চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া - ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
আমরা সকলে বিবাহ করতে চাই। আমরা এমন একজনকে বিবাহ করতে চাই যাকে দেখলে আমাদের চক্ষু শীতল হয়ে যাবে। কল্যাণময় স্ত্রী আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ নিয়ামত। আমরা সকলে এই নিয়ামতের অংশীদার হতে চাই। এখন প্রশ্ন হলো চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া কি ? এমন কোন দোয়া আছে যেটার দ্বারা একজন কল্যাণময় স্ত্রী পাওয়া যাবে। এমন কোন আমল আছে যার বরকতে ০৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হবে। ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল কি ? এরকম নানান প্রশ্ন আমাদের মনে রয়েছে। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়েন তাহলে চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া, ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন।
“সংসার সুখী হয় রমণীর গুণে” আমরা সকলে এই প্রবাদটির সাথে পরিচিত। যার স্ত্রী কল্যাণময়, যাকে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায় এমন স্ত্রী যদি কারো থাকে সে হচ্ছে সকল সুখী মানুষদের মধ্যে একজন। যারা নতুন বিবাহ করতে যাচ্ছেন তারা চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া, ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল জানতে গুগল অনুসন্ধান করে। চলুন তাহলে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া
- চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া
- মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
- ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
- দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল
- মনের মত বিয়ে হওয়ার আমল
- উপসংহার
চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া
সংসার জীবনের যাত্রা শুরু হয় নারী-পুরুষ উভয়ের বিবাহের মধ্য দিয়ে। একজন পুরুষ চায় তার স্ত্রী যেন কল্যাণময় হয় অনুরুপভাবে একজন মহিলা চায় তার স্বামী যেন তার জন্য কল্যাণময় হয়। উভয়েরই প্রত্যাশা তার জীবন সঙ্গী যেন উত্তম হয়। একজন অবিবাহিত নারী-পুরুষ জানতে চায় কোন আমলের বরকতে উত্তম জীবন সঙ্গী পাওয়া যাবে অনুরুপভাবে বিবাহিত দম্পত্তি জানতে চায় কোন আমলের বরকতে নেক সন্তান লাভ করা যায় যাদের দেখলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। সৃষ্টি জগতে নারী-পুরুষ এক অপরের পরিপূরক। নবী আদম (আঃ) এর পর হজরত হাওয়া (আঃ) কে আল্লাহ সৃষ্টি করলেন।
তাদেরকে জান্নাতে বিয়ে পড়ানো হলো। বিয়ে হচ্ছে জান্নাতী সম্পর্ক। বিয়ের মাধ্যমে মানুষের একাকীত্ব বা নিঃসঙ্গতা দূর হয়। শুরু হয় মানুষের জীবনের সুখের ধারা। অতএব উত্তম জীবনসঙ্গী পেতে হলে আল্লাহ যে ভাষায় দোয়া করতে শিখিয়েছে সেই ভাষায় দোয়া করা আমাদের দরকার। পবিত্র কোরআনে উত্তম জীবন সঙ্গী পাওয়ার ২টি দোয়ার কথা উল্লেখ করা আছে। পবিত্র কোরআন মাজীদে নবী (মুসাঃ) দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে যার বরকতে নবী মূসা (আঃ) কে আল্লাহ থাকা-খাওয়ার পাশাপাশি উত্তম জীবন সঙ্গী ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই দোয়াটি হলোঃ
দোয়া-১ঃ ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﺖَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮٍ ﻓَﻘِﻴﺮٌ
উচ্চারণ: রব্বি ইন্নি লিমা- আনযালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ: হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সূরা আল-কাসাস : ২৪)।
