যেসব কারণে শীত বেশি লাগে - কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে
চলছে শীতকাল, শীত লাগাটাই স্বাভাবিক। এরপরেও দেখা যায় কেউ কেউ অতিরিক্ত শীত অনুভব করছে। এর আসেলে প্রকৃত কারণটা কী ? আজকের এই আলোচনা থেকে এটাই স্পষ্ট করা হবে যেসব কারণে শীত বেশি লাগে ও কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে এই বিষয়ে বিস্তারিত। এই শীতকালে জ্বর, সর্দি, কাশি, নানান শারীরিক জটিলতার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সময় অবশ্যই ঠান্ডা থেকে বাঁচতে নানান সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। যেসব কারণে শীত বেশি লাগে ও কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে এই বিষয় গুলো জানতে অনেকে গুগলে অনুসন্ধান করে তাই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।
একই তাপমাত্রায় সবাই সমানভাবে শীত অনুভব করে না। কারো কারো অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগে। শরীরে নানান শারীরিক জটিলতার কারণে কারো কারো এমনটা হয়ে থাকে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে যেসব কারণে শীত বেশি লাগে ও কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে এই বিষয় গুলো জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ যেসব কারণে শীত বেশি লাগে
- যেসব কারণে শীত বেশি লাগে
- কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে
- কি খেলে শীত কম লাগে
- শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ
- ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি
- উপসংহার
যেসব কারণে শীত বেশি লাগে
ঘন ঘন শীত লাগার নানান কারণ রয়েছে। তার মধ্যে রক্ত স্বল্পতা, কম ওজন, উদ্বেগ, পানি শূন্যতা, ঘুমের অভাব, ্ওষধের পাশ্বপ্রতিক্রিয়া, রেনোডস রোগ, থাইরয়েড়ের সমস্যা ইত্যাদি। চলুন তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিম্নে আলোচনা করা যাক।
কম ওজনঃ আমরা অনেকে ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা বা ডায়েট করে থাকি। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ওজন কমার সাথে শীত বেশি লাগার সম্পর্ক কি ? দেখবেন আপনার আশে-পাশে যারা শারীরিকভাবে স্বাস্থ্যবান তাদের ঠান্ডা কম লাগে অন্যদিকে যারা চিকন বা রোগাটে শরীর তাদের ঠান্ডা বেশি লাগে। এর কারণ হলো শরীর চর্চার কারণে শরীর থেকে অনেক চর্বি ঝরে যায়। যে কারণে ঠান্ডা লাগে। আবার অনেকে ডায়েট করে। ডায়েট করার কারণে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া হয় না। ফলে মেটাবলিজম রেট কমে যায়। ফলে শরীরে ঠান্ডা অনুভব হয়।
রক্তস্বল্পতাঃ ফুসফুস থেকে শরীরে প্রতিটি কোণে অক্সিজেন সরবরাহের কাজটি করে থাকে লোহিত রক্তকণিকা। শরীরে আয়রণের ঘাটতি থাকলে লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন হয় না। আর লোহিত রক্তকণিকার অভাবে রক্তস্বল্পতা হয়ে থাকে। লোহিত রক্তকণিকা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। কোন কারণে লোহিত রক্তকণিকা ঠিকমতো কাজ না করলে অথবা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন না হলে শরীরের শীত শীত ভাব অনুভব হয়। এজন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া দরকার। প্রয়োজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ডেইলি গোসলের অভ্যাস করাঃ শীতে অনেকে নিয়মিত গোসল করে না। এতে বরং শীত শীত ভাব বেশি লাগে। তাই চেষ্টা করবেন এই শীতে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল করতে।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবঃ ঘুম ঠিকমতো হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। নতুবা শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে এতে শীত শীত ভাব অনুভব হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। তাই একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যাক্তিকে দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমের পূর্বে অবশ্যই ডিজিটাল ডিভাইস গুলো দূরে রাখতে হবে। পাশাপাশি ঘুমের একটি রুটিন তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন রাতে একটি নিদিৃষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে ও ঘুম থেকে উঠতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতার লক্ষণসমূহ জেনে নিন
হাইপোথাইরয়েডিজমঃ থাইরয়েড হলো একটি ছোট গ্রন্থি যেটা গলারা মাঝামাঝিতে থাকে। ইহা হরমোন তৈরির কাজ করে থাকে। হাইপোথাইরয়েডিজম এর সমস্যা হলে ঠিকমতো হরমোন ক্ষরণ হয় না আর এজন্য হজম ঠিকমতো হয় না ফলে শরীরে তাপমাত্রা কমতে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে শীত অনুভব হওয়াটা স্বাভাবিক। এছাড়া মানসিক অবসাদ, অল্পতেই ক্লান্তি, ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, ওজন বৃদ্ধি এ ধরণের লক্ষণ গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে। তাই এই সময় অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিস এমন একটি ব্যাধি যা শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে বাধাগ্রস্থ করে। ফলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। শীত শীত অনুভব হয়। এমনকি ঠিকঠাক রক্ত সঞ্চালন না হলে হার্ট অ্যাটাকের আশংকা রয়েছে।
