তালাক দেওয়ার নিয়ম - কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
বিবাহের মতো পবিত্র বন্ধন ছিন্ন হয় তালাকের মাধ্যমে। তালাকের আভিধানিক অর্থ হলো বন্ধনমুক্ত করা। এই তালাকের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রী মধুর সম্পর্ক আজীবনের জন্য ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকে রাগের ঠেলায় তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেয়, তালাক দেওয়ার সঠিক নিয়ম তারা জানে না। তালাক দেওয়ার নিয়ম কি, কীভাবে তালাক দিব তা জানতে অনেকে গুগলে অনুসন্ধান করে। কীভাবে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়া যায়, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম কি এসকল বিষয়ে মানুষের জানার আগ্রহের কমতি নেই। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে তালাক দেওয়ার নিয়ম, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম এ বিষয়ে সূক্ষ ধারণা পেয়ে যাবেন।
ইসলাম তালাকের ব্যাপারে সবসময় নিরুৎসাহিত করেছে। যদি পরিস্থিতি এতটা গুরতর পর্যায়ে চলে যায় যে, বিবাহ বিচ্ছেদ না হলে সমস্যা আরো জটিল হবে, ইসলামী অনুশাসন মেনে জীবন-যাপন করা কঠিন হবে এমন পরিস্থিতিতে তালাকের মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত গুলো নিতে পারেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে তালাক দেওয়ার নিয়ম, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ তালাক দেওয়ার নিয়ম
- তালাক দেওয়ার নিয়ম | তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম
- কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
- মিউচুয়াল ডিভোর্সের নিয়ম
- ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায়
- ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
- উপসংহার
তালাক দেওয়ার নিয়ম | তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম
আমাদের সমাজে স্বামী - স্ত্রী মধ্যে মনোমালিন্য হলে, কথা কাটাকাটি হলে, মেজাজ গরম হয়ে হুট করে যখন মন-চায় তখন তালাক দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এগুলো এক ধরণের অজ্ঞতা। ইসলাম পরিবার প্রথাকে প্রাধান্য দিয়েছে, হুট করে যেন কোন সংসার ভেঙ্গে না যায় সেই ব্যবস্থাটাও ইসলাম করে দিয়েছে। তালাক হচ্ছে সর্বশেষ পদক্ষেপ। তালাকের পূর্বে কতগুলো পদক্ষেপ ধারাবাহিকভাবে পালন করতে হয়। তালাকের সুন্নাহ পদ্ধতি হলোঃ রাসূল (সাঃ) সময় যারা একসাথে তিন তালাক দিয়েছেন, রাসূল (সাঃ) সেটাকে এক তালাক হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
তালাক যদিও হালাল তারপরেও ইসলাম তালাককে নিরুৎসাহিত করেছেন। তালাক হচ্ছে সর্বনিকৃষ্ট মানের হালাল। সংসার জীবনে চলার পথে নানান রকমের প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে, স্বামী-স্ত্রী এক সঙ্গে বসবাস করা সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরাসরি তালাক না দিয়ে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো ধারাবাহিকভাবে পালন করতে হবে যাতে বিচ্ছেদ যেন না হয়। তারপরেও যদি সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে চুড়ান্ত পদক্ষেপ হলো তালাক। চলুন তাহলে এক নজরে জেনে নিই তালাকের পূর্বে কোন কোন পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করা দরকার।
প্রথম পদক্ষেপ, কোন কারণে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যদি প্রচন্ড ঝগড়া হয়, যদি দেখেন আপনার স্ত্রী আপনার অবাধ্য, আপনার কথার কোন গুরুত্ব দেয় না, মুখে মুখে তর্ক করে, খারাপ ব্যবহার করে, সংসার করবো না বলে হুমকি দেয় এরকম পরিস্থিতিতে আপনি উত্তেজিত না হয়ে মায়া, মমতা, ভালোবাসা প্রদর্শন করে সেই সমস্যাটির সমাধান করতে হবে। বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। যাতে বিচ্ছেদ এড়ানো যায়। সংসারটা যেন স্থায়ী হয়।
দ্বিতীয় পদক্ষেপ, প্রথম পদক্ষেপ অনুসরণ করার পর যদি ফল না আসে, সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে রাগ অভিমান প্রকাশ করার জন্য একসাথে রাতযাপন থেকে বিরত থাকবে। অর্থ্যাৎ স্বামী আলাদা বিছানায় ঘুমাবে, স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমাবে। এতে স্ত্রী যদি সতর্ক হয়ে নিজেকে শুধরে নেয় তাহলে সংসারে সুখ-শান্তি আবার ফিরে আসবে। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদের সদুপদেশ দাও। তারপর তাদের শয্যা বর্জন করো। অতঃপর তাদের সামান্য প্রহার করো ( এমনভাবে প্রহার করো যাতে জখম না হয়, মুখ ও লজ্জা স্থানে প্রহার করা যাবে না )। যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অন্বেষণ কোরো না। (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৪)।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল ফোনে রাগের মাথায় তালাক দিলে কি তালাক হয়
