ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসমূহ জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলে ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যে কোন বয়সের মানুষের এই রোগ হতে পারে। তাই কোন প্রকার স্কিপ না করে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। এতে আপনারই উপকার হবে।

ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডায়রিয়া রোগ অতি পরিচিত রোগ গুলোর একটি। এ রোগের স্থায়িত্ব কয়েকদিন হয়ে থাকে। তাই সময়মতো চিকিৎসা করা জরুরী। সময়মতো চিকিৎসা করা না হলে এ রোগ গুরুতর পর্যায়ে পৌছে যেতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত

ডায়রিয়া রোগ কি

ডায়রিয়া অতি পরিচিত একটি রোগ। এখন এটা একটা সাধারণ সমস্যা। ডায়রিয়া হলে আপনার ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার দরকার হতে পারে। যখন মল পানির মতন হয়ে নির্গত হয় তখন সেটাকে ডায়রিয়া বলে। সাধারণত এটা ১ বা ২ দিন স্থায়ী হয়। পরে আবার তা আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়। যদি ডায়রিয়া স্থায়িত্ব ২ দিনের বেশি হয় তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার শরীরে অন্যকোনো গুরুতর সমস্যার কারণে  এমনটা হচ্ছে।  এর স্থায়িত্ব ২ রকম হতে পারে। একটা হলো ক্ষণস্থায়ী অন্যটি হলো  দীর্ঘস্থায়ী।
ক্ষণস্থায়ী ডায়রিয়াঃ এটা ১ বা ২ দিন স্থায়ী হয়ে সেরে যায়। এটা হতে পারে খাবারের কারণে অথবা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দ্বারা অনিরাপদ পানি পান করলে অথবা আপনি যদি ভাইরাস রোগ আক্রান্ত হন তাহলে এই ডায়রিয়া হতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়াঃ এটা কয়েকসপ্তাহ থাকতে পারে। ইহা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে হতে পারে  যেমন পেটের সমস্যা। এটা অন্ত্রের রোগের কারণে হতে পারে। কিছু সংক্রামক জীবাণুর কারণে এমন দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া হতে পারে।

কি কারনে ডায়রিয়া হয় 

আমরা ডায়রিয়া সম্পর্কে অবগত কিন্তু কি কারণে ডায়রিয়া রোগ হয় তার সম্পর্কে আমরা অবগত নই। চলুন কি কারনে এ রোগ হয় তা সম্পর্কে জেনে নিন। ডায়রিয়া অনেকগুলো কারণ হতে পারে তার মধ্যে রয়েছেঃ
  • ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কারণে হতে পারে।
  • ভাইরাস এর কারনে হতে পারে।
  • খাদ্যে ভেজালের কারনে হতে পারে।
  • এলার্জির কারণে হতে পারে।
  • খাদ্য বা পানির মাধ্যমে প্রবেশকৃত জীবাণুর দ্বারা হতে পারে।
  • ওষুধের প্রতিক্রিয়ার দ্বারা।
  • সাম্প্রতিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কারণে।
অনেক মানুষের নির্দিষ্ট সময় অন্তরের অন্তর ডায়রিয়া হতে পারে। অনিরাপদ খাদ্য বা পানির সংগ্রহের দ্বারা এমন ডায়রিয়া হতে পারে। অনেক সময় শরীরের গুরুত্ব রোগের কারণে এমন ডায়রিয়া ঘনঘন হতে পারে। এজন্য একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।

ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো কি কি

ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি তা জানা অতীব জরুরী। ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো জানা না গেলে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া যায় না। তাই ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলো জানা অতীব জরুরী। এই লক্ষণগুলো একেক জন মানুষের ক্ষেত্রে একক রকম হতে পারে। চলুন লক্ষণগুলো জেনে নিই।
  • পেটে বা তলপেটে হঠাৎ ব্যথা
  •  পাকস্থলীতে ব্যথা
  •  বমি বমি ভাব
  •  ঘনঘন বাথরুমে যাওয়া
  •  জ্বর আসতে পারে
  •  রক্তাক্ত মল
  • পানির শূন্যতা দেখা যেতে পারে
হাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা ডায়রিয়া একটি গুরুত্ব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। নিচের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগা
  •  ঘন ঘন প্রস্রাব না হওয়া
  •  ক্লান্ত অনুভব করা
  •  ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া
  •  মাথাব্যথা অনুভব হওয়া
ডায়রিয়ার লক্ষণগুলো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা মধ্যে দেখা যেতে পারে। রক্তাক্ত ডায়রিয়া সব সময় উদ্বেগের বিষয় এ ধরনের সমস্যা হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধে করণীয় কার্যক্রম গুলো জেনে নিন

ডায়রিয়ার রোগ যেকোনো কারণে হতে পারে। তবে ডায়রিয়া রোগ প্রতিরোধে করনীয় কার্যক্রম গুলো আমাদের জানা অতীব জরুরী। নইলে তা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে। আমরা অনেকে এরূপ রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জানিনা। চলুন এ রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে নিন।
  • ডায়রিয়া রোগ সংক্রামক প্রতিরোধে ঘন ঘন হাত ধোয়া জরুরি।
  •  খাবার তৈরির আগে এবং পরে হাত ধুয়ে নেওয়া
  •  টয়লেট ব্যবহারের পর হাত ধুয়ে নিন
  •  হাঁচি, কাশি বা ডাইপার চেঞ্জ করে হাত ধুয়ে নিন।
  •  ২০ সেকেন্ড ধরে হাত দেওয়ার অভ্যাস করা।
  •  হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস করা আমরা যেভাবে লোশন ব্যবহার করি ঠিক সেভাবে। একটু পরপর হ্যান্ড সেনিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস করুন। আপনার হাত জীবানু মুক্ত করুন।
  •  ভালোভাবে রান্না করা হয়েছে এমন গরম খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  •  ভালোভাবে রান্না করা হয়নি এমন মাছ মানুষের সবজি খাওয়া যাবেনা।
  •  অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের কারণে এমন হতে পারে সবচেয়ে ভালো হয় একজন ডাক্তারের পরামর্শ মেনে স্বাস্থ্য রূটিন তৈরি করা।

উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চলা আপনি ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। ডায়রিয়ার রোগ এর লক্ষণ ও এর প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটের সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট করা হয় আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url