স্নায়ু সমস্যাঃ যাদের স্নায়ুচাপ রয়েছে তাদের শীতকালে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি। তাছাড়া অন্যান্য লক্ষণ যেমনঃ মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, ক্লান্তি এ ধরণের লক্ষণ গুলোও প্রকাশ পায়।
ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ অনেকে হাইপ্রেসারের জন্য ওষধ সেবন করে থাকে। ফলে ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হাত-পা ঠান্ডা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
পানির স্বল্পতাঃ আমরা শীতে অনেকে পানি কম পান করি। পানি শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। পানি শরীরের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে, শরীরকে উষ্ণ রাখে। এজন্য চেষ্টা করবেন এই শীতে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার জন্য।
অ্যালকোহলঃ আমাদের শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর একটি পানীয়। যা সেবন করলে প্রথমে উষ্ণ আরামদায়ক মনে হলেও পরে তা শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে শরীরকে ঠান্ডা করে দেয়। মস্তিষ্কের যে অংশ আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে অ্যালকোহল তা নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয়।
প্রিয় পাঠক উপরোক্ত এই আলোচনায় যেসব কারণে শীত বেশি লাগে, ঠান্ডার সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণ ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আলোচনা থেকে উপকৃত হয়েছেন।
কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে
কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে তা আমাদের জানা দরকার। কেননা, রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চাইতে ঐ রোগের জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করাটাই উত্তম। ভিটামিন সি এমন একটি উপাদান যা শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অভাবে শরীরে নানান ধরণের ডিজিজ আক্রমণ করে। শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব থাকলে শ্বেত রক্তকণিকা তৈরি হয় না। ফলে নানান ধরণের জীবাণু শরীরে আক্রমণ করে শরীরকে দুর্বল করে তোলে। ফলে হালকা শীতেও শরীরে প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভব হয়। মূলত ভিটামিন সি এর অভাবে ঠান্ডা লাগে। এজন্য ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়া দরকার।
কি খেলে শীত কম লাগে
শীতে শরীর গরম রাখা খুবই জরুরী। এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার শরীরকে গরম রাখতে সহায়তা করবে। শীতকালে আমাদের শরীরের তাপমাত্রার চাইতে আবহাওয়ার তাপমাত্রা কম থাকে। যার কারণে আমরা শীত শীত অনুভব করি। শীতকালে আমাদের খাদ্যতালিকার প্রতি বিশেষ নজর দেয়া দরকার। শীতকালে আমাদের এমন খাবার খাওয়া দরকার যা আমাদের শরীরকে গরম রাখবে। শরীর সুস্থ থাকলে যেকোন প্রতিকুল পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া যায়। অন্যথায় শরীর যদি দূর্বল থাকে তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে নানান ধরণের রোগ-ব্যাধি শরীরে চেপে ধরে। এজন্য শীতকালে নিজের শরীরের প্রতি বিশেষ নজর দেয়া দরকার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কি খেলে শীত কম লাগে সেই বিষয়ে বিস্তারিত।
আরো পড়ুনঃ লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
গরম পানিঃ শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে হালকা কুসুম গরম পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। গরম পানির পাশাপাশি চা, কফি খেতে পারেন এতে শরীর গরম থাকবে। শরীর থেকে শীত শীত ভাব দূর হবে।
মশলাঃ খাবারের স্বাদ বাড়াতে মশলার গুণাগুণ অতুলনীয়। কিন্তু আপনি কি জানেন লবঙ্গ, দারুচিনি, গোলমরিচ এই জাতীয় মশলা গুলো শীতে শরীরকে গরম রাখতে সহায়তা করে। তাই শীতে এই জাতীয় মশলা গুলো খাবারের অভ্যাস করতে পারেন।
লাল মাংসঃ লাল মাংস শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্যে করে। তবে তা বেশি পরিমাণে না খাওয়াটা ভালো। তাই শীতকালে শরীরকে উষ্ণ পরিমাণে অল্প লাল মাংস খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
স্যুপ জাতীয় খাবারঃ স্যুপ খেতে আমরা কে না পছন্দ করি। এই শীতে শরীরকে গরম রাখতে স্যুপ খেতে পারেন। স্যুপ যেন ঝাল হয়। এতে শরীরের ঠান্ডা ভাব দূর হবে নিমিষেই।
ডিমঃ ডিমে রয়েছে বহু পুষ্টি গুণাগুণ। ডিম শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন এ, জিংক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এই উপাদান গুলো রয়েছে।
