হাঁপানি কি - হাঁপানি লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন

আমরা সকলে কম-বেশী হাঁপানি শব্দটির সাথে পরিচিত। হাঁপানি কি সেই সম্পর্কে  জানতে আমরা প্রায় গুগলে সার্চ দিয়ে থাকি। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলে আমরা হাঁপানি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। হাঁপানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে আপনাকে পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। নিচে  হাঁপানি লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।

হাঁপানি থেকে রেহাই পেতে হলে হাঁপানি কি, হাঁপানির লক্ষণ,কি কারণে হাঁপানি হয়,হাঁপানির চিকিৎসা, হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনাকে জানতে হবে। এই আর্টিকেলটিতে  হাঁপানি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ হাঁপানি কি-হাঁপানির লক্ষণ ও চিকিৎসা

• হাঁপানি কি 
• হাঁপানির লক্ষণ
• কি কারণে হাঁপানি হয়
• হাঁপানি চিকিৎসা
• হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

হাঁপানি কি 

হাঁপানি এমন একটি ব্যারাম যা আপনার শ্বাসনালীকে সরু করে এবং অতিরিক্ত তৈরি করে যার ফলে শ্বাস নিতে অসুবিধা হয় আসি হতে পারে যখন আপনি ৭ ছাড়েন তখন একটি বাঁশির শব্দ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে কিছু লোকের জন্য হাঁপানি একটি ছোটখাটো উপদ্র ব অন্যদের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা হতে পারে যা দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে এবং এটি প্রান খাতির হাঁপানির আক্রমণ হতে পারে হাঁপানি এই রোগটা একবারে নির্মূল করা যায় না তবে অ্যাজ উপসর্গ এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

হাঁপানির লক্ষণ

হাঁপানের লক্ষণ একেক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একক রকম হয়ে থাকে। যেমন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যায়াম করার সময় হাঁপানি হতে পারে। আবার কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে এর উপসর্গ  সব সময় লক্ষ্য করা যায় ।

• নিঃশ্বাস ছোট হয়ে যায়।
• বুকে যন্ত্রণা অনুভব হয়।
• শ্বাস ছাড়ার সময় শব্দ হয়।
• শ্বাসকষ্টের কারণে ঘুমের সমস্যা হয়।
• কাশি বা শ্বাসকষ্টের  আক্রমণ যা শ্বাস যন্ত্রের ভাইরাস দ্বারা খারাপ হয় যেমন সর্দি ইত্যাদি।

কি কারণে হাঁপানি হয়

চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত হাঁপানি কারণ অনুসন্ধানে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। হাঁপানি এ রোগটি ছোট বড় সকলেরই  হয়ে থাকে। যেগুলোর কারণে হাঁপানি হয়ে থাকে নিম্নে তা তুলে ধরা হলো।

বংশগত কারণেঃযদি আপনার বাবা-মা হাঁপানি এ রোগটি থাকে তাহলে জেনেটিক কারণে অন্যদের তুলনায় আপনার হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

এলার্জি কারণেঃআপনার শরীরে যদি এলার্জির মাত্রা বেশী থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে হাপানি এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যাদের মাতা-পিতার শরীরে এলার্জি রয়েছে স্বাভাবিকভাবে তাদের সন্তানদের হাপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

পেশাগত কারণেঃযদি আপনার আগে থেকে হাঁপানি থাকে, তাহলে কর্মক্ষেত্রে কিছু  উপাদানের সংস্পর্শে এসে আপনার হাঁপানি লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। যেমনঃ ধূলিকণা,রাসায়নিক ধোঁয়া, বাষ্প এবং ছাঁচের সংস্পর্শে আসার ফলে প্রথমবারের মতো হাঁপানি হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ চর্মরোগের চিকিৎসা কি - চর্মরোগের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

ধূমপানঃসিগারেটের ধোঁয়া শ্বাস নালীকে জ্বালাতন করে। ধূমপানকারীদের হাঁপানি ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের মায়েরা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করেছেন বা যারা সেকেন্ড হ্যান্ড ধূমপানের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

বায়ু দূষণঃবাযুদূষণের কারণে হাপানি হয়ে থাকে। বায়ু দূষণ হাঁপানি ঝুঁকি বাড়ায়। যারা শহরে বড় হয়েছেন তাদের হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা ঝুঁকি বেশি।

অতিরিক্ত মাথার ওজনের কারণেঃযেসব শিশু বা প্রাপ্তবয়স্কদের ওজন বেশি তাদের হাঁপানি  হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও কারণ গুলো অস্পষ্ট কিছু বিশেষজ্ঞ শরীরের নিম্ন-গ্রেডের নির্দেশ করে যা অতিরিক্ত ওজনের সাথে ঘটে। স্থূল রোগীরা প্রায়  বেশি ওষুধ ব্যবহার করেন  যার কারণে  হাঁপানি হওয়ার সম্ভাবনা  বেশি।