উত্তম জীবন সঙ্গী পাওয়ার জন্য আরও একটি দোয়া পবিত্র কোরআন মাজীদে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হলোঃ
দোয়া-২ঃ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
এই দোয়া গুলোর হক আমরা নিয়মিত আদায় করতে পারলে আশা করা যায় আল্লাহ আমাদের উত্তম জীবন সঙ্গী ব্যবস্থা করে দিবেন। কোন পুরুষ এই আমল করলে আল্লাহ তাদের নেককার স্ত্রী ও নেককার সন্তানের ব্যবস্থা করে দিবেন। অনুরুপভাবে কোন নারী এই আমল করলে আল্লাহ তার জন্য নয়ন জুড়ানো স্বামী ও নেককার সন্তানের ব্যবস্থা করে দিবে।
মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল
আমাদের সমাজে অনেক মেয়ে আছে যাদের বয়স বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনো অবধি বিয়ে হচ্ছে না। খোঁজ নিলে দেখা যায় এ ধরণের সমস্যা এখন অহরহ। এ নিয়ে অভিভাবদের চিন্তার শেষ নেই। মেয়েরা তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য কি আমল করবে, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল কি এ নিয়ে নানান প্রশ্ন আমাদের রয়েছে। বিয়ের জন্য যে আমল ছেলেরা করলে ফল পাবে সেই আমল মেয়েরা করলেও ফল পাবে। এখন প্রশ্ন হলো মেয়েরা তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার জন্য কোন আমল করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
দরুদ শরীফ পড়ুনঃ যারা জীবনে অশান্তি, পেরেশানি, বিপদে, হতাশার মধ্যে রয়েছেন তারা বেশি বেশি দরুদ পড়ুন। এই দরুদের মধ্যে দুনিয়া ও আখিরাতের সার্বিক কল্যাণ রয়েছে।
ইস্তেগফার পড়ুনঃ ইস্তেগফার এর মধ্যে রয়েছে অগণিত ফায়দা। বিয়ে হচ্ছে না ? ভালো পাত্র খুজে পাচ্ছেন না ? কোন সমস্যা নেই এখন থেকে ইস্তেগফার পাঠ করা আরম্ব করে দিন। দেখবেন, আল্লাহর রহমতে আপনার বিপদ,পেরশানি, হতাশা, দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
তাহাজ্জুত সালাত আদায় করুনঃ ভোর রাতে তাহাজ্জুত সালাতের ফজিলত অনেক। ঘুম থেকে উঠে সুন্দর করে ওযু করে চোখের পানি ফেলে আপনার অভাব গুলো আল্লাহকে বলুন। আল্লাহ আপনাকে নিরাশ করবে না, অবশ্যই আল্লাহ আপনার অভাব পূরণ করে দিবে।
কুরআন মাজীদে বর্ণিত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করুনঃ ৫ ওয়াক্ত নামাজের পর মুনাজাতে হাত উত্তোলন করে এই দোয়া পড়ুন- رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
এই আমল গুলো নিয়মিত করতে থাকুন। দেখবেন এই আমলের বরকতে আল্লাহ আপনার দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে। আপনার জন্য এমন একজন জীবনসঙ্গীর ব্যবস্থা করে দিবে, যাকে পেয়ে আপনি খুশি হয়ে যাবেন। আরো বিস্তারিত জানতে দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল এই প্যারাটি পড়ুন। ইহা নিচে বর্ণনা করা হয়েছে।
৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল
৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল কী জানতে অনেকে গুগলে সার্চ করে। বিয়ে না হলে বিয়ের জন্য আমল বলে দেয়া যায়। কিন্তু এটা বলা যায় না যে, এই আমলটি করেন ৭ দিনের মধ্যে ফল পাবেন। যদি কারো বিয়ে না হয় বা বিয়ে হতে বিলম্ব হয় তাহলে আপনারা এই আমল গুলো করতে পারেন।
- তওবা ও ইস্তেগফার করা।
- পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়া পড়ুনঃ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
- আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করুন। পাপ কর্ম থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
- নিয়মিত তাহাজ্জুতের সালাত আদায় করুন।
