সুদ খেলে কি নামাজ হবে - সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয়
সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই জরুরী বিষয়গুলো জানতে অনেকে গুগলে অনুসন্ধান করে। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অনেক উপকারে আসবে। সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পুরো পোস্ট জুড়ে আমাদের সাথে থাকুন। আশা করি সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবেন।
সুদ খেলে কি নামাজ হবে কিনা, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় কিনা এই বিষয়ে আমাদের সকলের জানা দরকার। কেননা, সুদের বিষয়ে ইসলামে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ সুদ খেলে কি নামাজ হবে
- সুদ খেলে কি নামাজ হবে | সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয়
- সুদ কখন জায়েজ
- হারাম খেলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না
- উপসংহার
সুদ খেলে কি নামাজ হবে | সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয়
সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। কেননা নামাজ অথবা কোন নেক আমল কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো হালাল উপার্জন। আর সুদকে ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। সুদের পাপ ভয়ংকর। সুদের সর্বনিম্ন গুনাহ হলো নিজের মায়ের সাথে যিনা করা, আর সর্বোচ্চ পাপ হলো আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা। শধু সুদ নয় যারা হারাম উপায়ে জীবিকা চালাবে তাদের ইবাদত কবুল হবে না। কীভাবে তাদের ইবাদত কবুল হবে ? তারা যা পরিধান করছে তা হারাম, তারা যা খাচ্ছে তা হারাম, অর্থ্যাৎ হারামের উপর দিয়ে তাদের পুরো জীবন পরিচালিত হচ্ছে।
আল্লাহ পবিত্র, হারাম কোন কিছু ( সম্পদ, টাকা ) আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নই। ইসলামিক চিন্তাবিদদের মতে, যাদের উপার্জন হালাল নয়, যারা হারাম অর্থ সম্পদ দিয়ে জীবন প্রতিষ্ঠিত করছে তাদের ইবাদত কবুল হবে না। ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করছে, আর যারা সুদের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ংকর শাস্তি। এজন্য নামাজ অথবা অন্যান্য নেক আমল কবুল হওয়ার জন্য আমাদের উচিত সুদকে বর্জন করা। আশা করি আলোচনা থেকে সুদ খেলে কি নামাজ হবে | সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয় এই বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
সুদ কখন জায়েজ
প্রিয় পাঠক আমরা এই বিষয়ে একমত যে সুদ দেওয়া কিংবা নেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন প্রশ্ন হলো সুদ কখন জায়েজ। এই প্যারা থেকে আমরা এখন জানবো সুদ কখন জায়েজ সেই বিষয়ে বিস্তারিত। যদি কোন অক্ষমতা বা অপরাগতার পরিবেশ তৈরি হয়, বিষয়টা যদি এমন হয় যা ছাড়া আপনার জীবন চলছে না, আপনার কাছে এটা ছাড়া আর কোন উত্তম ব্যবস্থা নেই, আপনি জানছেন এটা মন্দ কাজ কিন্তু অপরাগতার কারণে এই মন্দ কাজটা করতে আপনি বাধ্য সেক্ষেত্রে আপনি পাপী হবেন না। তাই বলে ঐ হারাম কাজকে আপনি জায়েজ কিংবা হালাল বলতে পারেন না।
এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ ঐ হারাম জিনিসকে সীমিত সময়ের জন্য হালাল বলে ঘোষণা করেছেন। এক্ষেত্রে ঐ হারাম জিনিস হতে পারে সুদ অথবা অন্য কিছু সে শুধু ততটুকু গ্রহণ করতে পারবে যতটুকু গ্রহণ করলে তার অপরাগতা দূর হবে। তাহলে সুদ সম্পর্কে এতটুকু বলা যায় যদি কারো অপরাগতার কোন পরিবেশ তৈরি হয়ে যায় তাহলে যতটুকু সুদ গ্রহণ করলে তার অপরাগতা কেটে যাবে সে ততটুকু সুদ গ্রহণ করতে পারবে। পরে যত দ্রুত সম্ভব সুদের অর্থ পরিশোধ করে দিবে। পরবর্তীতে আল্লাহর নিকট তওবা, ইস্তেগফার করবে।
হারাম খেলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না
আমাদের অনেকে জানতে চায় হারাম খেলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না সে বিষয়ে। আমরা ছোটবেলায় লোকমুখে শুনেছি হারাম খেলে নাকি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না। ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, এই হাদিসটি সহিহ নয় অর্থ্যাৎ জাল হাদিস। তবে এই মর্মে যদি কোন ব্যাক্তি নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে মাতাল হয়ে যায় তাহলে ৪০ দিন পর্যন্ত তার ইবাদত কবুল হয় না। তবে ঐ ব্যাক্তি যদি তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবে ও তাকে ক্ষমা করে দিবে। ওই নেশাকারী ব্যাক্তি যদি ২য়, ৩য় বার নেশা করে অনুতপ্ত হবার পর তওবা করে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবে।
তবে ৪র্থ বার ঐ ব্যাক্তি নেশা করলে আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন না। আল্লাহ তার ৪০ দিন পর্যন্ত নামাজ কবুল করবেন না। তাই বলা যায় হারাম খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না বিষয়টি সহিহ নয়। এই বিষয়ে স্পষ্ট কোন দলিল নেই। আল্লাহ পবিত্র, হারাম কোন কিছু আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমাদের উচিত হারাম থেকে বিরত থাকা। আশা করি আলোচনা থেকে হারাম খেলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না সেই বিষয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা পেয়েছেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আশা করি এই পোস্ট থেকে আপনি সুদ খেলে কি নামাজ হবে, সুদ খেলে কি ইবাদত কবুল হয়, সুদ কখন জায়েজ, হারাম খেলে কতদিন ইবাদত কবুল হয় না সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারছেন। আমাদের সাইটে এই ধরনের সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url