ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয় - ইস্তেগফারের উপকারিতা জেনে নিন

ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়, ইস্তেগফারের উপকারিতা কি কি তা অনেকেই জানে না। ইস্তেগফার এমন একটি আমল যার মধ্যে অন্তনির্হিত রয়েছে দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ। স্বয়ং আল্লাহ নিজেও ইস্তেগফারকারীকে পছন্দ করেন। মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার করা। কেননা আমরা কেউ ভূলের উর্ধ্বে না, প্রতিনিয়ত আমরা পাপ করেই যাচ্ছি। মুসলমান হিসেবে ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়, ইস্তেগফারের উপকারিতা কি কি তা আমাদের জানা দরকার। চলুন তাহলে এক নজরে ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়, ইস্তেগফারের উপকারিতা কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয় - ইস্তেগফারের উপকারিতা জেনে নিন

নবী (সাঃ) নিজেও ইস্তেগফার করতেন, আমাদেরকেও ইস্তেগফার করার জন্য উপদেশ দিয়েছেন। ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়, ইস্তেগফারের উপকারিতা কি তা যদি আমাদের জানা না থাকে তাহলে আমরা ইস্তেগফারের গুরুত্ব বুঝতে পারবো না। দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ লাভের উদ্দেশ্যে ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয় ও ইস্তেগফারের উপকারিতা কি তা জেনে নেওয়া।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়

ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়

ইস্তেগফার এর অর্থ হলো আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া। এখন প্রশ্ন হলো ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয় ? আমরা মানুষ কেউ ভূলের উর্ধ্বে না, শুধুমাত্র যারা আল্লাহর মনোনীত বান্দা অর্থ্যাৎ নবী -রাসুলগণ তারাই একমাত্র নিষ্পাপ। নবী (সাঃ) যার জীবনে কোন গুনাহ নেই, স্বয়ং তিনি নিজেও দিনে ৭০ বারের বেশি ইস্তেগফার করতেন। এবার তাহলে ভাবুন আপনার আমার দিনে কতবার ইস্তেগফার করা দরকার। কেননা, আমরা প্রতিনিয়ত জেনে, না জেনে প্রতিদিন অহরহ পাপ করেই যাচ্ছি। এত পাপ করা সত্বেও আমাদের তওবা ইস্তেগফার করার সময় নেই।

এর কারণ দুনিয়ার মোহে আমরা অন্ধ হয়ে গিয়েছি। আমাদের উচিত আমাদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর নিকট বেশি বেশি তওবা ইস্তেগফার করা। যারা প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার করে আল্লাহ সে সকল বান্দাদের পছন্দ করে। নবী (সাঃ) আমাদের ইস্তেগফার করার উপদেশ দিয়েছেন। যারা ইস্তেগফার করে না আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আমাদের উচিত বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। তওবা বা ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়ঃ

  • প্রথমে, পাপ কর্মের জন্য আল্লাহর নিকট স্বীকারোক্তি দেওয়া, মনে মনে ঐ পাপের জন্য লজ্জিত হওয়া। যেমনঃ নামাজ আদায় করা হয় নি, জুলুম করেছি, পরনিন্দা করেছি, গীবত করেছি, আল্লাহ আমি মিথ্যা বলেছি, ঘুষ খেয়েছি, সুদ খেয়েছি, হারাম রিলেশনশিপের মধ্যে থেকেছি এরকম যত প্রকারের গুনাহ আছে এইভাবে গুনাহ গুলো আল্লাহর নিকট তুলে ধরা। যদিও আল্লাহ আপনার সম্পর্কে অবগত।
  • দ্বিতীয়ত, ভবিষ্যৎতে ঐ পাপের কাজ আর করবেন না এই ব্যাপারে আল্লাহকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া।
  • তৃতীয়ত, প্রাণভরে আকুতি মিনতি করে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া।
  • চতুর্থ, ঐ পাপ কর্মকে ঘৃণা করা।
  • পঞ্চম, যদি আপনার পাপ কর্মের সাথে বান্দার হক জড়িত থাকে তাহলে তা আদায় করা।
ক্ষমার ব্যাপারে পবিত্র কোরআন মাজীদে যা বলা আছেঃ এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন মাজীদে আল্লাহ বলেন, “আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা: ১৯৯)। অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা তোমাদের রবের কাছে ক্ষমা চাও।’ (সুরা হুদ: ৩)।

আল্লাহতায়ালা বলেন, (হে নবী! আপনি) আমার বান্দাদের বলে দিন– নিশ্চয়ই আমি অতিক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সুরা হিজর: ৪৯)