- যে সময়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় সে সময়ে দোয়া করুন।
- বেশি বেশি দরুদ শরীফ পড়ুন। ০১ বার দরুদ পড়লে ১০ বার আল্লাহ আপনাকে রহম করবে।
- ইস্তেখারার সালাত আদায় করুন।
- আল্লাহর গুণবাচক নামঃ ইয়া ফাত্তাহু, ইয়া হাইয়ু, ইয়া কাইয়ুম বলে আল্লাহকে ডাকুন। আপনার অভাব গুলো আল্লাহকে বলুন।
এই আমল গুলো আপনি ধারাবাহিকভাবে করতে থাকুন। দেখবেন, আল্লাহর রহমতে আপনার চিন্তা,টেনশন, দুশ্চিন্তা দূর হবে। অতি শীঘ্রই আল্লাহ আপনার বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবে এবং আপনাকে কল্যাণময় উত্তম জীবনসঙ্গী দান করবে।
দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল
অনেকের লম্বা সময় ধরে বিয়ে হচ্ছে না এ নিয়ে তারা হতাশ। মূলত বিয়ে দ্রুত না হওয়ার ২টি কারণ রয়েছে। যথাঃ ১) সময় মতো বিয়ে না করা, বিয়ের বয়স চলে যাওয়া ২) বিয়েতে উচ্চ ডিমান্ড, এখন বিয়ে করতে গেলে দেরমোহর লাগে ১০ লাখ, ২০ লাখ টাকার মতো। অথচ ইসলাম বলেছে বিয়েকে সহজ করার জন্য। বিয়ে কঠিন হয়ে যাওয়ার কারণে সমাজে, যিনা, ব্যভিচার, পরকীয়া বেড়েই চলেছে। যা উদ্বেগের বিষয়। দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল কি এগুলো আমাদের জানতে হবে। আমরা যদি এই আমলের হক গুলো আদায় করতে পারি তাহলে আশা করা যায় আমরা এর সুফল পাব। চলুন তাহলে আমল গুলো কি জেনে নেওয়া যাক।
গুনাহ ছাড়াঃ আপনি যখন কোন আমল করবেন তখন গুনাহ থেকে বাঁচতে হবে। যে ব্যাক্তি চরিত্র হেফাজতের জন্য বিবাহ করতে চায় তাকে সাহায্য করা আল্লাহর জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়। গুনাহ না ছাড়লে কোন আমলই ফলফসূ হয় না। কোন আমলের পূর্বে অবশ্যই আমাদের গুনাহ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে। কেননা, গুনাহ আমাদের দুনিয়া ও আখিরাত উভয় ধ্বংস করে দেয়।
কুরআন মাজীদে বর্ণিত দোয়া বেশি বেশি পাঠ করাঃ দোয়াটি হলো-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
যে সময়ে দো’আ কবুল হয় সে সময়ে দোয়া করুনঃ ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে আমাদের বেশি বেশি দোআ করতে হবে। যে সময়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় সেই সময়ে বেশি বেশি দোয়া করতে হবে। দোয়া কবুলের উপযুক্ত সময়ঃ
- তাহাজ্জুতের সময়।
- ইফতার সামনে রেখে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
- আজান ও ইকামতের মাঝখানে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়।
- বৃষ্টির নিচে দাড়িয়ে করুন।
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করুন।
- শুক্রবারে আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আজানের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত এই সময় দোয়া করুন।
- শবে-কদরের রাতে দোয়া করুন।
- মাতা-পিতার কাছ থেকে দোয়া নিন।
- মাজলুম/অসুস্থ ব্যাক্তির নিকট থেকে দোয়া নিন।
বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুনঃ যারা বিভিন্ন সংকটের মধ্যে রয়েছেন, যারা বিভিন্ন সমস্যা (যেমনঃ বিয়ে-শাদী) মধ্যে রয়েছে, যারা বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছেন তারা বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করুন। আল্লাহ ইস্তেগফারকারীকে সমস্ত প্রকার পেরেশানি থেকে রক্ষা করে।
ইয়া ফাত্তাহুঃ ইহা আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ হলোঃ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুকারী। যারা বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত সমস্যায় আছেন তারা ইয়া ফাত্তাহু এই শব্দটি বেশি বেশি পাঠ করুন।
