন না। ফ্রিজ থেকে বের করে ১৫-২০ মিনিট ঘরের তাপমাত্রায় রাখুন এরপর মিষ্টি খান। মিষ্টি যখন ফ্রিজে রাখবেন তখন বায়ুরোধী পাত্রে মিষ্টি রাখবেন।

শেষ কথা

সম্মানিত পাঠক আশা করি পোস্টটি আপনার উপকারে এসেছে। এই পোস্টে ফ্রিজে কোন খাবার কতদিন রাখা যাবে, ফ্রিজে খাবার রাখার নিয়ম, ভিনেগার কি ফ্রিজে রাখা যায়, মধু কি ফ্রিজে রাখা যায়, ফ্রিজের খাবারের অপকারিতা, মিষ্টি ফ্রিজে কতদিন ভালো থাকে ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল। আমাদের সাইটে এই ধরণের লাইফস্টাইল রিলেটেড পোস্ট পাবলিশ করা হয়। এরকম তথ্যবহুল আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাইটটি ভিজিট করতে এই লিংকে চাপ দিন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url