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, যারা অজ্ঞাতবশত পাপাচার করে, অতঃপর তওবা করে ও সৎকর্ম করে, তাদের প্রতি আপনার প্রভু অতিক্ষমাশীল ও অসীম দয়ালু। (সুরা নাহল: ১১৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, (হে নবী! আপনি) বলুন, হে আমার রব! আমাকে মাফ করে দিন ও আমার ওপর আপনার রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বাধিক দয়ালু। (সুরা মুমিনুন: ১১৮)।

ইস্তেগফারের দোয়াঃ ইস্তেগফারের অনেকগুলো দোয়া আছে। যেগুলোর মাধ্যমে আমরা আল্লাহর নিকট ইস্তেগফার করে পারি। অর্থ্যাৎ যেখানে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা আছে সেটাই ইস্তেগফার।

সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার أَستَغْفِرُ اللهَ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অনুবাদ: ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নবী (সাঃ) নিজে ফরজ নামাজে সালাম ফেরানোর পর এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। (মেশকাত:৯৬১)।

আবার এই দোয়াটিও ইস্তেগফার— أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومَ وأتُوبُ إلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অনুবাদ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’ (আবু দাউদ: ১৫১৭)।

এই দোয়াটিও ইস্তেগফারের দোয়া— رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ উচ্চারণ: ‘রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম।’ অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ (আবু দাউদ: ১৫১৬)।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো— اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’ অনুবাদ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৬৩০৬)।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফারের ব্যাপারে বলা আছে, যে ব্যাক্তি সকালে এই ইস্তেগফার পড়বে সন্ধ্যার আগে যদি মারা যায় তাহলে সেই জান্নাতি বলে ঘোষিত হবে। আর যে ব্যাক্তি সন্ধ্যায় এই ইস্তেগফার পড়বে সকাল হওয়ার আগে যদি মারা যায় তাহলে সেই জান্নাতি বলে ঘোষিত হবে (সহিহ বুখারি: ৬৩০৬)।

কোরআনের আয়াত ও হাদিস সংগ্রহ করা হয়েছে।
সূত্রঃ dhakamail.com, www.jugantor.com.


ইস্তেগফারের উপকারিতা

ইস্তেগফার এমন একটি আমল যার মধ্যে রয়েছে অগণিত ফায়দা। ইস্তেগফারের উপকারিতা শুনলে আপনি অবাক হবেন। কেননা, দুনিয়া ও আখিরাতে সকল কল্যাণ লুকিয়ে আছে এই ইস্তেগফারের মধ্যে যা কোরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাছাড়া বুজুর্গ আলেমগণ যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য ইস্তেগফারের পরামর্শ দিয়েছেন। ইস্তেগফার কারীর জন্য রয়েছে সুসংবাদ। ইস্তেগফার এমন একটি সহজ আমল যা নোংরা স্থান (বাথরুম, টয়লেট) ব্যতীত যেকোন স্থানে থেকে এই আমল করা যায়। আপনি বাজারে আছেন ইস্তেগফার পড়ুন, আপনি রেলস্টেশনে আছেন ইস্তেগফার পড়ুন, আপনি মাল কেনাবেচা করছেন ইস্তেগফার পড়ুন, অবসরে বসে আছেন ইস্তেগফার পড়ুন। ইস্তেগফারের আমল করতে অযু থাকা আবশ্যক নয়। কারণ অযু সবসময় ধরে রাখা যায় না। তবে অযু অবস্থায় থাকলে আমাদের জন্যই ভালো। ইস্তেগফারের উপকারিতা গুলো হলোঃ

  • আল্লাহ ইস্তেগফারকারীকে ক্ষমা করে দিবেন।
  • আল্লাহ আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করবেন।
  • টাকা পয়সার সমস্যা, অভাব, ঋণের সমস্যা, দোকানে বেচা-কেনা নেই ইস্তেগফার পড়ুন।
  • সন্তান হয় না/সন্তান-সন্ততির সমস্যা বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন।
  • হাদীসে এসেছে, বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়লে আল্লাহ সব বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
  • আল্লাহ উপভোগ্য শান্তিময় একটি জীবন দান করবেন।
  • বিপদ-আপদ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, চাপ, টেনশন বেড়ে গিয়েছে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন আল্লাহ সব বিপদ দূর করে দিবে।
  • যেকোন সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন।
  • আল্লাহর আযাব-গজব থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়ুন।
  • রিজিকের মধ্যে বরকত হয়।
  • দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ হাসিল হয়।
দুনিয়াবী যেকোন সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হলো ইস্তেগফার। মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। নিজেও ইস্তেগফার করা অন্যকেও ইস্তেগফারের পরামর্শ দেওয়া। ইস্তেগফার ছাড়া আমাদের মুক্তির কোন পথ নেই। বুজুর্গ আলেমগণ যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের ইস্তেগফারের পরামর্শ দিয়েছেন।

সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার কোনটি

ইস্তেগফারের অনেক গুলো দোয়া আছে যেগুলো সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এখন প্রশ্ন হলো সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার কোনটি ? আমরা অনেকে আরবী পড়তে পারি না, আবার আরবীতে যে সকল দোয়া আছে সেগুলো আমরা মুখস্তও রাখতে পারি না। সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার أَستَغْفِرُ اللهَ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অনুবাদ: ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নবী (সাঃ) নিজে ফরজ নামাজে সালাম ফেরানোর পর এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। (মেশকাত:৯৬১)।

সূত্রঃ dhakamail.com.

বেশি বেশি ইস্তেগফার এর ফজিলত

বেশি বেশি ইস্তেগফার এর ফজিলত কী তা আমাদের জানা জরুরী। কেন আমাদের বেশি বেশি ইস্তেগফার করতে হবে সেই বিষয়ে আমাদের জ্ঞান থাকতে হবে। কেননা ইস্তেগফার মুসলিম উম্মাহ জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বড় নিয়ামত। বেশি বেশি ইস্তেগফার এর ফজিলত হলোঃ

  • সমস্ত প্রকার বিপদ থেকে আল্লাহ উদ্ধার করে।
  • ইস্তেগফারকারীকে আল্লাহ সমস্ত প্রকার টেনশন, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।
  • অকল্পনীয় জায়গা থেকে আল্লাহ রিযিকের ব্যবস্থা করে দিবে।
  • যতক্ষণ আপনি ইস্তেগফার পড়বেন আল্লাহর কোন আযাব গজব আপনাকে পাঁকড়াও করবে না।
  • যারা সবসময় ইস্তেগফার করে আল্লাহ তাদেরকে ‘মুস্তাজাবুদ দাওয়া’ হিসেবে কবুল করে নেয়। মুস্তাজাবুদ দাওয়া মানে এমন ব্যাক্তি যে দোয়া করা মাত্রই দোয়া কবুল হয়ে যায়।

ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত

ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত এত বেশি যা না জানলে নয়। কেননা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় কল্যাণ এই ইস্তেগফারের মধ্যে রয়েছে। যেকোন সমস্যা সমাধানের অন্যতম উপায় হলো ইস্তেগফার। যেকোন নেক আশা পূরণের অন্যতম উপায় হলো ইস্তেগফার। আল্লাহ ইস্তেগফার কারীকে পছন্দ করেন। নবী নূহ (আঃ) তার কওমকে ইস্তেগফারের উপদেশ দিয়েছেন যে বিষয়টি আল্লাহ পবিত্র কোরআন মাজীদে সূরা নূহ মধ্যে কোড করে আমাদেরকে জানিয়েছেন। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যার জীবনে আগে-পরে কোন গুণাহ নেই তারপরেও তিনি দৈনিক ৭০ বারের বেশি তওবা ইস্তেগফার করতেন। নবী (সাঃ) আমাদেরকে বেশি বেশি ইস্তেগফারের উপদেশ দিয়েছেন। ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত বুঝাতে আপনাদের সামনে ২টি ঘটনা তুলে ধরা হলোঃ

ঘটনা ১ঃ হযরত হাসান বসরী (রহ.) নিকট এক ব্যাক্তি আসছে এসে বলে হযরত বৃষ্টি হচ্ছে না ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আপনি একটু দোয়া করেন। জবাবে, হাসান বসরী (রহ.) তাকে ইস্তেগফারের পরামর্শ দেন। অপর একজন ব্যাক্তি হয়রত হাসান বসরী (রহ.) নিকট এসে বলে হযরত বিপদে পড়েছি। জবাবে, হাসান বসরী (রহ.) তাকে ইস্তেগফারের পরামর্শ দেন। অপর একজন ব্যাক্তি হাসান বসরী (রহ.) কে সন্তান-সন্ততির সমস্যার কথা বলে। জবাবে, হাসান বসরী (রহ.) তাকে ইস্তেগফারের পরামর্শ দেন।