দরুদ শরীফ পড়ুনঃ জীবনে যেকোন প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বেশি বেশি দরুদ পড়ুন।
ইয়া হাইয়ু ও ইয়া কাইয়্যুম বলে আল্লাহকে ডাকুনঃ আল্লাহর এই গুণবাচক নাম দিয়ে আল্লাহকে ডাকুন এবং আপনার অভাবগুলো আল্লাহকে বলুন।
উত্তম জীবনসঙ্গী খোজ করাঃ জীবনসঙ্গী হিসেবে আমরা এমন কাউকে বেছে নিব যার ভিতরে দ্বীন থাকবে। ইসলামী অনুশাসন মেনে জীবন যাপন করে এমন ব্যাক্তিকে আমরা জীবনসঙ্গী হিসেবে বাচাই করবো।
ইস্তেখারা করুনঃ ইস্তেখারার নামাজ আদায় করলে দুনিয়াতেও লাভ, আখিরাতেও লাভ। যারা সিধান্তহীনতায় ভূগছেন তারা ইস্তেখারার নামাজ আদায় করুন। নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের উত্তম ফায়সালা করে দিবে।
সম্মানিত পাঠক, দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার জন্য আপনি এই আমল গুলো নিয়মিত করুন। আশা করা যায়, আল্লাহর রহমতে আপনি নিরাশ হবেন না। কোন আমল কয়েকদিন করে ফল না পেলে আমল করা বাদ দিবেন এমনটা যেন না হয়। যতক্ষণ না আপনি ফল পাচ্ছেন ততক্ষণ দোয়া করে যাবেন, আমল করে যাবেন।
মনের মত বিয়ে হওয়ার আমল
বিয়ে একাকীত্ব, নিঃসঙ্গতা দূর করে। আমরা এমন একজনকে জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চায় যার সঙ্গে আমাদের মনের মিল থাকবে। যারা দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে পেরেছে তারাই জীবনের আসল সুখ খুজে পেয়েছে। এজন্য দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে আমাদের মনের মানুষকে আমরা জীবন সঙ্গী হিসেবে পেতে চাই। আল্লাহর কাছে কোন কিছুর কমতি নেই। যে ব্যাক্তি আল্লাহর কাছে চায় আল্লাহ তার উপর খুশি হয়ে যায়। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে/আল্লাহর রহমত পেতে হলে/ বিপদে, অভাবে আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে প্রথমে আমাদেরকে গুণাহমুক্ত জীবন-যাপন করতে হবে।
যে কাজ করলে আল্লাহ খুশি সে কাজ গুলো বেশি বেশি করতে, যে কাজ করলে আল্লাহ নারাজ হয়ে সে কাজ গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। যতক্ষণ না দোয়া কবুল হচ্ছে ততক্ষণ দোয়া করেই যেতে হবে। দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তন হয়। মনের মত বিয়ে হওয়ার জন্য আপনি যে আমল করবেনঃ
দোয়া-১ঃ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা-ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সূরা ফোরকান : ৭৪)।
ইয়া ফাত্তাহুঃ ইহা আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ হলোঃ হে উন্মুক্তকারী বা প্রস্তুকারী। যারা বিয়ে-শাদী সংক্রান্ত সমস্যায় আছেন তারা ইয়া ফাত্তাহু এই শব্দটি বেশি বেশি পাঠ করুন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক এই পোস্টে বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের জীবনে যতগুলো সিধান্তমূলক কাজ করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো বিয়ে। যার জীবন সঙ্গী কল্যাণময় তার জীবন হবে সুখের। আর যার জীবন সঙ্গী অকল্যাণকর তার জীবনে দুঃখের শেষ হবে না। তাছাড়া এই পোস্টে চক্ষু শীতলকারী স্ত্রী পাওয়ার দোয়া, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হওয়ার আমল, ৭ দিনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আমল, দ্রুত বিয়ে ও উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার আমল, মনের মত বিয়ে হওয়ার আমল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার উপকারে এসেছে। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url