তৃতীয় পদক্ষেপ, দ্বিতীয় পদক্ষেপে কাজ না হলে, তৃতীয় পদক্ষেপ হলো সালিশের আয়োজন করা। উভয় পক্ষ অর্থ্যাৎ ( স্বামীর পক্ষ ও স্ত্রী পক্ষ ) এক বা একাধিক সালিশ আয়োজনের মাধ্যমে উভয়ে সংকট নিরসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অর্থ্যাৎ স্বামী-স্ত্রী দ্বন্দ গুলো মিটমাট করতে হবে। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, ‘তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশঙ্কা করো, তবে মীমাংসার জন্য পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিস ও নারীর পরিবার থেকে একজন সালিস পাঠিয়ে দেবে। তারা দুজন যদি মীমাংসা করতে চায়, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত ও সর্ববিষয়ে অবহিত। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৫)।
তালাক দেওয়ার নিয়ম | তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম ঃ উপরের সমস্ত পদক্ষেপ ধারাবাহিকভাবে পালন করার পরেও যদি সমস্যা সমাধান না হয় তাহলে চুড়ান্ত পদক্ষেপ হলো তালাক। এখন প্রশ্ন হলো তালাক দেওয়ার বিধানটা কী, তালাক কিভাবে দিবেন, তালাক দেওয়ার নিয়ম কী, ইসলাম কিভাবে তালাক দেওয়ার কথা বলছে এরকম হাজারো প্রশ্ন আমাদের রয়েছে। চলুন তাহলে তালাক দেওয়ার নিয়ম | তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম গুলো জেনে নিই।
যদি পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করতে চান, জরুরী মনে করেন সেক্ষেত্রে ০৩ মাস সময় নিতে হবে। এই তিন মাস লাগাতার হতে পারে ( বুঝানোর জন্য যেমনঃ জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারী, মার্চ এই রকম ধারাবাহিক মাস ), আবার এই তিন মাস দীর্ঘ ৫০ বছরও হতে পারে। প্রথম মাস, স্ত্রী যখন পবিত্র হবে অর্থ্যাৎ হায়েজ মুক্ত হবে তখন শারীরিক সম্পর্ক না করে স্বামী তার স্ত্রীকে জানিয়ে দিবে “তোমাকে তালাক দিলাম” তখন সেটা এক তালাক হিসেবে গণ্য হবে। এরপর যদি চিন্তা করেন তালাক দিবেন না, এভাবে মাস যায়, বছর যায় কোন সমস্যা নেই। এবার চিন্তা করলেন তালাক দিবেন তাহলে একমাস চিন্তাভাবনা করেন পবিত্র হলে (অর্থ্যাৎ হায়েজ মুক্ত হলে ) তালাক দিন, দ্বিতীয় তালাক হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে মাস গেল, বছর গেল এবার যদি চিন্তা করেন তালাক দিবেন তাহলে পবিত্র অবস্থায় (অর্থ্যাৎ হায়েজ মুক্ত হলে ) তালাক দিয়ে দিন, তৃতীয় তালাক হিসেবে গণ্য হবে।
সোর্স লিংকঃ https://www.youtube.com/watch?v=Q2gKHUX7Lgg&t=73s
কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম
কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার কী, কী নিয়ম আছে, কিভাবে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়া যায়, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম কি এইরকম নানান প্রশ্ন আমাদের মনে রয়েছে, থাকাটাই স্বাভাবিক। আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে একটি সূক্ষ ধারণা পাবেন।
মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় না। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, তালাকের অধিকার স্বামীকে দেওয়া হয়েছে। আদালতের দ্বারস্থ না হয়ে যদি তালাক হয় তাহলে তালাকের একটি সত্যায়িত কপি রাখতে হবে। তবে স্ত্রী খোলা তালাকের মাধ্যমে সংসার বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার অধিকার না দিলে স্ত্রী তালাকের জন্য কোর্ট বরাবর আবেদন করতে পারে। আবেদনের প্রেক্ষিতে সবকিছু যাচাই-বাচাই করে আদালত আদেশ জারি করবে।
আরো পড়ুনঃ রাগের মাথায় তালাক দিলে কি তালাক হয় বিস্তারিত জানুন
তারপর আদেশ জারির একটি সত্যায়িত কপি ০৭ দিনের মধ্যে ঐ এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান অথবা মেয়রের পৌছে দেওয়া হবে, আদালতের নিজস্ব মাধ্যমে। আদালতের ঐ সত্যায়িত কপি যেদিন ঐ এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান অথবা মেয়রের কাছে যাবে তার ঠিক ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। এই ৯০ দিনের মধ্যে মেম্বার, চেয়ারম্যান অথবা মেয়র স্বামী-স্ত্রী উভয় পক্ষের দ্বন্দ মিটানোর জন্য সালিশের আয়োজন করবে।