ঘটনা ২ঃ ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের ধারক, বাহক, প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিস। তিনি তার পুরো জীবন হাদিস সংগ্রহের কাজে ব্যয় করেছেন। একদা এক শীতের রাতের ঘটনা। তিনি চেয়েছিলেন এক মসজিদে এশার নামাজ পড়ে মসজিদে থাকতে যেহেতু তখন বাইরে প্রচন্ড শীত। দারোয়ান এসে বলল, মুরব্বি (ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল) মসজিদে থাকা যাবে না। দারোয়ান চিনতে পারেনি ইনি ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল, জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিস। শেষ পর্যন্ত দারোয়ান তাকে বাধ্য করলো মসজিদ ছেড়ে চলে যেতে।

ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল মসজিদ থেকে বের হয়ে এক রুটি বিক্রেতার দোকানে আশ্রয় নেন। রুটি বিক্রেতা ছিলেন এক যুবক। যিনি ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলকে স্বাগত জানান। ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল লক্ষ্য করেন, কিছুক্ষণ পর পর ঐ রুটি বিক্রেতা ইস্তেগফার পড়ে। মুখ দিয়ে আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকে। ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল ঐ রুটি বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি বার বার ইস্তেগফার বা আস্তাগফিরুল্লাহ কেন পড়ছ ? জবাবে ঐ রুটি বিক্রেতা বলে, এটি আমার অতি প্রিয় একটি আমল, এই আমলের বরকতে আল্লাহ আমাকে ‘মুস্তাজাবুদ দাওয়া’ বানিয়ে দিয়েছে, আমি যখনই আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি আল্লাহ আমার সব দোয়া কবুল করে নিয়েছে শুধু একটি দোয়া ছাড়া।

ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলের কৌতূহল আরোও বেড়ে গেল এবং জানতে চাইলো কি ছিল সেই দোয়া যা এখনো কবুল হয় নি। জবাবে ঐ রুটি বিক্রেতা বলে, আমি চেয়েছিলাম জগৎ বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলের সাথে দেখা করতে, কিন্তু আমার এই দোয়া আজও অবধি কবুল হয় নি, কেন কবুল হচ্ছে না তা জানি না। ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল বলে, ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলের সাথে দেখা করার জন্য ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলের দরবারে যাওয়ার দরকার নেই।

ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল দেখা করার জন্য তোমার দরবারে ছুটে এসেছে। আমি নিজেই ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বল। রুটি বিক্রেতাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না। অবশেষে ঐ রুটি বিক্রেতা ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলকে জড়িয়ে ধরে, মুসাফা করে, ইমাম আহম্মদ বিন হাম্বলের কপালে চুমু এঁকে দেয়। রুটি বিক্রেতা বলে, আল্লাহ আজকে আমার কোন দোয়া বাকী রাখে নি, সব দোয়া কবুল করে নিয়েছে।

প্রিয় পাঠক আশা করি উপরে বর্ণিত ২টি ঘটনা থেকে ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে আপনি অবগত হয়েছেন। ইস্তেগফারের মধ্যে রয়েছে অগণিত ফায়দা। আমাদের উচিত বেশি বেশি ইস্তেগফারের আমল করা এবং অন্যকেও ইস্তেগফারের আমল সম্পর্কে জানানো।

ইস্তিগফার দোয়া বাংলা উচ্চারণ

শুরুতে বলে রাখা ভাল, বাংলায় আরবী উচ্চারণ সহি বা শুদ্ধ হয় না। এতে মীনিং চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার আংশকা থাকে। তাই আরবী পড়া না জানলে আরবী পড়া শিখে নিবেন। মুসলিম হিসেবে আমাদের সকলকে কোরআন তিলাওয়াত জানতে হবে। ইস্তেগফার দোয়া বাংলা উচ্চারণঃ

১. সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার أَستَغْفِرُ اللهَ 
উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ -(মেশকাত:৯৬১).

২.আবার এই দোয়াটিও ইস্তেগফার— أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومَ وأتُوبُ إلَيْهِ
উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ - (আবু দাউদ: ১৫১৭).

৩.এই দোয়াটিও ইস্তেগফারের দোয়া— رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ: ‘রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম।’ - (আবু দাউদ: ১৫১৬).

