ক্যান্সার কি - ক্যান্সার রোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
আমরা কম-বেশী সকলে ক্যান্সার সম্পর্কে জানি। আমরা এই আর্টিকেল হতে ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব । আরো জানব ক্যান্সার রোগের কারণও লক্ষণ সম্পর্কে। আপনি যদি পুরো আর্টিকেল টা মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আপনি ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। নিচে ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ক্যান্সার কি-ক্যান্সার রোগের কারণ ও লক্ষণ
ক্যান্সার হল এমন একটি রোগ যাহা মানব দেহে অনিয়ন্ত্রিতভাবে কোষ গঠন করে এবং এ অনিয়ন্ত্রিত কোষ গুলো শরীরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের যে কোন জায়গায় ক্যান্সার হতে পারে । মানবদেহে বিলিয়ন বিলিয়ন কোষ আছে। মানব দেহের কোষ গুলা শরীরের স্বাভাবিক নিয়মে বৃদ্ধি পায়। পুরাতন কোষ গুলা ধ্বংস করে দিয়ে নতুন নতুন কোষ গঠন করে। মাঝে মাঝে কোষ গঠনের এই সুশৃংখল প্রক্রিয়া ভেঙ্গে যায়। যার ফলে এই ড্যামেজ কোষ ধ্বংস না হয়ে পুনরায় বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ চর্মরোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এর ফলে একপর্যায়ে টিউমার হয়। টিউমার ক্যান্সার হতেও পারে আবার নাও পারে। বিনাইন টিউমারের ক্ষেত্রে বিনাইন টিউমার মানবদেহে টিস্যু গুলাতে ছড়িয়ে পড়ে না এবং এগুলো অপসারণ করলে বিনাইন টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করা যায়। ম্যালিগ্যান্ট টিউমার মানবদেহের টিস্যু গুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নতুন টিউমার গঠনের জন্য শরীরের দূরবর্তী স্থানে যেতে থাকে।ক্যান্সার টিউমারকে মূলত ম্যালিগ্যান্ট টিউমার বলে।
ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বাঁচে
আমরা সকলে কম-বেশি জানি ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি রোগ। সব ক্যান্সারের ধরন এক রকম হয় না। চিকিৎসার মাধ্যমে এ ধরনের মরণব্যাধি রোগ দূর করা যায়। ক্যান্সার মানবদেহে পরগাছার মতো জন্ম নেয়। শরীরের স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তন করে ক্যান্সার কোষে রূপান্তর করে। এভাবে সারা শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে। ক্যান্সার হলে রোগীর কত দিন বাঁচবে এটা বলা যায় না।মানুষের জন্ম -মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার নিয়ন্ত্রণে।
আরো পড়ুনঃচর্মরোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
তবে ক্যান্সার ধরন ক্যান্সার হবার স্থান চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে বলা যায় রোগীর পরিণতি কি হবে ক্যান্সার হলে রোগে কত দিন বাঁচবে এ কথার আগেও সঠিক নয় অনেক ক্যান্সার রোগী সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে তার অনেক নজির আছে ।
ক্যান্সার হলে ক্যান্সার কতটা শক্তিশালী
ক্যান্সার হচ্ছে পর ও গাছের মতো এটা স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তন করে ক্যান্সার কোর্সে রূপান্তর করতে পারে যে কারণে ক্যান্সার কোর্স তৈরি হয় সে কারণটি তুলে নিল ক্যান্সার কোষ তার ক্ষমতা বলে বৃদ্ধি পায়। ক্যান্সার পোষ মেরে ফেলার জন্য ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও অনেক সময় দেখা যায় এই ওষুধের প্রভাবে স্বাভাবিক মৃত্যু হচ্ছে।
ক্যান্সার শরীরের চারদিকে পরাগাছের মতো ছড়িয়ে পড়ে রোগীর শরীরের পুষ্টিতে ভাগ বসায় এক পর্যায়ে রোগী রুগ্ন হয়ে যায় ক্যান্সার স্থানে রক্তক্ষরণ হলে রোগীর রক্তশূন্য হয়ে যায় ক্যান্সার স্থানে ঘা হলে সেখানে মাছের ডিম পারে ক্যান্সারের রোগীর খাবার খেতে পারে না
ক্যান্সার রোগীর খাবার কেমন হবে