হাঁপানি চিকিৎসা

হাঁপানি আক্রান্ত বেশিরভাগ লোক কে রিলিভার ইনহেলার দেওয়া হয়ে থাকে। ইহা  নীল রঙের হয়। আপনার মাঝে হাঁপানের উপসর্গ দেখা গেলে আপনি রিলিভার ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন। এটা কয়েক মিনিটের মধ্যে উপসর্গের উপশম দূর করবে। যদি আপনাকে সপ্তাহে একাধিকবার রিলিভার ইনহেলার ব্যবহার করতে হয় তাহলে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন তারা অতিরিক্ত আপনাকে একটি প্রতিরোধক ইনহেলার ব্যবহার করতে বলবে। রিলিভার ইনহেলারে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করার কয়েক মিনিটের জন্য কখনো কখনো কাপুনি বা দ্রুত হার্টবিট হতে পারে।

হাঁপানি হওয়ার কারণে যদি আপনাকে রিলিভার ইনহেলার ব্যবহার করতে হয় প্রতিনিয়ত তাহলে আপনাকে একটি প্রতিরোধ ইনহেলার ব্যবহার করার প্রয়োজনও হতে পারে। আপনার শাসনালী গুলো র প্রদাহ এবং সংবেদনশীলতা কমাতে আপনি প্রতিদিন একটি প্রতিরোধক ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন যাতে উপসর্গকে বন্ধ করতে সহায়তা করবে। ইনহেলার ব্যবহার করার সময় যদি আপনার হাঁপানি লক্ষণগুলো অব্যাহত থাকে তাহলে একজন নার্সের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রতিরোধ ইনহেলারে স্টেরয়েড ওষুধ থাকে তাদের সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না তবে কখনো কখনো এ এর কারণে হতে পারে

• একটি কর্কষ কণ্ঠস্বর
•  গলা ব্যথা
•  মুখ বা গলার ছত্রাক সং ক্রমন

আপনি একটি স্পেশাল ব্যবহার করে এ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো প্রতিরোধ করতে পারেন।

যদি রিলিভার এবং প্রতিরোধক ইনহেলার ব্যবহার করে আপনার হাঁপানি নিয়ন্ত্রিত রন না হয় তাহলে আপনার এমন একটি  ইনহেলারের প্রয়োজন হতে পারে যা উভয়কে একত্রিত করে। সংমিশ্রণ ইনহেলাগুলো প্রতিদিন উপসর্গগুলো দেখা বন্ধ করতে এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিত্রাণ প্রদান করতে সহযোগিতা করে। এখন না থাকলেও এই নিয়মিত ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কম্বিনেশন ইনহেলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রিলিভার এবং প্রতিরোধক ইনহেলার এর মতোই।

হাঁপানি প্রতিরোধে করণীয়

আপনার যদি এলার্জি বা হাঁপানি থাকে তবে অ্যালার্জি থেকে আপনার দূরত্ব বজায় রাখুন। এলার্জেন এক্সপোজার কিছুক্ষণের জন্য আপনার শ্বাসনালীকে জ্বালাতন করতে পারে আক্রমণের সম্ভাবনা বেশি করে।

• ধোয়াএবং হাঁপানি একটি খারাপ মিশ্রণ। তামাক , মোমবাতি, আগুন ,আতশবাজি সহ ধোয়ার সমস্ত উৎসের ব্যবহার সীমিত করুন। আপনার বাড়িতে বা গাড়িতে ধূমপানের অনুমতি দিবেন না। এটা অনুমতি দেয় এমন এক সর্বজনীন স্থানগুলো এড়িয়ে চলুন। আপনার যদি সিগারেট পান করেন তবে ছেড়ে দিতে সহায়তা নিন। ধূমপান সবসময় হাঁপানিতে আরো খারাপ করে।
• যাদের সর্দি বা ফ্লু আছে তাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলুন। কারণ এটির দ্বারা আপনার হাঁপানের লক্ষণগুলোকে আরও খারাপ করে তুলবে।  শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত কেউ স্পর্শ করে থাকতে পারে এমন আইটেমগুলো পরিচালনা করে আপনারা হাত ভালো করে ধুয়ে নিবেন।
• আপনার বাড়িতে কর্মক্ষেত্রে ভ্রমণে থাকুন না কেন এমন কিছু জিনিস আছে যা আপনি আপনার পরিবেশকে এলার্জি মুক্ত করতে পারেন এবং আপনার অ্যাজমা এ্যাটাকের সম্ভাবনা  কমিয়ে আনতে পারেন। ধূমপায়ী রেস্তেরায় খাবার খাবেন না। একটি ধোয়ামুক্ত হোটেলে  রুম সংরক্ষণ করুন। যদি  পারেন আপনার নিজের বিছানা এবং বালিশ নিজে আনুন। যদি হোটেল কর্তৃপক্ষ তা অনুমতি দেয়।

প্রিয় পাঠক আশা করি উপরোক্ত আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। হাঁপানি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি ভালো লেগে থাকে উপরোক্ত আর্টিকেল টি শেয়ার করুন।