৪.সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো— اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’ - (বুখারি: ৬৩০৬).
সূত্রঃ dhakamail.com

ইস্তেগফার এর অর্থ কি

আমরা ইস্তেগফার শব্দটি শুনেছি কিন্তু ইস্তেগফার এর অর্থ কি তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের সকলেরই ইস্তেগফার এর অর্থ জানা দরকার। ইস্তেগফার এর অর্থ হলোঃ আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়া। নবী-রাসুল গণ ব্যতীত আমরা মানুষ কেউ ভূলের উর্ধ্বে না। তাই আমাদের গুণাহর জন্য আমাদের উচিত বেশি বেশি ইস্তেগফার করা। তাছাড়া জীবনের যেকোন সংকটকালীন মুহূর্তে আমাদের ইস্তেগফারের আমল করা দরকার। ইস্তেগফারের মধ্যে রয়েছে অগণিত ফায়দা।

সেরা ইস্তেগফার

যেখানে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলা আছে সেটিই ইস্তেগফার। অনেকে গুগলে সার্চ দিয়ে জানতে চায় সেরা ইস্তেগফার কোনটি ? সবচাইতে সেরা ইস্তেগফার হলো সাইয়্যিদুল ইস্তেগফার। এই ইস্তেগফারের ব্যাপারে বলা আছে, “যে ব্যাক্তি এই ইস্তেগফার সকালে পড়বে সন্ধ্যা হওয়ার আগে মারা যাবে সে জান্নাতি। যে ব্যাক্তি এই ইস্তেগফার সন্ধ্যায় পড়বে সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে সে জান্নাতি” (বুখারি: ৬৩০৬)।
শুরুতে বলে রাখি, বাংলায় আরবী ‍উচ্চারণ সহীহ বা শুদ্ধ হয় না, উচ্চারণ শুদ্ধ না হলে মীনিং চেঞ্জ হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। তাই আরবী পড়া না জানলে, আরবী পড়া শিখে নিবেন।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো— اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’

অনুবাদ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৬৩০৬)।

সূত্রঃ dhakamail.com.

ইস্তেগফার করার দোয়া

মুসলিম হিসেবে আমাদের ইস্তেগফার করার দোয়া গুলো জানা দরকার। ইস্তেগফারের অনেক গুলো দোয়া আছে যা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। আমরা আজকে ঐসকল ইস্তেগফার করার দোয়া নিয়ে আলোচনা করবো।

সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার أَستَغْفِرُ اللهَ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ অনুবাদ: ‘আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি। নবী (সাঃ) নিজে ফরজ নামাজে সালাম ফেরানোর পর এই দোয়া ৩ বার পড়তেন। (মেশকাত:৯৬১)।

আবার এই দোয়াটিও ইস্তেগফার— أسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذي لا إلهَ إِلاَّ هُوَ الحَيَّ القَيُّومَ وأتُوبُ إلَيْهِ উচ্চারণ: ‘আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাজি লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া হাইয়্যুল কইয়্যূম ওয়া আতূবু ইলাইহি।’ অনুবাদ: ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, তিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছে তাওবা করি।’ (আবু দাউদ: ১৫১৭)।

এই দোয়াটিও ইস্তেগফারের দোয়া— رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ উচ্চারণ: ‘রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহিম।’ অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ (আবু দাউদ: ১৫১৬)।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলো— اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ উচ্চারণ: ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আ'বদুকা ওয়া আনা আ'লা আহ্দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু আ'উযুবিকা মিন শার্রি মা ছা’নাতু আবূউলাকা বিনি'মাতিকা আ'লাইয়্যা ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা।’ অনুবাদ: হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে পানাহ চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে মাফ করে দাও। কারণ তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৬৩০৬)।

সাইয়্যিদুল ইস্তিগফারের ব্যাপারে বলা আছে, যে ব্যাক্তি সকালে এই ইস্তেগফার পড়বে সন্ধ্যার আগে যদি মারা যায় তাহলে সেই জান্নাতি বলে ঘোষিত হবে। আর যে ব্যাক্তি সন্ধ্যায় এই ইস্তেগফার পড়বে সকাল হওয়ার আগে যদি মারা যায় তাহলে সেই জান্নাতি বলে ঘোষিত হবে (সহিহ বুখারি: ৬৩০৬)।

সূত্রঃ
dhakamail.com.

উপসংহার

প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি আপনি ধৈর্য্য নিয়ে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। এই পোস্টে ইস্তেগফার কিভাবে করতে হয়, ইস্তেগফারের উপকারিতা, সবচেয়ে ছোট ইস্তেগফার কোনটি, বেশি বেশি ইস্তেগফার এর ফজিলত, ইস্তেগফারের গুরুত্ব ও ফজিলত, ইস্তিগফার দোয়া বাংলা উচ্চারণ, ইস্তেগফার এর অর্থ কি, সেরা ইস্তেগফার, ইস্তেগফার করার দোয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আমাদের ওয়েবসাইটে ইসলামিক পোস্ট আরোও পাবলিশ করা হয়েছে। আপনি চাইলে সেইগুলো ভিজিট করতে পারেন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url