ক্যান্সারের রোগীকে নরম ভাত খাওয়াতে হবে। এবং কম তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার অবশ্যই ঠান্ডা হতে হবে। পাশাপাশি শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদি খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। ক্যান্সার রোগীর শরীরে ভিটামিনস, মিনারেল,আয়রন ,এগুলোর অভাব থাকে।হিমোগ্লোবিন যুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন:আনার। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। ক্যান্সারের রোগীকে রসুন খাওয়াতে পারলে ভালো হয়। রসুনে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ইহা টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। রোগীকে কেমোথেরাপির সময় বেশি করে পানি খাওয়াতে হবে। রোগীবক স্যুপ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। যেমনঃ টমেটো স্যুপ। ইহা ক্যান্সার রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে থাকে। রোগীকে ফেশ খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। রোগীকে তেল জাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না।
ক্যান্সার রোগের লক্ষণ
মানুষের শরীরে যত ধরনের রোগ আছে তার মধ্যে ক্যান্সার সবচেয়ে ভয়াবহ। ক্যান্সারের রোগীকে বাচানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে এ ধরনের ক্যান্সার রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়। নিচে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো।
- ক্যান্সার হলে রোগীরা শরীরের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অনুভব হয়।
- ক্যান্সার হলে রোগীর শরীরে আকস্মিক ওজন হ্রাস পায়।
- দীর্ঘদিন ধরে শরীরে ব্যথা অনুভব হয়।
- ঘন ঘন জ্বর হয়।
- শরীরের ত্বক পরিবর্তন হয়ে যায়।
- দীর্ঘ স্থায়ী কাশি হয়।
- খাবার গিলতে সমস্যা হয়। খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যায়।
- পাশাপাশি শরীরে অন্যান্য রোগের উপসর্গ উপস্থিত হয়।
ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর আগের লক্ষণ
ক্যান্সার শরীরের মরণব্যাধি রোগ। ক্যান্সার হলে রোগী তার জীবনের আনন্দ হারিয়ে ফেলে। সে শুধু চারদিকে হতাশা অনুভব করে। নিচে ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর আগের লক্ষণ গুলো তুলে ধরা হলো।
- ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে উদাসীন অবস্থায় দেখা যায়। সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তার ভিতরে বেঁচে থাকার আনন্দটা ফুরিয়ে যায়। সে শুধু মৃত্যুর যন্ত্রণা অনুভব করে।
- রোগীর শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। শরীরের দুর্বলতা অনুভব করে। শরীর ঘুমের আকাঙ্ক্ষা বেশি থাকে।
- আক্রান্ত রোগীর ক্ষুধা কমে যায়। খাবার গিলতে সমস্যা হয়।
- সারা শরীরে ব্যথা অনুভব হয়।
- চামড়া কুচকে যায়।
- দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়।
ক্যান্সার দিবস
ক্যান্সারের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারমতে, প্রতিবছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করছে। বিশ্বে প্রথম ২০০০ সালে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এটি আয়োজন করা হয়েছিল প্যারিসে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করতে ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল কাজ করছে। এই সংস্থার উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সচেতন করা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সেবায় সবাইতক উৎসাহিত করা।এই সংস্থাটি ২০০৮ সালে ৪ই ফেব্রুয়ারী প্রথম ক্যান্সার দিবস পালন করে। সেই সাথে প্রতিবছর গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে ও ৪ই ফেব্রুয়ারী ক্যান্সার দিবস পালন করা হয়।
উপরের আলোচনা থেকে আশা করি ক্যান্সার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। চলুন আমরা আমাদের আশেপাশে মানুষকে ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন করি। একটি সুন্দর সমাজ ও দেশ গড়ার জন্য চলুন এক হয়ে কাজ করি।
পদ্মা মেইলের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url