তুলসীঃ তুলসী পাতার গুণাগুণ অনেক। বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে তুলসী পাতা ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীন কাল থেকে। তুলসীতে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টিজ যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীর থেকে ঠান্ডা ভাব নিমিষেই দূর করে।
মধুঃ শরীরের তাপ ও শক্তি যোগাতে মধুর গুনাগুণের অন্ত নেই। মধু শরীরকে গরম রাখে। বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসেবে মধু অত্যন্ত কার্যকরী। তাই চেষ্টা করবেন শীতকালে মধু খাওয়ার জন্য। কেননা ইহা শীতের মরণ কামড় থেকে আপনাকে রক্ষা করবে।
গুড়ঃ গুড়ে রয়েছে আয়রন, জিঙ্ক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শীতকালে শরীরকে গরম রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে।
তিলঃ এটা শরীরকে গরম রাখে ও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলুতে রয়েছে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শরীরকে উষ্ণ রাখে শীতের হাত থেকে শরীরকে বাঁচায়।
কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারঃ এ জাতীয় খাবার গুলো শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ঠান্ডা হতে শরীরকে বাঁচায়। রুটি, ভাত, চিনি, ডাল এগুলো হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার।
তাছাড়া অন্যান্য খাবার যেমনঃ গাজর, মুলা, আদা, রসুন, মরিচ, পেয়াজ, তেল এই জাতীয় খাবার গুলো খেতে পারেন। এগুলো শীতের সময় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সহায়তা করে।
শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ
আমাদের অনেকে রয়েছে যাদের সবসময় ঠান্ডা লেগেই থাকে। আসলে সারাক্ষণ শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ আমাদের তা জানতে হবে। কেননা, আমরা যদি রোগের লক্ষণগুলো ধরতে না পারি তাহলে প্রতিকার গ্রহন করতে পারবো না। সারাক্ষণ শীত শীত লাগার বেশ কয়েকটি কারণ আছে যেগুলো এই প্যারাতে আলোচনা করা হবে। চলুন তাহলে একনজরে জেনে নেওয়া যাক শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ সেই বিষয়ে।
রক্তস্বল্পতাঃ শরীরে যদি লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন না হয় তাহলে রক্তস্বল্পতার লক্ষণ গুলো দেখা যায়। লোহিত রক্তকণিকা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখে। কোন কারণে লোহিত রক্তকণিকা ঠিকঠাক কাজ না করলে শরীরে শীত শীত ভাব লাগে। মূলত রক্তস্বল্পতার কারণে শরীরে শীত শীত ভাব লেগেই থাকে।
ডায়াবেটিসঃ ডায়াবেটিস হলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্থ হয়। ফলে শীত শীত ভাব লেগেই থাকে।
হাইপোথাইরয়েডিজমঃ এই সমস্যা হলে হরমোন ঠিকমতো ক্ষরণ হয় না। যার ফলে হজম ঠিকমতো হয় না শরীরের তাপমাত্রা ধারাবাহিক ভাবে কমতে থাকে। ফলে শীত শীত ভাব অনুভব হয়।
স্নায়ু সমস্যাঃ যাদের স্নায়ু সমস্যা রয়েছে শীতকালে তাদের ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি। ফলে ধীরে ধীরে মাথা ঘোরা, বমি, ক্লান্তি এই লক্ষণ গুলো প্রকাশ পায়।
আশা করি এই প্যারাটি আপনি উপকৃত হয়েছেন। শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ সেই বিষয়ে আপনি একটি স্পষ্ট তথ্য পেয়েছেন। এই প্যারাটি আপনার উপকারে আসলে পোস্টটি শেয়ার করুন।
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি
কেন ঘন ঘন ঠান্ডা লাগে ? ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি ? এই সকল বিষয়ে জানতে আপনাকে পুুরো প্যারাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার বহু কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলোঃ নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, যক্ষা, অ্যালার্জি, ক্যান্সার, উদ্বেগ, ওষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, স্নায়ু চাপ, ডায়াবেটিস, রক্তস্বল্পতা, হাইপোথাইরয়েডিজম এগুলোর কারণে ঘন ঘন ঠান্ডা লেগেই থাকে। তাছাড়া শরীরে যখন রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় যখন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ঘাটতি দেখা যায় তখন সহজে ঠান্ডা ছাড়তে যায়। যার কারণে ঘন ঘন ঠান্ডা লেগেই থাকে। আশা করি আলোচনা থেকে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারছেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে। এই পোস্টে যেসব কারণে শীত বেশি লাগে, কোন ভিটামিনের অভাবে ঠান্ডা লাগে, কি খেলে শীত কম লাগে, শীত শীত লাগা কোন রোগের লক্ষণ, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার কারণ কি ইত্যাদি বিষয় অতি যত্ন সহকারে তুলে ধরা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার উপকারে এসেছে। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরণের লাইফ স্টাইল রিলেটেড পোস্ট পাবলিশ করা হয়। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url