যদি তারা পুনরায় সংসার করতে চায় তাহলে তালাক কার্যকর হবে না। আর যদি তারা সংসার করতে না চায় তাহলে ৯০ দিন পরে তালাক কার্যকর হয়ে যাবে। আর স্ত্রী যদি গর্ভবর্তী হয় তাহলে সন্তান ভূমিষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তালাক হবে না। সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার ৯০ দিন পর এই তালাক কার্যকর হয়ে যাবে।মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯৭৪-এর ৬ ধারামতে, বিয়ের তালাক রেজিস্ট্রি করতে হবে। কাজী নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে রেজিস্ট্রি করবেন এবং কোন প্রকার টাকা-পয়সা ছাড়া প্রত্যয়ন কপি প্রদান করবেন। এভাবে তালাক সম্পন্ন হয়ে যাবে। তালাকের নিয়ম কানুন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকে চাপ দিন। আশা করি পুরো আলোচনা থেকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম জানতে পারছেন।
মিউচুয়াল ডিভোর্সের নিয়ম
পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহ-বিচ্ছেদ সম্পন্ন করাকে মিউচুয়াল ডিভোর্স বলে। তাই কোন প্রকার ঝামেলাই না গিয়ে কিভাবে মিউচুয়াল ডিভোর্সের নিয়ম মেনে বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন করা যায় তা আমাদের জানার দরকার আছে। যদি স্বামী-স্ত্রী উভয় পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে তালাক চায়, সেক্ষত্রে উভয় পক্ষের মুরব্বিদের নিয়ে সালিশের আয়োজন করবে। সেখানে স্বামী তার স্ত্রী বকেয়া দেরমোহর ও এককালীন ভরণপোষণ প্রদান করবে । এবং কাজী অফিসে গিয়ে নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে তালাকের রেজিস্ট্রি করে নিবে। রেজিস্ট্রি করার পর কোন প্রকার বিনিময় ( টাকা-পয়সা) ছাড়া তালাকের প্রত্যয়ন কপি প্রদান করবে। এভাবে মিউচুয়াল ডিভোর্স সম্পন্ন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে তালাকের নোটিশ পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায়
খুব সুন্দর একটি প্রশ্ন, ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায় ? এই বিষয়টি পুরুষের বেলায় এক রকম মহিলাদের বেলায় আরেক রকম। পুরুষ ডিভোর্স এর পর যেকোন সময় বিবাহ করতে পারে। কিন্তু মহিলা ডিভোর্স এর পর সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ করতে পারে না। সেই মহিলাকে ডিভোর্স এর পর ইদ্দত পালন করতে হয়। ইদ্দত শব্দের অর্থ গণণা করা। পরিভাষায়, ওই নারীকে অন্য কোথাও বিবাহ করা থেকে বিরত থাকতে হয়। কেন একজন নারীকে ইদ্দত পালন করতে হয় ? এজন্য যে ঐ নারীর গর্ভে/পেটে তার পূর্ববর্তী স্বামীর কোন সন্তান আছে কিনা তার নিরুপনের জন্য ডিভোর্সের পর একজন নারীকে ইদ্দত পালন করতে হয়। ডিভোর্সের পর যদি একজন নারী ইদ্দত পালন না করে সরাসরি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায় আর ঐ নারীর গর্ভে যদি সন্তান থাকে তাহলে ঐ সন্তান কি বর্তমান স্বামীর নাকি পূর্ববর্তী স্বামীর তা নিরুপন করা কঠিন হয়ে যাবে। ঐ সন্তান যদি পূর্ববর্তী স্বামীর হয় আর ঐ মহিলা যদি ডিভোর্সের পর ইদ্দত পালন না করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যায় তাহলে ঐ সন্তান জারজ বলে ঘোষিত হবে।
ইদ্দতের সময়কালঃ চলুন তাহলে ইদ্দতের সময়কাল জেনে নেওয়া যাক।
যদি স্ত্রী তালাক হয় তাহলে তিন হায়েজ পর্যন্ত। এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বলা আছে “ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েজ পর্যন্ত’। (সুরা বাকারা ২২৮)।
যদি স্বামী মারা যায় তাহলে ০৪ মাস ১০ দিন স্ত্রীকে ইদ্দত পালন করতে হবে। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস ১০ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে।’ (সুরা বাকারা ২৩৪)।
ইদ্দত পালন না করে কোন নারী যদি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তাহলে ঐ বিবাহ সঠিক হবে না। ইদ্দত পালনের পর একজন নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
ডিভোর্স কত টাকা লাগে এই লিংকে চাপ দিয়ে জেনে নিন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে তালাকের মতো জীবনঘনিষ্ট বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এই পোস্টে জরুরী বিষয় তালাক দেওয়ার নিয়ম | তালাক দেওয়ার ইসলামী নিয়ম, কোর্টের মাধ্যমে তালাক দেওয়ার নিয়ম, মিউচুয়াল ডিভোর্সের নিয়ম, ডিভোর্সের কতদিন পর বিয়ে করা যায়, ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। পোস্টেটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করুন। এ ধরণের আরো তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটি ভিজিট করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি, আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url